Ajker Patrika

শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ৮ দিন, মোল্লা মাসুদসহ তিনজন ৬ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ মে ২০২৫, ১৯: ৩২
সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার চারজন (বাম থেকে) শুটার আরাফাত, সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ ও শরীফ। ছবি: আইএসপিআর
সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার চারজন (বাম থেকে) শুটার আরাফাত, সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ ও শরীফ। ছবি: আইএসপিআর

রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মোহাম্মদ জাকির হোসাইন তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

অন্য যাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন আরাফাত ইবনে নাসির ওরফে শুটার আরাফাত ও এম এ এস শরীফ।

আজ দুপুরের পরে এই চারজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার এসআই রিয়াদ আহমেদ প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সুব্রত বাইনকে আট দিন এবং অন্য তিনজনকে ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত ৫টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলা থেকে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে আটক করা হয় সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে। পরে আজ তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।

অভিযানের সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি ও ১টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন, তাঁর সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাঁদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাঁরা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতেন। সুব্রত বাইন সে সময় খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলেন। আসামিরা বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর তাঁরা আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেন। তাঁদের গ্রুপে আরও অনেকে জড়িত। তাঁদের শনাক্ত করতে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা ও অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। অভিযান পরিচালনা করতে পারলে আরও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এর জবাব দেশে দিইনি, জাপানে দিলে বিপদ হবে: পদত্যাগ প্রশ্নে ড. ইউনূস

চট্টগ্রামে নারীকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া ‘শিবিরের লোক’ আকাশ চৌধুরীকে ধরছে না পুলিশ

‘বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও পাকিস্তানের কোনো লাভ হবে না’

চারটি গুলির পর নিরস্ত্র মেজর সিনহার গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল

আলিপুরদুয়ার থেকে মোদির ‘মিশন বেঙ্গল’, নজর বাংলাদেশে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত