সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
৬ বছরের কন্যাশিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করেন প্রতিবেশী যুবক। পরে সেই শিশুকে হত্যা করে ট্রলিব্যাগে ভরে বাড়ির পয়োনিষ্কাশন লাইনে লুকিয়ে রাখেন। এভাবে শিশু হত্যার কথা বর্ণনা করেন মুক্তিপণের টাকা ক্যাশআউট করার সময় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামি।
পুলিশের ধারণা, হত্যার আগে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে গ্রেপ্তার আসামিকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-৪ সিপিসি-২। এর আগে শনিবার রাতে আশুলিয়ার এলাকার একটি বাড়ির পয়োনিষ্কাশন ড্রেন থেকে শিশুর (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় ওই বাড়ির অপর ভাড়াটিয়া আবুল কাদেরকে (২০) গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর দেওয়া তথ্যমতেই শিশুর মরদেহের খোঁজ মেলে।
নিহত শিশুর বাবার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশুলিয়ার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। আশুলিয়ার একই বাসায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল কাদের।
আব্দুল কাদের সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার সায়দাবাদ পুনর্বাসন গ্রামের মো. শাহাদাত হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় রাজু নামে আরেক আসামি ও অজ্ঞাত তিন-চারজন আসামি পলাতক রয়েছেন। রাজুর বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৪ জানুয়ারি (বুধবার) সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে মেয়েকে খেলতে দেখে তার বাবা-মা। এর কিছু সময় পর থেকেই নিখোঁজ হয় সে। পরে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। কয়েক ধাপে কিছু টাকা কয়েকটি মোবাইল নম্বরে পাঠান শিশুর বাবা। এর মধ্যে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মোবাইলে লেনদেনের সূত্র ধরে আসামির পিছু নেয় র্যাব। পরে আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন আব্দুল কাদের। তাঁর বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে তাঁর বাসায় শিশুটিকে লুকিয়ে রেখেছিলেন কাদের। এর আগে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ওই শিশুকে ডেকে নেন আব্দুল কাদের। পরে চিৎকার শুরু করলে শিশুটির মুখ ও গলা চেপে হত্যা করে। এরপর শিশুর মরদেহ একটি ট্রলিব্যাগে ভরে আব্দুল কাদেরের বাসার সামনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর লুকিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় আব্দুল কাদেরকে রাজুসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজন সহায়তা করেছেন।
এদিকে আব্দুল কাদেরের ঘরে খাটের নিচ থেকে লাশ লুকানোর কাজে ব্যবহৃত ট্রলিব্যাগ ও বাড়ির চাল থেকে শিশুর পরিহিত জামা, জুতা উদ্ধার করেছে র্যাব। পরে মরদেহ লুকিয়ে রাখার স্থান দেখান আব্দুল কাদের। সেখান থেকে রোববার ভোরে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল সম্পন্ন করে আশুলিয়া থানার পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মামলার এজাহারে শিশুকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) জামাল সিকদার বলেন, ‘আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। প্রাথমিক সুরতহালে ধর্ষণের বিষয়টি সন্দেহ করছি, বাকিটা ময়নাতদন্তে জানা যাবে। ধর্ষণের বিষয় নিশ্চিত হলে মামলায় ধর্ষণের ধারাও যুক্ত করা হবে। বুধবার থেকে শিশুর মরদেহ দুই দিন তার ঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। পরে শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে লাশ ট্রলিব্যাগে নিয়ে বাড়ির পয়োনিষ্কাশন ড্রেনে ফেলে দেয়।’
৬ বছরের কন্যাশিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করেন প্রতিবেশী যুবক। পরে সেই শিশুকে হত্যা করে ট্রলিব্যাগে ভরে বাড়ির পয়োনিষ্কাশন লাইনে লুকিয়ে রাখেন। এভাবে শিশু হত্যার কথা বর্ণনা করেন মুক্তিপণের টাকা ক্যাশআউট করার সময় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামি।
পুলিশের ধারণা, হত্যার আগে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে গ্রেপ্তার আসামিকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-৪ সিপিসি-২। এর আগে শনিবার রাতে আশুলিয়ার এলাকার একটি বাড়ির পয়োনিষ্কাশন ড্রেন থেকে শিশুর (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় ওই বাড়ির অপর ভাড়াটিয়া আবুল কাদেরকে (২০) গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর দেওয়া তথ্যমতেই শিশুর মরদেহের খোঁজ মেলে।
নিহত শিশুর বাবার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশুলিয়ার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। আশুলিয়ার একই বাসায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল কাদের।
আব্দুল কাদের সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার সায়দাবাদ পুনর্বাসন গ্রামের মো. শাহাদাত হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় রাজু নামে আরেক আসামি ও অজ্ঞাত তিন-চারজন আসামি পলাতক রয়েছেন। রাজুর বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৪ জানুয়ারি (বুধবার) সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে মেয়েকে খেলতে দেখে তার বাবা-মা। এর কিছু সময় পর থেকেই নিখোঁজ হয় সে। পরে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। কয়েক ধাপে কিছু টাকা কয়েকটি মোবাইল নম্বরে পাঠান শিশুর বাবা। এর মধ্যে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মোবাইলে লেনদেনের সূত্র ধরে আসামির পিছু নেয় র্যাব। পরে আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন আব্দুল কাদের। তাঁর বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে তাঁর বাসায় শিশুটিকে লুকিয়ে রেখেছিলেন কাদের। এর আগে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ওই শিশুকে ডেকে নেন আব্দুল কাদের। পরে চিৎকার শুরু করলে শিশুটির মুখ ও গলা চেপে হত্যা করে। এরপর শিশুর মরদেহ একটি ট্রলিব্যাগে ভরে আব্দুল কাদেরের বাসার সামনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর লুকিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় আব্দুল কাদেরকে রাজুসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজন সহায়তা করেছেন।
এদিকে আব্দুল কাদেরের ঘরে খাটের নিচ থেকে লাশ লুকানোর কাজে ব্যবহৃত ট্রলিব্যাগ ও বাড়ির চাল থেকে শিশুর পরিহিত জামা, জুতা উদ্ধার করেছে র্যাব। পরে মরদেহ লুকিয়ে রাখার স্থান দেখান আব্দুল কাদের। সেখান থেকে রোববার ভোরে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল সম্পন্ন করে আশুলিয়া থানার পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মামলার এজাহারে শিশুকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) জামাল সিকদার বলেন, ‘আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। প্রাথমিক সুরতহালে ধর্ষণের বিষয়টি সন্দেহ করছি, বাকিটা ময়নাতদন্তে জানা যাবে। ধর্ষণের বিষয় নিশ্চিত হলে মামলায় ধর্ষণের ধারাও যুক্ত করা হবে। বুধবার থেকে শিশুর মরদেহ দুই দিন তার ঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। পরে শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে লাশ ট্রলিব্যাগে নিয়ে বাড়ির পয়োনিষ্কাশন ড্রেনে ফেলে দেয়।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫