Ajker Patrika

ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে হত্যা

আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৮: ৪৪
ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে হত্যা

ধর্ষণের পর তা জানাজানি হওয়ার ভয়ে এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত ওমর ফারুক (২০) ও রাব্বি (১৯)। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গত সোমবার গজারি জঙ্গল থেকে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ওমর ফারুক (২০) উপজেলার লোহাগাছ বিন্দুবাড়ি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে এবং রাব্বি (১৯) একই এলাকার মো. হাসমতের ছেলে। নিহত নারী (৪৫) শ্রীপুর পৌর এলাকার মাধখলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। এর মধ্যে ওমর ফারুক হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমজাদ শেখ জানান, রাশিদা বেগম বাড়ির পাশে ইসরাক স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানায় চাকরি করতেন। গত শনিবার বাড়ির অদূরে লাকড়ি কুড়াতে গেলে সেখানে অভিযুক্ত ওমর ফারুক ও রাব্বি তাঁকে ধর্ষণ করেন। এদিকে নিহত ওই নারী ও ফারুক একই কারখানার চাকরি করেন। এ জন্য ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে ফারুক ও রাব্বি তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ জঙ্গলে ফেলে দেন। পরদিন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। 

মামলার তদন্তকারী এসআই আমজাদ আরও জানান, হত্যার পর রাশিদা স্বর্ণের নাকফুল ও গলায় থাকা রুপার চেইন ওমর ফারুক নামে স্থানীয় সাঈদ নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য যান। পরে সাইদের দেওয়া তথ্যমতে ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে বোনের বাড়ি জামালপুর থেকে নাকফুল ও রুপার চেইন উদ্ধার করা হয়। 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে ওমর ফারুক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত