স্ত্রীকে হত্যার পর শিশুসন্তানকে নদীতে ফেলে দেন আবুল বাশার

স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার পর শিশুসন্তানকে নদীতে ফেলে দেন আবুল বাশার সরদার। আজ সোমবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন তিনি। 

আজ নাজিরপুর নৌপুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল বাশার বলেন, গতকাল তিনি স্ত্রী পপি আক্তারকে হত্যা করেছেন। স্ত্রীকে হত্যার পর চার বছরের ছেলে তুহিনকে নদীতে ফেলে দেন। ৭ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে বোয়ালিয়া এলাকায় নদীতে বেদে এলাকায় নিজেদের নৌকায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

গতকাল রোববার নাজিরপুর নৌ থানা এলায় আড়িয়াল খাঁ নদীতে নারীর মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে সংবাদ দেন জেলেরা। সংবাদ পেয়ে পপি আক্তারের ভাই চুন্নু সরদার মরদেহ শনাক্ত করেন। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ রোববার রাতেই পপির স্বামী আবুল বাশার সরদারকে আটক করে। 

ওই ঘটনায় পপির ভাই বাদী হয়ে রাতে মুলাদী থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি নাজিরপুর নৌ থানায় হস্তান্তর করা হলে পুলিশ আবুল বাশারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। 

নাজিরপুর নৌ থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, আবুল বাশার সরদার তাঁর স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা এবং ছেলে তুহিনকে নদীতে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন। এখন পর্যন্ত তুহিনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। নদীতে খোঁজ চলছে এবং আবুল বাশারকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।