Ajker Patrika

ইয়াবার মামলা দিয়ে হয়রানি: সেই এএসআই মাহবুবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ৮ আগস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৩, ১৫: ২১
ইয়াবার মামলা দিয়ে হয়রানি: সেই এএসআই মাহবুবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ৮ আগস্ট

পথচারীর পকেটে মাদক দিয়ে ফাঁসানো ও হয়রানির ঘটনায় পল্লবী থানার সাময়িক বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহবুবুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৮ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এই তারিখ ধার্য করেন। 

আজ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিন আসামির একজনও আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময় মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি তাঁদের জামিন দেওয়া হয়। অন্য দুই আসামি হলেন মো. রুবেল ও মো. সোহেল রানা। এই দুজন পুলিশের সোর্স। 

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন। তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, নিজেরা ইয়াবা সংগ্রহ করে একজন পথচারীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন এএসআই মাহবুব ও তাঁর দুই সোর্স, যা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। 

গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একটি রাস্তায় খলিলুর রহমানের পথ রোধ করেন পল্লবী থানার সাদা পোশাকধারী এএসআই মাহবুবুল আলম। একজন সোর্সের কাছ থেকে ইয়াবার প্যাকেট নিয়ে খলিলের পকেটে পুরে দেন তিনি। তারপর উল্টো পথচারীকে মারধর করতে করতে একটি অটোরিকশায় তুলে নেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশকে মাহবুবুল আলম জানান, তাঁরা খলিলুর রহমান নামে একজন চিহ্নিত মাদক কারবারিকে ধরেছেন, যার কাছে ১৩৫ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। 

কিন্তু আশপাশে থাকা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ঘটনাটি। সেখানে দেখা যায় পথচারী খলিলুর রহমান নির্দোষ। তাঁকে হয়রানি করার জন্য ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন এএসআই মাহবুবুল আলম। 

এএসআই মাহবুব পথচারী খলিলুর রহমানকে পল্লবী থানায় নিয়ে যান। পল্লবী থানার এসআই কামরুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা সাজান। ওই মামলায় বলা হয়, খলিলুর রহমানের কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ইয়াবা উদ্ধারের সময় তাঁর সঙ্গে কনস্টেবল কামরুজ্জামান ও আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেন ছিলেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন এসআই খালিদ হাসান তন্ময়কে। তদন্ত কর্মকর্তা পরদিন খলিলুর রহমানকে মামলার আসামি হিসেবে আদালতে পাঠান। ৮ সেপ্টেম্বর আদালত খলিলুর রহমানকে জামিন দেন। 

ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এএসআই মাহবুবুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তাঁকে আটক করে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ১৩৫ পিস ইয়াবার মামলা করা হয়। মামলায় তাঁকে ও তাঁর দুই সোর্সকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরোনো রাউটার ফেলে না দিয়ে যে কাজে ব্যবহার করতে পারেন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত