নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তাঁরা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামী বৃহস্পতিবার দেওয়া হবে। আজ রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এই দিন ধার্য করেন।
অন্যদিকে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি ওই দিন নির্ধারণ করা হবে বলে জানান আদালত। গত ২৯ মার্চ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সেদিন তারেক ও জোবাইদার পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর দেড় ঘণ্টার মতো শুনানি গ্রহণ করেন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। আজ আবার শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
আজ অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ওমর ফারুক ফারুকী, খোরশেদ মিয়া আলম, ইকবাল হোসেন শুনানিতে অংশ নেন।
এ সময় দুদকের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মীর আহমেদ আব্দুস সালাম, মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর পলাতক আসামির পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, এই মামলায় দুই আসামি পলাতক। তাঁদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই। এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক আদেশে বলেছেন, দুজনই পলাতক। তাঁদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই। পলাতক আসামিদের পক্ষে কোনো ধরনের আবেদন গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই। এসংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশ নথিতে রয়েছে। পরে আদালত আপিল বিভাগের আদেশ পড়েন।
অন্যদিকে তারেক ও জোবাইদার পক্ষে আইনজীবীরা বলেন, সাংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের আইনি অধিকার রয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি (গেজেট) প্রকাশ করা হয়। সরকারি মুদ্রণালয় থেকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে, তাঁরা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাঁদের ধার্য তারিখের (গত ৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁরা আদালতে হাজির না হওয়ায় অনুপস্থিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করার জন্য মামলা প্রস্তুত করা হয়। গত ৫ জানুয়ারি দুজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন একই আদালত।
গত বছরের ১ নভেম্বর এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। ওই দিন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০০৮ সালে জোবাইদাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অন্য দুজন হলেন তারেক রহমান ও জোবাইদার মা ইকবাল মান্দ বানু। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এসংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবাইদার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
উচ্চ আদালতের এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবাইদা। গত বছরের ১৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। এর ফলে জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আইনগত বাধা কেটে যায়। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আদালতে জোবাইদার মামলা আবার সচল হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তাঁর মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তাঁরা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামী বৃহস্পতিবার দেওয়া হবে। আজ রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এই দিন ধার্য করেন।
অন্যদিকে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি ওই দিন নির্ধারণ করা হবে বলে জানান আদালত। গত ২৯ মার্চ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সেদিন তারেক ও জোবাইদার পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর দেড় ঘণ্টার মতো শুনানি গ্রহণ করেন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। আজ আবার শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
আজ অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ওমর ফারুক ফারুকী, খোরশেদ মিয়া আলম, ইকবাল হোসেন শুনানিতে অংশ নেন।
এ সময় দুদকের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মীর আহমেদ আব্দুস সালাম, মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর পলাতক আসামির পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, এই মামলায় দুই আসামি পলাতক। তাঁদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই। এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক আদেশে বলেছেন, দুজনই পলাতক। তাঁদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই। পলাতক আসামিদের পক্ষে কোনো ধরনের আবেদন গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই। এসংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশ নথিতে রয়েছে। পরে আদালত আপিল বিভাগের আদেশ পড়েন।
অন্যদিকে তারেক ও জোবাইদার পক্ষে আইনজীবীরা বলেন, সাংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের আইনি অধিকার রয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি (গেজেট) প্রকাশ করা হয়। সরকারি মুদ্রণালয় থেকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে, তাঁরা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাঁদের ধার্য তারিখের (গত ৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁরা আদালতে হাজির না হওয়ায় অনুপস্থিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করার জন্য মামলা প্রস্তুত করা হয়। গত ৫ জানুয়ারি দুজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন একই আদালত।
গত বছরের ১ নভেম্বর এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। ওই দিন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০০৮ সালে জোবাইদাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অন্য দুজন হলেন তারেক রহমান ও জোবাইদার মা ইকবাল মান্দ বানু। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এসংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবাইদার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
উচ্চ আদালতের এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবাইদা। গত বছরের ১৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। এর ফলে জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আইনগত বাধা কেটে যায়। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আদালতে জোবাইদার মামলা আবার সচল হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তাঁর মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
২৪ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৫ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১৪ এপ্রিল ২০২৫টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫