কামরুল হাসান

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় জরিনার চরিত্রের জন্য মায়াবী মুখের একজন অভিনেত্রী চাই। সেই অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলেন মিনা পাল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মেয়েটিকে দেখেই নাম বদলে রাখলেন ‘কবরী’, সেটা ১৯৬৪ সালে। এরপর পাহাড়সম জনপ্রিয়তা নিয়ে পাখির মতো উড়তে থাকেন কবরী। এই মিষ্টি মেয়ে ১৯৭৮ সালে এক পীরের আস্তানায় গিয়ে ধর্মান্তরিত হন, সেখানেই বিয়ে করেন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের চাচা, ব্যবসায়ী সফিউদ্দীন সারওয়ার বাবুকে। পীরের নাম মজিবর রহমান চিশতি।
সেই পীর যেদিন খুন হলেন, সেদিন সকাল থেকে দুপুর অবধি আমি কবরী সারওয়ারকে মোহাম্মদপুরে পীরের আস্তানায় বসে কাঁদতে দেখেছি। তবে কবরী সারওয়ারের সঙ্গে পীরের এত সুসম্পর্ক বাইরের লোকেরা খুব কমই জানতেন। মজিবর রহমান চিশতি সম্পর্কে প্রচলিত ছিল, তিনি পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পীর।
সাংবাদিকতা জীবনের শুরুতে চলনে-বলনে মহাক্ষমতাধর এই পীর নিয়ে অনেক সত্য-মিথ্যা শুনেছি। এমন পীর দেখে নিজের চোখ জুড়ানোর ইচ্ছেও বার কয়েক উঁকি দিয়েছে মনে। কিন্তু যাব-যাচ্ছি করে শেষমেশ আর যাওয়া হয়নি। যেদিন গেলাম, সেদিন গিয়ে দেখি, দোতলায় বাথরুমের মেঝেতে তাঁর জবাই করা লাশ উপুড় হয়ে পড়ে আছে।
পুলিশের ঢাকা নগর বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) এসএস ছিলেন মো. ইমামুল হোসেন। আমরা ডাকতাম ফিরোজ ভাই বলে। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে অনেক দিন হাইকোর্টে ওকালতিও করেছিলেন। সেই ফিরোজ ভাই ২০০০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে ফোন করে ঘুম ভাঙালেন পীর খুনের খবর দিয়ে। তড়িঘড়ি তৈরি হয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি, উত্তর বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ দলবল নিয়ে আগেই হাজির। সিআইডির একটি দল এসেছে। তারা ঘুরে ঘুরে ‘অপরাধের চিহ্ন’ খুঁজছে।
মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে এখন যেখানে মা ও শিশু হাসপাতাল, তার ঠিক উত্তর দিকের দেয়াল ঘেঁষে যে সড়ক চলে গেছে, তারই নাম শের শাহ সুরি রোড। এই সড়ক ধরে একটু এগোতেই একটি পুরোনো দোতলা বাড়ির নাম ‘বাগদাদি মহল’। এটাই পীর মজিবর রহমানের আস্তানা। বাড়িটি ছিল পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এরশাদের আমলে চিশতি সেটা বরাদ্দ পান। এ বাড়ির নিচতলায় ৪টি এবং ওপরের তলায় ৫টি কক্ষ। নিচতলায় নুরে মদিনা আজমেরী দরবার, ওপরে চিশতির খাসকামরা ও ইবাদতখানা। দোতলায় একটি কক্ষে থাকেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের পদস্থ কর্মকর্তা হুমায়ুন চৌধুরীর স্ত্রী রিজিয়া চৌধুরী। অন্য কক্ষে এতিমখানা ও মাদ্রাসার মালামাল। সরু বারান্দার পাশে চিশতির থাকার ঘর। মেঝেতে ভেলভেটের কার্পেটের ওপর বিঘত-পুরু গদির ধবধবে সাদা বিছানা।
ক্রাইম রিপোর্ট লেখার ক্ষেত্রে একটি প্রচলিত সহজ পদ্ধতি হলো, শুরুতেই অকুস্থলের আদ্যোপান্ত পাঠককে জানিয়ে দেওয়া, যাতে পাঠক পরিবেশ-পরিস্থিতিটা ভালোভাবে বুঝতে পারেন। এ বাড়ির বাসিন্দা মোট তিনজন। চিশতি ছাড়াও দোতলায় একটি কক্ষে থাকেন রিজিয়া চৌধুরী।
নিচতলায় থাকেন পীরের কাজের ছেলে আলমগীর। তিনতলা থেকে দোতলায় আসার একটিমাত্র সিঁড়ি। সিঁড়ি থেকে চিশতির খাসকামরায় আসতে ৪টি লোহার গেট। অনুমতি ছাড়া বহিরাগত কারও ভেতরে আসা দুঃসাধ্য। সব গেটের চাবি থাকত আলমগীরের কাছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মহসিন উজ্জামান ততক্ষণে আলমগীরকে পাকড়াও করে গাড়িতে বসিয়ে রেখেছেন। ওসির অনুমতি নিয়ে আলমগীরের কাছে জানতে চাইলাম, রাতে কী হয়েছিল? আলমগীর বললেন, বৃহস্পতিবারের বিশেষ প্রার্থনার পর ১৫-১৬ জন লোক খাওয়াদাওয়া করেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পর আসেন চিশতির খালাতো ভাই আমান ও তাঁর বন্ধু এরশাদ। রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে তাঁরা চিশতির সঙ্গে বসে গল্প করতে থাকেন। এসব দেখে তিনি ঘুমাতে যান। সকালে উঠে দেখেন, আমান ও এরশাদ নেই, দরজায় বাইরে থেকে তালা দেওয়া। ভেতরে উঁকি মেরে দেখেন রক্তের দাগ। এরপর রিজিয়া চৌধুরীকে ডাকেন।
রিজিয়া চৌধুরী খুবই শক্ত মানুষ। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না। আমার সামনে পুলিশকে বললেন, এ ঘটনা দেখে তিনি বাইরে গিয়ে সাবেক ব্যাংকার মঞ্জুরুল বারী, ভালুকার তৎকালীন এমপি আবদুল্লাহ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মনসুরকে ফোন করেন। এরপর পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে, বাথরুমের ভেতরে পড়ে আছে জবাই করা মরদেহ।
মজিবর রহমান চিশতির বয়স তখন ৫০-৫২ হবে, তিনি ছিলেন অবিবাহিত। তাঁর বাবা আনিস রহমান জয়পুরহাট জেলার চকবরকত গ্রামের সাধারণ কৃষক। তিন ভাই আর দুই বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তাঁর বড় ভাই আফাজ উদ্দিন ১৯৮৫ সালে ক্যানসারে মারা যান। মেজ ভাই শেখ সাদি ১৯৮৭ সালের ৫ জুলাই জয়পুরহাটে জমিজমা নিয়ে বিরোধে খুন হয়। চিশতির দুই বোন রহিমা ও মোমেনা ঢাকায় থাকেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে চিশতির কোনো পারিবারিক সম্পর্ক ছিল না। তিনি একাই মোহাম্মদপুরের আস্তানায় থাকতেন। মোহাম্মদপুরের সেই দরবার ছাড়াও মিরপুর ও ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় তাঁর আরও দুটি বাড়ি ছিল। আর জয়পুরহাটে ছিল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। মিরপুরের বাড়িতে একসময় এরশাদ ও জিনাত অভিসারে যেতেন। ঢাকা সেনানিবাসের একটি বাড়ি নিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল নাসিম আপত্তি জানিয়েছিলেন।
এই লেখার শুরুতে আমি পীর মজিবর রহমানকে অত্যন্ত ‘ক্ষমতাধর’ লোক হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম। সেটা এবার বলি। পীর মজিবর রাজশাহী ও নাটোরের দুটি মাদ্রাসায় কয়েক বছর পড়েছিলেন। তবে সেটাও শেষ করতে পারেননি। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে ষাটের দশকে আজমির শরিফে গিয়ে বছরখানেক কাটান। ফিরে এসে নিজের নামের সঙ্গে চিশতি শব্দটি জুড়ে দেন। গ্রামে দরবার খুলে বসেন। স্বাধীনতার পর চলচ্চিত্র পরিচালক ইবনে মিজান একবার সেই আস্তানায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। ফিরে আসার পর সে বছর ইবনে মিজানের একটি ছবি ব্যবসাসফল হয়। এরপর চলচ্চিত্রের লোকজন দলে দলে তাঁর আস্তানায় ভিড় করতে থাকেন। সেই জোয়ারে কবরী সারওয়ারও মুরিদ হন।
এরপর ঢাকায় এসে মজিবর রহমান আস্তানা গাড়েন। ১৯৭৫ সালের দিকে কোতোয়ালির একটি আস্তানা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। শোনা যায়, সে সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর সে কথা ছড়িয়ে পড়লে তিনি ‘কামেল পীর’ খ্যাতি পেয়ে যান। এরপর জিয়াউর রহমানের সরকার ক্ষমতায় এসে তাঁকে মুক্তি দেন। ১৯৯৩ সালে তিনি সাদ্দাম হোসেনের আমন্ত্রণে ইরাক সফরে যান, সেখান থেকে ফেরার পথে ইসরায়েল ভ্রমণ করেন। ইসরায়েল থেকে দেশে ফেরার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে দেশে ঢুকতে না দিয়ে আবার ফেরত পাঠায়। পরে বেশ কিছুদিন বাইরে কাটিয়ে দেশে ফেরেন। ২০০০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আমেরিকা যাওয়ার সময় পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) তাঁর পাসপোর্ট আটক করে। এসবির কাছে খবর ছিল, একটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করতে তিনি আমেরিকায় যাচ্ছেন। সেই থেকে তিনি আর বিদেশ যেতে পারেননি।
পীর মজিবর রহমান একবার সাপ্তাহিক বিচিত্রায় একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তাতে বলেছিলেন, রিয়াজ আহমদ নামের তাঁর এক পাকিস্তানি মুরিদ ছিলেন, যাঁর ভাই জেনারেল ইমতিয়াজ ছিলেন পাকিস্তানি সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান। আইএসআই প্রধানের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর আস্তানায় দাওয়াত করেছিলেন। সেই দাওয়াত কবুল করতে ১৯৮৯ সালের ১ অক্টোবর ৪৩ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরে এসে জয়পুরহাটে তাঁর আস্তানায় যান বেনজির। তিনি সেখানে ১০-১২ মিনিট অবস্থান করেন। শোনা যায়, সে সময় তিনি বেনজিরকে নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেন। বেনজির বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার পর মজিবর রীতিমতো ‘তারকা’ পীরে পরিণত হন। দেশের বিভিন্ন সংস্থা, বাহিনী ও সরকারি পদস্থ লোকেরা তাঁর আস্তানায় ভিড় করতে থাকেন। ধানমন্ডিতে সে সময় শের এ খাজা নামে আরেকজন বিখ্যাত হয়ে উঠছিলেন। তিনি একবার আমাকে বলেছিলেন, মজিবর রহমান হলেন ঢাকায় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার ‘সেন্টার পয়েন্ট’।
এত কিছু শোনার পর প্রশ্ন উঠতেই পারে, এমন ক্ষমতাধর মানুষ খুন হলেন কী করে, কারাই-বা তাঁকে খুন করল। মজিবর রহমান খুনের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন তাঁর মুরিদ আমানুল্লাহ চৌধুরী। সেই মামলা এখনো সিআইডি তদন্ত করছে। এত বছরেও তদন্ত শেষ হয়নি। ২০০৬-০৭ এর দিকে আমার সন্দেহ হয়, এই খুনে জেএমবি জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে। কিন্তু জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি ও বাংলা ভাইয়ের জবানবন্দি আমি তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। অন্য অনেক পীর খুনের কথা বললেও তাঁরা কোথাও মজিবর খুনের কথা স্বীকার করেননি।
এখন একটাই আফসোস! যে পীর দুনিয়ার তাবৎ বড় বড় মানুষের ভবিষ্যদ্বাণী করে গেলেন, তিনি শুধু নিজের পরিণতির কথাটাই বুঝতে পারেননি।
আরও পড়ুন:

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় জরিনার চরিত্রের জন্য মায়াবী মুখের একজন অভিনেত্রী চাই। সেই অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলেন মিনা পাল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মেয়েটিকে দেখেই নাম বদলে রাখলেন ‘কবরী’, সেটা ১৯৬৪ সালে। এরপর পাহাড়সম জনপ্রিয়তা নিয়ে পাখির মতো উড়তে থাকেন কবরী। এই মিষ্টি মেয়ে ১৯৭৮ সালে এক পীরের আস্তানায় গিয়ে ধর্মান্তরিত হন, সেখানেই বিয়ে করেন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের চাচা, ব্যবসায়ী সফিউদ্দীন সারওয়ার বাবুকে। পীরের নাম মজিবর রহমান চিশতি।
সেই পীর যেদিন খুন হলেন, সেদিন সকাল থেকে দুপুর অবধি আমি কবরী সারওয়ারকে মোহাম্মদপুরে পীরের আস্তানায় বসে কাঁদতে দেখেছি। তবে কবরী সারওয়ারের সঙ্গে পীরের এত সুসম্পর্ক বাইরের লোকেরা খুব কমই জানতেন। মজিবর রহমান চিশতি সম্পর্কে প্রচলিত ছিল, তিনি পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পীর।
সাংবাদিকতা জীবনের শুরুতে চলনে-বলনে মহাক্ষমতাধর এই পীর নিয়ে অনেক সত্য-মিথ্যা শুনেছি। এমন পীর দেখে নিজের চোখ জুড়ানোর ইচ্ছেও বার কয়েক উঁকি দিয়েছে মনে। কিন্তু যাব-যাচ্ছি করে শেষমেশ আর যাওয়া হয়নি। যেদিন গেলাম, সেদিন গিয়ে দেখি, দোতলায় বাথরুমের মেঝেতে তাঁর জবাই করা লাশ উপুড় হয়ে পড়ে আছে।
পুলিশের ঢাকা নগর বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) এসএস ছিলেন মো. ইমামুল হোসেন। আমরা ডাকতাম ফিরোজ ভাই বলে। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে অনেক দিন হাইকোর্টে ওকালতিও করেছিলেন। সেই ফিরোজ ভাই ২০০০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে ফোন করে ঘুম ভাঙালেন পীর খুনের খবর দিয়ে। তড়িঘড়ি তৈরি হয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি, উত্তর বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ দলবল নিয়ে আগেই হাজির। সিআইডির একটি দল এসেছে। তারা ঘুরে ঘুরে ‘অপরাধের চিহ্ন’ খুঁজছে।
মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে এখন যেখানে মা ও শিশু হাসপাতাল, তার ঠিক উত্তর দিকের দেয়াল ঘেঁষে যে সড়ক চলে গেছে, তারই নাম শের শাহ সুরি রোড। এই সড়ক ধরে একটু এগোতেই একটি পুরোনো দোতলা বাড়ির নাম ‘বাগদাদি মহল’। এটাই পীর মজিবর রহমানের আস্তানা। বাড়িটি ছিল পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এরশাদের আমলে চিশতি সেটা বরাদ্দ পান। এ বাড়ির নিচতলায় ৪টি এবং ওপরের তলায় ৫টি কক্ষ। নিচতলায় নুরে মদিনা আজমেরী দরবার, ওপরে চিশতির খাসকামরা ও ইবাদতখানা। দোতলায় একটি কক্ষে থাকেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের পদস্থ কর্মকর্তা হুমায়ুন চৌধুরীর স্ত্রী রিজিয়া চৌধুরী। অন্য কক্ষে এতিমখানা ও মাদ্রাসার মালামাল। সরু বারান্দার পাশে চিশতির থাকার ঘর। মেঝেতে ভেলভেটের কার্পেটের ওপর বিঘত-পুরু গদির ধবধবে সাদা বিছানা।
ক্রাইম রিপোর্ট লেখার ক্ষেত্রে একটি প্রচলিত সহজ পদ্ধতি হলো, শুরুতেই অকুস্থলের আদ্যোপান্ত পাঠককে জানিয়ে দেওয়া, যাতে পাঠক পরিবেশ-পরিস্থিতিটা ভালোভাবে বুঝতে পারেন। এ বাড়ির বাসিন্দা মোট তিনজন। চিশতি ছাড়াও দোতলায় একটি কক্ষে থাকেন রিজিয়া চৌধুরী।
নিচতলায় থাকেন পীরের কাজের ছেলে আলমগীর। তিনতলা থেকে দোতলায় আসার একটিমাত্র সিঁড়ি। সিঁড়ি থেকে চিশতির খাসকামরায় আসতে ৪টি লোহার গেট। অনুমতি ছাড়া বহিরাগত কারও ভেতরে আসা দুঃসাধ্য। সব গেটের চাবি থাকত আলমগীরের কাছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মহসিন উজ্জামান ততক্ষণে আলমগীরকে পাকড়াও করে গাড়িতে বসিয়ে রেখেছেন। ওসির অনুমতি নিয়ে আলমগীরের কাছে জানতে চাইলাম, রাতে কী হয়েছিল? আলমগীর বললেন, বৃহস্পতিবারের বিশেষ প্রার্থনার পর ১৫-১৬ জন লোক খাওয়াদাওয়া করেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পর আসেন চিশতির খালাতো ভাই আমান ও তাঁর বন্ধু এরশাদ। রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে তাঁরা চিশতির সঙ্গে বসে গল্প করতে থাকেন। এসব দেখে তিনি ঘুমাতে যান। সকালে উঠে দেখেন, আমান ও এরশাদ নেই, দরজায় বাইরে থেকে তালা দেওয়া। ভেতরে উঁকি মেরে দেখেন রক্তের দাগ। এরপর রিজিয়া চৌধুরীকে ডাকেন।
রিজিয়া চৌধুরী খুবই শক্ত মানুষ। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না। আমার সামনে পুলিশকে বললেন, এ ঘটনা দেখে তিনি বাইরে গিয়ে সাবেক ব্যাংকার মঞ্জুরুল বারী, ভালুকার তৎকালীন এমপি আবদুল্লাহ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মনসুরকে ফোন করেন। এরপর পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে, বাথরুমের ভেতরে পড়ে আছে জবাই করা মরদেহ।
মজিবর রহমান চিশতির বয়স তখন ৫০-৫২ হবে, তিনি ছিলেন অবিবাহিত। তাঁর বাবা আনিস রহমান জয়পুরহাট জেলার চকবরকত গ্রামের সাধারণ কৃষক। তিন ভাই আর দুই বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তাঁর বড় ভাই আফাজ উদ্দিন ১৯৮৫ সালে ক্যানসারে মারা যান। মেজ ভাই শেখ সাদি ১৯৮৭ সালের ৫ জুলাই জয়পুরহাটে জমিজমা নিয়ে বিরোধে খুন হয়। চিশতির দুই বোন রহিমা ও মোমেনা ঢাকায় থাকেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে চিশতির কোনো পারিবারিক সম্পর্ক ছিল না। তিনি একাই মোহাম্মদপুরের আস্তানায় থাকতেন। মোহাম্মদপুরের সেই দরবার ছাড়াও মিরপুর ও ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় তাঁর আরও দুটি বাড়ি ছিল। আর জয়পুরহাটে ছিল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। মিরপুরের বাড়িতে একসময় এরশাদ ও জিনাত অভিসারে যেতেন। ঢাকা সেনানিবাসের একটি বাড়ি নিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল নাসিম আপত্তি জানিয়েছিলেন।
এই লেখার শুরুতে আমি পীর মজিবর রহমানকে অত্যন্ত ‘ক্ষমতাধর’ লোক হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম। সেটা এবার বলি। পীর মজিবর রাজশাহী ও নাটোরের দুটি মাদ্রাসায় কয়েক বছর পড়েছিলেন। তবে সেটাও শেষ করতে পারেননি। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে ষাটের দশকে আজমির শরিফে গিয়ে বছরখানেক কাটান। ফিরে এসে নিজের নামের সঙ্গে চিশতি শব্দটি জুড়ে দেন। গ্রামে দরবার খুলে বসেন। স্বাধীনতার পর চলচ্চিত্র পরিচালক ইবনে মিজান একবার সেই আস্তানায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। ফিরে আসার পর সে বছর ইবনে মিজানের একটি ছবি ব্যবসাসফল হয়। এরপর চলচ্চিত্রের লোকজন দলে দলে তাঁর আস্তানায় ভিড় করতে থাকেন। সেই জোয়ারে কবরী সারওয়ারও মুরিদ হন।
এরপর ঢাকায় এসে মজিবর রহমান আস্তানা গাড়েন। ১৯৭৫ সালের দিকে কোতোয়ালির একটি আস্তানা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। শোনা যায়, সে সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর সে কথা ছড়িয়ে পড়লে তিনি ‘কামেল পীর’ খ্যাতি পেয়ে যান। এরপর জিয়াউর রহমানের সরকার ক্ষমতায় এসে তাঁকে মুক্তি দেন। ১৯৯৩ সালে তিনি সাদ্দাম হোসেনের আমন্ত্রণে ইরাক সফরে যান, সেখান থেকে ফেরার পথে ইসরায়েল ভ্রমণ করেন। ইসরায়েল থেকে দেশে ফেরার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে দেশে ঢুকতে না দিয়ে আবার ফেরত পাঠায়। পরে বেশ কিছুদিন বাইরে কাটিয়ে দেশে ফেরেন। ২০০০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আমেরিকা যাওয়ার সময় পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) তাঁর পাসপোর্ট আটক করে। এসবির কাছে খবর ছিল, একটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করতে তিনি আমেরিকায় যাচ্ছেন। সেই থেকে তিনি আর বিদেশ যেতে পারেননি।
পীর মজিবর রহমান একবার সাপ্তাহিক বিচিত্রায় একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তাতে বলেছিলেন, রিয়াজ আহমদ নামের তাঁর এক পাকিস্তানি মুরিদ ছিলেন, যাঁর ভাই জেনারেল ইমতিয়াজ ছিলেন পাকিস্তানি সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান। আইএসআই প্রধানের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর আস্তানায় দাওয়াত করেছিলেন। সেই দাওয়াত কবুল করতে ১৯৮৯ সালের ১ অক্টোবর ৪৩ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরে এসে জয়পুরহাটে তাঁর আস্তানায় যান বেনজির। তিনি সেখানে ১০-১২ মিনিট অবস্থান করেন। শোনা যায়, সে সময় তিনি বেনজিরকে নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেন। বেনজির বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার পর মজিবর রীতিমতো ‘তারকা’ পীরে পরিণত হন। দেশের বিভিন্ন সংস্থা, বাহিনী ও সরকারি পদস্থ লোকেরা তাঁর আস্তানায় ভিড় করতে থাকেন। ধানমন্ডিতে সে সময় শের এ খাজা নামে আরেকজন বিখ্যাত হয়ে উঠছিলেন। তিনি একবার আমাকে বলেছিলেন, মজিবর রহমান হলেন ঢাকায় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার ‘সেন্টার পয়েন্ট’।
এত কিছু শোনার পর প্রশ্ন উঠতেই পারে, এমন ক্ষমতাধর মানুষ খুন হলেন কী করে, কারাই-বা তাঁকে খুন করল। মজিবর রহমান খুনের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন তাঁর মুরিদ আমানুল্লাহ চৌধুরী। সেই মামলা এখনো সিআইডি তদন্ত করছে। এত বছরেও তদন্ত শেষ হয়নি। ২০০৬-০৭ এর দিকে আমার সন্দেহ হয়, এই খুনে জেএমবি জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে। কিন্তু জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি ও বাংলা ভাইয়ের জবানবন্দি আমি তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। অন্য অনেক পীর খুনের কথা বললেও তাঁরা কোথাও মজিবর খুনের কথা স্বীকার করেননি।
এখন একটাই আফসোস! যে পীর দুনিয়ার তাবৎ বড় বড় মানুষের ভবিষ্যদ্বাণী করে গেলেন, তিনি শুধু নিজের পরিণতির কথাটাই বুঝতে পারেননি।
আরও পড়ুন:

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৫ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৪ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় জরিনার চরিত্রের জন্য মায়াবী মুখের একজন অভিনেত্রী চাই। সেই অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলেন মিনা পাল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মেয়েটিকে দেখেই নাম বদলে রাখলেন
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৫ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৪ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় জরিনার চরিত্রের জন্য মায়াবী মুখের একজন অভিনেত্রী চাই। সেই অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলেন মিনা পাল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মেয়েটিকে দেখেই নাম বদলে রাখলেন
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৪ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় জরিনার চরিত্রের জন্য মায়াবী মুখের একজন অভিনেত্রী চাই। সেই অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলেন মিনা পাল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মেয়েটিকে দেখেই নাম বদলে রাখলেন
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় জরিনার চরিত্রের জন্য মায়াবী মুখের একজন অভিনেত্রী চাই। সেই অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলেন মিনা পাল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মেয়েটিকে দেখেই নাম বদলে রাখলেন
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৫ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৪ দিন আগে