শ্রীপুর প্রতিনিধি
২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর। বাড়ির পাশে বালুর ডিবির মধ্যে পুঁতে রাখা শিশুপুত্রের মরদেহের সন্ধান পান দিনমজুর বাবা আক্তারুজ্জামান। এর আগের দিনই শিশু জাহিদ হাসান (১২) নিখোঁজ হয়েছিল। সন্তানের লাশ পাওয়ার পর থানা–পুলিশের কাছে যান বাবা। বিশ্বাস, পুলিশ তাঁর ছেলের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনবে, ন্যায় বিচার পাবেন তিনি। কিন্তু ঘটনার এত দিনেও কোনো কুলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। দিনমজুর বাবার মন এখনো ডুকরে কাঁদে। সন্তানের পরার জামা নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে বিচার চেয়ে বেড়ান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধাই গ্রামের মো. জালাল উদ্দিনের ছেলে আক্তারুজ্জামানের শিশুপুত্র জাহিদ হাসান। আক্তারুজ্জামান বলেন, যেদিন লাশ পেয়েছিলেন সেদিনই খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৫ জনের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা করেছিলেন। এরপর থানা–পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাত ঘুরে বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন মামলাটি তদন্ত করছে। দীর্ঘ তিন বছর হলেও মামলার চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাই এখন অনেকটা হতাশ হয়েই বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
আক্তারুজ্জামান বলেন, এখন প্রতিদিন সন্তানের জামা জড়িয়ে কাঁদা ছাড়া উপায় নেই। তিনি বলেন, ‘মামলার এত দিন পরও কোনো আশার আলো দেখছি না। কবে চার্জশিট দেবে তাও বলতে পারছি না। আমি গরিব মানুষ বলে টাকার জন্য হত্যাকারীদের বিচার করতে পারব না। ওরা আমার শিশুপুত্রকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে। এরপর মরদেহ বালুর ডিবির মধ্যে পুঁতে রাখে। পারিবারিক বিরোধে ওরা আমার শিশুপুত্রের ওপর প্রতিশোধ নিল। আমি এখন বিচার ছেড়ে দিয়েছি ওপরওয়ালার কাছে।’
আক্তারুজ্জামানের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার বলেন, এর আগে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তিন দফা মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী ২২ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন গাজীপুর জেলা আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুল ইসলাম।
পুলিশ জানায় ওই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই চারজন হলেন, লালমিয়া (৫৫), সাইদুল ইসলাম (৪০), সারফুল ইসলাম (৪৩) ও সাইজুদ্দিন (৪৩)। তাঁরা সবাই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। মামলার ৮ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাঁরা হলেন, জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), চানমিয়া (৫৪), মানিক মিয়া(৫৫), দুলাল মিয়া (৫০), রাসেল মিয়া (২৫), রুবেল মিয়া (২৬), বজলুল রশিদ (৪৫) ও কুদরত আলী (৪০)। তিনজন নারী অভিযুক্ত মামলার চার্জশিট পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে জামিনে আছেন। তাঁরা হলেন, জোছনারা খাতুন (৫০), নেহার খাতুন (৫০) ও রাশিদা খাতুন (৫০)।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন গাজীপুরের পুলিশ সুপার মাকছেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর। বাড়ির পাশে বালুর ডিবির মধ্যে পুঁতে রাখা শিশুপুত্রের মরদেহের সন্ধান পান দিনমজুর বাবা আক্তারুজ্জামান। এর আগের দিনই শিশু জাহিদ হাসান (১২) নিখোঁজ হয়েছিল। সন্তানের লাশ পাওয়ার পর থানা–পুলিশের কাছে যান বাবা। বিশ্বাস, পুলিশ তাঁর ছেলের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনবে, ন্যায় বিচার পাবেন তিনি। কিন্তু ঘটনার এত দিনেও কোনো কুলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। দিনমজুর বাবার মন এখনো ডুকরে কাঁদে। সন্তানের পরার জামা নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে বিচার চেয়ে বেড়ান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধাই গ্রামের মো. জালাল উদ্দিনের ছেলে আক্তারুজ্জামানের শিশুপুত্র জাহিদ হাসান। আক্তারুজ্জামান বলেন, যেদিন লাশ পেয়েছিলেন সেদিনই খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৫ জনের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা করেছিলেন। এরপর থানা–পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাত ঘুরে বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন মামলাটি তদন্ত করছে। দীর্ঘ তিন বছর হলেও মামলার চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাই এখন অনেকটা হতাশ হয়েই বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
আক্তারুজ্জামান বলেন, এখন প্রতিদিন সন্তানের জামা জড়িয়ে কাঁদা ছাড়া উপায় নেই। তিনি বলেন, ‘মামলার এত দিন পরও কোনো আশার আলো দেখছি না। কবে চার্জশিট দেবে তাও বলতে পারছি না। আমি গরিব মানুষ বলে টাকার জন্য হত্যাকারীদের বিচার করতে পারব না। ওরা আমার শিশুপুত্রকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে। এরপর মরদেহ বালুর ডিবির মধ্যে পুঁতে রাখে। পারিবারিক বিরোধে ওরা আমার শিশুপুত্রের ওপর প্রতিশোধ নিল। আমি এখন বিচার ছেড়ে দিয়েছি ওপরওয়ালার কাছে।’
আক্তারুজ্জামানের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার বলেন, এর আগে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তিন দফা মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী ২২ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন গাজীপুর জেলা আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুল ইসলাম।
পুলিশ জানায় ওই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই চারজন হলেন, লালমিয়া (৫৫), সাইদুল ইসলাম (৪০), সারফুল ইসলাম (৪৩) ও সাইজুদ্দিন (৪৩)। তাঁরা সবাই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। মামলার ৮ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাঁরা হলেন, জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), চানমিয়া (৫৪), মানিক মিয়া(৫৫), দুলাল মিয়া (৫০), রাসেল মিয়া (২৫), রুবেল মিয়া (২৬), বজলুল রশিদ (৪৫) ও কুদরত আলী (৪০)। তিনজন নারী অভিযুক্ত মামলার চার্জশিট পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে জামিনে আছেন। তাঁরা হলেন, জোছনারা খাতুন (৫০), নেহার খাতুন (৫০) ও রাশিদা খাতুন (৫০)।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন গাজীপুরের পুলিশ সুপার মাকছেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫