অনলাইন ডেস্ক
দুই দিনের আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রয়োজনে চীনের কাছ থেকে দুর্লভ খনিজ পদার্থ পাবে। অন্যদিকে চীনা শিক্ষার্থীরা পাবেন মার্কিন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুর্লভ খনিজ পদার্থের ‘চীনা রপ্তানি’ ছিল মূল বিষয়। দুই দিনব্যাপী আলোচনার পর একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। তবে চূড়ান্ত বাস্তবায়নের আগে এটি ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, এখন কেবল প্রেসিডেন্ট সি ও আমার অনুমোদন প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় দুর্লভ খনিজ পদার্থ রপ্তানিতে রাজি হয়েছে চীন। একইভাবে আমরা চীনের শিক্ষার্থীদের আমাদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেব।’
মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জানান, এই চুক্তির ফলে দুর্লভ খনিজ পদার্থ ও ম্যাগনেটের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলোর সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিল, চীন স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক যান তৈরির জন্য অপরিহার্য এই ধাতুগুলোর রপ্তানিতে ধীরগতি দেখাচ্ছে।
অন্যদিকে ওয়াশিংটন চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পর্কিত প্রযুক্তি যেমন—সেমিকন্ডাক্টর ও অন্যান্য পণ্যে প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে।
লুটনিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জেনেভা ঐকমত্য বাস্তবায়নের জন্য একটি কাঠামোতে পৌঁছেছি। একবার দুই প্রেসিডেন্ট এটি অনুমোদন করলে আমরা তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সি চিন পিংয়ের মধ্যে ফোনকলের পর এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। চীনের উপবাণিজ্যমন্ত্রী লি চেংগ্যাং নিশ্চিত করেছেন, ‘উভয় পক্ষ ৫ জুন ফোনকলের সময় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে পৌঁছানো ঐকমত্য এবং জেনেভার বৈঠকে পৌঁছানো ঐকমত্য বাস্তবায়নের জন্য নীতিগতভাবে একটি কাঠামোতে পৌঁছেছে।’
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুতে যখন ট্রাম্প বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আমদানিতে ব্যাপক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তখন চীন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বেইজিং এর জবাবে মার্কিন আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করে, যা পাল্টাপাল্টি বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
গত মে মাসে জেনেভায় দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের পণ্যের ওপর থেকে সাময়িকভাবে শুল্ক কমাতে রাজি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী, ৯০ দিনের আলোচনা চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করে। অন্যদিকে চীনও তাদের পাল্টা শুল্ক ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে।
তবে এর দুই সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার অভিযোগ করেন, চীন কিছু মার্কিন কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করেছিল। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে চীনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা এখনো সেটা করেনি। অন্যদিকে বেইজিং অভিযোগ করে, যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের চিপ ব্যবহারে সতর্কতা, চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল ও সফটওয়্যার রপ্তানি বন্ধ করে চুক্তি ভঙ্গ করেছে।
এই সপ্তাহের আলোচনার আগে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তারা কিছু দুর্লভ খনিজ রপ্তানির লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছে, যদিও কোন দেশগুলো এই অনুমোদনের আওতায় পড়েছে, তা জানায়নি।
দুই দিনের আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রয়োজনে চীনের কাছ থেকে দুর্লভ খনিজ পদার্থ পাবে। অন্যদিকে চীনা শিক্ষার্থীরা পাবেন মার্কিন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুর্লভ খনিজ পদার্থের ‘চীনা রপ্তানি’ ছিল মূল বিষয়। দুই দিনব্যাপী আলোচনার পর একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। তবে চূড়ান্ত বাস্তবায়নের আগে এটি ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, এখন কেবল প্রেসিডেন্ট সি ও আমার অনুমোদন প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় দুর্লভ খনিজ পদার্থ রপ্তানিতে রাজি হয়েছে চীন। একইভাবে আমরা চীনের শিক্ষার্থীদের আমাদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেব।’
মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জানান, এই চুক্তির ফলে দুর্লভ খনিজ পদার্থ ও ম্যাগনেটের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলোর সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিল, চীন স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক যান তৈরির জন্য অপরিহার্য এই ধাতুগুলোর রপ্তানিতে ধীরগতি দেখাচ্ছে।
অন্যদিকে ওয়াশিংটন চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পর্কিত প্রযুক্তি যেমন—সেমিকন্ডাক্টর ও অন্যান্য পণ্যে প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে।
লুটনিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জেনেভা ঐকমত্য বাস্তবায়নের জন্য একটি কাঠামোতে পৌঁছেছি। একবার দুই প্রেসিডেন্ট এটি অনুমোদন করলে আমরা তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সি চিন পিংয়ের মধ্যে ফোনকলের পর এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। চীনের উপবাণিজ্যমন্ত্রী লি চেংগ্যাং নিশ্চিত করেছেন, ‘উভয় পক্ষ ৫ জুন ফোনকলের সময় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে পৌঁছানো ঐকমত্য এবং জেনেভার বৈঠকে পৌঁছানো ঐকমত্য বাস্তবায়নের জন্য নীতিগতভাবে একটি কাঠামোতে পৌঁছেছে।’
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুতে যখন ট্রাম্প বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আমদানিতে ব্যাপক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তখন চীন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বেইজিং এর জবাবে মার্কিন আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করে, যা পাল্টাপাল্টি বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
গত মে মাসে জেনেভায় দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের পণ্যের ওপর থেকে সাময়িকভাবে শুল্ক কমাতে রাজি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী, ৯০ দিনের আলোচনা চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করে। অন্যদিকে চীনও তাদের পাল্টা শুল্ক ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে।
তবে এর দুই সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার অভিযোগ করেন, চীন কিছু মার্কিন কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করেছিল। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে চীনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা এখনো সেটা করেনি। অন্যদিকে বেইজিং অভিযোগ করে, যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের চিপ ব্যবহারে সতর্কতা, চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল ও সফটওয়্যার রপ্তানি বন্ধ করে চুক্তি ভঙ্গ করেছে।
এই সপ্তাহের আলোচনার আগে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তারা কিছু দুর্লভ খনিজ রপ্তানির লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছে, যদিও কোন দেশগুলো এই অনুমোদনের আওতায় পড়েছে, তা জানায়নি।
চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকাই নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। ঋণের নামে লুট করা এই টাকা সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে
১৭ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ঋণখেলাপিদের বিষয়ে একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে হালনাগাদ করা হচ্ছে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) ডেটা। এতে বিদেশি ব্যাংকের খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামও সিআইবির
১৭ ঘণ্টা আগেমাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩২ গুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা লাফিয়ে গিয়ে পৌঁছেছে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁতে, যার বাংলাদেশি মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।
১ দিন আগেকয়েক বছর আগেও গাড়ি আমদানিতে দেশের রেকর্ড গড়েছিল মোংলা বন্দর। ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রামকেও ছাড়িয়ে এখানে ঢুকেছিল ২১ হাজারের বেশি গাড়ি। তখন সবাই তাকিয়ে ছিল মোংলার দিকে। কিন্তু সেই গতির ছন্দ এখন অনেকটাই ম্লান। টানা তিন অর্থবছর ধরে কমছে আমদানির সংখ্যা। ডলার-সংকট, দাম বেড়ে যাওয়া আর ক্রেতার আগ্রহ কমে...
২ দিন আগে