শহিদুল ইসলাম, বাসাইল

বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ঝিনাই নদে বালু উত্তোলনের যন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে রাস্তা ভরাটের নামে চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলায় লোক দেখাতে রাস্তায় ফেলা হয় বালু। রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে নদ থেকে তোলা বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা। রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় প্রভাবশালী একটি চক্র দিনের পর দিন এমন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, কাঞ্চনপুর ছনকাপাড়া থেকে কোদালিয়াপাড়া হয়ে আদাজান পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণে বালু ফেলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রেজার। আর এ রাস্তা ভরাটের নামে কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া ঝিনাই নদের মাজমের দও এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ইতিমধ্যে নদীতীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি, কবরস্থান, আবাদি জমি, কাঁচা-পাকা সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নতুন করে আরও অনেক স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন দ্রুত বন্ধ করতে না পারলে নদীতীরবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভিটেবাড়িসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীতে ধসে যাওয়ার শঙ্কা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তায় বালু ফেলার নাম করে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে দেদার চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলায় লোক দেখাতে রাস্তায় অল্প অল্প করে বালু ফেলা হলেও রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে ভরাট করা হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানা বাড়ি ও পুকুর-ডোবা। গত কয়েক সপ্তাহে কোদালিয়াপাড়ার আশরাফ হোসেন, শাহজাহান মিয়া, মিজানুর রহমান, মামুনের ভিটেবাড়ি এবং পুকুর ভরাট করা হয়েছে। নালা ভরাট করা হয়েছে আরও কয়েকজনের।
অভিযোগ রয়েছে, ছনকাপাড়া, কোদালিয়াপাড়ার অসংখ্য বাড়িতে মাটি ভরাটের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এ বালু ব্যবসায়ীরা।
এদিকে রাস্তার কাজে মাটি ভরাটের জন্য এ প্রকল্পে যথাযথ নিয়মে সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলা হবে কেন—এমন প্রশ্ন রেখে স্থানীয় কৃষক ছানোয়ার হোসেন বলেন, এলাকাবাসী ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গেলে ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নানা ধরনের হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী আবু সাইদ বলেন, একটি সরকারি রাস্তা করতে গিয়ে আরেকটি রাস্তা নদীগর্ভে ফেলার ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দপ্তরসহ বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেও ফল পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ড্রেজার মালিক জাকির হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ঠিকাদার আমাকে রাস্তায় মাটি ফেলার কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন।’
ঠিকাদার মেসার্স তাপস ট্রেডার্সের প্রতিনিধি ফরিদ আহমেদ বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন রাস্তার এ কাজটি এনেছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এলাকা ও রাস্তার উন্নয়নের স্বার্থে ড্রেজার দিয়ে রাস্তায় মাটি ফেলার কাজে সহযোগিতা করছি মাত্র।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘রাস্তায় সাইড বাই সাইড মাটির কাজ ধরা আছে। বালু ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও বরাদ্দ দেওয়া আছে। ড্রেজার ব্যবহার করে বালি ফেললে সে দায়ভার ঠিকাদারকেই নিতে হবে। আমরা ড্রেজার ব্যবহারের বিপক্ষে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন বলেন, ‘ড্রেজার বন্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি ধ্বংস করাসহ মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে। ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ঝিনাই নদে বালু উত্তোলনের যন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে রাস্তা ভরাটের নামে চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলায় লোক দেখাতে রাস্তায় ফেলা হয় বালু। রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে নদ থেকে তোলা বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা। রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় প্রভাবশালী একটি চক্র দিনের পর দিন এমন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, কাঞ্চনপুর ছনকাপাড়া থেকে কোদালিয়াপাড়া হয়ে আদাজান পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণে বালু ফেলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রেজার। আর এ রাস্তা ভরাটের নামে কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া ঝিনাই নদের মাজমের দও এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ইতিমধ্যে নদীতীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি, কবরস্থান, আবাদি জমি, কাঁচা-পাকা সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নতুন করে আরও অনেক স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন দ্রুত বন্ধ করতে না পারলে নদীতীরবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভিটেবাড়িসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীতে ধসে যাওয়ার শঙ্কা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তায় বালু ফেলার নাম করে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে দেদার চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলায় লোক দেখাতে রাস্তায় অল্প অল্প করে বালু ফেলা হলেও রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে ভরাট করা হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানা বাড়ি ও পুকুর-ডোবা। গত কয়েক সপ্তাহে কোদালিয়াপাড়ার আশরাফ হোসেন, শাহজাহান মিয়া, মিজানুর রহমান, মামুনের ভিটেবাড়ি এবং পুকুর ভরাট করা হয়েছে। নালা ভরাট করা হয়েছে আরও কয়েকজনের।
অভিযোগ রয়েছে, ছনকাপাড়া, কোদালিয়াপাড়ার অসংখ্য বাড়িতে মাটি ভরাটের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এ বালু ব্যবসায়ীরা।
এদিকে রাস্তার কাজে মাটি ভরাটের জন্য এ প্রকল্পে যথাযথ নিয়মে সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলা হবে কেন—এমন প্রশ্ন রেখে স্থানীয় কৃষক ছানোয়ার হোসেন বলেন, এলাকাবাসী ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গেলে ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নানা ধরনের হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী আবু সাইদ বলেন, একটি সরকারি রাস্তা করতে গিয়ে আরেকটি রাস্তা নদীগর্ভে ফেলার ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দপ্তরসহ বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেও ফল পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ড্রেজার মালিক জাকির হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ঠিকাদার আমাকে রাস্তায় মাটি ফেলার কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন।’
ঠিকাদার মেসার্স তাপস ট্রেডার্সের প্রতিনিধি ফরিদ আহমেদ বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন রাস্তার এ কাজটি এনেছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এলাকা ও রাস্তার উন্নয়নের স্বার্থে ড্রেজার দিয়ে রাস্তায় মাটি ফেলার কাজে সহযোগিতা করছি মাত্র।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘রাস্তায় সাইড বাই সাইড মাটির কাজ ধরা আছে। বালু ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও বরাদ্দ দেওয়া আছে। ড্রেজার ব্যবহার করে বালি ফেললে সে দায়ভার ঠিকাদারকেই নিতে হবে। আমরা ড্রেজার ব্যবহারের বিপক্ষে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন বলেন, ‘ড্রেজার বন্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি ধ্বংস করাসহ মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে। ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
শহিদুল ইসলাম, বাসাইল

বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ঝিনাই নদে বালু উত্তোলনের যন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে রাস্তা ভরাটের নামে চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলায় লোক দেখাতে রাস্তায় ফেলা হয় বালু। রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে নদ থেকে তোলা বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা। রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় প্রভাবশালী একটি চক্র দিনের পর দিন এমন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, কাঞ্চনপুর ছনকাপাড়া থেকে কোদালিয়াপাড়া হয়ে আদাজান পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণে বালু ফেলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রেজার। আর এ রাস্তা ভরাটের নামে কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া ঝিনাই নদের মাজমের দও এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ইতিমধ্যে নদীতীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি, কবরস্থান, আবাদি জমি, কাঁচা-পাকা সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নতুন করে আরও অনেক স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন দ্রুত বন্ধ করতে না পারলে নদীতীরবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভিটেবাড়িসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীতে ধসে যাওয়ার শঙ্কা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তায় বালু ফেলার নাম করে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে দেদার চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলায় লোক দেখাতে রাস্তায় অল্প অল্প করে বালু ফেলা হলেও রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে ভরাট করা হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানা বাড়ি ও পুকুর-ডোবা। গত কয়েক সপ্তাহে কোদালিয়াপাড়ার আশরাফ হোসেন, শাহজাহান মিয়া, মিজানুর রহমান, মামুনের ভিটেবাড়ি এবং পুকুর ভরাট করা হয়েছে। নালা ভরাট করা হয়েছে আরও কয়েকজনের।
অভিযোগ রয়েছে, ছনকাপাড়া, কোদালিয়াপাড়ার অসংখ্য বাড়িতে মাটি ভরাটের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এ বালু ব্যবসায়ীরা।
এদিকে রাস্তার কাজে মাটি ভরাটের জন্য এ প্রকল্পে যথাযথ নিয়মে সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলা হবে কেন—এমন প্রশ্ন রেখে স্থানীয় কৃষক ছানোয়ার হোসেন বলেন, এলাকাবাসী ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গেলে ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নানা ধরনের হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী আবু সাইদ বলেন, একটি সরকারি রাস্তা করতে গিয়ে আরেকটি রাস্তা নদীগর্ভে ফেলার ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দপ্তরসহ বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেও ফল পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ড্রেজার মালিক জাকির হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ঠিকাদার আমাকে রাস্তায় মাটি ফেলার কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন।’
ঠিকাদার মেসার্স তাপস ট্রেডার্সের প্রতিনিধি ফরিদ আহমেদ বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন রাস্তার এ কাজটি এনেছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এলাকা ও রাস্তার উন্নয়নের স্বার্থে ড্রেজার দিয়ে রাস্তায় মাটি ফেলার কাজে সহযোগিতা করছি মাত্র।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘রাস্তায় সাইড বাই সাইড মাটির কাজ ধরা আছে। বালু ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও বরাদ্দ দেওয়া আছে। ড্রেজার ব্যবহার করে বালি ফেললে সে দায়ভার ঠিকাদারকেই নিতে হবে। আমরা ড্রেজার ব্যবহারের বিপক্ষে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন বলেন, ‘ড্রেজার বন্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি ধ্বংস করাসহ মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে। ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ঝিনাই নদে বালু উত্তোলনের যন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে রাস্তা ভরাটের নামে চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলায় লোক দেখাতে রাস্তায় ফেলা হয় বালু। রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে নদ থেকে তোলা বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা। রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় প্রভাবশালী একটি চক্র দিনের পর দিন এমন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, কাঞ্চনপুর ছনকাপাড়া থেকে কোদালিয়াপাড়া হয়ে আদাজান পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণে বালু ফেলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রেজার। আর এ রাস্তা ভরাটের নামে কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া ঝিনাই নদের মাজমের দও এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ইতিমধ্যে নদীতীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি, কবরস্থান, আবাদি জমি, কাঁচা-পাকা সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নতুন করে আরও অনেক স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন দ্রুত বন্ধ করতে না পারলে নদীতীরবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভিটেবাড়িসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীতে ধসে যাওয়ার শঙ্কা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তায় বালু ফেলার নাম করে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে দেদার চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলায় লোক দেখাতে রাস্তায় অল্প অল্প করে বালু ফেলা হলেও রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে ভরাট করা হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানা বাড়ি ও পুকুর-ডোবা। গত কয়েক সপ্তাহে কোদালিয়াপাড়ার আশরাফ হোসেন, শাহজাহান মিয়া, মিজানুর রহমান, মামুনের ভিটেবাড়ি এবং পুকুর ভরাট করা হয়েছে। নালা ভরাট করা হয়েছে আরও কয়েকজনের।
অভিযোগ রয়েছে, ছনকাপাড়া, কোদালিয়াপাড়ার অসংখ্য বাড়িতে মাটি ভরাটের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এ বালু ব্যবসায়ীরা।
এদিকে রাস্তার কাজে মাটি ভরাটের জন্য এ প্রকল্পে যথাযথ নিয়মে সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলা হবে কেন—এমন প্রশ্ন রেখে স্থানীয় কৃষক ছানোয়ার হোসেন বলেন, এলাকাবাসী ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গেলে ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নানা ধরনের হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী আবু সাইদ বলেন, একটি সরকারি রাস্তা করতে গিয়ে আরেকটি রাস্তা নদীগর্ভে ফেলার ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দপ্তরসহ বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেও ফল পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ড্রেজার মালিক জাকির হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ঠিকাদার আমাকে রাস্তায় মাটি ফেলার কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন।’
ঠিকাদার মেসার্স তাপস ট্রেডার্সের প্রতিনিধি ফরিদ আহমেদ বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন রাস্তার এ কাজটি এনেছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এলাকা ও রাস্তার উন্নয়নের স্বার্থে ড্রেজার দিয়ে রাস্তায় মাটি ফেলার কাজে সহযোগিতা করছি মাত্র।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘রাস্তায় সাইড বাই সাইড মাটির কাজ ধরা আছে। বালু ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও বরাদ্দ দেওয়া আছে। ড্রেজার ব্যবহার করে বালি ফেললে সে দায়ভার ঠিকাদারকেই নিতে হবে। আমরা ড্রেজার ব্যবহারের বিপক্ষে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন বলেন, ‘ড্রেজার বন্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি ধ্বংস করাসহ মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে। ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ঝিনাই নদে বালু উত্তোলনের যন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে রাস্তা ভরাটের নামে চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলায় লোক দেখাতে রাস্তায় ফেলা হয় বালু। রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে নদ থেকে তোলা বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ঝিনাই নদে বালু উত্তোলনের যন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে রাস্তা ভরাটের নামে চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলায় লোক দেখাতে রাস্তায় ফেলা হয় বালু। রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে নদ থেকে তোলা বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১৪ ঘণ্টা আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ঝিনাই নদে বালু উত্তোলনের যন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে রাস্তা ভরাটের নামে চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলায় লোক দেখাতে রাস্তায় ফেলা হয় বালু। রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে নদ থেকে তোলা বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ঝিনাই নদে বালু উত্তোলনের যন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে রাস্তা ভরাটের নামে চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলায় লোক দেখাতে রাস্তায় ফেলা হয় বালু। রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে নদ থেকে তোলা বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৩ দিন আগে