ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সাতপাড়া বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহতের অভিযোগে থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। কিন্তু ওই দুজনের মধ্যে হেলাল উদ্দিনের নিহতের ঘটনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা ও কানাঘুষা।
মামলার এজাহারে সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হলেও অনুসন্ধানে ভিন্ন তথ্য মিলেছে। কানাঘুষার সূত্র ধরে সংঘর্ষের একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের দুই ঘণ্টা পরও হেলাল উদ্দিনকে অন্য এলাকায় সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় রাস্তায় হাঁটতে দেখেছেন তাঁরা। পরে পরিকল্পিতভাবে হেলালকে হত্যা করা হয় বলে তাঁরা অভিযোগ তোলেন। আজকের পত্রিকার কাছে কথোপকথনের এসব অডিও এবং ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে।প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের পক্ষের লোকজনই তাঁকে হত্যা করেছে বলে অনেকে ইঙ্গিত করলেও কেউ এ বিষয়ে সরাসরি মুখ খোলেননি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতপাড়া বাজারে সরকারি রাস্তার পাশের জায়গাকে কেন্দ্র করে গত ২৭ জুন বেলা সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কার্তিকপুরের মুজিবুর রহমান ও ইছব মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য হাবিবুর রহমান টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
হাবিব মেম্বারের মৃত্যুর দুই-আড়াই ঘণ্টা পরই হেলাল উদ্দিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে ইছব মিয়া, নিজাম উদ্দিন ও আবুল কালাম রিক্সন ওরফে নিক্সন মিয়ার ভয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। হেলাল নিহতের ঘটনায় তাঁর চাচাতো বোন মিনারা বেগম বাদী হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সংঘর্ষের সময় বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে প্রথমে ধারালো রামদা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন মুজিবুর রহমান। পরে অন্য আসামিরাও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে হেলালকে মাটিতে ফেলে দেন। তাজ উদ্দিন গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হেলালকে প্রাণনাশের চেষ্টা করেন। তাঁকে ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়ার পথে খালিয়াজুড়ির হাওরে হেলাল মারা যান।
নৌকার মাঝি তোফাজ্জল মিয়া বলেন, ‘ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেলাল আজমিরীগঞ্জ বাঁধ থেকে আমার নৌকায় করে সাতপাড়ায় এসেছেন। ১টা ২০ মিনিটের দিকে কার্তিকপুর বাঁধে তাঁকে নামিয়ে দিই। এ সময় মধুপুর গ্রামের গোলাম রব্বানী নামের একজনও ছিলেন।’
গোলাম রব্বানী বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে হেলাল, রায়হান ও আমি একসঙ্গে সাতপাড়া বাজারে নাশতা করি। এরপর হেলাল আজমিরীগঞ্জ যান। ঝগড়ার (সংঘর্ষ) সময় তিনি (হেলাল) সেখানে ছিলেন না। জোহরের আজানের পর দেখি, হেলাল বাজার হয়ে আদিত্যপুরের (সংঘর্ষের ঘটনাস্থল) দিকে যাচ্ছেন। আমি ডাক দিলে সাড়া দেননি।’
ব্যবসায়ী সমীর সরকার বলেন, ‘মারামারির পর বৃষ্টি হয়। এরপর ঠলার ঘাটে হেলালকে দেখে বলি, হাবিব মেম্বার মারা গেছেন। তুই আদিত্যপুরের এদিকে গেলে পুলিশে ধরবে। আমার কথা সে শোনেনি। তখন সে পুরোপুরি সুস্থ অবস্থায় হেঁটে যাচ্ছিল।’
রিক্সন ও বিল্লালকে মিলন বাজারে নিয়ে যাওয়া নৌকার মাঝি প্রণয় দাস জানান, সংঘর্ষের প্রায় দুই ঘণ্টা পরে রিক্সন ও বিল্লাল জোর করে তাঁর নৌকা নিয়ে যান।তাঁদের মিলন বাজার দিয়ে আসতে বলেন। মুরাদপুর ঘাটে গেলে তাঁদের আরও কয়েকজন লোক নৌকায় ওঠেন। এ সময় লম্বা আরেকটি ডিঙি মুরাদপুর গ্রামের সামনে হাওর রক্ষা বাঁধে ছিল। এই নৌকায় নিজাম উদ্দিন ও ইছব মিয়া ছিলেন।
তাঁদের সঙ্গে হেলাল সুস্থ অবস্থায় পেছনে বসা ছিলেন। পরে তিনি রিক্সন-বিল্লালসহ আরও ৭-৮ জন লোক নিয়ে মিলন বাজারের উদ্দেশ্য নৌকা ছাড়েন। এর প্রায় ৪০ মিনিট পরই ছায়ার হাওরে যেতেই নৌকার ভেতর থেকে ইছবের ছোট ছেলে বলে, আরেকটি মার্ডার হয়ে গেছে।
শাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘সংঘর্ষে সাবেক মেম্বার হাবিব টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘণ্টা দুই পর শুনি, অপর পক্ষের হেলাল নামের একজন মারা গেছেন। তিনি নাকি সংঘর্ষের সময় আজমিরীগঞ্জ ছিলেন। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
এদিকে ঘটনার ১০ দিন পার হলেও হেলালের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন গতকাল হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে কী আছে, এখনো দেখা হয়নি।’
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দুটি হত্যা মামলারই তদন্ত চলছে। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেওয়া ঠিক হবে না। তবে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সাতপাড়া বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহতের অভিযোগে থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। কিন্তু ওই দুজনের মধ্যে হেলাল উদ্দিনের নিহতের ঘটনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা ও কানাঘুষা।
মামলার এজাহারে সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হলেও অনুসন্ধানে ভিন্ন তথ্য মিলেছে। কানাঘুষার সূত্র ধরে সংঘর্ষের একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের দুই ঘণ্টা পরও হেলাল উদ্দিনকে অন্য এলাকায় সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় রাস্তায় হাঁটতে দেখেছেন তাঁরা। পরে পরিকল্পিতভাবে হেলালকে হত্যা করা হয় বলে তাঁরা অভিযোগ তোলেন। আজকের পত্রিকার কাছে কথোপকথনের এসব অডিও এবং ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে।প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের পক্ষের লোকজনই তাঁকে হত্যা করেছে বলে অনেকে ইঙ্গিত করলেও কেউ এ বিষয়ে সরাসরি মুখ খোলেননি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতপাড়া বাজারে সরকারি রাস্তার পাশের জায়গাকে কেন্দ্র করে গত ২৭ জুন বেলা সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কার্তিকপুরের মুজিবুর রহমান ও ইছব মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য হাবিবুর রহমান টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
হাবিব মেম্বারের মৃত্যুর দুই-আড়াই ঘণ্টা পরই হেলাল উদ্দিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে ইছব মিয়া, নিজাম উদ্দিন ও আবুল কালাম রিক্সন ওরফে নিক্সন মিয়ার ভয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। হেলাল নিহতের ঘটনায় তাঁর চাচাতো বোন মিনারা বেগম বাদী হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সংঘর্ষের সময় বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে প্রথমে ধারালো রামদা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন মুজিবুর রহমান। পরে অন্য আসামিরাও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে হেলালকে মাটিতে ফেলে দেন। তাজ উদ্দিন গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হেলালকে প্রাণনাশের চেষ্টা করেন। তাঁকে ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়ার পথে খালিয়াজুড়ির হাওরে হেলাল মারা যান।
নৌকার মাঝি তোফাজ্জল মিয়া বলেন, ‘ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেলাল আজমিরীগঞ্জ বাঁধ থেকে আমার নৌকায় করে সাতপাড়ায় এসেছেন। ১টা ২০ মিনিটের দিকে কার্তিকপুর বাঁধে তাঁকে নামিয়ে দিই। এ সময় মধুপুর গ্রামের গোলাম রব্বানী নামের একজনও ছিলেন।’
গোলাম রব্বানী বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে হেলাল, রায়হান ও আমি একসঙ্গে সাতপাড়া বাজারে নাশতা করি। এরপর হেলাল আজমিরীগঞ্জ যান। ঝগড়ার (সংঘর্ষ) সময় তিনি (হেলাল) সেখানে ছিলেন না। জোহরের আজানের পর দেখি, হেলাল বাজার হয়ে আদিত্যপুরের (সংঘর্ষের ঘটনাস্থল) দিকে যাচ্ছেন। আমি ডাক দিলে সাড়া দেননি।’
ব্যবসায়ী সমীর সরকার বলেন, ‘মারামারির পর বৃষ্টি হয়। এরপর ঠলার ঘাটে হেলালকে দেখে বলি, হাবিব মেম্বার মারা গেছেন। তুই আদিত্যপুরের এদিকে গেলে পুলিশে ধরবে। আমার কথা সে শোনেনি। তখন সে পুরোপুরি সুস্থ অবস্থায় হেঁটে যাচ্ছিল।’
রিক্সন ও বিল্লালকে মিলন বাজারে নিয়ে যাওয়া নৌকার মাঝি প্রণয় দাস জানান, সংঘর্ষের প্রায় দুই ঘণ্টা পরে রিক্সন ও বিল্লাল জোর করে তাঁর নৌকা নিয়ে যান।তাঁদের মিলন বাজার দিয়ে আসতে বলেন। মুরাদপুর ঘাটে গেলে তাঁদের আরও কয়েকজন লোক নৌকায় ওঠেন। এ সময় লম্বা আরেকটি ডিঙি মুরাদপুর গ্রামের সামনে হাওর রক্ষা বাঁধে ছিল। এই নৌকায় নিজাম উদ্দিন ও ইছব মিয়া ছিলেন।
তাঁদের সঙ্গে হেলাল সুস্থ অবস্থায় পেছনে বসা ছিলেন। পরে তিনি রিক্সন-বিল্লালসহ আরও ৭-৮ জন লোক নিয়ে মিলন বাজারের উদ্দেশ্য নৌকা ছাড়েন। এর প্রায় ৪০ মিনিট পরই ছায়ার হাওরে যেতেই নৌকার ভেতর থেকে ইছবের ছোট ছেলে বলে, আরেকটি মার্ডার হয়ে গেছে।
শাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘সংঘর্ষে সাবেক মেম্বার হাবিব টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘণ্টা দুই পর শুনি, অপর পক্ষের হেলাল নামের একজন মারা গেছেন। তিনি নাকি সংঘর্ষের সময় আজমিরীগঞ্জ ছিলেন। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
এদিকে ঘটনার ১০ দিন পার হলেও হেলালের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন গতকাল হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে কী আছে, এখনো দেখা হয়নি।’
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দুটি হত্যা মামলারই তদন্ত চলছে। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেওয়া ঠিক হবে না। তবে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
২ ঘণ্টা আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৪ দিন আগেআন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
১৫ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
২২ দিন আগে