কামরুল হাসান

প্রতিদিন বেলা ১১টায় রিপোর্টার্স মিটিং। জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান নিজে সেই মিটিংয়ের মধ্যমণি। গ্রীষ্ম-বর্ষা বলে কোনো কথা নেই। মিটিংয়ে গরহাজির হলে হাজারটা কৈফিয়ত, মিথ্যা বলেও পার পাওয়ার জো নেই।
সিদ্ধেশ্বরীতে থাকি। বেশির ভাগ দিনেই ১০-১৫ মিনিট হাতে নিয়ে বের হই। মোটরসাইকেলে ইস্কাটনে যেতে এর চেয়েও কম সময় লাগে। সেদিন কী মনে করে একটু আগেই বের হলাম। সিদ্ধেশ্বরীর মনোয়ারা হাসপাতাল ছেড়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের মোড় পেরোলেই রমনা থানা। মনে হলো, হাতে যখন সময় আছে, একটু ঢুঁ মেরে যাই।
রমনা থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসার দুজনই বেশ পরিচিত। সেকেন্ড অফিসার বসতেন ভেতরের রুমে। ডিউটি অফিসারের রুমের ভেতর দিয়ে সেই রুমে যেতে হতো। ডিউটি অফিসারের রুমে ঢোকার আগে ডান পাশে হাজতখানা, একটি ছোট গলির মতো ছিল।
মোটরসাইকেল পার্ক করে ডিউটি অফিসারের রুমের দিকে আসতেই কানে এল নারী কণ্ঠের চিৎকার। তিনি বেশ চড়া গলায় কথা বলছেন। মনে হলো গলাটা খুব চেনা চেনা। একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি, অভিনেত্রী আফসানা মিমি দাঁড়িয়ে চিৎকার করছেন। ডিউটি অফিসারের রুমে চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন, কিন্তু তাঁরা কেউ কিছু বলছেন না। মিমি একাই বলে যাচ্ছেন তাঁর মতো করে। আর সবাই নীরবে দাঁড়িয়ে তা শুনছেন। অভিনেত্রী হিসেবে আফসানা মিমির তখন অনেক নামডাক। টিভি নাটকে ভালো অভিনয়ের সুবাদে তাঁর তারকাখ্যাতি চারদিকে। সেই অভিনেত্রীকে থানায় এভাবে চেঁচামেচি করতে দেখে একটু অবাক হলাম। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাঁর কথা শুনলাম। এরপর নিজের পরিচয় দিয়ে জানতে চাইলাম, কী হয়েছে।
আমার পরিচয় পেয়ে মিমি কিছুটা শান্ত হলেন। এরপর আমার অফিসের এক সহকর্মীর নাম নিয়ে বললেন, তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমাকে ঘটনা বলতে শুরু করেছেন মিমি, ঠিক তখনই ওসি এলেন। তখন রমনা থানার ওসি ছিলেন মোজাম্মেল হোসেন। এই থানায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি ডিবির জনসংযোগ শাখায় ছিলেন। সে কারণে সব ক্রাইম রিপোর্টার তাঁর পরিচিত। আমাকে ও আফসানা মিমিকে একসঙ্গে দেখে তিনি ধরে নিয়েছেন, আমরা দুজন একই কাজে এসেছি। রুমে ঢোকার মুখে আমাদের তাঁর সঙ্গে আসতে বললেন। ভেতরে ঢুকে ওসি বেশ বিনয়ের সঙ্গে আমার কাছে জানতে চাইলেন, অভিনেত্রীর সঙ্গে কেন থানায় এসেছি। ওসিকে বললাম, ‘আমি অভিনেত্রীর সঙ্গে আসিনি। আমরা যে যাঁর মতো এসেছি।’
ওসি এবার আফসানা মিমির কাছে জানতে চাইলেন, এত সকালে তিনি কেন থানায় এসেছেন। মিমি আর চুপ থাকতে পারছেন না। তিনি বললেন, তাঁর তিন সহকর্মীকে গত রাতে পুলিশ অন্যায়ভাবে ধরে এনেছে। তাঁদের এখনই ছেড়ে দিতে হবে। ওসি মিমির আবদার শুনে একটু চুপ হয়ে গেলেন। ওসির কথা শুনে আমার মনে হলো, পুরো ঘটনা তিনি আগেই জেনেছেন। আফসানা মিমিকে থামিয়ে দিয়ে ওসি বললেন, ‘দেখুন ম্যাডাম, মামলা হয়ে গেছে, এখন পুলিশের আর কিছুই করার নেই।’ কিন্তু মিমি এসব শুনতে চান না। তিনি তিনজনের মুক্তি চান। ওসি অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাঁকে থামালেন, জামিনের প্রস্তুতি নিতে বললেন। জামিনের কথা শুনে মিমি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন। তিনি থানা থেকেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার কথা আবারও বললেন।
ততক্ষণে আমি ঘটনার কিছুটা জেনে ফেলেছি। ওসি আর মিমির কথা শুনে সব আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল। ঘটনা হলো, মিমি যাঁদের সহকর্মী বললেন, তাঁদের একজন হলেন নামকরা অভিনেতা আবুল কালাম আজাদ পাভেল (আজাদ আবুল কালাম)। অন্য দুজন হলেন নজরুল ইসলাম ও শাহরিয়ার। ওই তিনজনকে রাতে গ্রেপ্তারের পর থানায় রাখা হয়েছে। জানতে পারলাম, আগের রাতে মগবাজার মোড় থেকে পুলিশ তাঁদের আটক করেছিল। এরপর সারা রাত হাজতেই ছিলেন তাঁরা।
যেটা শুনলাম, সেদিন ছিল শনিবার (২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর)। রাতে তাঁরা তিনজন মগবাজার থেকে শেওড়াপাড়ায় যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি খুঁজছিলেন। তাঁদের সম্ভবত খুব জরুরি কোনো কাজ ছিল। মগবাজার মোড়ে তখন স্যালিডা ক্যাবের একটিমাত্র ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে ছিল।
চালক শাহাদত গাড়িতে বসে বিশ্রাম করছিলেন। তিনজনই গাড়ির চালক শাহাদতকে যাওয়ার জন্য বারবার বলেন, কিন্তু শাহাদত তাঁদের কথামতো যেতে রাজি হননি। এ নিয়ে শুরু হয় কথা-কাটাকাটি। একপর্যায়ে তিনজনের একজন শাহাদতের মুখে ঘুষি মেরে বসেন। এতে শাহাদতের দুটি দাঁত ভেঙে যায়। আহত শাহাদত ‘ছিনতাইকারী’ বলে চিৎকার দেন। একটু দূরে পুলিশের একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। পুলিশ সদস্যরা ঘটনা শুনে তখনই সবাইকে ধরে থানায় নিয়ে যান। রাতেই শাহাদতকে দিয়ে মামলা করানো হয়। সেই মামলায় মারধরের সঙ্গে চালকের টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়। মামলার আসামি হিসেবে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সকালে সেই খবর শুনে থানায় ছুটে আসেন মিমি।
যা হোক, ওসি তাঁদের ছাড়তে রাজি না হওয়ায় মিমি বিভিন্নজনকে ফোন করতে শুরু করেন। আমি অফিসে গিয়ে এ ঘটনার কথা জানিয়ে আবার থানায় ফিরে আসি। দুপুরের দিকে সবাইকে আদালতে পাঠানো হয়। মিমির সঙ্গে আদালতে যাই। সেই সময়ের নাটকের আরও অনেক মানুষ আদালতে যান। কয়েকজন নামকরা আইনজীবী আসামিদের পক্ষে দাঁড়িয়ে জামিনের আবেদন করেন। অনেকক্ষণ জেরার পর তিনজনকে জামিন দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
তাঁর সহকর্মীরা জামিন পাওয়ার পর মিমি আমাকে বললেন, ‘কথায় আছে না, বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা আর পুলিশ ছুঁলে ৩৬ ঘা। আজ আমি সত্যিই ৩৬ ঘা দেখলাম।’ আমি কিছু না বলে মোটরসাইকেলে উঠলাম। হাতে সময় নেই। জ্যাম ঠেলে সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে হবে।
আরও পড়ুন:

প্রতিদিন বেলা ১১টায় রিপোর্টার্স মিটিং। জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান নিজে সেই মিটিংয়ের মধ্যমণি। গ্রীষ্ম-বর্ষা বলে কোনো কথা নেই। মিটিংয়ে গরহাজির হলে হাজারটা কৈফিয়ত, মিথ্যা বলেও পার পাওয়ার জো নেই।
সিদ্ধেশ্বরীতে থাকি। বেশির ভাগ দিনেই ১০-১৫ মিনিট হাতে নিয়ে বের হই। মোটরসাইকেলে ইস্কাটনে যেতে এর চেয়েও কম সময় লাগে। সেদিন কী মনে করে একটু আগেই বের হলাম। সিদ্ধেশ্বরীর মনোয়ারা হাসপাতাল ছেড়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের মোড় পেরোলেই রমনা থানা। মনে হলো, হাতে যখন সময় আছে, একটু ঢুঁ মেরে যাই।
রমনা থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসার দুজনই বেশ পরিচিত। সেকেন্ড অফিসার বসতেন ভেতরের রুমে। ডিউটি অফিসারের রুমের ভেতর দিয়ে সেই রুমে যেতে হতো। ডিউটি অফিসারের রুমে ঢোকার আগে ডান পাশে হাজতখানা, একটি ছোট গলির মতো ছিল।
মোটরসাইকেল পার্ক করে ডিউটি অফিসারের রুমের দিকে আসতেই কানে এল নারী কণ্ঠের চিৎকার। তিনি বেশ চড়া গলায় কথা বলছেন। মনে হলো গলাটা খুব চেনা চেনা। একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি, অভিনেত্রী আফসানা মিমি দাঁড়িয়ে চিৎকার করছেন। ডিউটি অফিসারের রুমে চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন, কিন্তু তাঁরা কেউ কিছু বলছেন না। মিমি একাই বলে যাচ্ছেন তাঁর মতো করে। আর সবাই নীরবে দাঁড়িয়ে তা শুনছেন। অভিনেত্রী হিসেবে আফসানা মিমির তখন অনেক নামডাক। টিভি নাটকে ভালো অভিনয়ের সুবাদে তাঁর তারকাখ্যাতি চারদিকে। সেই অভিনেত্রীকে থানায় এভাবে চেঁচামেচি করতে দেখে একটু অবাক হলাম। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাঁর কথা শুনলাম। এরপর নিজের পরিচয় দিয়ে জানতে চাইলাম, কী হয়েছে।
আমার পরিচয় পেয়ে মিমি কিছুটা শান্ত হলেন। এরপর আমার অফিসের এক সহকর্মীর নাম নিয়ে বললেন, তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমাকে ঘটনা বলতে শুরু করেছেন মিমি, ঠিক তখনই ওসি এলেন। তখন রমনা থানার ওসি ছিলেন মোজাম্মেল হোসেন। এই থানায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি ডিবির জনসংযোগ শাখায় ছিলেন। সে কারণে সব ক্রাইম রিপোর্টার তাঁর পরিচিত। আমাকে ও আফসানা মিমিকে একসঙ্গে দেখে তিনি ধরে নিয়েছেন, আমরা দুজন একই কাজে এসেছি। রুমে ঢোকার মুখে আমাদের তাঁর সঙ্গে আসতে বললেন। ভেতরে ঢুকে ওসি বেশ বিনয়ের সঙ্গে আমার কাছে জানতে চাইলেন, অভিনেত্রীর সঙ্গে কেন থানায় এসেছি। ওসিকে বললাম, ‘আমি অভিনেত্রীর সঙ্গে আসিনি। আমরা যে যাঁর মতো এসেছি।’
ওসি এবার আফসানা মিমির কাছে জানতে চাইলেন, এত সকালে তিনি কেন থানায় এসেছেন। মিমি আর চুপ থাকতে পারছেন না। তিনি বললেন, তাঁর তিন সহকর্মীকে গত রাতে পুলিশ অন্যায়ভাবে ধরে এনেছে। তাঁদের এখনই ছেড়ে দিতে হবে। ওসি মিমির আবদার শুনে একটু চুপ হয়ে গেলেন। ওসির কথা শুনে আমার মনে হলো, পুরো ঘটনা তিনি আগেই জেনেছেন। আফসানা মিমিকে থামিয়ে দিয়ে ওসি বললেন, ‘দেখুন ম্যাডাম, মামলা হয়ে গেছে, এখন পুলিশের আর কিছুই করার নেই।’ কিন্তু মিমি এসব শুনতে চান না। তিনি তিনজনের মুক্তি চান। ওসি অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাঁকে থামালেন, জামিনের প্রস্তুতি নিতে বললেন। জামিনের কথা শুনে মিমি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন। তিনি থানা থেকেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার কথা আবারও বললেন।
ততক্ষণে আমি ঘটনার কিছুটা জেনে ফেলেছি। ওসি আর মিমির কথা শুনে সব আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল। ঘটনা হলো, মিমি যাঁদের সহকর্মী বললেন, তাঁদের একজন হলেন নামকরা অভিনেতা আবুল কালাম আজাদ পাভেল (আজাদ আবুল কালাম)। অন্য দুজন হলেন নজরুল ইসলাম ও শাহরিয়ার। ওই তিনজনকে রাতে গ্রেপ্তারের পর থানায় রাখা হয়েছে। জানতে পারলাম, আগের রাতে মগবাজার মোড় থেকে পুলিশ তাঁদের আটক করেছিল। এরপর সারা রাত হাজতেই ছিলেন তাঁরা।
যেটা শুনলাম, সেদিন ছিল শনিবার (২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর)। রাতে তাঁরা তিনজন মগবাজার থেকে শেওড়াপাড়ায় যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি খুঁজছিলেন। তাঁদের সম্ভবত খুব জরুরি কোনো কাজ ছিল। মগবাজার মোড়ে তখন স্যালিডা ক্যাবের একটিমাত্র ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে ছিল।
চালক শাহাদত গাড়িতে বসে বিশ্রাম করছিলেন। তিনজনই গাড়ির চালক শাহাদতকে যাওয়ার জন্য বারবার বলেন, কিন্তু শাহাদত তাঁদের কথামতো যেতে রাজি হননি। এ নিয়ে শুরু হয় কথা-কাটাকাটি। একপর্যায়ে তিনজনের একজন শাহাদতের মুখে ঘুষি মেরে বসেন। এতে শাহাদতের দুটি দাঁত ভেঙে যায়। আহত শাহাদত ‘ছিনতাইকারী’ বলে চিৎকার দেন। একটু দূরে পুলিশের একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। পুলিশ সদস্যরা ঘটনা শুনে তখনই সবাইকে ধরে থানায় নিয়ে যান। রাতেই শাহাদতকে দিয়ে মামলা করানো হয়। সেই মামলায় মারধরের সঙ্গে চালকের টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়। মামলার আসামি হিসেবে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সকালে সেই খবর শুনে থানায় ছুটে আসেন মিমি।
যা হোক, ওসি তাঁদের ছাড়তে রাজি না হওয়ায় মিমি বিভিন্নজনকে ফোন করতে শুরু করেন। আমি অফিসে গিয়ে এ ঘটনার কথা জানিয়ে আবার থানায় ফিরে আসি। দুপুরের দিকে সবাইকে আদালতে পাঠানো হয়। মিমির সঙ্গে আদালতে যাই। সেই সময়ের নাটকের আরও অনেক মানুষ আদালতে যান। কয়েকজন নামকরা আইনজীবী আসামিদের পক্ষে দাঁড়িয়ে জামিনের আবেদন করেন। অনেকক্ষণ জেরার পর তিনজনকে জামিন দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
তাঁর সহকর্মীরা জামিন পাওয়ার পর মিমি আমাকে বললেন, ‘কথায় আছে না, বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা আর পুলিশ ছুঁলে ৩৬ ঘা। আজ আমি সত্যিই ৩৬ ঘা দেখলাম।’ আমি কিছু না বলে মোটরসাইকেলে উঠলাম। হাতে সময় নেই। জ্যাম ঠেলে সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে হবে।
আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

প্রতিদিন বেলা ১১টায় রিপোর্টার্স মিটিং। জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান নিজে সেই মিটিংয়ের মধ্যমণি। গ্রীষ্ম-বর্ষা বলে কোনো কথা নেই। মিটিংয়ে গরহাজির হলে হাজারটা কৈফিয়ত, মিথ্যা বলেও পার পাওয়ার জো নেই।
সিদ্ধেশ্বরীতে থাকি। বেশির ভাগ দিনেই ১০-১৫ মিনিট হাতে নিয়ে বের হই। মোটরসাইকেলে ইস্কাটনে যেতে এর চেয়েও কম সময় লাগে। সেদিন কী মনে করে একটু আগেই বের হলাম। সিদ্ধেশ্বরীর মনোয়ারা হাসপাতাল ছেড়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের মোড় পেরোলেই রমনা থানা। মনে হলো, হাতে যখন সময় আছে, একটু ঢুঁ মেরে যাই।
রমনা থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসার দুজনই বেশ পরিচিত। সেকেন্ড অফিসার বসতেন ভেতরের রুমে। ডিউটি অফিসারের রুমের ভেতর দিয়ে সেই রুমে যেতে হতো। ডিউটি অফিসারের রুমে ঢোকার আগে ডান পাশে হাজতখানা, একটি ছোট গলির মতো ছিল।
মোটরসাইকেল পার্ক করে ডিউটি অফিসারের রুমের দিকে আসতেই কানে এল নারী কণ্ঠের চিৎকার। তিনি বেশ চড়া গলায় কথা বলছেন। মনে হলো গলাটা খুব চেনা চেনা। একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি, অভিনেত্রী আফসানা মিমি দাঁড়িয়ে চিৎকার করছেন। ডিউটি অফিসারের রুমে চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন, কিন্তু তাঁরা কেউ কিছু বলছেন না। মিমি একাই বলে যাচ্ছেন তাঁর মতো করে। আর সবাই নীরবে দাঁড়িয়ে তা শুনছেন। অভিনেত্রী হিসেবে আফসানা মিমির তখন অনেক নামডাক। টিভি নাটকে ভালো অভিনয়ের সুবাদে তাঁর তারকাখ্যাতি চারদিকে। সেই অভিনেত্রীকে থানায় এভাবে চেঁচামেচি করতে দেখে একটু অবাক হলাম। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাঁর কথা শুনলাম। এরপর নিজের পরিচয় দিয়ে জানতে চাইলাম, কী হয়েছে।
আমার পরিচয় পেয়ে মিমি কিছুটা শান্ত হলেন। এরপর আমার অফিসের এক সহকর্মীর নাম নিয়ে বললেন, তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমাকে ঘটনা বলতে শুরু করেছেন মিমি, ঠিক তখনই ওসি এলেন। তখন রমনা থানার ওসি ছিলেন মোজাম্মেল হোসেন। এই থানায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি ডিবির জনসংযোগ শাখায় ছিলেন। সে কারণে সব ক্রাইম রিপোর্টার তাঁর পরিচিত। আমাকে ও আফসানা মিমিকে একসঙ্গে দেখে তিনি ধরে নিয়েছেন, আমরা দুজন একই কাজে এসেছি। রুমে ঢোকার মুখে আমাদের তাঁর সঙ্গে আসতে বললেন। ভেতরে ঢুকে ওসি বেশ বিনয়ের সঙ্গে আমার কাছে জানতে চাইলেন, অভিনেত্রীর সঙ্গে কেন থানায় এসেছি। ওসিকে বললাম, ‘আমি অভিনেত্রীর সঙ্গে আসিনি। আমরা যে যাঁর মতো এসেছি।’
ওসি এবার আফসানা মিমির কাছে জানতে চাইলেন, এত সকালে তিনি কেন থানায় এসেছেন। মিমি আর চুপ থাকতে পারছেন না। তিনি বললেন, তাঁর তিন সহকর্মীকে গত রাতে পুলিশ অন্যায়ভাবে ধরে এনেছে। তাঁদের এখনই ছেড়ে দিতে হবে। ওসি মিমির আবদার শুনে একটু চুপ হয়ে গেলেন। ওসির কথা শুনে আমার মনে হলো, পুরো ঘটনা তিনি আগেই জেনেছেন। আফসানা মিমিকে থামিয়ে দিয়ে ওসি বললেন, ‘দেখুন ম্যাডাম, মামলা হয়ে গেছে, এখন পুলিশের আর কিছুই করার নেই।’ কিন্তু মিমি এসব শুনতে চান না। তিনি তিনজনের মুক্তি চান। ওসি অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাঁকে থামালেন, জামিনের প্রস্তুতি নিতে বললেন। জামিনের কথা শুনে মিমি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন। তিনি থানা থেকেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার কথা আবারও বললেন।
ততক্ষণে আমি ঘটনার কিছুটা জেনে ফেলেছি। ওসি আর মিমির কথা শুনে সব আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল। ঘটনা হলো, মিমি যাঁদের সহকর্মী বললেন, তাঁদের একজন হলেন নামকরা অভিনেতা আবুল কালাম আজাদ পাভেল (আজাদ আবুল কালাম)। অন্য দুজন হলেন নজরুল ইসলাম ও শাহরিয়ার। ওই তিনজনকে রাতে গ্রেপ্তারের পর থানায় রাখা হয়েছে। জানতে পারলাম, আগের রাতে মগবাজার মোড় থেকে পুলিশ তাঁদের আটক করেছিল। এরপর সারা রাত হাজতেই ছিলেন তাঁরা।
যেটা শুনলাম, সেদিন ছিল শনিবার (২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর)। রাতে তাঁরা তিনজন মগবাজার থেকে শেওড়াপাড়ায় যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি খুঁজছিলেন। তাঁদের সম্ভবত খুব জরুরি কোনো কাজ ছিল। মগবাজার মোড়ে তখন স্যালিডা ক্যাবের একটিমাত্র ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে ছিল।
চালক শাহাদত গাড়িতে বসে বিশ্রাম করছিলেন। তিনজনই গাড়ির চালক শাহাদতকে যাওয়ার জন্য বারবার বলেন, কিন্তু শাহাদত তাঁদের কথামতো যেতে রাজি হননি। এ নিয়ে শুরু হয় কথা-কাটাকাটি। একপর্যায়ে তিনজনের একজন শাহাদতের মুখে ঘুষি মেরে বসেন। এতে শাহাদতের দুটি দাঁত ভেঙে যায়। আহত শাহাদত ‘ছিনতাইকারী’ বলে চিৎকার দেন। একটু দূরে পুলিশের একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। পুলিশ সদস্যরা ঘটনা শুনে তখনই সবাইকে ধরে থানায় নিয়ে যান। রাতেই শাহাদতকে দিয়ে মামলা করানো হয়। সেই মামলায় মারধরের সঙ্গে চালকের টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়। মামলার আসামি হিসেবে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সকালে সেই খবর শুনে থানায় ছুটে আসেন মিমি।
যা হোক, ওসি তাঁদের ছাড়তে রাজি না হওয়ায় মিমি বিভিন্নজনকে ফোন করতে শুরু করেন। আমি অফিসে গিয়ে এ ঘটনার কথা জানিয়ে আবার থানায় ফিরে আসি। দুপুরের দিকে সবাইকে আদালতে পাঠানো হয়। মিমির সঙ্গে আদালতে যাই। সেই সময়ের নাটকের আরও অনেক মানুষ আদালতে যান। কয়েকজন নামকরা আইনজীবী আসামিদের পক্ষে দাঁড়িয়ে জামিনের আবেদন করেন। অনেকক্ষণ জেরার পর তিনজনকে জামিন দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
তাঁর সহকর্মীরা জামিন পাওয়ার পর মিমি আমাকে বললেন, ‘কথায় আছে না, বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা আর পুলিশ ছুঁলে ৩৬ ঘা। আজ আমি সত্যিই ৩৬ ঘা দেখলাম।’ আমি কিছু না বলে মোটরসাইকেলে উঠলাম। হাতে সময় নেই। জ্যাম ঠেলে সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে হবে।
আরও পড়ুন:

প্রতিদিন বেলা ১১টায় রিপোর্টার্স মিটিং। জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান নিজে সেই মিটিংয়ের মধ্যমণি। গ্রীষ্ম-বর্ষা বলে কোনো কথা নেই। মিটিংয়ে গরহাজির হলে হাজারটা কৈফিয়ত, মিথ্যা বলেও পার পাওয়ার জো নেই।
সিদ্ধেশ্বরীতে থাকি। বেশির ভাগ দিনেই ১০-১৫ মিনিট হাতে নিয়ে বের হই। মোটরসাইকেলে ইস্কাটনে যেতে এর চেয়েও কম সময় লাগে। সেদিন কী মনে করে একটু আগেই বের হলাম। সিদ্ধেশ্বরীর মনোয়ারা হাসপাতাল ছেড়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের মোড় পেরোলেই রমনা থানা। মনে হলো, হাতে যখন সময় আছে, একটু ঢুঁ মেরে যাই।
রমনা থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসার দুজনই বেশ পরিচিত। সেকেন্ড অফিসার বসতেন ভেতরের রুমে। ডিউটি অফিসারের রুমের ভেতর দিয়ে সেই রুমে যেতে হতো। ডিউটি অফিসারের রুমে ঢোকার আগে ডান পাশে হাজতখানা, একটি ছোট গলির মতো ছিল।
মোটরসাইকেল পার্ক করে ডিউটি অফিসারের রুমের দিকে আসতেই কানে এল নারী কণ্ঠের চিৎকার। তিনি বেশ চড়া গলায় কথা বলছেন। মনে হলো গলাটা খুব চেনা চেনা। একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি, অভিনেত্রী আফসানা মিমি দাঁড়িয়ে চিৎকার করছেন। ডিউটি অফিসারের রুমে চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন, কিন্তু তাঁরা কেউ কিছু বলছেন না। মিমি একাই বলে যাচ্ছেন তাঁর মতো করে। আর সবাই নীরবে দাঁড়িয়ে তা শুনছেন। অভিনেত্রী হিসেবে আফসানা মিমির তখন অনেক নামডাক। টিভি নাটকে ভালো অভিনয়ের সুবাদে তাঁর তারকাখ্যাতি চারদিকে। সেই অভিনেত্রীকে থানায় এভাবে চেঁচামেচি করতে দেখে একটু অবাক হলাম। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাঁর কথা শুনলাম। এরপর নিজের পরিচয় দিয়ে জানতে চাইলাম, কী হয়েছে।
আমার পরিচয় পেয়ে মিমি কিছুটা শান্ত হলেন। এরপর আমার অফিসের এক সহকর্মীর নাম নিয়ে বললেন, তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমাকে ঘটনা বলতে শুরু করেছেন মিমি, ঠিক তখনই ওসি এলেন। তখন রমনা থানার ওসি ছিলেন মোজাম্মেল হোসেন। এই থানায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি ডিবির জনসংযোগ শাখায় ছিলেন। সে কারণে সব ক্রাইম রিপোর্টার তাঁর পরিচিত। আমাকে ও আফসানা মিমিকে একসঙ্গে দেখে তিনি ধরে নিয়েছেন, আমরা দুজন একই কাজে এসেছি। রুমে ঢোকার মুখে আমাদের তাঁর সঙ্গে আসতে বললেন। ভেতরে ঢুকে ওসি বেশ বিনয়ের সঙ্গে আমার কাছে জানতে চাইলেন, অভিনেত্রীর সঙ্গে কেন থানায় এসেছি। ওসিকে বললাম, ‘আমি অভিনেত্রীর সঙ্গে আসিনি। আমরা যে যাঁর মতো এসেছি।’
ওসি এবার আফসানা মিমির কাছে জানতে চাইলেন, এত সকালে তিনি কেন থানায় এসেছেন। মিমি আর চুপ থাকতে পারছেন না। তিনি বললেন, তাঁর তিন সহকর্মীকে গত রাতে পুলিশ অন্যায়ভাবে ধরে এনেছে। তাঁদের এখনই ছেড়ে দিতে হবে। ওসি মিমির আবদার শুনে একটু চুপ হয়ে গেলেন। ওসির কথা শুনে আমার মনে হলো, পুরো ঘটনা তিনি আগেই জেনেছেন। আফসানা মিমিকে থামিয়ে দিয়ে ওসি বললেন, ‘দেখুন ম্যাডাম, মামলা হয়ে গেছে, এখন পুলিশের আর কিছুই করার নেই।’ কিন্তু মিমি এসব শুনতে চান না। তিনি তিনজনের মুক্তি চান। ওসি অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাঁকে থামালেন, জামিনের প্রস্তুতি নিতে বললেন। জামিনের কথা শুনে মিমি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন। তিনি থানা থেকেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার কথা আবারও বললেন।
ততক্ষণে আমি ঘটনার কিছুটা জেনে ফেলেছি। ওসি আর মিমির কথা শুনে সব আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল। ঘটনা হলো, মিমি যাঁদের সহকর্মী বললেন, তাঁদের একজন হলেন নামকরা অভিনেতা আবুল কালাম আজাদ পাভেল (আজাদ আবুল কালাম)। অন্য দুজন হলেন নজরুল ইসলাম ও শাহরিয়ার। ওই তিনজনকে রাতে গ্রেপ্তারের পর থানায় রাখা হয়েছে। জানতে পারলাম, আগের রাতে মগবাজার মোড় থেকে পুলিশ তাঁদের আটক করেছিল। এরপর সারা রাত হাজতেই ছিলেন তাঁরা।
যেটা শুনলাম, সেদিন ছিল শনিবার (২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর)। রাতে তাঁরা তিনজন মগবাজার থেকে শেওড়াপাড়ায় যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি খুঁজছিলেন। তাঁদের সম্ভবত খুব জরুরি কোনো কাজ ছিল। মগবাজার মোড়ে তখন স্যালিডা ক্যাবের একটিমাত্র ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে ছিল।
চালক শাহাদত গাড়িতে বসে বিশ্রাম করছিলেন। তিনজনই গাড়ির চালক শাহাদতকে যাওয়ার জন্য বারবার বলেন, কিন্তু শাহাদত তাঁদের কথামতো যেতে রাজি হননি। এ নিয়ে শুরু হয় কথা-কাটাকাটি। একপর্যায়ে তিনজনের একজন শাহাদতের মুখে ঘুষি মেরে বসেন। এতে শাহাদতের দুটি দাঁত ভেঙে যায়। আহত শাহাদত ‘ছিনতাইকারী’ বলে চিৎকার দেন। একটু দূরে পুলিশের একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। পুলিশ সদস্যরা ঘটনা শুনে তখনই সবাইকে ধরে থানায় নিয়ে যান। রাতেই শাহাদতকে দিয়ে মামলা করানো হয়। সেই মামলায় মারধরের সঙ্গে চালকের টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়। মামলার আসামি হিসেবে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সকালে সেই খবর শুনে থানায় ছুটে আসেন মিমি।
যা হোক, ওসি তাঁদের ছাড়তে রাজি না হওয়ায় মিমি বিভিন্নজনকে ফোন করতে শুরু করেন। আমি অফিসে গিয়ে এ ঘটনার কথা জানিয়ে আবার থানায় ফিরে আসি। দুপুরের দিকে সবাইকে আদালতে পাঠানো হয়। মিমির সঙ্গে আদালতে যাই। সেই সময়ের নাটকের আরও অনেক মানুষ আদালতে যান। কয়েকজন নামকরা আইনজীবী আসামিদের পক্ষে দাঁড়িয়ে জামিনের আবেদন করেন। অনেকক্ষণ জেরার পর তিনজনকে জামিন দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
তাঁর সহকর্মীরা জামিন পাওয়ার পর মিমি আমাকে বললেন, ‘কথায় আছে না, বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা আর পুলিশ ছুঁলে ৩৬ ঘা। আজ আমি সত্যিই ৩৬ ঘা দেখলাম।’ আমি কিছু না বলে মোটরসাইকেলে উঠলাম। হাতে সময় নেই। জ্যাম ঠেলে সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে হবে।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

প্রতিদিন বেলা ১১টায় রিপোর্টার্স মিটিং। জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান নিজে সেই মিটিংয়ের মধ্যমণি। গ্রীষ্ম-বর্ষা বলে কোনো কথা নেই। মিটিংয়ে গরহাজির হলে হাজারটা কৈফিয়ত, মিথ্যা বলেও পার পাওয়ার জো নেই।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

প্রতিদিন বেলা ১১টায় রিপোর্টার্স মিটিং। জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান নিজে সেই মিটিংয়ের মধ্যমণি। গ্রীষ্ম-বর্ষা বলে কোনো কথা নেই। মিটিংয়ে গরহাজির হলে হাজারটা কৈফিয়ত, মিথ্যা বলেও পার পাওয়ার জো নেই।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

প্রতিদিন বেলা ১১টায় রিপোর্টার্স মিটিং। জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান নিজে সেই মিটিংয়ের মধ্যমণি। গ্রীষ্ম-বর্ষা বলে কোনো কথা নেই। মিটিংয়ে গরহাজির হলে হাজারটা কৈফিয়ত, মিথ্যা বলেও পার পাওয়ার জো নেই।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

প্রতিদিন বেলা ১১টায় রিপোর্টার্স মিটিং। জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান নিজে সেই মিটিংয়ের মধ্যমণি। গ্রীষ্ম-বর্ষা বলে কোনো কথা নেই। মিটিংয়ে গরহাজির হলে হাজারটা কৈফিয়ত, মিথ্যা বলেও পার পাওয়ার জো নেই।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে