Ajker Patrika

ঢাবি শিক্ষার্থী হাফিজুর আত্মহত্যার আগে এলএসডি সেবন করেছিলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৭ মে ২০২১, ১৪: ১৮
ঢাবি শিক্ষার্থী হাফিজুর আত্মহত্যার আগে এলএসডি সেবন করেছিলেন

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগে হাফিজুর কার্জন হলে বসে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এলএসডি মাদক সেবন করেছিলেন। শাহবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলার ছায়া তদন্তে নেমে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা এমনটা জানতে পেরেছেন।

এর আগে সোমবার হাফিজুর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ সেদিনের আড্ডায় থাকা আসিফ বাপ্পী ও রাফসানকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে শাহবাগ থানা-পুলিশ।

এ নিয়ে শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশীদ বলেন, ‘হাফিজুরের দুজন বন্ধু আছেন। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ৷ এ তথ্যগুলো তদন্তের কাজকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে৷’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, পুলিশের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব তদন্ত চলছে। সম্পূর্ণ ঘটনা বোঝার জন্য আমরা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশও তদন্ত করছে। তারা রিপোর্ট দিলে আমরা আরও ভালো জানতে পারবো। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সত্য ঘটনা বের করার জন্য আমরা তাদেরকে জানিয়েছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাফিজের এক বন্ধু জানান, ঈদের দুই দিন আগে তার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যায়। এ নিয়ে হাফিজের মন প্রচণ্ড খারাপ ছিল। এ ছাড়াও নানা কারণে হতাশায় ভুগছিলেন হাফিজ। পারিবারিক, অর্থনৈতিক সমস্যাও ছিল। মাঝে করোনার মধ্যে টিএসসিতেই প্রায়ই থাকতেন। হাফিজুরের এই অবস্থার জন্য তার পরিবার, বন্ধুবান্ধবসহ অনেকেই দায়ী। হাফিজ তার বন্ধুদের প্রতিহিংসার শিকারও হতে পারেন। পুরো ঘটনার সঙ্গে আরও বড় কোনো চক্র থাকতে পারে।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় হাফিজুর রহমানের হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানের বক্তারা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। সেখানে প্রতিটা সন্তানকে মা-বাবা অনেক স্বপ্ন নিয়ে পাঠায়। সেখান থেকে কোনো মেধাবী সন্তান লাশ হয়ে বাড়ি ফিরবে এটা আমরা কখনো প্রত্যাশা করিনা। আমরা চাই ঢাবি’র ভিসি এবং প্রক্টরের পক্ষ থেকে মামলা করে আমাদের সন্তান হাফিজুরের মৃত্যু রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হোক। আমাদের আর কোনো সন্তান প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাবি থেকে লাশ হয়ে মা-বাবার বুকে ফিরে আসুক এটা আমরা চাই না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান ঈদের পরদিন সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসেন। সেদিন সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে দেখা করেন। এরপর থেকেই নিঁখোজ হন হাফিজুর রহমান।

নয় দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাওয়া যায় হাফিজুরের লাশ ৷ তার পরিবার তাকে শনাক্ত করেন। পুলিশের জানায়, ঈদের পরদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে হাফিজুরকে ঢাকা মেডিকেলের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তিনি অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন ৷ শহীদ মিনারের সামনের একজন ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজের গলা কেটেছেন। পুলিশ সদস্যরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। রাত ১০টায় ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডাকসুতে শিবিরের জয়ে উদ্বেগ শশী থারুরের, জবাব দিলেন মেঘমল্লার

‘বেয়াদবি ছুটায় দেব’: সরি বলতে অসুবিধা নেই, বললেন সেই জামায়াত নেতা

শাহজালাল বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে কোমরপানি

ইসরায়েলের হামলার কী জবাব হবে—আরব-ইসলামিক সম্মেলন ডাকল কাতার

ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ চার্লি কার্ক কেন খুন হলেন, কী ঘটেছিল, কে ছিলেন তিনি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত