নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিকিৎসক ইশরাত রফিক ঈশিতা। ৩৫ বছর বয়সী নারী চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে 'তিনিই সেরা'। ক্যানসার নিয়ে আছে তাঁর একক গবেষণা। মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারী শিশু অধিকার, করোনা সবকিছু নিয়েই কাজ করেন তিনি। শুধু মানবাধিকার বা চিকিৎসা বিজ্ঞানে নয় ঈশিতার অবদান আছে অপরাধ বিজ্ঞানেও। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ফিলিপিন থেকে পেয়েছেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল র্যাংকও। এসব সাফল্যে দেখিয়ে এরই মধ্যে দেশের টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াতে শিরোনাম হয়েছেন বারবার।
র্যাব বলছে, শুধু চিকিৎসক ছাড়া তাঁর সব ডিগ্রি ও সাফল্যই ভুয়া। গতকাল শনিবার রাজধানীর মিরপুর থেকে ইশরাত রফিক ঈশিতা ও তাঁর সহযোগী শহিদুল ইসলাম দিদারকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভুয়া আইডি কার্ড, ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, সিল, ভুয়া সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র, পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, ৩০০ পিছ ইয়াবা, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ।
র্যাবের দাবি, তিনি একজন আন্তর্জাতিক প্রতারক। রোববার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রতারণার কৌশলের অংশ হিসেবেই ডলারের বিনিময়ে ডজনখানেক সনদপত্র কিনেছেন তিনি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চিকিৎসক ইশরাত রফিক ঈশিতা ফিলিপাইনের একটি ওয়েবসাইট থেকে ৪০০ ডলারে সামরিক বাহিনীর মতো ‘ব্রিগেডিয়ার জেনারেল’ র্যাংক পদটি কিনেছিল। এরপর সেই র্যাংক ব্যাচ ও পোশাক বানিয়েছেন। তাঁর সহযোগী শহিদুল ইসলাম দিদারও ফিলিপাইনের প্রতিষ্ঠানটি থেকে ‘মেজর জেনারেল র্যাংক’ পদ কেনেন।
র্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘করোনা মহামারিকে পুঁজি করে ভার্চ্যুয়াল জগতে প্রতারণায় সক্রিয় ছিলেন ইশরাত। অনলাইনে করোনা প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন ও সার্টিফিকেট দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতেন। বিদেশি ভুয়া সার্টিফিকেট প্রচারণা করে অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট গ্রহণে আকৃষ্ট করেন। গ্রেপ্তার ইশরাত ‘Young World Leaders for Humanity’ নামে একটি অনিবন্ধনকৃত ও অননুমোদিত সংগঠন পরিচালনা করেন। যার সদর দপ্তর নিউইয়র্কে অবস্থিত বলে প্রচারণা চালাতেন। যদিও এই পেজের কো-অ্যাডমিন ছিলেন ইশরাত। এই পেজের মাধ্যমে দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতারণা নেটওয়ার্ক তৈরি করেন।
র্যাবের দাবি, ৫০ থেকে ১০০ ডলারের বিনিময়ে নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, আমেরিকা, নাইজেরিয়া, ওমান, সৌদি আরবে প্রতিনিধি নিয়োগ দিতেন। এসব দেশে সংগঠনের ব্যানারে সেমিনার অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করতেন। যেখানে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হত। ভুয়া অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ইশরাত ও তাঁর প্রধান সহযোগী দিদার ভাগ করে নিতেন।
র্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, ইশরাত পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৩ সালে (সেশন ২০০৫-২০০৬) এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। এরপর ২০১৪ সালের শুরুর দিকে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। ওই বছরই একটি সরকারি সংস্থায় চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান। চার মাস চাকরির পর শৃঙ্খলাজনিত কারণে চাকরিচ্যুত হন। এরপর থেকে তিনি প্রতারণা শুরু করেন।
তাঁর সহযোগী দিদার সম্পর্কে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ইশরাতের ‘বস’ হিসেবে পরিচয় দেয় তাঁর সহযোগী শহিদুল ইসলাম দিদার। ২০১২ সালে ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা (ইঞ্জিনিয়ার) শেষ করেন দিদার। পরবর্তী সময়ে তিনি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা করেন। তিনি একটি গার্মেন্টসে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। দিদারও ফিলিপাইনে একই সাইট থেকে টাকার বিনিময়ে ‘মেজর জেনারেল’ পদ কেনেন। এ ছাড়া নিজেকে আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক), ইয়াং ওয়ার্ল্ড লিডার কর হিউমিনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বা কর্ণধার হিসেবে পরিচয় দেন। এসবের আড়ালে দেশে ও বিদেশে প্রতারণা, চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
চিকিৎসক ইশরাত রফিক ঈশিতা। ৩৫ বছর বয়সী নারী চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে 'তিনিই সেরা'। ক্যানসার নিয়ে আছে তাঁর একক গবেষণা। মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারী শিশু অধিকার, করোনা সবকিছু নিয়েই কাজ করেন তিনি। শুধু মানবাধিকার বা চিকিৎসা বিজ্ঞানে নয় ঈশিতার অবদান আছে অপরাধ বিজ্ঞানেও। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ফিলিপিন থেকে পেয়েছেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল র্যাংকও। এসব সাফল্যে দেখিয়ে এরই মধ্যে দেশের টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াতে শিরোনাম হয়েছেন বারবার।
র্যাব বলছে, শুধু চিকিৎসক ছাড়া তাঁর সব ডিগ্রি ও সাফল্যই ভুয়া। গতকাল শনিবার রাজধানীর মিরপুর থেকে ইশরাত রফিক ঈশিতা ও তাঁর সহযোগী শহিদুল ইসলাম দিদারকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভুয়া আইডি কার্ড, ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, সিল, ভুয়া সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র, পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, ৩০০ পিছ ইয়াবা, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ।
র্যাবের দাবি, তিনি একজন আন্তর্জাতিক প্রতারক। রোববার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রতারণার কৌশলের অংশ হিসেবেই ডলারের বিনিময়ে ডজনখানেক সনদপত্র কিনেছেন তিনি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চিকিৎসক ইশরাত রফিক ঈশিতা ফিলিপাইনের একটি ওয়েবসাইট থেকে ৪০০ ডলারে সামরিক বাহিনীর মতো ‘ব্রিগেডিয়ার জেনারেল’ র্যাংক পদটি কিনেছিল। এরপর সেই র্যাংক ব্যাচ ও পোশাক বানিয়েছেন। তাঁর সহযোগী শহিদুল ইসলাম দিদারও ফিলিপাইনের প্রতিষ্ঠানটি থেকে ‘মেজর জেনারেল র্যাংক’ পদ কেনেন।
র্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘করোনা মহামারিকে পুঁজি করে ভার্চ্যুয়াল জগতে প্রতারণায় সক্রিয় ছিলেন ইশরাত। অনলাইনে করোনা প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন ও সার্টিফিকেট দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতেন। বিদেশি ভুয়া সার্টিফিকেট প্রচারণা করে অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট গ্রহণে আকৃষ্ট করেন। গ্রেপ্তার ইশরাত ‘Young World Leaders for Humanity’ নামে একটি অনিবন্ধনকৃত ও অননুমোদিত সংগঠন পরিচালনা করেন। যার সদর দপ্তর নিউইয়র্কে অবস্থিত বলে প্রচারণা চালাতেন। যদিও এই পেজের কো-অ্যাডমিন ছিলেন ইশরাত। এই পেজের মাধ্যমে দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতারণা নেটওয়ার্ক তৈরি করেন।
র্যাবের দাবি, ৫০ থেকে ১০০ ডলারের বিনিময়ে নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, আমেরিকা, নাইজেরিয়া, ওমান, সৌদি আরবে প্রতিনিধি নিয়োগ দিতেন। এসব দেশে সংগঠনের ব্যানারে সেমিনার অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করতেন। যেখানে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হত। ভুয়া অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ইশরাত ও তাঁর প্রধান সহযোগী দিদার ভাগ করে নিতেন।
র্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, ইশরাত পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৩ সালে (সেশন ২০০৫-২০০৬) এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। এরপর ২০১৪ সালের শুরুর দিকে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। ওই বছরই একটি সরকারি সংস্থায় চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান। চার মাস চাকরির পর শৃঙ্খলাজনিত কারণে চাকরিচ্যুত হন। এরপর থেকে তিনি প্রতারণা শুরু করেন।
তাঁর সহযোগী দিদার সম্পর্কে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ইশরাতের ‘বস’ হিসেবে পরিচয় দেয় তাঁর সহযোগী শহিদুল ইসলাম দিদার। ২০১২ সালে ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা (ইঞ্জিনিয়ার) শেষ করেন দিদার। পরবর্তী সময়ে তিনি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা করেন। তিনি একটি গার্মেন্টসে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। দিদারও ফিলিপাইনে একই সাইট থেকে টাকার বিনিময়ে ‘মেজর জেনারেল’ পদ কেনেন। এ ছাড়া নিজেকে আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক), ইয়াং ওয়ার্ল্ড লিডার কর হিউমিনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বা কর্ণধার হিসেবে পরিচয় দেন। এসবের আড়ালে দেশে ও বিদেশে প্রতারণা, চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫