নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছয় বছর সারা দেশ ঘুরে মেয়েকে খুঁজেছি। যেখানে পাগলের খবর শুনেছি, ছুটে গেছি। ভেবেছি আমার মেয়ে হয়ত পাগল হয়ে পথে পথে ঘুরছে। পরে ভেবেছি দেশের বাইরে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কখনো মনে হয়নি আমার মেয়ে খুন হতে পারে। এটুকু বলেই চোখ মুছতে থাকেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ইলিয়াস শেখ।
ছয় বছর আগে ইলিয়াস শেখের মেয়ে শম্পা বেগম নিখোঁজ হয়েছিলেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে শম্পা বেগমকে খুন করেছিল তাঁরই বন্ধু নৌবাহিনীর সদস্য রেজাউল করিম স্বপন। গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান বনজ কুমার মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান।
বনজ কুমার জানান, ২০১৫ সালের ৩ মে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাসের ট্রাঙ্কে এক অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম এ কে খান মোড়ে ঈগল পরিবহনের কাউন্টারে টিকেট কেটে একজন ব্যক্তি ট্রাঙ্কটি তুলে দিয়েছিল।
বাসের হেলপারকে ওই ব্যক্তি বলেন, সামনের ভাটিয়ারী কাউন্টার থেকে উক্ত টিকেটের যাত্রী উঠবে। ঢাকায় আসার পর হেলপার দেখেন একটি ট্রাঙ্ক বাসের বক্সে পড়ে আছে। ট্রাঙ্কটি খুব ভারী হওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়। এরপর তাঁরা দারুস সালাম থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ ট্রাঙ্কটি খুলে একজন তরুণীর মরদেহ দেখতে পান। মরদেহের পরিচিতি শনাক্ত না হওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহটি দাফন করা হয়।
তিনি আরও জানান, মামলাটি প্রায় তিন মাস থানা পুলিশ তদন্ত করে। থানা পুলিশের পরে সিআইডি দীর্ঘ চার বছর তদন্ত করে। কিন্তু মরদেহের পরিচয় শনাক্ত এবং হত্যা রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে সিআইডি। কিন্তু রিপোর্ট গ্রহণ না করে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে দেয়। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো এবং সব জেলার থানায় ২০১৫ সালে নিখোঁজ জিডি অনুসন্ধান করে শম্পা বেগমের জিডি পাই। জিডির সূত্র ধরে তদন্তকারী কর্মকর্তা শম্পার বাবা ইলিয়াস শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ইলিয়াস শেখ পুলিশকে জানায়, ২০১৩ সালে খুলনা তিতুমীর নৌঘাঁটিতে রেজাউল করিম একটি হাসপাতালের মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করতেন। ওই হাসপাতালে ইলিয়াস শেখের স্ত্রী চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মেয়ে শম্পা বেগমের সঙ্গে আসামি রেজাউলের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রে প্রথমে প্রেম এবং পরে তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে রেজাউল বদলী হয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে। এরপর ভুক্তভোগী শম্পাও কিছুদিন পরে চট্টগ্রামে চলে আসে। চট্টগ্রামে শম্পা এক ফুফুর বাসায় কিছুদিন থাকে। এরপর ফয়েজ লেক এলাকায় একটি হোটেলে কিছুদিন অবস্থান করে।
পরবর্তীতে পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আনোয়ার হোসেনের টিনশেড বাড়ির একটি বাসায় সাবলেট নিয়ে রেজাউলের সঙ্গে বসবাস শুরু করে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করলেও বিয়ে করেনি। পরবর্তীতে তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দিলে আসামি রেজাউল করিম স্বপন ২ মে ২০১৫ সালে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শম্পাকে হত্যা করেন। মরদেহ গোপন করার উদ্দেশে একটি ট্রাঙ্কে ভর্তি করে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাসে তুলে দেয়।
শম্পার বাবাকে রেজাউল জানান, শম্পাকে খুলনার বাসে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তাঁর বাবার বাড়িতে না পৌছালে তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোথাও না পেয়ে শম্পার বোন জামাই আব্দুল মান্নান পাহাড়তলী থানায় নিখোঁজ জিডিটি করেন।
এ ছাড়া রেজাউল করিম এর বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শম্পার বাবা। অভিযুক্ত রেজাউলকে তাঁর বাহিনী তদন্তে বিভিন্ন অপরাধে সংশ্লিষ্টতার কারণে ২০১৯ সালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে রেজাউলই খুনি।
ছয় বছর সারা দেশ ঘুরে মেয়েকে খুঁজেছি। যেখানে পাগলের খবর শুনেছি, ছুটে গেছি। ভেবেছি আমার মেয়ে হয়ত পাগল হয়ে পথে পথে ঘুরছে। পরে ভেবেছি দেশের বাইরে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কখনো মনে হয়নি আমার মেয়ে খুন হতে পারে। এটুকু বলেই চোখ মুছতে থাকেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ইলিয়াস শেখ।
ছয় বছর আগে ইলিয়াস শেখের মেয়ে শম্পা বেগম নিখোঁজ হয়েছিলেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে শম্পা বেগমকে খুন করেছিল তাঁরই বন্ধু নৌবাহিনীর সদস্য রেজাউল করিম স্বপন। গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান বনজ কুমার মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান।
বনজ কুমার জানান, ২০১৫ সালের ৩ মে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাসের ট্রাঙ্কে এক অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম এ কে খান মোড়ে ঈগল পরিবহনের কাউন্টারে টিকেট কেটে একজন ব্যক্তি ট্রাঙ্কটি তুলে দিয়েছিল।
বাসের হেলপারকে ওই ব্যক্তি বলেন, সামনের ভাটিয়ারী কাউন্টার থেকে উক্ত টিকেটের যাত্রী উঠবে। ঢাকায় আসার পর হেলপার দেখেন একটি ট্রাঙ্ক বাসের বক্সে পড়ে আছে। ট্রাঙ্কটি খুব ভারী হওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়। এরপর তাঁরা দারুস সালাম থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ ট্রাঙ্কটি খুলে একজন তরুণীর মরদেহ দেখতে পান। মরদেহের পরিচিতি শনাক্ত না হওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহটি দাফন করা হয়।
তিনি আরও জানান, মামলাটি প্রায় তিন মাস থানা পুলিশ তদন্ত করে। থানা পুলিশের পরে সিআইডি দীর্ঘ চার বছর তদন্ত করে। কিন্তু মরদেহের পরিচয় শনাক্ত এবং হত্যা রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে সিআইডি। কিন্তু রিপোর্ট গ্রহণ না করে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে দেয়। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো এবং সব জেলার থানায় ২০১৫ সালে নিখোঁজ জিডি অনুসন্ধান করে শম্পা বেগমের জিডি পাই। জিডির সূত্র ধরে তদন্তকারী কর্মকর্তা শম্পার বাবা ইলিয়াস শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ইলিয়াস শেখ পুলিশকে জানায়, ২০১৩ সালে খুলনা তিতুমীর নৌঘাঁটিতে রেজাউল করিম একটি হাসপাতালের মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করতেন। ওই হাসপাতালে ইলিয়াস শেখের স্ত্রী চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মেয়ে শম্পা বেগমের সঙ্গে আসামি রেজাউলের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রে প্রথমে প্রেম এবং পরে তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে রেজাউল বদলী হয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে। এরপর ভুক্তভোগী শম্পাও কিছুদিন পরে চট্টগ্রামে চলে আসে। চট্টগ্রামে শম্পা এক ফুফুর বাসায় কিছুদিন থাকে। এরপর ফয়েজ লেক এলাকায় একটি হোটেলে কিছুদিন অবস্থান করে।
পরবর্তীতে পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আনোয়ার হোসেনের টিনশেড বাড়ির একটি বাসায় সাবলেট নিয়ে রেজাউলের সঙ্গে বসবাস শুরু করে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করলেও বিয়ে করেনি। পরবর্তীতে তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দিলে আসামি রেজাউল করিম স্বপন ২ মে ২০১৫ সালে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শম্পাকে হত্যা করেন। মরদেহ গোপন করার উদ্দেশে একটি ট্রাঙ্কে ভর্তি করে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাসে তুলে দেয়।
শম্পার বাবাকে রেজাউল জানান, শম্পাকে খুলনার বাসে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তাঁর বাবার বাড়িতে না পৌছালে তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোথাও না পেয়ে শম্পার বোন জামাই আব্দুল মান্নান পাহাড়তলী থানায় নিখোঁজ জিডিটি করেন।
এ ছাড়া রেজাউল করিম এর বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শম্পার বাবা। অভিযুক্ত রেজাউলকে তাঁর বাহিনী তদন্তে বিভিন্ন অপরাধে সংশ্লিষ্টতার কারণে ২০১৯ সালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে রেজাউলই খুনি।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫