Ajker Patrika

সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা

মির্জাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৩৭
সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা

মির্জাপুর উপজেলায় বিভাগীয় কর্মকর্তাদের যোগসাজশে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সংরক্ষিত বনের গজারি গাছ কেটে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ উঠেছে বাঁশতৈল রেঞ্জ ও পাথরঘাটা বিট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

তাঁদের যোগসাজশে ডৌহাতলী গ্রামের পূর্বপাড়ার দুটি চালা থেকে দুই শতাধিক গাছ বিক্রি করেছেন মহিউদ্দিন, এনামুল ও জাহাঙ্গীর নামের স্থানীয় তিন বাসিন্দা। তবে বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন বাঁশতৈল রেঞ্জের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ও পাথরঘাটা বিট কর্মকর্তা আফসার আলী।

জানা গেছে, পাথরঘাটা বিটের ডৌহাতলী গ্রামের পূর্বপাড়ার ওই দুটি চালা বাঁশতৈল বন বিভাগের আওতাধীন। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রায় প্রতিদিনই ওই এলাকার গাছ বিক্রি করা হচ্ছে। আর এই সুযোগে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। বাঁশতৈল ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আওলাদ হোসেনের ছেলে ফরিদুল ইসলাম ওই গাছগুলো কেনেন। তাঁর সঙ্গে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

আরও অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অর্ধশতাধিক গজারি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান দুই শতাধিক গাছ দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ফরিদুলের কাছে বিক্রি করেছেন মহিউদ্দিন, এছাক ও জাহাঙ্গীর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই চালার গজারি গাছ কাটা শেষ। ট্রাক্টরে ভরে তা বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কয়েকজন শ্রমিক গাছের পাতা ও গাছের গুঁড়ি সরানোর কাজ করছেন। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে পালিয়ে যান অনেকে।

এ সময় শ্রমিক হোসেন আলী জানান, গত তিন দিন পাঁচজন শ্রমিক প্রায় ২০০ গাছ কেটেছেন। এখন সেগুলো কেটে সাইজ করছেন। এখানে গাছ কাটতে কন্ট্রাক্টর ফরিদ তাঁদের নিয়ে এসেছেন। শুনেছেন দুই লাখ টাকায় এই গাছগুলো কিনেছেন ফরিদ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, এ চালা দুটি মহিউদ্দিন ও তাঁর ভাতিজা এছাক এবং জাহাঙ্গীরের নয়। তাঁরা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে ওই জায়গা দখল করে রেখেছেন।

এ বিষয়ে ফরিদ হোসেন জানান, পাথরঘাটা বিট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ব্যক্তিমালিকানা জায়গার গাছ কাটলে তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই গাছ কাটা হচ্ছে।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর বলেন, ‘জায়গাটি আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। আমাদের নামে রেকর্ড ও খাজনা খারিজ রয়েছে।’

পাথরঘাটা বিট কর্মকর্তা আফসার আলী জানান, বিষয়টি জানার পর গাছ কাটা বন্ধে লোক পাঠানো হয়েছে। ঠিকাদার ফরিদকে তিনি চেনেন না বলেও জানান।

বাঁশতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, জনবলস্বল্পতার কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া শিডিউল বিক্রি নিয়ে গত কয়েক দিন ব্যস্ত থাকায় গাছকাটার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত