Ajker Patrika

থানায় নিরাপত্তা চেয়ে বের হতেই হামলার শিকার ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ৫২
থানায় নিরাপত্তা চেয়ে বের হতেই হামলার শিকার ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা

থানায় নিরাপত্তা চেয়ে বাড়ি ফেরার পথেই প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারের সমতা সিনেমা হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

 
আহতরা হলেন—চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জিকু। তাঁদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 
 
জানা যায়, আহত বাবলু চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের কাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং জিকু পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন। 

ইউপিনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ আহতদের। তাঁদের দাবি, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় বর্তমান চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের নুরুল আমিনের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। চন্দ্রগঞ্জ এলাকার মনির, তাজু, রিয়াজ, নোমান, আজিম, রনিসহ ৩০-৩৫ জন মিলে এই হামলা চালিয়েছে বলেও তাঁরা উল্লেখ করেন। 
 
নুরুল আমিন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যেই তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর উপনির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

তাঁর এই জয়ের পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে আহতরা জানান, নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আইনুল আহম্মেদ তানভীর পরাজিত হওয়ার পর থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের লোকজন বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের নেতা কাজী বাবলুকে হুমকি দিয়ে আসছে। শনিবার রাতে তাঁরা চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করতে যান। 

থানা থেকে বের হয়ে রাত ১০টার দিকে বাবলু ও জিকু মোটরসাইকেলযোগে চন্দ্রগঞ্জ বাজারের দিকে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে বাবলু মাথায় এবং জিকু চোখ ও মাথায় আঘাত পান। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেত-কর্মীরা চন্দ্রগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন। 

এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, হামলার ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার লোকজন জড়িত নয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে ঘটনার দায় আমার ওপর চাপানো হচ্ছে। 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, থানা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা হামলার শিকার হয়েছেন বলে জেনেছি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিক্ষোভ থেকে সহিংসতায় উত্তাল ভাঙ্গা, মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা

দাওয়াত না দেওয়ায় মাদ্রাসার সব খাবার খেয়ে গেলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা

উত্তাল ভাঙ্গা: থানাসহ চারটি সরকারি দপ্তরে হামলা-ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত অনেকে

সন্তানের গলা কেটে লাশ বাবার হাতে তুলে দিলেন মা

কক্সবাজার, মাদারীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত