কামরুল হাসান

লুইস গারাভিটোর নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। কারণ, তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার, বাংলায় যাকে বলি ক্রমিক খুনি। কলম্বিয়ার এই নাগরিক ১৯৯২ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিন শতাধিক খুন করেন, যাদের প্রায় সবাই ছিল শিশু। গ্রেপ্তারের পর লুইস ১৮৯টি খুনের কথা নিজেই স্বীকার করেন। ৮৩৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই খুনি এখন কলম্বিয়ার ভ্যালেদুপার কারাগারে বন্দী।
লুইসের বৈশিষ্ট্য হলো, খুনের আগে তিনি শিশুদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করতেন। তাঁর টার্গেট করা শিশুদের প্রায় সবাই ছিল পথশিশু। এসব খুনের কোনো ক্লু সহজে পাওয়া যেত না। কিন্তু একটি খুনের বেলায় অকুস্থলে তাঁর বান্ধবীর লেখা একটি চিরকুট পকেট থেকে পড়ে যায়। সেটাই কাল হয় লুইসের। সেই সূত্র ধরে পুলিশ তাঁকে পাকড়াও করে।
লুইসের সঙ্গে বাংলাদেশের চাঁদপুরের সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর কস্মিনকালেও দেখা হয়নি, হওয়ার কোনো কারণও নেই। অথচ অদ্ভুত মিল আছে দুই খুনির। রসু খাঁ খুন করতেন শুধু নারীদের। সেই নারীরা সবাই ছিলেন দরিদ্র পরিবারের। যাঁদের খুন করেছেন, তাঁদের একজন ছাড়া সবাইকে তিনি খুনের আগে ধর্ষণ করেছেন। আবার সব খুন করেছেন রাতে। শুধু তাই নয়, কোনো না কোনো খালের কিনারে নিয়েই তিনি এঁদের খুন করেছেন। এসব খুনের কোনো ক্লু ছিল না। তার পরও লুইসের মতো রসু খাঁকে পুলিশ শনাক্ত করে একটি মোবাইল সিমের সূত্র ধরে।
গ্রেপ্তারের পর রসু খাঁ নিজেই ১১ খুনের কথা স্বীকার করেন। পুলিশের ধারণা, তাঁর খুনের সংখ্যা আরও বেশি। রসু খাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলার রায়ে তাঁর ফাঁসি হয়েছে, একটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।
ক্রাইম রিপোর্টার হওয়ার সুবাদে জীবনে অনেক পেশাদার ও অপেশাদার খুনির সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু রসু খাঁ আমাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছেন। সব খুনের ঘটনা তিনি স্বীকার করেছেন অকপটে, কোনো রাখঢাক নেই। কীভাবে খুন করেছিলেন, তা-ও বলেছেন প্রতিটির খুঁটিনাটি, ধরে ধরে। শুনতে শুনতে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, লোকটা আমাকে বোকা বানাচ্ছে না তো! কিন্তু বর্ণনায় কোথাও কোনো খামতি নেই, অবিশ্বাস করব কী করে?
রসু খাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল ২০০৯ সালের ১১ অক্টোবর চাঁদপুর কারাগারে। এই দেখা হওয়ার চার দিন আগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম সিরিয়াল কিলার গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছিলেন চাঁদপুরের সাংবাদিক আলম পলাশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের বর্তমান অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় তখন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার। তাঁকে ফোন করতেই রসু খাঁর কথা বললেন। পরদিন আশীষ উর রহমান শুভকে নিয়ে গেলাম চাঁদপুরে।
চাঁদপুর জেলখানাটা শহরের ভেতরে, খুবই সাদামাটা। জেলারের কাছে গিয়ে পরিচয় দিতেই কাজ হলো। তিনি রসু খাঁর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দিলেন। আমরা গেলাম জেলের ভেতরে। রসু খাঁ তখন নিজের সেলে শুয়ে শুয়ে গান গাইছিলেন।
নাম ধরে ডাকতেই উঠে বসলেন। নির্মেদ শরীর, একহারা গড়ন। সাড়ে পাঁচ ফুটের মতো উচ্চতা। মাথায় খুলি কামড়ে আছে ছোট করে ছাঁটা চুল। ডিম্বাকৃতির মুখমণ্ডল; কিন্তু চোখের দিকে তাকাতেই বুক কেঁপে ওঠে। ভাবলেশহীন স্থিরদৃষ্টি। সেই দৃষ্টিতে অপলক তাকিয়ে থাকলেন। শুরু হলো কথোপকথন।
রসু খাঁর আসল নাম রশিদ খাঁ। বাবা আবুল হোসেন ওরফে মনু খাঁ ছিলেন একজন খেতমজুর। বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামে। অভাবের সংসার। আয় বলতে নির্দিষ্ট কিছু ছিল না। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে কিছুদিন যাওয়া-আসার পর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। সাত বছর বয়সে পাশের বাড়ির একজনের মুরগি দিয়ে চুরিজীবনের শুরু। চুরি করতে গিয়ে ধরাও পড়েন কয়েকবার। এলাকায় তাঁর চোর পরিচয় পোক্ত হতে থাকে। এরপর ঢাকায় আসেন। তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ নেন। চুরির দায়ে চাকরিও চলে যায়। দিনের বেলায় তিনি ঢাকায় থাকতেন। সন্ধ্যা হলে চলে যেতেন চাঁদপুরে। এ-বাড়ি ও-বাড়ি চুরি করে ভোর হওয়ার আগে ঢাকায় রওনা হতেন।
খুনের নেশা মাথায় এল কী করে? বললেন, বিয়ের আগে এক মেয়েকে ভালোবাসতেন। একদিন সেই মেয়ের ভাইয়েরা ধরে তাঁর হাত ভেঙে দেয়। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে প্রতিজ্ঞা করেন জীবনে ১০১টি খুন করবেন, তারপর সন্ন্যাস নিয়ে মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়াবেন।
তাহলে এত দিন কী করলেন? রসু খাঁ বলেন, তারপর বিয়ে করলাম, ছেলেমেয়ে হলো। চিন্তা করলাম, ছেলেমেয়েরা আগে বড় হোক, তারপর এই পথে নামব। বাচ্চারা বড় হওয়ার জন্য খুনের প্রতিজ্ঞা পূরণে ১২ বছর অপেক্ষা করতে হলো।
রসু খাঁর এসব কথা শুনতে বড় অদ্ভুত লাগে। রসু খাঁ বলে যান। খুনে প্রথম হাত পাকালেন নিজের শ্যালক মান্নানের স্ত্রী শাহিদাকে খুন করে। এই খুনে অবশ্য মান্নান তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ২০০৭ সালে টঙ্গীর মুদি দোকানি মানিকের প্রেমিকাকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এনে চুবিয়ে মেরে ফেলেন। এক নারী পোশাকশ্রমিক তাঁর ছেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। একদিন তাঁকেও খুন করেন। এক নারীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে তাঁকেও চাঁদপুরে ডেকে এনে খুন করেন। এভাবে একটার পর একটা খুনের গল্প বলে যান অবলীলায়। বলতে বলতে ভুলে যান। আবার বলেন একই গল্প। যখন এসব গল্প বলেন, তাঁর দৃষ্টি থাকে শূন্যের দিকে, কারও দিকেই তাকান না।
রসুর কাছে জানতে চাইলাম, খুনের আগে ধর্ষণ বা নির্যাতন করেন কেন? তাঁর একটাই জবাব: মাথা ঠিক থাকে না, কী করব, স্যার? এর পরের টার্গেট কে ছিল—জানতে চাইলে রসু বললেন, ‘সেটা ঠিক করার আগেই তো পুলিশ আমাকে জেলে ভরল।’
কাউকে খুনের সময় সহানুভূতি জাগেনি—এমন প্রশ্ন করা ঠিক হবে কি না, ভেবে নিয়েও করে ফেললাম। রসুর জবাব, আগে লাগেনি, এখন খুব খারাপ লাগে।
পরদিন আদালতে তোলা হলো রসু খাঁকে। আদালতের বারান্দায় রসুর স্ত্রী রিনা আর তিন সন্তান—পরি, রুবেল ও সাব্বির। কেউ কোনো কথা বলে না। শুধু ১৪ বছরের সাব্বির বলল, ‘বাবা তো এ রকম নন।’
রিনা স্বামীর দিকে তাকিয়ে থাকেন। বলেন, ‘কেমনে তুমি এত কিছু করলা? আমরা এক দিনের জন্যও টের পাইলাম না?’ স্ত্রীর কথা শুনে রসু খাঁ খানিকটা উদ্ভ্রান্ত। মাথার চুল দুই হাতে খামচে ধরে বলেন, ‘আমার আশা ছাইড়া দাও, আমার ফাঁসি হইব। তুমি কিন্তু আর বিয়া বইসো না, পোলাপানগুলারে মানুষ কইরো।’
রিনা বেগমের বিস্ময় বাকি সবার কৌতূহল, ঔৎসুক্য আর জিজ্ঞাসাকে ছাপিয়ে যায়। নীরবে চোখের পানি মোছেন রিনা, কিছুই বলতে পারেন না। তাঁকে জড়িয়ে থাকে তিন সন্তান। আদালতের বারান্দায় আমিও দাঁড়িয়ে থাকি নীরব হয়ে, কী আর বলব?

লুইস গারাভিটোর নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। কারণ, তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার, বাংলায় যাকে বলি ক্রমিক খুনি। কলম্বিয়ার এই নাগরিক ১৯৯২ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিন শতাধিক খুন করেন, যাদের প্রায় সবাই ছিল শিশু। গ্রেপ্তারের পর লুইস ১৮৯টি খুনের কথা নিজেই স্বীকার করেন। ৮৩৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই খুনি এখন কলম্বিয়ার ভ্যালেদুপার কারাগারে বন্দী।
লুইসের বৈশিষ্ট্য হলো, খুনের আগে তিনি শিশুদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করতেন। তাঁর টার্গেট করা শিশুদের প্রায় সবাই ছিল পথশিশু। এসব খুনের কোনো ক্লু সহজে পাওয়া যেত না। কিন্তু একটি খুনের বেলায় অকুস্থলে তাঁর বান্ধবীর লেখা একটি চিরকুট পকেট থেকে পড়ে যায়। সেটাই কাল হয় লুইসের। সেই সূত্র ধরে পুলিশ তাঁকে পাকড়াও করে।
লুইসের সঙ্গে বাংলাদেশের চাঁদপুরের সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর কস্মিনকালেও দেখা হয়নি, হওয়ার কোনো কারণও নেই। অথচ অদ্ভুত মিল আছে দুই খুনির। রসু খাঁ খুন করতেন শুধু নারীদের। সেই নারীরা সবাই ছিলেন দরিদ্র পরিবারের। যাঁদের খুন করেছেন, তাঁদের একজন ছাড়া সবাইকে তিনি খুনের আগে ধর্ষণ করেছেন। আবার সব খুন করেছেন রাতে। শুধু তাই নয়, কোনো না কোনো খালের কিনারে নিয়েই তিনি এঁদের খুন করেছেন। এসব খুনের কোনো ক্লু ছিল না। তার পরও লুইসের মতো রসু খাঁকে পুলিশ শনাক্ত করে একটি মোবাইল সিমের সূত্র ধরে।
গ্রেপ্তারের পর রসু খাঁ নিজেই ১১ খুনের কথা স্বীকার করেন। পুলিশের ধারণা, তাঁর খুনের সংখ্যা আরও বেশি। রসু খাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলার রায়ে তাঁর ফাঁসি হয়েছে, একটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।
ক্রাইম রিপোর্টার হওয়ার সুবাদে জীবনে অনেক পেশাদার ও অপেশাদার খুনির সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু রসু খাঁ আমাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছেন। সব খুনের ঘটনা তিনি স্বীকার করেছেন অকপটে, কোনো রাখঢাক নেই। কীভাবে খুন করেছিলেন, তা-ও বলেছেন প্রতিটির খুঁটিনাটি, ধরে ধরে। শুনতে শুনতে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, লোকটা আমাকে বোকা বানাচ্ছে না তো! কিন্তু বর্ণনায় কোথাও কোনো খামতি নেই, অবিশ্বাস করব কী করে?
রসু খাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল ২০০৯ সালের ১১ অক্টোবর চাঁদপুর কারাগারে। এই দেখা হওয়ার চার দিন আগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম সিরিয়াল কিলার গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছিলেন চাঁদপুরের সাংবাদিক আলম পলাশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের বর্তমান অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় তখন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার। তাঁকে ফোন করতেই রসু খাঁর কথা বললেন। পরদিন আশীষ উর রহমান শুভকে নিয়ে গেলাম চাঁদপুরে।
চাঁদপুর জেলখানাটা শহরের ভেতরে, খুবই সাদামাটা। জেলারের কাছে গিয়ে পরিচয় দিতেই কাজ হলো। তিনি রসু খাঁর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দিলেন। আমরা গেলাম জেলের ভেতরে। রসু খাঁ তখন নিজের সেলে শুয়ে শুয়ে গান গাইছিলেন।
নাম ধরে ডাকতেই উঠে বসলেন। নির্মেদ শরীর, একহারা গড়ন। সাড়ে পাঁচ ফুটের মতো উচ্চতা। মাথায় খুলি কামড়ে আছে ছোট করে ছাঁটা চুল। ডিম্বাকৃতির মুখমণ্ডল; কিন্তু চোখের দিকে তাকাতেই বুক কেঁপে ওঠে। ভাবলেশহীন স্থিরদৃষ্টি। সেই দৃষ্টিতে অপলক তাকিয়ে থাকলেন। শুরু হলো কথোপকথন।
রসু খাঁর আসল নাম রশিদ খাঁ। বাবা আবুল হোসেন ওরফে মনু খাঁ ছিলেন একজন খেতমজুর। বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামে। অভাবের সংসার। আয় বলতে নির্দিষ্ট কিছু ছিল না। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে কিছুদিন যাওয়া-আসার পর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। সাত বছর বয়সে পাশের বাড়ির একজনের মুরগি দিয়ে চুরিজীবনের শুরু। চুরি করতে গিয়ে ধরাও পড়েন কয়েকবার। এলাকায় তাঁর চোর পরিচয় পোক্ত হতে থাকে। এরপর ঢাকায় আসেন। তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ নেন। চুরির দায়ে চাকরিও চলে যায়। দিনের বেলায় তিনি ঢাকায় থাকতেন। সন্ধ্যা হলে চলে যেতেন চাঁদপুরে। এ-বাড়ি ও-বাড়ি চুরি করে ভোর হওয়ার আগে ঢাকায় রওনা হতেন।
খুনের নেশা মাথায় এল কী করে? বললেন, বিয়ের আগে এক মেয়েকে ভালোবাসতেন। একদিন সেই মেয়ের ভাইয়েরা ধরে তাঁর হাত ভেঙে দেয়। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে প্রতিজ্ঞা করেন জীবনে ১০১টি খুন করবেন, তারপর সন্ন্যাস নিয়ে মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়াবেন।
তাহলে এত দিন কী করলেন? রসু খাঁ বলেন, তারপর বিয়ে করলাম, ছেলেমেয়ে হলো। চিন্তা করলাম, ছেলেমেয়েরা আগে বড় হোক, তারপর এই পথে নামব। বাচ্চারা বড় হওয়ার জন্য খুনের প্রতিজ্ঞা পূরণে ১২ বছর অপেক্ষা করতে হলো।
রসু খাঁর এসব কথা শুনতে বড় অদ্ভুত লাগে। রসু খাঁ বলে যান। খুনে প্রথম হাত পাকালেন নিজের শ্যালক মান্নানের স্ত্রী শাহিদাকে খুন করে। এই খুনে অবশ্য মান্নান তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ২০০৭ সালে টঙ্গীর মুদি দোকানি মানিকের প্রেমিকাকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এনে চুবিয়ে মেরে ফেলেন। এক নারী পোশাকশ্রমিক তাঁর ছেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। একদিন তাঁকেও খুন করেন। এক নারীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে তাঁকেও চাঁদপুরে ডেকে এনে খুন করেন। এভাবে একটার পর একটা খুনের গল্প বলে যান অবলীলায়। বলতে বলতে ভুলে যান। আবার বলেন একই গল্প। যখন এসব গল্প বলেন, তাঁর দৃষ্টি থাকে শূন্যের দিকে, কারও দিকেই তাকান না।
রসুর কাছে জানতে চাইলাম, খুনের আগে ধর্ষণ বা নির্যাতন করেন কেন? তাঁর একটাই জবাব: মাথা ঠিক থাকে না, কী করব, স্যার? এর পরের টার্গেট কে ছিল—জানতে চাইলে রসু বললেন, ‘সেটা ঠিক করার আগেই তো পুলিশ আমাকে জেলে ভরল।’
কাউকে খুনের সময় সহানুভূতি জাগেনি—এমন প্রশ্ন করা ঠিক হবে কি না, ভেবে নিয়েও করে ফেললাম। রসুর জবাব, আগে লাগেনি, এখন খুব খারাপ লাগে।
পরদিন আদালতে তোলা হলো রসু খাঁকে। আদালতের বারান্দায় রসুর স্ত্রী রিনা আর তিন সন্তান—পরি, রুবেল ও সাব্বির। কেউ কোনো কথা বলে না। শুধু ১৪ বছরের সাব্বির বলল, ‘বাবা তো এ রকম নন।’
রিনা স্বামীর দিকে তাকিয়ে থাকেন। বলেন, ‘কেমনে তুমি এত কিছু করলা? আমরা এক দিনের জন্যও টের পাইলাম না?’ স্ত্রীর কথা শুনে রসু খাঁ খানিকটা উদ্ভ্রান্ত। মাথার চুল দুই হাতে খামচে ধরে বলেন, ‘আমার আশা ছাইড়া দাও, আমার ফাঁসি হইব। তুমি কিন্তু আর বিয়া বইসো না, পোলাপানগুলারে মানুষ কইরো।’
রিনা বেগমের বিস্ময় বাকি সবার কৌতূহল, ঔৎসুক্য আর জিজ্ঞাসাকে ছাপিয়ে যায়। নীরবে চোখের পানি মোছেন রিনা, কিছুই বলতে পারেন না। তাঁকে জড়িয়ে থাকে তিন সন্তান। আদালতের বারান্দায় আমিও দাঁড়িয়ে থাকি নীরব হয়ে, কী আর বলব?
কামরুল হাসান

লুইস গারাভিটোর নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। কারণ, তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার, বাংলায় যাকে বলি ক্রমিক খুনি। কলম্বিয়ার এই নাগরিক ১৯৯২ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিন শতাধিক খুন করেন, যাদের প্রায় সবাই ছিল শিশু। গ্রেপ্তারের পর লুইস ১৮৯টি খুনের কথা নিজেই স্বীকার করেন। ৮৩৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই খুনি এখন কলম্বিয়ার ভ্যালেদুপার কারাগারে বন্দী।
লুইসের বৈশিষ্ট্য হলো, খুনের আগে তিনি শিশুদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করতেন। তাঁর টার্গেট করা শিশুদের প্রায় সবাই ছিল পথশিশু। এসব খুনের কোনো ক্লু সহজে পাওয়া যেত না। কিন্তু একটি খুনের বেলায় অকুস্থলে তাঁর বান্ধবীর লেখা একটি চিরকুট পকেট থেকে পড়ে যায়। সেটাই কাল হয় লুইসের। সেই সূত্র ধরে পুলিশ তাঁকে পাকড়াও করে।
লুইসের সঙ্গে বাংলাদেশের চাঁদপুরের সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর কস্মিনকালেও দেখা হয়নি, হওয়ার কোনো কারণও নেই। অথচ অদ্ভুত মিল আছে দুই খুনির। রসু খাঁ খুন করতেন শুধু নারীদের। সেই নারীরা সবাই ছিলেন দরিদ্র পরিবারের। যাঁদের খুন করেছেন, তাঁদের একজন ছাড়া সবাইকে তিনি খুনের আগে ধর্ষণ করেছেন। আবার সব খুন করেছেন রাতে। শুধু তাই নয়, কোনো না কোনো খালের কিনারে নিয়েই তিনি এঁদের খুন করেছেন। এসব খুনের কোনো ক্লু ছিল না। তার পরও লুইসের মতো রসু খাঁকে পুলিশ শনাক্ত করে একটি মোবাইল সিমের সূত্র ধরে।
গ্রেপ্তারের পর রসু খাঁ নিজেই ১১ খুনের কথা স্বীকার করেন। পুলিশের ধারণা, তাঁর খুনের সংখ্যা আরও বেশি। রসু খাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলার রায়ে তাঁর ফাঁসি হয়েছে, একটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।
ক্রাইম রিপোর্টার হওয়ার সুবাদে জীবনে অনেক পেশাদার ও অপেশাদার খুনির সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু রসু খাঁ আমাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছেন। সব খুনের ঘটনা তিনি স্বীকার করেছেন অকপটে, কোনো রাখঢাক নেই। কীভাবে খুন করেছিলেন, তা-ও বলেছেন প্রতিটির খুঁটিনাটি, ধরে ধরে। শুনতে শুনতে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, লোকটা আমাকে বোকা বানাচ্ছে না তো! কিন্তু বর্ণনায় কোথাও কোনো খামতি নেই, অবিশ্বাস করব কী করে?
রসু খাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল ২০০৯ সালের ১১ অক্টোবর চাঁদপুর কারাগারে। এই দেখা হওয়ার চার দিন আগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম সিরিয়াল কিলার গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছিলেন চাঁদপুরের সাংবাদিক আলম পলাশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের বর্তমান অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় তখন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার। তাঁকে ফোন করতেই রসু খাঁর কথা বললেন। পরদিন আশীষ উর রহমান শুভকে নিয়ে গেলাম চাঁদপুরে।
চাঁদপুর জেলখানাটা শহরের ভেতরে, খুবই সাদামাটা। জেলারের কাছে গিয়ে পরিচয় দিতেই কাজ হলো। তিনি রসু খাঁর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দিলেন। আমরা গেলাম জেলের ভেতরে। রসু খাঁ তখন নিজের সেলে শুয়ে শুয়ে গান গাইছিলেন।
নাম ধরে ডাকতেই উঠে বসলেন। নির্মেদ শরীর, একহারা গড়ন। সাড়ে পাঁচ ফুটের মতো উচ্চতা। মাথায় খুলি কামড়ে আছে ছোট করে ছাঁটা চুল। ডিম্বাকৃতির মুখমণ্ডল; কিন্তু চোখের দিকে তাকাতেই বুক কেঁপে ওঠে। ভাবলেশহীন স্থিরদৃষ্টি। সেই দৃষ্টিতে অপলক তাকিয়ে থাকলেন। শুরু হলো কথোপকথন।
রসু খাঁর আসল নাম রশিদ খাঁ। বাবা আবুল হোসেন ওরফে মনু খাঁ ছিলেন একজন খেতমজুর। বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামে। অভাবের সংসার। আয় বলতে নির্দিষ্ট কিছু ছিল না। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে কিছুদিন যাওয়া-আসার পর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। সাত বছর বয়সে পাশের বাড়ির একজনের মুরগি দিয়ে চুরিজীবনের শুরু। চুরি করতে গিয়ে ধরাও পড়েন কয়েকবার। এলাকায় তাঁর চোর পরিচয় পোক্ত হতে থাকে। এরপর ঢাকায় আসেন। তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ নেন। চুরির দায়ে চাকরিও চলে যায়। দিনের বেলায় তিনি ঢাকায় থাকতেন। সন্ধ্যা হলে চলে যেতেন চাঁদপুরে। এ-বাড়ি ও-বাড়ি চুরি করে ভোর হওয়ার আগে ঢাকায় রওনা হতেন।
খুনের নেশা মাথায় এল কী করে? বললেন, বিয়ের আগে এক মেয়েকে ভালোবাসতেন। একদিন সেই মেয়ের ভাইয়েরা ধরে তাঁর হাত ভেঙে দেয়। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে প্রতিজ্ঞা করেন জীবনে ১০১টি খুন করবেন, তারপর সন্ন্যাস নিয়ে মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়াবেন।
তাহলে এত দিন কী করলেন? রসু খাঁ বলেন, তারপর বিয়ে করলাম, ছেলেমেয়ে হলো। চিন্তা করলাম, ছেলেমেয়েরা আগে বড় হোক, তারপর এই পথে নামব। বাচ্চারা বড় হওয়ার জন্য খুনের প্রতিজ্ঞা পূরণে ১২ বছর অপেক্ষা করতে হলো।
রসু খাঁর এসব কথা শুনতে বড় অদ্ভুত লাগে। রসু খাঁ বলে যান। খুনে প্রথম হাত পাকালেন নিজের শ্যালক মান্নানের স্ত্রী শাহিদাকে খুন করে। এই খুনে অবশ্য মান্নান তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ২০০৭ সালে টঙ্গীর মুদি দোকানি মানিকের প্রেমিকাকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এনে চুবিয়ে মেরে ফেলেন। এক নারী পোশাকশ্রমিক তাঁর ছেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। একদিন তাঁকেও খুন করেন। এক নারীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে তাঁকেও চাঁদপুরে ডেকে এনে খুন করেন। এভাবে একটার পর একটা খুনের গল্প বলে যান অবলীলায়। বলতে বলতে ভুলে যান। আবার বলেন একই গল্প। যখন এসব গল্প বলেন, তাঁর দৃষ্টি থাকে শূন্যের দিকে, কারও দিকেই তাকান না।
রসুর কাছে জানতে চাইলাম, খুনের আগে ধর্ষণ বা নির্যাতন করেন কেন? তাঁর একটাই জবাব: মাথা ঠিক থাকে না, কী করব, স্যার? এর পরের টার্গেট কে ছিল—জানতে চাইলে রসু বললেন, ‘সেটা ঠিক করার আগেই তো পুলিশ আমাকে জেলে ভরল।’
কাউকে খুনের সময় সহানুভূতি জাগেনি—এমন প্রশ্ন করা ঠিক হবে কি না, ভেবে নিয়েও করে ফেললাম। রসুর জবাব, আগে লাগেনি, এখন খুব খারাপ লাগে।
পরদিন আদালতে তোলা হলো রসু খাঁকে। আদালতের বারান্দায় রসুর স্ত্রী রিনা আর তিন সন্তান—পরি, রুবেল ও সাব্বির। কেউ কোনো কথা বলে না। শুধু ১৪ বছরের সাব্বির বলল, ‘বাবা তো এ রকম নন।’
রিনা স্বামীর দিকে তাকিয়ে থাকেন। বলেন, ‘কেমনে তুমি এত কিছু করলা? আমরা এক দিনের জন্যও টের পাইলাম না?’ স্ত্রীর কথা শুনে রসু খাঁ খানিকটা উদ্ভ্রান্ত। মাথার চুল দুই হাতে খামচে ধরে বলেন, ‘আমার আশা ছাইড়া দাও, আমার ফাঁসি হইব। তুমি কিন্তু আর বিয়া বইসো না, পোলাপানগুলারে মানুষ কইরো।’
রিনা বেগমের বিস্ময় বাকি সবার কৌতূহল, ঔৎসুক্য আর জিজ্ঞাসাকে ছাপিয়ে যায়। নীরবে চোখের পানি মোছেন রিনা, কিছুই বলতে পারেন না। তাঁকে জড়িয়ে থাকে তিন সন্তান। আদালতের বারান্দায় আমিও দাঁড়িয়ে থাকি নীরব হয়ে, কী আর বলব?

লুইস গারাভিটোর নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। কারণ, তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার, বাংলায় যাকে বলি ক্রমিক খুনি। কলম্বিয়ার এই নাগরিক ১৯৯২ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিন শতাধিক খুন করেন, যাদের প্রায় সবাই ছিল শিশু। গ্রেপ্তারের পর লুইস ১৮৯টি খুনের কথা নিজেই স্বীকার করেন। ৮৩৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই খুনি এখন কলম্বিয়ার ভ্যালেদুপার কারাগারে বন্দী।
লুইসের বৈশিষ্ট্য হলো, খুনের আগে তিনি শিশুদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করতেন। তাঁর টার্গেট করা শিশুদের প্রায় সবাই ছিল পথশিশু। এসব খুনের কোনো ক্লু সহজে পাওয়া যেত না। কিন্তু একটি খুনের বেলায় অকুস্থলে তাঁর বান্ধবীর লেখা একটি চিরকুট পকেট থেকে পড়ে যায়। সেটাই কাল হয় লুইসের। সেই সূত্র ধরে পুলিশ তাঁকে পাকড়াও করে।
লুইসের সঙ্গে বাংলাদেশের চাঁদপুরের সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর কস্মিনকালেও দেখা হয়নি, হওয়ার কোনো কারণও নেই। অথচ অদ্ভুত মিল আছে দুই খুনির। রসু খাঁ খুন করতেন শুধু নারীদের। সেই নারীরা সবাই ছিলেন দরিদ্র পরিবারের। যাঁদের খুন করেছেন, তাঁদের একজন ছাড়া সবাইকে তিনি খুনের আগে ধর্ষণ করেছেন। আবার সব খুন করেছেন রাতে। শুধু তাই নয়, কোনো না কোনো খালের কিনারে নিয়েই তিনি এঁদের খুন করেছেন। এসব খুনের কোনো ক্লু ছিল না। তার পরও লুইসের মতো রসু খাঁকে পুলিশ শনাক্ত করে একটি মোবাইল সিমের সূত্র ধরে।
গ্রেপ্তারের পর রসু খাঁ নিজেই ১১ খুনের কথা স্বীকার করেন। পুলিশের ধারণা, তাঁর খুনের সংখ্যা আরও বেশি। রসু খাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলার রায়ে তাঁর ফাঁসি হয়েছে, একটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।
ক্রাইম রিপোর্টার হওয়ার সুবাদে জীবনে অনেক পেশাদার ও অপেশাদার খুনির সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু রসু খাঁ আমাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছেন। সব খুনের ঘটনা তিনি স্বীকার করেছেন অকপটে, কোনো রাখঢাক নেই। কীভাবে খুন করেছিলেন, তা-ও বলেছেন প্রতিটির খুঁটিনাটি, ধরে ধরে। শুনতে শুনতে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, লোকটা আমাকে বোকা বানাচ্ছে না তো! কিন্তু বর্ণনায় কোথাও কোনো খামতি নেই, অবিশ্বাস করব কী করে?
রসু খাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল ২০০৯ সালের ১১ অক্টোবর চাঁদপুর কারাগারে। এই দেখা হওয়ার চার দিন আগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম সিরিয়াল কিলার গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছিলেন চাঁদপুরের সাংবাদিক আলম পলাশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের বর্তমান অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় তখন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার। তাঁকে ফোন করতেই রসু খাঁর কথা বললেন। পরদিন আশীষ উর রহমান শুভকে নিয়ে গেলাম চাঁদপুরে।
চাঁদপুর জেলখানাটা শহরের ভেতরে, খুবই সাদামাটা। জেলারের কাছে গিয়ে পরিচয় দিতেই কাজ হলো। তিনি রসু খাঁর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দিলেন। আমরা গেলাম জেলের ভেতরে। রসু খাঁ তখন নিজের সেলে শুয়ে শুয়ে গান গাইছিলেন।
নাম ধরে ডাকতেই উঠে বসলেন। নির্মেদ শরীর, একহারা গড়ন। সাড়ে পাঁচ ফুটের মতো উচ্চতা। মাথায় খুলি কামড়ে আছে ছোট করে ছাঁটা চুল। ডিম্বাকৃতির মুখমণ্ডল; কিন্তু চোখের দিকে তাকাতেই বুক কেঁপে ওঠে। ভাবলেশহীন স্থিরদৃষ্টি। সেই দৃষ্টিতে অপলক তাকিয়ে থাকলেন। শুরু হলো কথোপকথন।
রসু খাঁর আসল নাম রশিদ খাঁ। বাবা আবুল হোসেন ওরফে মনু খাঁ ছিলেন একজন খেতমজুর। বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামে। অভাবের সংসার। আয় বলতে নির্দিষ্ট কিছু ছিল না। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে কিছুদিন যাওয়া-আসার পর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। সাত বছর বয়সে পাশের বাড়ির একজনের মুরগি দিয়ে চুরিজীবনের শুরু। চুরি করতে গিয়ে ধরাও পড়েন কয়েকবার। এলাকায় তাঁর চোর পরিচয় পোক্ত হতে থাকে। এরপর ঢাকায় আসেন। তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ নেন। চুরির দায়ে চাকরিও চলে যায়। দিনের বেলায় তিনি ঢাকায় থাকতেন। সন্ধ্যা হলে চলে যেতেন চাঁদপুরে। এ-বাড়ি ও-বাড়ি চুরি করে ভোর হওয়ার আগে ঢাকায় রওনা হতেন।
খুনের নেশা মাথায় এল কী করে? বললেন, বিয়ের আগে এক মেয়েকে ভালোবাসতেন। একদিন সেই মেয়ের ভাইয়েরা ধরে তাঁর হাত ভেঙে দেয়। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে প্রতিজ্ঞা করেন জীবনে ১০১টি খুন করবেন, তারপর সন্ন্যাস নিয়ে মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়াবেন।
তাহলে এত দিন কী করলেন? রসু খাঁ বলেন, তারপর বিয়ে করলাম, ছেলেমেয়ে হলো। চিন্তা করলাম, ছেলেমেয়েরা আগে বড় হোক, তারপর এই পথে নামব। বাচ্চারা বড় হওয়ার জন্য খুনের প্রতিজ্ঞা পূরণে ১২ বছর অপেক্ষা করতে হলো।
রসু খাঁর এসব কথা শুনতে বড় অদ্ভুত লাগে। রসু খাঁ বলে যান। খুনে প্রথম হাত পাকালেন নিজের শ্যালক মান্নানের স্ত্রী শাহিদাকে খুন করে। এই খুনে অবশ্য মান্নান তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ২০০৭ সালে টঙ্গীর মুদি দোকানি মানিকের প্রেমিকাকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এনে চুবিয়ে মেরে ফেলেন। এক নারী পোশাকশ্রমিক তাঁর ছেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। একদিন তাঁকেও খুন করেন। এক নারীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে তাঁকেও চাঁদপুরে ডেকে এনে খুন করেন। এভাবে একটার পর একটা খুনের গল্প বলে যান অবলীলায়। বলতে বলতে ভুলে যান। আবার বলেন একই গল্প। যখন এসব গল্প বলেন, তাঁর দৃষ্টি থাকে শূন্যের দিকে, কারও দিকেই তাকান না।
রসুর কাছে জানতে চাইলাম, খুনের আগে ধর্ষণ বা নির্যাতন করেন কেন? তাঁর একটাই জবাব: মাথা ঠিক থাকে না, কী করব, স্যার? এর পরের টার্গেট কে ছিল—জানতে চাইলে রসু বললেন, ‘সেটা ঠিক করার আগেই তো পুলিশ আমাকে জেলে ভরল।’
কাউকে খুনের সময় সহানুভূতি জাগেনি—এমন প্রশ্ন করা ঠিক হবে কি না, ভেবে নিয়েও করে ফেললাম। রসুর জবাব, আগে লাগেনি, এখন খুব খারাপ লাগে।
পরদিন আদালতে তোলা হলো রসু খাঁকে। আদালতের বারান্দায় রসুর স্ত্রী রিনা আর তিন সন্তান—পরি, রুবেল ও সাব্বির। কেউ কোনো কথা বলে না। শুধু ১৪ বছরের সাব্বির বলল, ‘বাবা তো এ রকম নন।’
রিনা স্বামীর দিকে তাকিয়ে থাকেন। বলেন, ‘কেমনে তুমি এত কিছু করলা? আমরা এক দিনের জন্যও টের পাইলাম না?’ স্ত্রীর কথা শুনে রসু খাঁ খানিকটা উদ্ভ্রান্ত। মাথার চুল দুই হাতে খামচে ধরে বলেন, ‘আমার আশা ছাইড়া দাও, আমার ফাঁসি হইব। তুমি কিন্তু আর বিয়া বইসো না, পোলাপানগুলারে মানুষ কইরো।’
রিনা বেগমের বিস্ময় বাকি সবার কৌতূহল, ঔৎসুক্য আর জিজ্ঞাসাকে ছাপিয়ে যায়। নীরবে চোখের পানি মোছেন রিনা, কিছুই বলতে পারেন না। তাঁকে জড়িয়ে থাকে তিন সন্তান। আদালতের বারান্দায় আমিও দাঁড়িয়ে থাকি নীরব হয়ে, কী আর বলব?

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

লুইস গারাভিটোর নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। কারণ, তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার, বাংলায় যাকে বলি ক্রমিক খুনি। কলম্বিয়ার এই নাগরিক ১৯৯২ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিন শর বেশি খুন করেন, যাদের
২৭ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

লুইস গারাভিটোর নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। কারণ, তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার, বাংলায় যাকে বলি ক্রমিক খুনি। কলম্বিয়ার এই নাগরিক ১৯৯২ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিন শর বেশি খুন করেন, যাদের
২৭ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

লুইস গারাভিটোর নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। কারণ, তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার, বাংলায় যাকে বলি ক্রমিক খুনি। কলম্বিয়ার এই নাগরিক ১৯৯২ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিন শর বেশি খুন করেন, যাদের
২৭ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

লুইস গারাভিটোর নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। কারণ, তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার, বাংলায় যাকে বলি ক্রমিক খুনি। কলম্বিয়ার এই নাগরিক ১৯৯২ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিন শর বেশি খুন করেন, যাদের
২৭ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে