সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

অভাব ঘোচাতে প্রতিবছর সৌদি আরবে যাচ্ছেন লাখ লাখ নারী-পুরুষ। তাঁদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। তাঁদের এই রুটি-রুজিকে পুঁজি করে শত শত কোটি টাকা পকেটে ভরার চেষ্টায় ব্যস্ত একাধিক চক্র। মরুর দেশটি থেকে সস্তায় নিয়োগপত্র কিনে চড়া দামে গরিব কর্মীদের গছিয়ে দিতে সব পক্ষ এককাট্টা হলেও স্বার্থ নিয়ে বিরোধও দেখা যায় মাঝেমধ্যে।
সর্বশেষ সেই বিরোধ শুরু হয়েছে দুই রিক্রুটিং এজেন্সির নেতৃত্বে ২৪টি এজেন্সির একটি মোর্চার মাধ্যমে সৌদি আরবে লোক পাঠানো এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সিন্ডিকেট গড়ে তোলার পর। দুই রিক্রুটিং এজেন্সির একটি এক মন্ত্রীর পরিবারের মালিকানাধীন, অন্যটি এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার শাখার কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ‘শাপলা সেন্টার’ নামের একটি ‘ভিসা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র’ খোলা হয়। এই দলে কয়েকজন সৌদি নাগরিকও আছেন। দূতাবাসের একই শাখার কয়েকজন কর্মচারী সৌদিগামী কর্মীদের ভিসার জন্য পাসপোর্ট সেই সেন্টারে জমা দিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেয়। শুধু তা-ই নয়, সৌদি দূতাবাসের লেটারহেডে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ১৫ অক্টোবর থেকে কর্মীদের পাসপোর্ট শাপলা সেন্টারে গ্রহণ করা হবে। আবার রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত শাপলা সেন্টার থেকে এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, প্রতি পাসপোর্টে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য তিন হাজার টাকা প্রসেসিং ফি দিতে হবে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে এখন প্রতিবছর পাঁচ লাখের বেশি কর্মী সৌদি আরবে যান। প্রতি পাসপোর্ট প্রসেসিংয়ের জন্য তিন হাজার টাকা নিলে বছরে কমপক্ষে ১৫০ কোটি টাকা আয় হবে এই খাত থেকে।
এই চিঠি দেওয়ার পর রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ) নেতৃত্বের একাংশ রোববার থেকে দূতাবাসে এবং ওই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণাধীন শাপলা সেন্টারে পাসপোর্ট জমা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তারা সংগঠনের সব সদস্যকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেয়। গত শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে বায়রার এক জরুরি সভায় এই ঘোষণা দেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার একজন নেতা। তবে বায়রা সভা করে আকস্মিকভাবে এমন কঠোর অবস্থান নেওয়ায় কর্মীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অচলাবস্থার আশঙ্কা দেখা দেয়।
সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দাহিলান দূতাবাস থেকে ৭ অক্টোবর জারি করা এক বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, শাপলা সেন্টারের মাধ্যমে কোনো পাসপোর্ট দূতাবাস গ্রহণ করছে না।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বলা হয়, দূতাবাসের নতুন নিয়ম অনুযায়ী কর্মী হিসেবে সৌদি আরবগামী ব্যক্তিদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য পাসপোর্ট গ্রহণ ও ফেরত দেওয়া দূতাবাসেই করা হবে, শাপলা সেন্টারে নয়। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বহাল থাকবে।
এরপর এ নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে বাংলাদেশ সরকারের পরামর্শে বায়রার শীর্ষ নেতারা গতকাল রোববার রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এই সাক্ষাতের পর বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দূতাবাস তাদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের কাজ যেকোনো সংস্থাকে দিতে পারে। অন্য অনেক দূতাবাস এই ব্যবস্থা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিএফএসের মতো অনেক সংগঠন এ ধরনের কাজ করছে। বায়রা থেকে রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্ব কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি বা এজেন্সির গ্রুপের পরিচালনাধীন গ্রুপকে কোনোক্রমেই দেওয়া না হয়। দূতাবাসে ঝামেলা ও ভিড় এড়াতে বাংলাদেশের কোনো সংস্থাকে যদি ভিসা প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্ব দিতেই হয়, তা যেন বায়রা অথবা জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, অথবা প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়, সে বিষয়েও রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করা হয়েছে। নোমান আরও জানান, রাষ্ট্রদূত এ বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন বলে বায়রাকে আশ্বস্ত করেছেন।
সৌদিগামী কর্মীদের পাসপোর্টে ভিসা দেওয়া নিয়ে চক্রগুলো এই প্রথম সক্রিয় হলো, এমন নয়। দেশটির ঢাকার দূতাবাসের একটি সৌদি-বাংলাদেশি চক্র প্রতি ভিসার জন্য ২২০ থেকে ২৫০ মার্কিন ডলার ঘুষ নিয়েছে এ বছরের শুরু থেকে কয়েক মাস ধরে। এমন অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত আজকের পত্রিকাকে গত জুলাইয়ে বলেছিলেন, কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি ও দালাল শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের জন্য দূতাবাসের নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। এ নিয়ে বেশ হইচই এবং সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ডলারে ঘুষ নেওয়া বন্ধ হয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
সেই কর্মকর্তা বলেন, সৌদি আরব বড় শ্রমবাজার বলে দেশটি নিয়ে বেশ স্পর্শকাতরতা রয়েছে। মালয়েশিয়ায় ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার পরিণামে দুই বছর শ্রমবাজারটি বন্ধ হয়ে যায়। সৌদি শ্রমবাজার নিয়ে যাতে এ ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর হিসাবে, চলতি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ৮ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি শ্রমিক গেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ লাখ ১৩ হাজারের বেশি (৫৮ শতাংশ) গেছেন সৌদি আরবে। বায়রার কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের প্রথম ছয় মাসে অন্তত তিন লাখ কর্মীর পাসপোর্টে গড়ে ২০০ ডলার করে নেওয়া হলেও চক্রগুলো অন্তত ছয় কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে।
সৌদি আরবে লোক পাঠানোর জন্য প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়ে থাকে কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ টাকা। সৌদি দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রায় ছয় লাখ সৌদি ভিসা ইস্যু হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই ছিল কর্মী ভিসা।

অভাব ঘোচাতে প্রতিবছর সৌদি আরবে যাচ্ছেন লাখ লাখ নারী-পুরুষ। তাঁদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। তাঁদের এই রুটি-রুজিকে পুঁজি করে শত শত কোটি টাকা পকেটে ভরার চেষ্টায় ব্যস্ত একাধিক চক্র। মরুর দেশটি থেকে সস্তায় নিয়োগপত্র কিনে চড়া দামে গরিব কর্মীদের গছিয়ে দিতে সব পক্ষ এককাট্টা হলেও স্বার্থ নিয়ে বিরোধও দেখা যায় মাঝেমধ্যে।
সর্বশেষ সেই বিরোধ শুরু হয়েছে দুই রিক্রুটিং এজেন্সির নেতৃত্বে ২৪টি এজেন্সির একটি মোর্চার মাধ্যমে সৌদি আরবে লোক পাঠানো এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সিন্ডিকেট গড়ে তোলার পর। দুই রিক্রুটিং এজেন্সির একটি এক মন্ত্রীর পরিবারের মালিকানাধীন, অন্যটি এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার শাখার কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ‘শাপলা সেন্টার’ নামের একটি ‘ভিসা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র’ খোলা হয়। এই দলে কয়েকজন সৌদি নাগরিকও আছেন। দূতাবাসের একই শাখার কয়েকজন কর্মচারী সৌদিগামী কর্মীদের ভিসার জন্য পাসপোর্ট সেই সেন্টারে জমা দিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেয়। শুধু তা-ই নয়, সৌদি দূতাবাসের লেটারহেডে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ১৫ অক্টোবর থেকে কর্মীদের পাসপোর্ট শাপলা সেন্টারে গ্রহণ করা হবে। আবার রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত শাপলা সেন্টার থেকে এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, প্রতি পাসপোর্টে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য তিন হাজার টাকা প্রসেসিং ফি দিতে হবে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে এখন প্রতিবছর পাঁচ লাখের বেশি কর্মী সৌদি আরবে যান। প্রতি পাসপোর্ট প্রসেসিংয়ের জন্য তিন হাজার টাকা নিলে বছরে কমপক্ষে ১৫০ কোটি টাকা আয় হবে এই খাত থেকে।
এই চিঠি দেওয়ার পর রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ) নেতৃত্বের একাংশ রোববার থেকে দূতাবাসে এবং ওই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণাধীন শাপলা সেন্টারে পাসপোর্ট জমা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তারা সংগঠনের সব সদস্যকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেয়। গত শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে বায়রার এক জরুরি সভায় এই ঘোষণা দেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার একজন নেতা। তবে বায়রা সভা করে আকস্মিকভাবে এমন কঠোর অবস্থান নেওয়ায় কর্মীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অচলাবস্থার আশঙ্কা দেখা দেয়।
সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দাহিলান দূতাবাস থেকে ৭ অক্টোবর জারি করা এক বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, শাপলা সেন্টারের মাধ্যমে কোনো পাসপোর্ট দূতাবাস গ্রহণ করছে না।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বলা হয়, দূতাবাসের নতুন নিয়ম অনুযায়ী কর্মী হিসেবে সৌদি আরবগামী ব্যক্তিদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য পাসপোর্ট গ্রহণ ও ফেরত দেওয়া দূতাবাসেই করা হবে, শাপলা সেন্টারে নয়। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বহাল থাকবে।
এরপর এ নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে বাংলাদেশ সরকারের পরামর্শে বায়রার শীর্ষ নেতারা গতকাল রোববার রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এই সাক্ষাতের পর বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দূতাবাস তাদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের কাজ যেকোনো সংস্থাকে দিতে পারে। অন্য অনেক দূতাবাস এই ব্যবস্থা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিএফএসের মতো অনেক সংগঠন এ ধরনের কাজ করছে। বায়রা থেকে রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্ব কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি বা এজেন্সির গ্রুপের পরিচালনাধীন গ্রুপকে কোনোক্রমেই দেওয়া না হয়। দূতাবাসে ঝামেলা ও ভিড় এড়াতে বাংলাদেশের কোনো সংস্থাকে যদি ভিসা প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্ব দিতেই হয়, তা যেন বায়রা অথবা জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, অথবা প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়, সে বিষয়েও রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করা হয়েছে। নোমান আরও জানান, রাষ্ট্রদূত এ বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন বলে বায়রাকে আশ্বস্ত করেছেন।
সৌদিগামী কর্মীদের পাসপোর্টে ভিসা দেওয়া নিয়ে চক্রগুলো এই প্রথম সক্রিয় হলো, এমন নয়। দেশটির ঢাকার দূতাবাসের একটি সৌদি-বাংলাদেশি চক্র প্রতি ভিসার জন্য ২২০ থেকে ২৫০ মার্কিন ডলার ঘুষ নিয়েছে এ বছরের শুরু থেকে কয়েক মাস ধরে। এমন অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত আজকের পত্রিকাকে গত জুলাইয়ে বলেছিলেন, কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি ও দালাল শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের জন্য দূতাবাসের নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। এ নিয়ে বেশ হইচই এবং সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ডলারে ঘুষ নেওয়া বন্ধ হয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
সেই কর্মকর্তা বলেন, সৌদি আরব বড় শ্রমবাজার বলে দেশটি নিয়ে বেশ স্পর্শকাতরতা রয়েছে। মালয়েশিয়ায় ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার পরিণামে দুই বছর শ্রমবাজারটি বন্ধ হয়ে যায়। সৌদি শ্রমবাজার নিয়ে যাতে এ ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর হিসাবে, চলতি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ৮ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি শ্রমিক গেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ লাখ ১৩ হাজারের বেশি (৫৮ শতাংশ) গেছেন সৌদি আরবে। বায়রার কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের প্রথম ছয় মাসে অন্তত তিন লাখ কর্মীর পাসপোর্টে গড়ে ২০০ ডলার করে নেওয়া হলেও চক্রগুলো অন্তত ছয় কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে।
সৌদি আরবে লোক পাঠানোর জন্য প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়ে থাকে কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ টাকা। সৌদি দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রায় ছয় লাখ সৌদি ভিসা ইস্যু হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই ছিল কর্মী ভিসা।
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

অভাব ঘোচাতে প্রতিবছর সৌদি আরবে যাচ্ছেন লাখ লাখ নারী-পুরুষ। তাঁদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। তাঁদের এই রুটি-রুজিকে পুঁজি করে শত শত কোটি টাকা পকেটে ভরার চেষ্টায় ব্যস্ত একাধিক চক্র। মরুর দেশটি থেকে সস্তায় নিয়োগপত্র কিনে চড়া দামে গরিব কর্মীদের গছিয়ে দিতে সব পক্ষ এককাট্টা হলেও স্বার্থ নিয়ে বিরোধও দেখা যায় মাঝেমধ্যে।
সর্বশেষ সেই বিরোধ শুরু হয়েছে দুই রিক্রুটিং এজেন্সির নেতৃত্বে ২৪টি এজেন্সির একটি মোর্চার মাধ্যমে সৌদি আরবে লোক পাঠানো এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সিন্ডিকেট গড়ে তোলার পর। দুই রিক্রুটিং এজেন্সির একটি এক মন্ত্রীর পরিবারের মালিকানাধীন, অন্যটি এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার শাখার কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ‘শাপলা সেন্টার’ নামের একটি ‘ভিসা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র’ খোলা হয়। এই দলে কয়েকজন সৌদি নাগরিকও আছেন। দূতাবাসের একই শাখার কয়েকজন কর্মচারী সৌদিগামী কর্মীদের ভিসার জন্য পাসপোর্ট সেই সেন্টারে জমা দিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেয়। শুধু তা-ই নয়, সৌদি দূতাবাসের লেটারহেডে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ১৫ অক্টোবর থেকে কর্মীদের পাসপোর্ট শাপলা সেন্টারে গ্রহণ করা হবে। আবার রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত শাপলা সেন্টার থেকে এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, প্রতি পাসপোর্টে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য তিন হাজার টাকা প্রসেসিং ফি দিতে হবে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে এখন প্রতিবছর পাঁচ লাখের বেশি কর্মী সৌদি আরবে যান। প্রতি পাসপোর্ট প্রসেসিংয়ের জন্য তিন হাজার টাকা নিলে বছরে কমপক্ষে ১৫০ কোটি টাকা আয় হবে এই খাত থেকে।
এই চিঠি দেওয়ার পর রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ) নেতৃত্বের একাংশ রোববার থেকে দূতাবাসে এবং ওই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণাধীন শাপলা সেন্টারে পাসপোর্ট জমা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তারা সংগঠনের সব সদস্যকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেয়। গত শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে বায়রার এক জরুরি সভায় এই ঘোষণা দেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার একজন নেতা। তবে বায়রা সভা করে আকস্মিকভাবে এমন কঠোর অবস্থান নেওয়ায় কর্মীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অচলাবস্থার আশঙ্কা দেখা দেয়।
সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দাহিলান দূতাবাস থেকে ৭ অক্টোবর জারি করা এক বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, শাপলা সেন্টারের মাধ্যমে কোনো পাসপোর্ট দূতাবাস গ্রহণ করছে না।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বলা হয়, দূতাবাসের নতুন নিয়ম অনুযায়ী কর্মী হিসেবে সৌদি আরবগামী ব্যক্তিদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য পাসপোর্ট গ্রহণ ও ফেরত দেওয়া দূতাবাসেই করা হবে, শাপলা সেন্টারে নয়। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বহাল থাকবে।
এরপর এ নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে বাংলাদেশ সরকারের পরামর্শে বায়রার শীর্ষ নেতারা গতকাল রোববার রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এই সাক্ষাতের পর বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দূতাবাস তাদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের কাজ যেকোনো সংস্থাকে দিতে পারে। অন্য অনেক দূতাবাস এই ব্যবস্থা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিএফএসের মতো অনেক সংগঠন এ ধরনের কাজ করছে। বায়রা থেকে রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্ব কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি বা এজেন্সির গ্রুপের পরিচালনাধীন গ্রুপকে কোনোক্রমেই দেওয়া না হয়। দূতাবাসে ঝামেলা ও ভিড় এড়াতে বাংলাদেশের কোনো সংস্থাকে যদি ভিসা প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্ব দিতেই হয়, তা যেন বায়রা অথবা জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, অথবা প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়, সে বিষয়েও রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করা হয়েছে। নোমান আরও জানান, রাষ্ট্রদূত এ বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন বলে বায়রাকে আশ্বস্ত করেছেন।
সৌদিগামী কর্মীদের পাসপোর্টে ভিসা দেওয়া নিয়ে চক্রগুলো এই প্রথম সক্রিয় হলো, এমন নয়। দেশটির ঢাকার দূতাবাসের একটি সৌদি-বাংলাদেশি চক্র প্রতি ভিসার জন্য ২২০ থেকে ২৫০ মার্কিন ডলার ঘুষ নিয়েছে এ বছরের শুরু থেকে কয়েক মাস ধরে। এমন অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত আজকের পত্রিকাকে গত জুলাইয়ে বলেছিলেন, কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি ও দালাল শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের জন্য দূতাবাসের নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। এ নিয়ে বেশ হইচই এবং সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ডলারে ঘুষ নেওয়া বন্ধ হয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
সেই কর্মকর্তা বলেন, সৌদি আরব বড় শ্রমবাজার বলে দেশটি নিয়ে বেশ স্পর্শকাতরতা রয়েছে। মালয়েশিয়ায় ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার পরিণামে দুই বছর শ্রমবাজারটি বন্ধ হয়ে যায়। সৌদি শ্রমবাজার নিয়ে যাতে এ ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর হিসাবে, চলতি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ৮ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি শ্রমিক গেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ লাখ ১৩ হাজারের বেশি (৫৮ শতাংশ) গেছেন সৌদি আরবে। বায়রার কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের প্রথম ছয় মাসে অন্তত তিন লাখ কর্মীর পাসপোর্টে গড়ে ২০০ ডলার করে নেওয়া হলেও চক্রগুলো অন্তত ছয় কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে।
সৌদি আরবে লোক পাঠানোর জন্য প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়ে থাকে কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ টাকা। সৌদি দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রায় ছয় লাখ সৌদি ভিসা ইস্যু হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই ছিল কর্মী ভিসা।

অভাব ঘোচাতে প্রতিবছর সৌদি আরবে যাচ্ছেন লাখ লাখ নারী-পুরুষ। তাঁদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। তাঁদের এই রুটি-রুজিকে পুঁজি করে শত শত কোটি টাকা পকেটে ভরার চেষ্টায় ব্যস্ত একাধিক চক্র। মরুর দেশটি থেকে সস্তায় নিয়োগপত্র কিনে চড়া দামে গরিব কর্মীদের গছিয়ে দিতে সব পক্ষ এককাট্টা হলেও স্বার্থ নিয়ে বিরোধও দেখা যায় মাঝেমধ্যে।
সর্বশেষ সেই বিরোধ শুরু হয়েছে দুই রিক্রুটিং এজেন্সির নেতৃত্বে ২৪টি এজেন্সির একটি মোর্চার মাধ্যমে সৌদি আরবে লোক পাঠানো এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সিন্ডিকেট গড়ে তোলার পর। দুই রিক্রুটিং এজেন্সির একটি এক মন্ত্রীর পরিবারের মালিকানাধীন, অন্যটি এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার শাখার কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ‘শাপলা সেন্টার’ নামের একটি ‘ভিসা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র’ খোলা হয়। এই দলে কয়েকজন সৌদি নাগরিকও আছেন। দূতাবাসের একই শাখার কয়েকজন কর্মচারী সৌদিগামী কর্মীদের ভিসার জন্য পাসপোর্ট সেই সেন্টারে জমা দিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেয়। শুধু তা-ই নয়, সৌদি দূতাবাসের লেটারহেডে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ১৫ অক্টোবর থেকে কর্মীদের পাসপোর্ট শাপলা সেন্টারে গ্রহণ করা হবে। আবার রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত শাপলা সেন্টার থেকে এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, প্রতি পাসপোর্টে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য তিন হাজার টাকা প্রসেসিং ফি দিতে হবে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে এখন প্রতিবছর পাঁচ লাখের বেশি কর্মী সৌদি আরবে যান। প্রতি পাসপোর্ট প্রসেসিংয়ের জন্য তিন হাজার টাকা নিলে বছরে কমপক্ষে ১৫০ কোটি টাকা আয় হবে এই খাত থেকে।
এই চিঠি দেওয়ার পর রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ) নেতৃত্বের একাংশ রোববার থেকে দূতাবাসে এবং ওই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণাধীন শাপলা সেন্টারে পাসপোর্ট জমা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তারা সংগঠনের সব সদস্যকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেয়। গত শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে বায়রার এক জরুরি সভায় এই ঘোষণা দেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার একজন নেতা। তবে বায়রা সভা করে আকস্মিকভাবে এমন কঠোর অবস্থান নেওয়ায় কর্মীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অচলাবস্থার আশঙ্কা দেখা দেয়।
সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দাহিলান দূতাবাস থেকে ৭ অক্টোবর জারি করা এক বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, শাপলা সেন্টারের মাধ্যমে কোনো পাসপোর্ট দূতাবাস গ্রহণ করছে না।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বলা হয়, দূতাবাসের নতুন নিয়ম অনুযায়ী কর্মী হিসেবে সৌদি আরবগামী ব্যক্তিদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য পাসপোর্ট গ্রহণ ও ফেরত দেওয়া দূতাবাসেই করা হবে, শাপলা সেন্টারে নয়। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বহাল থাকবে।
এরপর এ নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে বাংলাদেশ সরকারের পরামর্শে বায়রার শীর্ষ নেতারা গতকাল রোববার রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এই সাক্ষাতের পর বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দূতাবাস তাদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের কাজ যেকোনো সংস্থাকে দিতে পারে। অন্য অনেক দূতাবাস এই ব্যবস্থা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিএফএসের মতো অনেক সংগঠন এ ধরনের কাজ করছে। বায়রা থেকে রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্ব কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি বা এজেন্সির গ্রুপের পরিচালনাধীন গ্রুপকে কোনোক্রমেই দেওয়া না হয়। দূতাবাসে ঝামেলা ও ভিড় এড়াতে বাংলাদেশের কোনো সংস্থাকে যদি ভিসা প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্ব দিতেই হয়, তা যেন বায়রা অথবা জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, অথবা প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়, সে বিষয়েও রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করা হয়েছে। নোমান আরও জানান, রাষ্ট্রদূত এ বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন বলে বায়রাকে আশ্বস্ত করেছেন।
সৌদিগামী কর্মীদের পাসপোর্টে ভিসা দেওয়া নিয়ে চক্রগুলো এই প্রথম সক্রিয় হলো, এমন নয়। দেশটির ঢাকার দূতাবাসের একটি সৌদি-বাংলাদেশি চক্র প্রতি ভিসার জন্য ২২০ থেকে ২৫০ মার্কিন ডলার ঘুষ নিয়েছে এ বছরের শুরু থেকে কয়েক মাস ধরে। এমন অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত আজকের পত্রিকাকে গত জুলাইয়ে বলেছিলেন, কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি ও দালাল শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের জন্য দূতাবাসের নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। এ নিয়ে বেশ হইচই এবং সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ডলারে ঘুষ নেওয়া বন্ধ হয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
সেই কর্মকর্তা বলেন, সৌদি আরব বড় শ্রমবাজার বলে দেশটি নিয়ে বেশ স্পর্শকাতরতা রয়েছে। মালয়েশিয়ায় ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার পরিণামে দুই বছর শ্রমবাজারটি বন্ধ হয়ে যায়। সৌদি শ্রমবাজার নিয়ে যাতে এ ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর হিসাবে, চলতি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ৮ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি শ্রমিক গেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ লাখ ১৩ হাজারের বেশি (৫৮ শতাংশ) গেছেন সৌদি আরবে। বায়রার কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের প্রথম ছয় মাসে অন্তত তিন লাখ কর্মীর পাসপোর্টে গড়ে ২০০ ডলার করে নেওয়া হলেও চক্রগুলো অন্তত ছয় কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে।
সৌদি আরবে লোক পাঠানোর জন্য প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়ে থাকে কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ টাকা। সৌদি দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রায় ছয় লাখ সৌদি ভিসা ইস্যু হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই ছিল কর্মী ভিসা।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৩ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

অভাব ঘোচাতে প্রতিবছর সৌদি আরবে যাচ্ছেন লাখ লাখ নারী-পুরুষ। তাঁদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। তাঁদের এই রুটি-রুজিকে পুঁজি করে শত শত কোটি টাকা পকেটে ভরার চেষ্টায় ব্যস্ত একাধিক চক্র। মরুর দেশটি থেকে সস্তায় নিয়োগপত্র কিনে চড়া দামে গরিব কর্মীদের গছিয়ে দিতে সব পক্ষ এককাট্টা হলেও স্বার্থ নিয়ে বিরোধও দেখা যায় মাঝ
১৭ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

অভাব ঘোচাতে প্রতিবছর সৌদি আরবে যাচ্ছেন লাখ লাখ নারী-পুরুষ। তাঁদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। তাঁদের এই রুটি-রুজিকে পুঁজি করে শত শত কোটি টাকা পকেটে ভরার চেষ্টায় ব্যস্ত একাধিক চক্র। মরুর দেশটি থেকে সস্তায় নিয়োগপত্র কিনে চড়া দামে গরিব কর্মীদের গছিয়ে দিতে সব পক্ষ এককাট্টা হলেও স্বার্থ নিয়ে বিরোধও দেখা যায় মাঝ
১৭ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

অভাব ঘোচাতে প্রতিবছর সৌদি আরবে যাচ্ছেন লাখ লাখ নারী-পুরুষ। তাঁদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। তাঁদের এই রুটি-রুজিকে পুঁজি করে শত শত কোটি টাকা পকেটে ভরার চেষ্টায় ব্যস্ত একাধিক চক্র। মরুর দেশটি থেকে সস্তায় নিয়োগপত্র কিনে চড়া দামে গরিব কর্মীদের গছিয়ে দিতে সব পক্ষ এককাট্টা হলেও স্বার্থ নিয়ে বিরোধও দেখা যায় মাঝ
১৭ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৩ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

অভাব ঘোচাতে প্রতিবছর সৌদি আরবে যাচ্ছেন লাখ লাখ নারী-পুরুষ। তাঁদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। তাঁদের এই রুটি-রুজিকে পুঁজি করে শত শত কোটি টাকা পকেটে ভরার চেষ্টায় ব্যস্ত একাধিক চক্র। মরুর দেশটি থেকে সস্তায় নিয়োগপত্র কিনে চড়া দামে গরিব কর্মীদের গছিয়ে দিতে সব পক্ষ এককাট্টা হলেও স্বার্থ নিয়ে বিরোধও দেখা যায় মাঝ
১৭ অক্টোবর ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৩ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৬ দিন আগে