Ajker Patrika

পূর্ব শত্রুতার জেরে চেয়ারম্যানের ছোট ভাই খুন, গ্রেপ্তার ২

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১১: ১২
পূর্ব শত্রুতার জেরে চেয়ারম্যানের ছোট ভাই খুন, গ্রেপ্তার ২

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সোহেল চৌধুরী (৩৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরীফের বাবা মো. মুনছুর (৪৫) ও একই এলাকার নুরুল আবছারের ছেলে জনিকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পটিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। 

পূর্ব শত্রুতার জেরে নিহত সোহেল উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছোট ভাই। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। সোহেল কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকার ফসিল গ্যাস পাম্পের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছেন।

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, মো. সাজ্জাদ (২০), সাদ্দাম হোসেন (৩০), এবং জয়নাল আবেদীন (৩৪)। আহতরা সবাই একই এলাকার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে বুধপুরা বাজার জামে মসজিদে তারাবির নামাজ শেষে চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের সঙ্গে স্হানীয় শরিফের বাকবিতন্ডা হয়। এরপর সোহেল গিয়ে প্রতিবাদ করাতে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় তাঁকে রক্ষা করতে যাওয়া আরো কয়েক ছুরিকাঘাতে আহত হন। 

এদিকে সোহেল নিহত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাঁর স্বজন ও চেয়ারম্যানের লোকজন বুধপুরা এলাকায় গাড়ি ভাংচুর ও প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ কাইছের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। এ সময় বুধপুরা বাজার এলাকার দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এখনো পর্যন্ত এলাকায় থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ি সংর্ঘষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহত সোহেলের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ। পরে ওই দিন আসরের নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

নিহতের বড় ভাই কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের পরাজিত প্রার্থী মোহাম্মদ কায়েস আমার ছোট ভাইকে নিজ হাতে ধরেছেন এবং সন্ত্রাসী মোহাম্মদ শরীফ ছুরিকাঘাতে খুন করেছে। একইভাবে মো. সাজ্জাদ, সাদ্দাম হোসেন ও জয়নাল আবেদীনকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত করেছে। বর্তমানে তাঁরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছি।’

ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না বলে দাবি করেন অভিযুক্ত মোহাম্মদ কায়েস। তিনি জানান, মূলত মোহাম্মদ শরীফকে চেয়ারম্যানের লোকজন মারধর করার ইস্যু নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। কারা কীভাবে ছুরিকাঘাত করে তা তিনি জানেন না।

এ বিষয়ে পটিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ টহল রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা ও মামলা প্রত্যাহার

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিল

জর্ডান-মিসরকে নিয়ে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে চান নেতানিয়াহু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত