ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
প্রশ্ন: আমার বয়স ২৬ বছর। বাবা মারা গেছেন ৩ বছর হলো। তিনি সরকারি চাকরি করতেন। বাবার পেনশনের টাকাসহ এককালীন সব টাকা আমার মা পেয়েছেন এবং পাচ্ছেন। এটা দিয়ে তাঁর সংসার চলছে। আমি অবিবাহিত এবং আমার আরও বড় দুই ভাই আছেন। মা আর আমি ভাইদের থেকে আলাদা সংসারে থাকি। বাড়িটা বাবার বানানো। এই বাড়ি তিনি মায়ের নামে লিখে দিয়েছেন। এখন ভাইয়েরা প্রতি মাসে এখানে এসে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। মা এত দিন সুস্থ ছিলেন। তিনি সব সামলেছেন। ছেলেদের এমন আচরণে আর বয়সের কারণে তিনি এক মাস ধরে শয্যাশায়ী। আমি জানি, ভাইদের অধিকার আছে এই বাড়িতে। কিন্তু আমার মায়ের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা নিয়েও চিন্তিত। ভাইদের নামে এখনই বাড়ি লিখে দিলে তাঁরা আমাদের এখানে থাকতে দেবেন কি না, তা নিয়েও সন্দেহ আছে। তাই জানতে চাচ্ছি, এ ক্ষেত্রে আইনি কী ব্যবস্থা নিতে পারি?
কোহিনুর, টাঙ্গাইল
আপনাদের পরিবারের এই সমস্যা আমাদের দেশে অনেক পরিবারেই দেখা যায়। বাড়িটি যেহেতু আপনার মায়ের নামে আপনার বাবা লিখে দিয়েছেন, তাই আপনার ভাইদের এই বাড়ির ওপর আইনত কোনো অধিকার নেই। বাড়ির একমাত্র মালিক আপনার মা।
আপনার মায়ের অবর্তমানে ওয়ারিশানদের মধ্যে বাড়িটি মুসলিম আইন অনুযায়ী ভাগ হবে। তাতে আপনার ভাইয়েরা যা পাবেন, আপনি বোন হিসেবে তার অর্ধেক পাবেন। আর আপনার মা যদি জীবিত থাকাকালীন আপনাকে তাঁর বাড়িটি হেবা করে দেন, তাহলে আপনার ভাইদের তখন এই বাড়ির ওপর কোনো আইনগত অধিকার থাকবে না।
তাই আপনার ভাইয়েরা যদি আপনার মাকে বাড়ি তাঁদের লিখে দিতে বলেন অথবা এ নিয়ে জোরজবরদস্তি করেন, তাহলে তা আইনের চোখে অপরাধ। এ জন্য আপনার মা তাঁদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি জিডি করতে পারেন। এতে কাজ না হলে পরে তিনি ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন,অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
প্রশ্ন: আমার বয়স ২৬ বছর। বাবা মারা গেছেন ৩ বছর হলো। তিনি সরকারি চাকরি করতেন। বাবার পেনশনের টাকাসহ এককালীন সব টাকা আমার মা পেয়েছেন এবং পাচ্ছেন। এটা দিয়ে তাঁর সংসার চলছে। আমি অবিবাহিত এবং আমার আরও বড় দুই ভাই আছেন। মা আর আমি ভাইদের থেকে আলাদা সংসারে থাকি। বাড়িটা বাবার বানানো। এই বাড়ি তিনি মায়ের নামে লিখে দিয়েছেন। এখন ভাইয়েরা প্রতি মাসে এখানে এসে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। মা এত দিন সুস্থ ছিলেন। তিনি সব সামলেছেন। ছেলেদের এমন আচরণে আর বয়সের কারণে তিনি এক মাস ধরে শয্যাশায়ী। আমি জানি, ভাইদের অধিকার আছে এই বাড়িতে। কিন্তু আমার মায়ের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা নিয়েও চিন্তিত। ভাইদের নামে এখনই বাড়ি লিখে দিলে তাঁরা আমাদের এখানে থাকতে দেবেন কি না, তা নিয়েও সন্দেহ আছে। তাই জানতে চাচ্ছি, এ ক্ষেত্রে আইনি কী ব্যবস্থা নিতে পারি?
কোহিনুর, টাঙ্গাইল
আপনাদের পরিবারের এই সমস্যা আমাদের দেশে অনেক পরিবারেই দেখা যায়। বাড়িটি যেহেতু আপনার মায়ের নামে আপনার বাবা লিখে দিয়েছেন, তাই আপনার ভাইদের এই বাড়ির ওপর আইনত কোনো অধিকার নেই। বাড়ির একমাত্র মালিক আপনার মা।
আপনার মায়ের অবর্তমানে ওয়ারিশানদের মধ্যে বাড়িটি মুসলিম আইন অনুযায়ী ভাগ হবে। তাতে আপনার ভাইয়েরা যা পাবেন, আপনি বোন হিসেবে তার অর্ধেক পাবেন। আর আপনার মা যদি জীবিত থাকাকালীন আপনাকে তাঁর বাড়িটি হেবা করে দেন, তাহলে আপনার ভাইদের তখন এই বাড়ির ওপর কোনো আইনগত অধিকার থাকবে না।
তাই আপনার ভাইয়েরা যদি আপনার মাকে বাড়ি তাঁদের লিখে দিতে বলেন অথবা এ নিয়ে জোরজবরদস্তি করেন, তাহলে তা আইনের চোখে অপরাধ। এ জন্য আপনার মা তাঁদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি জিডি করতে পারেন। এতে কাজ না হলে পরে তিনি ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন,অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫