কুমিল্লা প্রতিনিধি
চুরির মামলায় স্বামীকে জেল থেকে জামিনে বের না করে বাপের বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। পরে জামিনে বের হয়ে ক্ষোভে স্ত্রীকে হত্যা করেন স্বামী। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘাতক স্বামী মো. ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ইকবাল জেলার আদর্শ সদর উপজেলার অলিপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি। নিহত গৃহবধূর নাম ফারজানা আক্তার।
আজ মঙ্গলবার র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর মোহাম্মাদ সাকিব হোসেন এসব তথ্য জানান।
অভিযুক্ত ইকবাল পেশায় একজন অটোচালক। গাড়ির ব্যাটারি, গাড়ি চুরিসহ তাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি তাঁর স্ত্রী ফারজানাকে নিয়ে কুমিল্লা শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের অলিপুর এলাকায় গৃহবধূ ফারজানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মো. ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত রোববার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের মস্তফাপুর (কাছার) এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে গৃহবধূ মোসাম্মৎ ফারজানা বেগমের (২৯) হাতমুখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
গৃহবধূ ফারজানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে র্যাবের গোয়েন্দা দল মাঠে নামে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে র্যাবের একটি অভিযানে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। এ ছাড়া একই দিন মামলার ২, ৩ ও ৬ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, ২০১০ সালের একটি চুরির মামলার ঘটনার দুই মাস আগে ওয়ারেন্ট জারি হয়। এই মামলায় জামিনে বের হওয়ার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ৫ হাজার টাকা স্ত্রী ফারজানার কাছে রেখে যান স্বামী। পরে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্বামী জেলে থাকায় ভাড়া বাসায় শিশুসন্তানকে নিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। পরে ইকবালের রেখে যাওয়া টাকা দিয়ে ট্রাক ভাড়া করে সব মালামাল নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। পরে জেলখানাতে গিয়ে ফারজানা তাঁর স্বামী ইকবালকে ভাড়া বাসা ছাড়ার বিষয়ে জানান। এতে স্ত্রীর ওপর চড়াও হন ইকবাল। পরে ফারজানা তাঁকে ১ হাজার টাকা দিয়ে দ্রুত ছাড়ানোর ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে চলে যান।
এদিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও জামিনে বের করার ব্যাপারে কোনো তৎপরতা না থাকায় স্ত্রীর প্রতি ক্ষুব্ধ হন ইকবাল। পরে ইকবাল জামিনে বের হয়ে শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে এ নিয়ে ফারজানার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ইকবাল চলে আসেন।
এরপর স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ইকবাল। বাপের বাড়িতে থাকলে তাঁকে হত্যা করতে পারবেন না তিনি। তাই ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করেন ইকবাল। এ জন্য স্ত্রীর কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং তাঁকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট করতে থাকেন ইকবাল। ঘটনার দিন গত শনিবার বিকেলে (২৩ এপ্রিল) ঈদের কেনাকাটা করে দেওয়ার কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী বের করে নিয়ে আসেন ইকবাল। পরবর্তী সময়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে পরিকল্পনামোতাবেক ইট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন ইকবাল। পরে ফারজানার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে মুখ এবং ইকবালের কাছে থাকা গামছা দিয়ে তাঁর হাত বেঁধে ফেলেন। এরপর একই ইট দিয়ে মাথায় একাধিকবার আঘাত করে তাঁকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
চুরির মামলায় স্বামীকে জেল থেকে জামিনে বের না করে বাপের বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। পরে জামিনে বের হয়ে ক্ষোভে স্ত্রীকে হত্যা করেন স্বামী। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘাতক স্বামী মো. ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ইকবাল জেলার আদর্শ সদর উপজেলার অলিপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি। নিহত গৃহবধূর নাম ফারজানা আক্তার।
আজ মঙ্গলবার র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর মোহাম্মাদ সাকিব হোসেন এসব তথ্য জানান।
অভিযুক্ত ইকবাল পেশায় একজন অটোচালক। গাড়ির ব্যাটারি, গাড়ি চুরিসহ তাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি তাঁর স্ত্রী ফারজানাকে নিয়ে কুমিল্লা শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের অলিপুর এলাকায় গৃহবধূ ফারজানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মো. ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত রোববার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের মস্তফাপুর (কাছার) এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে গৃহবধূ মোসাম্মৎ ফারজানা বেগমের (২৯) হাতমুখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
গৃহবধূ ফারজানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে র্যাবের গোয়েন্দা দল মাঠে নামে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে র্যাবের একটি অভিযানে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। এ ছাড়া একই দিন মামলার ২, ৩ ও ৬ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, ২০১০ সালের একটি চুরির মামলার ঘটনার দুই মাস আগে ওয়ারেন্ট জারি হয়। এই মামলায় জামিনে বের হওয়ার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ৫ হাজার টাকা স্ত্রী ফারজানার কাছে রেখে যান স্বামী। পরে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্বামী জেলে থাকায় ভাড়া বাসায় শিশুসন্তানকে নিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। পরে ইকবালের রেখে যাওয়া টাকা দিয়ে ট্রাক ভাড়া করে সব মালামাল নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। পরে জেলখানাতে গিয়ে ফারজানা তাঁর স্বামী ইকবালকে ভাড়া বাসা ছাড়ার বিষয়ে জানান। এতে স্ত্রীর ওপর চড়াও হন ইকবাল। পরে ফারজানা তাঁকে ১ হাজার টাকা দিয়ে দ্রুত ছাড়ানোর ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে চলে যান।
এদিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও জামিনে বের করার ব্যাপারে কোনো তৎপরতা না থাকায় স্ত্রীর প্রতি ক্ষুব্ধ হন ইকবাল। পরে ইকবাল জামিনে বের হয়ে শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে এ নিয়ে ফারজানার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ইকবাল চলে আসেন।
এরপর স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ইকবাল। বাপের বাড়িতে থাকলে তাঁকে হত্যা করতে পারবেন না তিনি। তাই ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করেন ইকবাল। এ জন্য স্ত্রীর কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং তাঁকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট করতে থাকেন ইকবাল। ঘটনার দিন গত শনিবার বিকেলে (২৩ এপ্রিল) ঈদের কেনাকাটা করে দেওয়ার কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী বের করে নিয়ে আসেন ইকবাল। পরবর্তী সময়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে পরিকল্পনামোতাবেক ইট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন ইকবাল। পরে ফারজানার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে মুখ এবং ইকবালের কাছে থাকা গামছা দিয়ে তাঁর হাত বেঁধে ফেলেন। এরপর একই ইট দিয়ে মাথায় একাধিকবার আঘাত করে তাঁকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫