নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এবার সবার সামনেই একে অপরের দিকে তেড়ে গেলেন কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার শিক্ষাবোর্ডের উদ্যোগে নবম তলায় অবস্থিত মিলনায়তনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সভায় বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল আলীমসহ ১০৫ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরাও। বিকেল ৫টার দিকে সামনের চেয়ারে বসতে যান বোর্ডের সহকারী প্রোগ্রামার আবুল হাসনাত মো. রাজু আহমেদ। সেটি দেখে বোর্ডের স্টেনোগ্রাফার মো. নাসির উদ্দিন ক্ষেপে যান। বলে ওঠেন ‘তুমি কে এখানে বসার?’ পরে রাজু আহমেদের পক্ষ নিয়ে সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ওসমান গণি এর প্রতিবাদ করলে দুই হট্টগোল বেঁধে যায়।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলতে থাকে গালাগালি। ‘তুই চোর, তুই আকাম করিস’, এভাবে একে অপরকে দোষারোপ করে তেড়েফুঁড়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এ সময় বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের থামার অনুরোধ করলেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি। পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল আলীমের আহ্বানে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে কোনোমতে ইফতার শেষ করা হয়।
গতকাল বুধবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় নাসির উদ্দিন ও ওসমান গণিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন মূল বেতনের অর্ধেক পাবেন এই দুজন। তবে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ও টিফিন ভাতা পুরোটাই পাবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া আবুল হাসনাত মো. রাজু আহমেদ, অফিস সহকারী মো. জাহেদ হোসেন ও মো. আইউব আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কেন তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—সেটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সই করা চিঠিতে এই পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিষ্টাচার বহির্ভূত ও চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বোর্ডের সুনাম–মর্যাদাহানি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই চিঠির কপি আজকের পত্রিকার কাছে রয়েছে।
দুই জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল আলীম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর বাকি তিনজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কর্মচারী সংসদের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বোর্ডে প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন চাকরি করার সুবাদে নাসির শিক্ষাবোর্ডে নিজস্ব একটি বলয় গড়ে তুলেছেন। অভিযোগ রয়েছে, এই বলয়ের বাইরে গিয়ে বোর্ডের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। পছন্দ অনুযায়ী কাজ না হলে নানা ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করা হয়। তাঁকে নিয়ে তটস্থ থাকেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। এর আগেও নানা অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু তাতে তিনি একটুও দমে যাননি।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এবার সবার সামনেই একে অপরের দিকে তেড়ে গেলেন কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার শিক্ষাবোর্ডের উদ্যোগে নবম তলায় অবস্থিত মিলনায়তনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সভায় বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল আলীমসহ ১০৫ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরাও। বিকেল ৫টার দিকে সামনের চেয়ারে বসতে যান বোর্ডের সহকারী প্রোগ্রামার আবুল হাসনাত মো. রাজু আহমেদ। সেটি দেখে বোর্ডের স্টেনোগ্রাফার মো. নাসির উদ্দিন ক্ষেপে যান। বলে ওঠেন ‘তুমি কে এখানে বসার?’ পরে রাজু আহমেদের পক্ষ নিয়ে সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ওসমান গণি এর প্রতিবাদ করলে দুই হট্টগোল বেঁধে যায়।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলতে থাকে গালাগালি। ‘তুই চোর, তুই আকাম করিস’, এভাবে একে অপরকে দোষারোপ করে তেড়েফুঁড়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এ সময় বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের থামার অনুরোধ করলেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি। পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল আলীমের আহ্বানে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে কোনোমতে ইফতার শেষ করা হয়।
গতকাল বুধবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় নাসির উদ্দিন ও ওসমান গণিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন মূল বেতনের অর্ধেক পাবেন এই দুজন। তবে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ও টিফিন ভাতা পুরোটাই পাবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া আবুল হাসনাত মো. রাজু আহমেদ, অফিস সহকারী মো. জাহেদ হোসেন ও মো. আইউব আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কেন তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—সেটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সই করা চিঠিতে এই পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিষ্টাচার বহির্ভূত ও চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বোর্ডের সুনাম–মর্যাদাহানি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই চিঠির কপি আজকের পত্রিকার কাছে রয়েছে।
দুই জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল আলীম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর বাকি তিনজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কর্মচারী সংসদের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বোর্ডে প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন চাকরি করার সুবাদে নাসির শিক্ষাবোর্ডে নিজস্ব একটি বলয় গড়ে তুলেছেন। অভিযোগ রয়েছে, এই বলয়ের বাইরে গিয়ে বোর্ডের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। পছন্দ অনুযায়ী কাজ না হলে নানা ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করা হয়। তাঁকে নিয়ে তটস্থ থাকেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। এর আগেও নানা অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু তাতে তিনি একটুও দমে যাননি।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২২ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫