Ajker Patrika

ছাত্রীকে বিয়ে: আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, অধ্যক্ষও আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২৩, ১৬: ০৪
ছাত্রীকে বিয়ে: আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, অধ্যক্ষও আসামি

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে বিয়ের ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর বাবা ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ সম্প্রতি এই মামলা করেন। 

প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলাটিতে মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে। 

মামলার বাদীর আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ১ আগস্ট মামলাটি করা হয়। বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদীর মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে তাকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনতেন এবং বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করতেন। একপর্যায়ে আসামি মুশতাক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করা এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকাছাড়া করার হুমকি দেন। 

মামলার বাদী আরও অভিযোগ করেছেন, মুশতাকের এমন আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে মুশতাককে তাঁর কক্ষে নিয়ে আসেন। ওই ছাত্রীকেও ক্লাস থেকে ডেকে এনে কক্ষের দরজা বন্ধ করে মুশতাককে সময় ও সঙ্গ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও বাদী কোনো সহযোগিতা পাননি এবং অধ্যক্ষ মুশতাককে অনৈতিক কাজে সাহায্য করতে থাকেন। 

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন বাদী তাঁর মেয়েকে নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে গেলে সেখান থেকে মুশতাক তাঁর লোকজন দিয়ে মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন, আসামি একেক দিন একেক স্থানে রেখে মেয়েকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে যৌন নিপীড়ন করেছেন। 

উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁওয়ে এসংক্রান্ত অপহরণ মামলা করার পর আলোচিত রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির সেই ছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় গত ১৬ জুলাই। ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই ছাত্রী জানায়, তাকে কেউ অপহরণ বা ধর্ষণ করেনি। ওই দিন আদালত থেকে নিজ জিম্মায় মুক্তি নিয়ে সে মুশতাকের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসে। 

এরও আগে গত ৪ জুলাই মুশতাক হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। সেখানেও ওই ছাত্রী জানায়, তারা বিয়ে করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত