Ajker Patrika

সাভারে শিক্ষক হত্যায় অভিযুক্ত ছাত্রের বয়স ১৯ বছর, মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভারে শিক্ষক হত্যায় অভিযুক্ত ছাত্রের বয়স ১৯ বছর, মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক

সাভারে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে মামলার প্রধান আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতুর বয়স নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। মামলার এজাহারে দশম শ্রেণির ছাত্র জিতুর বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ১৬ বছর। কিন্তু তাঁর প্রকৃত বয়স ১৯ বছর। পড়াশোনার মাঝে বিরতি থাকায় একই শ্রেণির অন্য ছাত্রদের তুলনায় তাঁর বয়স বেশি বলে জানা গেছে। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী কলেজে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়। সেখানে নবম শ্রেণিতে এসএসসির রেজিস্ট্রেশনের সময় কাগজপত্রে জিতুর জন্ম ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি উল্লেখ রয়েছে। সে হিসেবে আজ (২৮ জুন) তাঁর বয়স হয় ১৯ বছর ৫ মাস ১১ দিন। 

কলেজের আইসিটি শিক্ষক মনির হোসেন বলেন, জিতু আগে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতেন। মাদ্রাসা থেকে সাধারণ স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগে তাঁর শিক্ষাবিরতি ছিল। এ কারণে বয়স দশম শ্রেণির অন্য ছাত্রদের চেয়ে কিছুটা বেশি। 

গত ২৫ জুন শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পেটান জিতু। পরদিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরদিন আশুলিয়া থানায় জিতুসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিক্ষক উৎপলের ভাই অসীম কুমার সরকার। সেই মামলায় জিতুর বয়স উল্লেখ করা হয় ১৬ বছর। তবে এখন তাঁর প্রকৃত বয়স সামনে এসেছে। ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্র পলাতক।

এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা অসীম কুমার সরকার বলেন, বয়সের বিষয়টি তাঁরা জানা ছিল না। এখন জানলেন। মামলা করার সময় দশম শ্রেণিতে পড়ে সে হিসেবে একটা আনুমানিক বয়স তিনি দিয়েছিলেন। 

প্রকৃত বয়স ১৯ বছর হওয়া সত্ত্বেও মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক উল্লেখ করায় কোনো জটিলতা তৈরি হবে কি না জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘বাদী এজাহারে জিতুর বয়স ১৬ বছর উল্লেখ করেছেন। বাদী এজাহারে যেটা উল্লেখ করেছেন সেটাই আমরা নিব। তবে তদন্ত সাপেক্ষে তো আমরা ব্যবস্থা নিবই। বাদীর এজাহারে আমরা তাৎক্ষণিক মামলা গ্রহণ করেছি। তদন্তে সবই বের হয়ে আসবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত