আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির শিল্প কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের অর্ধেক বাজার দখল করে নিয়েছে। এতে এক সময়ের শক্তিশালী বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর গ্যাসোলিনচালিত বা তেল–গ্যাসচালিত গাড়ির বিক্রি কার্যত গুঁড়িয়ে গেছে। তবে এতে কেবল বিদেশিরাই নয়, বহু চীনা ঐতিহ্যবাহী গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিও নিজ দেশে বিক্রি কমে যাওয়ার ধাক্কা খেয়ে অবিক্রীত গাড়ি বিদেশে রপ্তানি করতে শুরু করেছে।
পশ্চিমা নীতিনির্ধারকেরা যখন চীনের ভর্তুকি–নির্ভর ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল বা ইভিগুলোকেই মূল হুমকি হিসেবে দেখে শুল্ক আরোপ করছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কোম্পানিগুলো আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি—চীনা গ্যাসোলিন গাড়ির। যেগুলো পোল্যান্ড থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, উরুগুয়ে পর্যন্ত বাজারে হানা দিচ্ছে।
রয়টার্সের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ সাল থেকে চীনের মোট গাড়ি রপ্তানির ৭৬ শতাংশই গ্যাসোলিনচালিত, আর মোট বার্ষিক রপ্তানি ১০ লাখ থেকে বাড়তে বাড়তে এ বছর ৬৫ লাখ ছাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে চীনভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অটোমোবিলিটি।
ইভির ভর্তুকি ও নীতিই এই গ্যাসোলিন রপ্তানির উল্লম্ফনের পেছনে বড় চালিকাশক্তি—যে নীতি ফক্সওয়াগন, জিএম, নিশানসহ বহু বিদেশি ব্র্যান্ডের চীনের বাজারে ব্যবসাকে ধ্বংস করেছে। শত শত চীনা ইভি কোম্পানিকে টিকিয়ে রাখতে গিয়ে যে মূল্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তার অভিঘাতই এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
শুধু গ্যাসোলিন গাড়ির রপ্তানিতেই—ইভি বা প্লাগ-ইন হাইব্রিড বাদ দিয়েও—চীন গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি-রপ্তানিকারক দেশ হয়ে উঠেছে। রয়টার্সের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, চীনের গ্যাসোলিন গাড়ির বন্যা দেখা যাচ্ছে প্রধানত সেই সব উদীয়মান বা দ্বিতীয় স্তরের বাজারে, যেখানে চার্জিং অবকাঠামো দুর্বল। এর পেছনে রয়েছে বেইজিংয়ের বর্তমান ইভি নীতি এবং গত কয়েক দশকের গ্যাসোলিন গাড়ি শিল্পকে বিদেশিদের সহযোগিতায় গড়ে তোলার পুরোনো নীতির দ্বন্দ্ব।
সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারকদের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পুরোনো কোম্পানি—এসএআইসি, বিএআইসি, দোংফেং, চানআন—যারা বিদেশি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রযুক্তি ও মুনাফা অর্জন করত। ১৯৮০-এর দশকে বেইজিং জোর করে তৈরি করা এই জোটগুলোই একসময় ছিল প্রধান শক্তি। কিন্তু বেসরকারি ও উদ্ভাবনী চীনা ইভি নির্মাতাদের উত্থানে এসব যৌথ উদ্যোগের বিক্রি ভেঙে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এসএআইসি-জিএম এর বার্ষিক বিক্রি ২০২০ সালের ১৪ লাখ থেকে ২০২৪ সালে কমে ৪ লাখ ৩৫ হাজারে নেমে এসেছে।
এখন এসব রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি তাদের বিদেশি অংশীদারদের একসময়কার বাজারেই নতুন করে দখল নিচ্ছে। এসএআইসির রপ্তানি ২০২০ সালের ৪ লাখ থেকে বেড়ে গত বছর ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। দোংফেং–এর রপ্তানি গত বছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার—পাঁচ বছরে প্রায় চারগুণ। অথচ তার চীনা অংশীদার হোন্ডা ও নিশানের যৌথ উদ্যোগগুলোর বিক্রি পতনের সর্পিল ঘূর্ণিতে আটকে গেছে। ২০২০ সাল থেকে দোংফেং–এর বিশ্বব্যাপী বিক্রি কমেছে ১০ লাখ। তবু কোম্পানির ইউরোপ ব্যবস্থাপক ইয়েলটে ভারনুই বললেন, চিন্তার কিছু নেই—কারণ পেছনে রয়েছে বেইজিং। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা রাষ্ট্রায়ত্ত—এটাই আসল কথা। টিকে থাকার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
গ্যাসোলিন গাড়ির চাহিদাই বেশি দ্বিতীয় স্তরের বাজারগুলোতে—পূর্ব ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা—যেখানে চার্জিং নেটওয়ার্ক দুর্বল। দীর্ঘমেয়াদে বেইজিং বিশ্ব ইভি ও প্লাগ-ইন হাইব্রিড বাজার দখল করতে চায়। কিন্তু আপাতত চীনা নির্মাতারা বিদেশে নিজেদের ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে ক্রেতাদের যা চাই, তাই দিচ্ছে।
চীনের শীর্ষ রপ্তানিকারক চেরি। তাদের বিশ্বব্যাপী বিক্রি ২০২০ সালের ৭ লাখ ৩০ হাজার থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে হয়েছে ২৬ লাখ। এদের চার ভাগের তিন ভাগ গাড়িই গ্যাসোলিনচালিত। শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারকের মধ্যে আরও আছে পাঁচ রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি এবং দুই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গিলি ও গ্রেট ওয়াল মোটর।
শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারকের মধ্যে কেবল দুই কোম্পানি পুরোপুরি ব্যাটারি চালিত গাড়ি বিক্রি করে—যুক্তরাষ্ট্রের টেসলা ও চীনের বিওয়াইডি। বিওয়াইডির বিদেশযাত্রা এ বছর চীনকে প্লাগ-ইন গাড়ির রপ্তানিতে শক্তিশালী করেছে। তবু গ্যাসোলিন গাড়ির রপ্তানি ৪৩ লাখ ছাড়িয়ে মোট রপ্তানির দুই-তৃতীয়াংশ থাকবে।
চেরি, দোংফেং ও রাষ্ট্রায়ত্ত এফএডব্লিউয়ের বিদেশি কর্মকর্তারা জানান—চীনের নির্মম মূল্য যুদ্ধের বাজারে টিকে থাকার জন্য রপ্তানি ছাড়া উপায় নেই। এফএডব্লিউয়ের ডিজাইন প্রধান জাইলস টেলর বলেন, কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্র একটি ভুল পণ্যে ব্যর্থ হলেই ধসে পড়তে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘চীনের গাড়ি বাজার এতটাই ভরাট, যেন দাঁত-নখ বের করে লড়াই।’
ইঞ্জিনভিত্তিক গাড়ি রপ্তানিই তাদের প্রধান ভরসা। কারণ, অধিকাংশ দেশের জন্য সেটিই বেশি উপযোগী। চানআনের ইউরোপীয় বিপণন পরিচালক নিক টমাস বলেন, তারা চাইলে প্রতিটি বাজারের জন্য আলাদা করে গাড়িকে সাজিয়ে দিতে পারে। এসএআইসি, বিএআইসি, গিলি, গ্রেট ওয়াল বা সরকারের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
বৈশ্বিক গাড়ি কোম্পানিগুলো চীনা প্রতিযোগীদের হুমকি হিসেবে স্বীকার করলেও, তাদের দৃষ্টি ছিল মূলত সস্তা ইভিগুলোর দিকে। টয়োটা, জিএম, ফোর্ড, হোন্ডা, নিশান, হুন্দাই—কেউই রপ্তানির এই উল্লম্ফন নিয়ে মন্তব্য করেনি। কেউ কেউ অবশ্য লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতির কথা বলেছে। ফক্সওয়াগনের দক্ষিণ আমেরিকা প্রধান আলেক্সান্ডার সাইটজ বলেন, তিনি চীনাদের ভয় পান না। তাদের তিনি প্রতিযোগী হিসেবে সম্মান দেন। ফক্সওয়াগনও এখন চীনে বানানো গাড়ি বেশি দেশে রপ্তানির পরিকল্পনা করছে। জিএম প্রধান নির্বাহী মেরি বার্রা বলেছেন, সঠিক প্রযুক্তি ও সঠিক মূল্যে তাঁর কোম্পানি প্রতিযোগিতা করবে।
চীনে ইভির দ্রুত বিস্তার বহু গ্যাসোলিন গাড়ির কারখানাকে অচল করে দিয়েছে। অটোমোবিলিটির প্রধান বিল রুসো বলেন, বছরে প্রায় ২ কোটি গাড়ি বানানোর ক্ষমতা এখন কার্যত অকেজো। ফলে কোম্পানিগুলো রপ্তানির পথেই সেই বাড়তি ক্ষমতা ঢালছে। পরামর্শক অ্যালিক্সপার্টনারস ধারণা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনা গাড়ি নির্মাতাদের বিদেশি বিক্রি বছরে আরও ৪ মিলিয়ন বাড়বে, আর পাঁচ বছরের মধ্যেই তারা পুরো বিশ্বের গাড়ি বাজারের ৩০ শতাংশ দখল করবে।
স্থানীয় সরকারগুলো ইভি কারখানার জন্য জমি, অর্থ, অবকাঠামো সবই দিয়েছে। এর ফলে গ্যাসোলিন গাড়ির অতিরিক্ত সক্ষমতা তৈরি হয়েছে ৩ কোটি গাড়ির মতো, যা অভ্যন্তরীণ চাহিদার বহু গুণ বেশি। সাবেক উপমন্ত্রী সু বো বলেন, গ্যাসোলিন গাড়ির বিক্রি কমায় এই অতিরিক্ত সক্ষমতা পুরো শিল্পকে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ঠেলে দিয়েছে।
ইভি নতুন কারখানায় ব্যস্ত থাকতে থাকতে পুরোনো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলো গ্যাসোলিন গাড়ি ঠেলে দিচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। পোল্যান্ডের ওয়ারশতে প্লাজা শোরুমে ঝকঝকে ‘বেইজিং’ লোগোওয়ালা নতুন এসইউভি দাঁড়িয়ে। এগুলো বানিয়েছে বিএআইসি। ২০২৩ সাল থেকে পোল্যান্ডে ৩৩টি চীনা ব্র্যান্ড এসেছে, বেশির ভাগই গ্যাসোলিনচালিত গাড়ি নিয়ে।
সেখানকার ডিস্ট্রিবিউটররা বলছেন, একই ধরনের এত গাড়ি এসেছে যে সাধারণ ক্রেতা পার্থক্য করতে পারে না। জিএসি ও গিলির স্থানীয় ব্যবস্থাপক এটাকে ‘উন্মাদনা’ বলেছেন। উদীয়মান বাজারগুলো চীনা নির্মাতাদের প্রধান টার্গেট—কারণ এখানকার ক্রেতারা ইভি নয়, গ্যাসোলিন গাড়ির দিকেই ঝুঁকে। কোস্টারিকা, পেরু, ইন্দোনেশিয়া বা গ্রিসে একেকটি বাজারের চাহিদা একেক রকম—চীনারা সেই বাস্তবতাই ধরছে।
অস্ট্রেলিয়ার মতো ধনী দেশেও চেরির বিক্রি প্রায় সবই গ্যাসোলিনচালিত। ইভি এসেছে এখনো অল্প। চিলি, দক্ষিণ আফ্রিকা, উরুগুয়ে—সবখানে একই ছবি। ভালো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য আর প্রতিযোগিতামূলক দামে চীনা গাড়ি সেখানে বিদেশি ব্র্যান্ডকে পেছনে ফেলছে।
উরুগুয়েতে দোংফেং বিক্রি করছে নিশানের ফ্রন্টিয়ার ট্রাকের প্রায় একই সংস্করণ, নাম রিচ–৬। দাম নানা ক্ষেত্রে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কম। স্থানীয় কৃষক মারিয়ানা বেতিজাগাস্তি বলেন, ‘একটা ব্র্যান্ডেড গাড়ির দামে এখানে দুটো চীনা ট্রাক পাওয়া যায়।’

চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির শিল্প কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের অর্ধেক বাজার দখল করে নিয়েছে। এতে এক সময়ের শক্তিশালী বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর গ্যাসোলিনচালিত বা তেল–গ্যাসচালিত গাড়ির বিক্রি কার্যত গুঁড়িয়ে গেছে। তবে এতে কেবল বিদেশিরাই নয়, বহু চীনা ঐতিহ্যবাহী গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিও নিজ দেশে বিক্রি কমে যাওয়ার ধাক্কা খেয়ে অবিক্রীত গাড়ি বিদেশে রপ্তানি করতে শুরু করেছে।
পশ্চিমা নীতিনির্ধারকেরা যখন চীনের ভর্তুকি–নির্ভর ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল বা ইভিগুলোকেই মূল হুমকি হিসেবে দেখে শুল্ক আরোপ করছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কোম্পানিগুলো আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি—চীনা গ্যাসোলিন গাড়ির। যেগুলো পোল্যান্ড থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, উরুগুয়ে পর্যন্ত বাজারে হানা দিচ্ছে।
রয়টার্সের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ সাল থেকে চীনের মোট গাড়ি রপ্তানির ৭৬ শতাংশই গ্যাসোলিনচালিত, আর মোট বার্ষিক রপ্তানি ১০ লাখ থেকে বাড়তে বাড়তে এ বছর ৬৫ লাখ ছাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে চীনভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অটোমোবিলিটি।
ইভির ভর্তুকি ও নীতিই এই গ্যাসোলিন রপ্তানির উল্লম্ফনের পেছনে বড় চালিকাশক্তি—যে নীতি ফক্সওয়াগন, জিএম, নিশানসহ বহু বিদেশি ব্র্যান্ডের চীনের বাজারে ব্যবসাকে ধ্বংস করেছে। শত শত চীনা ইভি কোম্পানিকে টিকিয়ে রাখতে গিয়ে যে মূল্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তার অভিঘাতই এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
শুধু গ্যাসোলিন গাড়ির রপ্তানিতেই—ইভি বা প্লাগ-ইন হাইব্রিড বাদ দিয়েও—চীন গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি-রপ্তানিকারক দেশ হয়ে উঠেছে। রয়টার্সের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, চীনের গ্যাসোলিন গাড়ির বন্যা দেখা যাচ্ছে প্রধানত সেই সব উদীয়মান বা দ্বিতীয় স্তরের বাজারে, যেখানে চার্জিং অবকাঠামো দুর্বল। এর পেছনে রয়েছে বেইজিংয়ের বর্তমান ইভি নীতি এবং গত কয়েক দশকের গ্যাসোলিন গাড়ি শিল্পকে বিদেশিদের সহযোগিতায় গড়ে তোলার পুরোনো নীতির দ্বন্দ্ব।
সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারকদের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পুরোনো কোম্পানি—এসএআইসি, বিএআইসি, দোংফেং, চানআন—যারা বিদেশি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রযুক্তি ও মুনাফা অর্জন করত। ১৯৮০-এর দশকে বেইজিং জোর করে তৈরি করা এই জোটগুলোই একসময় ছিল প্রধান শক্তি। কিন্তু বেসরকারি ও উদ্ভাবনী চীনা ইভি নির্মাতাদের উত্থানে এসব যৌথ উদ্যোগের বিক্রি ভেঙে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এসএআইসি-জিএম এর বার্ষিক বিক্রি ২০২০ সালের ১৪ লাখ থেকে ২০২৪ সালে কমে ৪ লাখ ৩৫ হাজারে নেমে এসেছে।
এখন এসব রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি তাদের বিদেশি অংশীদারদের একসময়কার বাজারেই নতুন করে দখল নিচ্ছে। এসএআইসির রপ্তানি ২০২০ সালের ৪ লাখ থেকে বেড়ে গত বছর ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। দোংফেং–এর রপ্তানি গত বছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার—পাঁচ বছরে প্রায় চারগুণ। অথচ তার চীনা অংশীদার হোন্ডা ও নিশানের যৌথ উদ্যোগগুলোর বিক্রি পতনের সর্পিল ঘূর্ণিতে আটকে গেছে। ২০২০ সাল থেকে দোংফেং–এর বিশ্বব্যাপী বিক্রি কমেছে ১০ লাখ। তবু কোম্পানির ইউরোপ ব্যবস্থাপক ইয়েলটে ভারনুই বললেন, চিন্তার কিছু নেই—কারণ পেছনে রয়েছে বেইজিং। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা রাষ্ট্রায়ত্ত—এটাই আসল কথা। টিকে থাকার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
গ্যাসোলিন গাড়ির চাহিদাই বেশি দ্বিতীয় স্তরের বাজারগুলোতে—পূর্ব ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা—যেখানে চার্জিং নেটওয়ার্ক দুর্বল। দীর্ঘমেয়াদে বেইজিং বিশ্ব ইভি ও প্লাগ-ইন হাইব্রিড বাজার দখল করতে চায়। কিন্তু আপাতত চীনা নির্মাতারা বিদেশে নিজেদের ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে ক্রেতাদের যা চাই, তাই দিচ্ছে।
চীনের শীর্ষ রপ্তানিকারক চেরি। তাদের বিশ্বব্যাপী বিক্রি ২০২০ সালের ৭ লাখ ৩০ হাজার থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে হয়েছে ২৬ লাখ। এদের চার ভাগের তিন ভাগ গাড়িই গ্যাসোলিনচালিত। শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারকের মধ্যে আরও আছে পাঁচ রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি এবং দুই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গিলি ও গ্রেট ওয়াল মোটর।
শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারকের মধ্যে কেবল দুই কোম্পানি পুরোপুরি ব্যাটারি চালিত গাড়ি বিক্রি করে—যুক্তরাষ্ট্রের টেসলা ও চীনের বিওয়াইডি। বিওয়াইডির বিদেশযাত্রা এ বছর চীনকে প্লাগ-ইন গাড়ির রপ্তানিতে শক্তিশালী করেছে। তবু গ্যাসোলিন গাড়ির রপ্তানি ৪৩ লাখ ছাড়িয়ে মোট রপ্তানির দুই-তৃতীয়াংশ থাকবে।
চেরি, দোংফেং ও রাষ্ট্রায়ত্ত এফএডব্লিউয়ের বিদেশি কর্মকর্তারা জানান—চীনের নির্মম মূল্য যুদ্ধের বাজারে টিকে থাকার জন্য রপ্তানি ছাড়া উপায় নেই। এফএডব্লিউয়ের ডিজাইন প্রধান জাইলস টেলর বলেন, কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্র একটি ভুল পণ্যে ব্যর্থ হলেই ধসে পড়তে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘চীনের গাড়ি বাজার এতটাই ভরাট, যেন দাঁত-নখ বের করে লড়াই।’
ইঞ্জিনভিত্তিক গাড়ি রপ্তানিই তাদের প্রধান ভরসা। কারণ, অধিকাংশ দেশের জন্য সেটিই বেশি উপযোগী। চানআনের ইউরোপীয় বিপণন পরিচালক নিক টমাস বলেন, তারা চাইলে প্রতিটি বাজারের জন্য আলাদা করে গাড়িকে সাজিয়ে দিতে পারে। এসএআইসি, বিএআইসি, গিলি, গ্রেট ওয়াল বা সরকারের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
বৈশ্বিক গাড়ি কোম্পানিগুলো চীনা প্রতিযোগীদের হুমকি হিসেবে স্বীকার করলেও, তাদের দৃষ্টি ছিল মূলত সস্তা ইভিগুলোর দিকে। টয়োটা, জিএম, ফোর্ড, হোন্ডা, নিশান, হুন্দাই—কেউই রপ্তানির এই উল্লম্ফন নিয়ে মন্তব্য করেনি। কেউ কেউ অবশ্য লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতির কথা বলেছে। ফক্সওয়াগনের দক্ষিণ আমেরিকা প্রধান আলেক্সান্ডার সাইটজ বলেন, তিনি চীনাদের ভয় পান না। তাদের তিনি প্রতিযোগী হিসেবে সম্মান দেন। ফক্সওয়াগনও এখন চীনে বানানো গাড়ি বেশি দেশে রপ্তানির পরিকল্পনা করছে। জিএম প্রধান নির্বাহী মেরি বার্রা বলেছেন, সঠিক প্রযুক্তি ও সঠিক মূল্যে তাঁর কোম্পানি প্রতিযোগিতা করবে।
চীনে ইভির দ্রুত বিস্তার বহু গ্যাসোলিন গাড়ির কারখানাকে অচল করে দিয়েছে। অটোমোবিলিটির প্রধান বিল রুসো বলেন, বছরে প্রায় ২ কোটি গাড়ি বানানোর ক্ষমতা এখন কার্যত অকেজো। ফলে কোম্পানিগুলো রপ্তানির পথেই সেই বাড়তি ক্ষমতা ঢালছে। পরামর্শক অ্যালিক্সপার্টনারস ধারণা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনা গাড়ি নির্মাতাদের বিদেশি বিক্রি বছরে আরও ৪ মিলিয়ন বাড়বে, আর পাঁচ বছরের মধ্যেই তারা পুরো বিশ্বের গাড়ি বাজারের ৩০ শতাংশ দখল করবে।
স্থানীয় সরকারগুলো ইভি কারখানার জন্য জমি, অর্থ, অবকাঠামো সবই দিয়েছে। এর ফলে গ্যাসোলিন গাড়ির অতিরিক্ত সক্ষমতা তৈরি হয়েছে ৩ কোটি গাড়ির মতো, যা অভ্যন্তরীণ চাহিদার বহু গুণ বেশি। সাবেক উপমন্ত্রী সু বো বলেন, গ্যাসোলিন গাড়ির বিক্রি কমায় এই অতিরিক্ত সক্ষমতা পুরো শিল্পকে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ঠেলে দিয়েছে।
ইভি নতুন কারখানায় ব্যস্ত থাকতে থাকতে পুরোনো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলো গ্যাসোলিন গাড়ি ঠেলে দিচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। পোল্যান্ডের ওয়ারশতে প্লাজা শোরুমে ঝকঝকে ‘বেইজিং’ লোগোওয়ালা নতুন এসইউভি দাঁড়িয়ে। এগুলো বানিয়েছে বিএআইসি। ২০২৩ সাল থেকে পোল্যান্ডে ৩৩টি চীনা ব্র্যান্ড এসেছে, বেশির ভাগই গ্যাসোলিনচালিত গাড়ি নিয়ে।
সেখানকার ডিস্ট্রিবিউটররা বলছেন, একই ধরনের এত গাড়ি এসেছে যে সাধারণ ক্রেতা পার্থক্য করতে পারে না। জিএসি ও গিলির স্থানীয় ব্যবস্থাপক এটাকে ‘উন্মাদনা’ বলেছেন। উদীয়মান বাজারগুলো চীনা নির্মাতাদের প্রধান টার্গেট—কারণ এখানকার ক্রেতারা ইভি নয়, গ্যাসোলিন গাড়ির দিকেই ঝুঁকে। কোস্টারিকা, পেরু, ইন্দোনেশিয়া বা গ্রিসে একেকটি বাজারের চাহিদা একেক রকম—চীনারা সেই বাস্তবতাই ধরছে।
অস্ট্রেলিয়ার মতো ধনী দেশেও চেরির বিক্রি প্রায় সবই গ্যাসোলিনচালিত। ইভি এসেছে এখনো অল্প। চিলি, দক্ষিণ আফ্রিকা, উরুগুয়ে—সবখানে একই ছবি। ভালো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য আর প্রতিযোগিতামূলক দামে চীনা গাড়ি সেখানে বিদেশি ব্র্যান্ডকে পেছনে ফেলছে।
উরুগুয়েতে দোংফেং বিক্রি করছে নিশানের ফ্রন্টিয়ার ট্রাকের প্রায় একই সংস্করণ, নাম রিচ–৬। দাম নানা ক্ষেত্রে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কম। স্থানীয় কৃষক মারিয়ানা বেতিজাগাস্তি বলেন, ‘একটা ব্র্যান্ডেড গাড়ির দামে এখানে দুটো চীনা ট্রাক পাওয়া যায়।’

দেশের অন্যতম প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোলে প্রায় দুই মাস ধরে আটকে আছে ১০০ কোটি টাকা মূল্যের দেড় শতাধিক রপ্তানিমুখী সুপারির ট্রাক। দীর্ঘ এই অচলাবস্থার কারণে রপ্তানিকারকদের প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ২ হাজার টাকা হিসেবে প্রায় ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
২০ মিনিট আগে
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
২১ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
২১ ঘণ্টা আগেবেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

দেশের অন্যতম প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোলে প্রায় দুই মাস ধরে আটকে আছে ১০০ কোটি টাকা মূল্যের দেড় শতাধিক রপ্তানিমুখী সুপারির ট্রাক। দীর্ঘ এই অচলাবস্থার কারণে রপ্তানিকারকদের প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ২ হাজার টাকা হিসেবে প্রায় ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যের মান নির্ণয় ও কৃত্রিম জটিলতা সৃষ্টির ফলেই এই রপ্তানি বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
বিশ্বে সুপারি উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এবং গুণগত মানের কারণে ভারতে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার সুপারি ভারতে রপ্তানি হয়। তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের সুপারি আমদানিতে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বেড়ে হয়েছে ৩৭ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় চার গুণ। এমন রমরমা বাণিজ্যের মধ্যেই দেড় শতাধিক সুপারির ট্রাক প্রায় দুই মাস ধরে বেনাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে।
দীর্ঘদিন বন্দরে আটকে থাকায় পণ্যজট সৃষ্টি হয়েছে এবং ট্রাক চালকদেরও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আটকে থাকা সুপারি বহনকারী ট্রাক চালক মমিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘১ মাস ২৭ দিন ধরে এখানে আটকে থেকে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ওপারের ব্যবসায়ীরা সুপারির বাজার নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট করে ইচ্ছাকৃতভাবে এসব ট্রাক দেরিতে নিচ্ছেন বলে আমাদের সন্দেহ।’
রপ্তানিকারক পণ্য ছাড়কারী প্রতিষ্ঠান আউলিয়া এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ওপারে পেট্রাপোল বন্দরে পরীক্ষাসহ নানা কারণ দেখিয়ে তারা পণ্য নিতে দেরি করছে। আমরা দ্রুত এই পণ্য খালাসের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারত সরকার রপ্তানি বাণিজ্যে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও নানা শর্ত আরোপের ফলে বর্তমানে রপ্তানির পরিমাণ ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে তা দুই দেশের জন্যই ক্ষতিকর। এ অবস্থা কাটাতে দ্রুত দুই দেশের সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাট ও পাটজাত পণ্য, গার্মেন্টস, তৈরি পোশাক, কাঠের আসবাবপত্র, ফলের জুসসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সড়ক পথে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
তবে বন্দর সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এই সংকটের ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বেনাপোল বন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক আবু তালহা জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ১০ হাজার ৬৫০ টন সুপারি রপ্তানি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যে সমস্যার কারণে বন্দরে সে সব ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে শুনেছি, সেটা ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যে সব ট্রাকের কাগজপত্র আমাদের কাছে আসছে, সেগুলো ভারতে ঢুকছে।’
তিনি আরও জানান, যেসব সুপারির ট্রাকের কাগজ হাতে পেলে দ্রুত ছাড়করণে সহযোগিতা করা হবে। তবে রপ্তানিকারকেরা বলছেন, এই বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া এই সংকট কাটানো সম্ভব নয়।

দেশের অন্যতম প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোলে প্রায় দুই মাস ধরে আটকে আছে ১০০ কোটি টাকা মূল্যের দেড় শতাধিক রপ্তানিমুখী সুপারির ট্রাক। দীর্ঘ এই অচলাবস্থার কারণে রপ্তানিকারকদের প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ২ হাজার টাকা হিসেবে প্রায় ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যের মান নির্ণয় ও কৃত্রিম জটিলতা সৃষ্টির ফলেই এই রপ্তানি বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
বিশ্বে সুপারি উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এবং গুণগত মানের কারণে ভারতে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার সুপারি ভারতে রপ্তানি হয়। তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের সুপারি আমদানিতে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বেড়ে হয়েছে ৩৭ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় চার গুণ। এমন রমরমা বাণিজ্যের মধ্যেই দেড় শতাধিক সুপারির ট্রাক প্রায় দুই মাস ধরে বেনাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে।
দীর্ঘদিন বন্দরে আটকে থাকায় পণ্যজট সৃষ্টি হয়েছে এবং ট্রাক চালকদেরও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আটকে থাকা সুপারি বহনকারী ট্রাক চালক মমিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘১ মাস ২৭ দিন ধরে এখানে আটকে থেকে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ওপারের ব্যবসায়ীরা সুপারির বাজার নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট করে ইচ্ছাকৃতভাবে এসব ট্রাক দেরিতে নিচ্ছেন বলে আমাদের সন্দেহ।’
রপ্তানিকারক পণ্য ছাড়কারী প্রতিষ্ঠান আউলিয়া এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ওপারে পেট্রাপোল বন্দরে পরীক্ষাসহ নানা কারণ দেখিয়ে তারা পণ্য নিতে দেরি করছে। আমরা দ্রুত এই পণ্য খালাসের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারত সরকার রপ্তানি বাণিজ্যে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও নানা শর্ত আরোপের ফলে বর্তমানে রপ্তানির পরিমাণ ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে তা দুই দেশের জন্যই ক্ষতিকর। এ অবস্থা কাটাতে দ্রুত দুই দেশের সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাট ও পাটজাত পণ্য, গার্মেন্টস, তৈরি পোশাক, কাঠের আসবাবপত্র, ফলের জুসসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সড়ক পথে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
তবে বন্দর সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এই সংকটের ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বেনাপোল বন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক আবু তালহা জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ১০ হাজার ৬৫০ টন সুপারি রপ্তানি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যে সমস্যার কারণে বন্দরে সে সব ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে শুনেছি, সেটা ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যে সব ট্রাকের কাগজপত্র আমাদের কাছে আসছে, সেগুলো ভারতে ঢুকছে।’
তিনি আরও জানান, যেসব সুপারির ট্রাকের কাগজ হাতে পেলে দ্রুত ছাড়করণে সহযোগিতা করা হবে। তবে রপ্তানিকারকেরা বলছেন, এই বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া এই সংকট কাটানো সম্ভব নয়।

চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির শিল্প কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের অর্ধেক বাজার দখল করে নিয়েছে। এতে এক সময়ের শক্তিশালী বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর গ্যাসোলিনচালিত বা তেল–গ্যাসচালিত গাড়ির বিক্রি কার্যত গুঁড়িয়ে গেছে। তবে এতে কেবল বিদেশিরাই নয়, বহু চীনা ঐতিহ্যবাহী গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিও নিজ দেশে বিক্রি কমে যাওয়ার ধাক্কা খে
৩ দিন আগে
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
২১ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির শিল্প কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের অর্ধেক বাজার দখল করে নিয়েছে। এতে এক সময়ের শক্তিশালী বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর গ্যাসোলিনচালিত বা তেল–গ্যাসচালিত গাড়ির বিক্রি কার্যত গুঁড়িয়ে গেছে। তবে এতে কেবল বিদেশিরাই নয়, বহু চীনা ঐতিহ্যবাহী গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিও নিজ দেশে বিক্রি কমে যাওয়ার ধাক্কা খে
৩ দিন আগে
দেশের অন্যতম প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোলে প্রায় দুই মাস ধরে আটকে আছে ১০০ কোটি টাকা মূল্যের দেড় শতাধিক রপ্তানিমুখী সুপারির ট্রাক। দীর্ঘ এই অচলাবস্থার কারণে রপ্তানিকারকদের প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ২ হাজার টাকা হিসেবে প্রায় ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
২০ মিনিট আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
২১ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির শিল্প কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের অর্ধেক বাজার দখল করে নিয়েছে। এতে এক সময়ের শক্তিশালী বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর গ্যাসোলিনচালিত বা তেল–গ্যাসচালিত গাড়ির বিক্রি কার্যত গুঁড়িয়ে গেছে। তবে এতে কেবল বিদেশিরাই নয়, বহু চীনা ঐতিহ্যবাহী গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিও নিজ দেশে বিক্রি কমে যাওয়ার ধাক্কা খে
৩ দিন আগে
দেশের অন্যতম প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোলে প্রায় দুই মাস ধরে আটকে আছে ১০০ কোটি টাকা মূল্যের দেড় শতাধিক রপ্তানিমুখী সুপারির ট্রাক। দীর্ঘ এই অচলাবস্থার কারণে রপ্তানিকারকদের প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ২ হাজার টাকা হিসেবে প্রায় ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
২০ মিনিট আগে
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির শিল্প কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের অর্ধেক বাজার দখল করে নিয়েছে। এতে এক সময়ের শক্তিশালী বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর গ্যাসোলিনচালিত বা তেল–গ্যাসচালিত গাড়ির বিক্রি কার্যত গুঁড়িয়ে গেছে। তবে এতে কেবল বিদেশিরাই নয়, বহু চীনা ঐতিহ্যবাহী গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিও নিজ দেশে বিক্রি কমে যাওয়ার ধাক্কা খে
৩ দিন আগে
দেশের অন্যতম প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোলে প্রায় দুই মাস ধরে আটকে আছে ১০০ কোটি টাকা মূল্যের দেড় শতাধিক রপ্তানিমুখী সুপারির ট্রাক। দীর্ঘ এই অচলাবস্থার কারণে রপ্তানিকারকদের প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ২ হাজার টাকা হিসেবে প্রায় ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
২০ মিনিট আগে
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
২১ ঘণ্টা আগে