আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জনপ্রিয়তার (গ্রাহক আনুগত্যে) শীর্ষে ছিল। কিন্তু সিইও ইলন মাস্ক গত বছরের জুলাইয়ে মার্কিন নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন জানানোর পর এই জনপ্রিয়তা হঠাৎ করেই কমে গেছে। গবেষণা সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মোবিলিটি এমন তথ্য জানিয়েছে। এসঅ্যান্ডপি এই তথ্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে শেয়ার করেছে।
এসঅ্যান্ডপির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুনে টেসলার জনপ্রিয়তা বা ব্র্যান্ড আনুগত্য ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সে সময় নতুন গাড়ি কিনতে গিয়ে টেসলামালিকদের ৭৩ শতাংশ আবারও টেসলাই কিনেছিল। কিন্তু জুলাইয়ে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের ওপর হামলার পর মাস্ক প্রকাশ্যে রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানালে এই আনুগত্যের হার দ্রুত কমতে থাকে।
২০২৫ সালের মার্চে এই হার নেমে আসে ৪৯.৯ শতাংশে, যা গাড়িশিল্পে গড় ব্র্যান্ড আনুগত্যের চেয়ে সামান্য কম। এ সময় মাস্ক ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) চালু করেন এবং হাজার হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই শুরু করেন।
এরপর চলতি বছরের মে পর্যন্ত এই হার কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭.৪ শতাংশে, যা গাড়িশিল্পের গড় ব্র্যান্ড আনুগত্যের ওপরে হলেও শেভ্রোলেট ও ফোর্ডের পেছনে এবং টয়োটার সমান। এসঅ্যান্ডপির বিশ্লেষক টম লিবি বলেন, একটি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড এত দ্রুত জনপ্রিয়তার গড় পর্যায়ে নেমে যেতে পারে, এটা নজিরবিহীন।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, মাস্কের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া টেসলা গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি তৈরি করেছে, বিশেষত যাঁদের ডেমোক্র্যাটপন্থী মনোভাব রয়েছে। তাঁরা বিকল্প ব্র্যান্ড বিবেচনা করতে শুরু করেন। একই সঙ্গে টেসলার পুরোনো মডেল তালিকা ও জেনারেল মোটরস, হুন্দাই, বিএমডব্লিউর মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের নতুন ইভি–মডেল বাজারে আসায় প্রতিযোগিতা আরও বেড়েছে। এ ছাড়া ২০২০ সালের পর টেসলার একমাত্র নতুন মডেল ‘সাইবারট্রাক’ বাজারে গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলের আয় সম্পর্কে জানতে চাইলে টেসলার সিএফও বৈভব তানেজা উল্লেখ করেন, টেসলার বিভিন্ন শোরুমে ভাঙচুর ও কর্মীদের প্রতি শত্রুতামূলক আচরণ এবং উৎপাদন বন্ধ রেখে কারখানা পুনর্গঠনের কারণে বিক্রি কমে গেছে। তবে মাস্ক দাবি করেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বাদ দিলে চাহিদায় কোনো হ্রাস হয়নি।
তবে এসঅ্যান্ডপির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে টেসলার বিক্রি ৮ শতাংশ ও ইউরোপে প্রথম ছয় মাসে ৩৩ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া ইউরোপে মাস্কের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
বিশ্লেষক গ্যারেট নেলসন বলেন, চীনা ইভি ও কিছু বাজারে বিদ্যমান গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ার সময় মাস্কের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ছিল ‘খুবই খারাপ’ সিদ্ধান্ত। এখন তাঁর প্রধান উদ্বেগ, কীভাবে হারানো বাজার ও ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার করবেন।
গত চার বছর ধরে টেসলা নতুন গ্রাহক আনার ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল—প্রতি একজন গ্রাহক হারানোর বিপরীতে তারা প্রায় পাঁচজন নতুন গ্রাহক পেত। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর থেকে এই হার দ্রুত কমতে শুরু করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি একজন গ্রাহক হারানোর বিপরীতে তারা গড়ে দুজনেরও কম নতুন গ্রাহক পাচ্ছে, যা কোম্পানির ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে রিভিয়ান, পোলস্টার, পোর্শে ও ক্যাডিলাক এখন টেসলার তুলনায় বেশি গ্রাহক পাচ্ছে।
তবে কিছু বিনিয়োগকারী দীর্ঘ মেয়াদে টেসলার আয়ের বিষয়ে আশাবাদী। তাঁদের মতে, অন্য কোম্পানিগুলোকে রোবোট্যাক্সি সেবা (চালকবিহীন ট্যাক্সি সেবা) ও স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং প্রযুক্তির লাইসেন্স দিয়ে টেসলা বিশাল মুনাফা করতে পারে। গত জুনে টেসলা সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলক রোবোট্যাক্সি চালু করেছে। যদি এই প্রযুক্তি সফল হয়, বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস—টেসলার হয়তো আর গাড়ি বিক্রির ওপর নির্ভর করতে হবে না।

মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জনপ্রিয়তার (গ্রাহক আনুগত্যে) শীর্ষে ছিল। কিন্তু সিইও ইলন মাস্ক গত বছরের জুলাইয়ে মার্কিন নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন জানানোর পর এই জনপ্রিয়তা হঠাৎ করেই কমে গেছে। গবেষণা সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মোবিলিটি এমন তথ্য জানিয়েছে। এসঅ্যান্ডপি এই তথ্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে শেয়ার করেছে।
এসঅ্যান্ডপির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুনে টেসলার জনপ্রিয়তা বা ব্র্যান্ড আনুগত্য ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সে সময় নতুন গাড়ি কিনতে গিয়ে টেসলামালিকদের ৭৩ শতাংশ আবারও টেসলাই কিনেছিল। কিন্তু জুলাইয়ে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের ওপর হামলার পর মাস্ক প্রকাশ্যে রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানালে এই আনুগত্যের হার দ্রুত কমতে থাকে।
২০২৫ সালের মার্চে এই হার নেমে আসে ৪৯.৯ শতাংশে, যা গাড়িশিল্পে গড় ব্র্যান্ড আনুগত্যের চেয়ে সামান্য কম। এ সময় মাস্ক ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) চালু করেন এবং হাজার হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই শুরু করেন।
এরপর চলতি বছরের মে পর্যন্ত এই হার কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭.৪ শতাংশে, যা গাড়িশিল্পের গড় ব্র্যান্ড আনুগত্যের ওপরে হলেও শেভ্রোলেট ও ফোর্ডের পেছনে এবং টয়োটার সমান। এসঅ্যান্ডপির বিশ্লেষক টম লিবি বলেন, একটি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড এত দ্রুত জনপ্রিয়তার গড় পর্যায়ে নেমে যেতে পারে, এটা নজিরবিহীন।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, মাস্কের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া টেসলা গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি তৈরি করেছে, বিশেষত যাঁদের ডেমোক্র্যাটপন্থী মনোভাব রয়েছে। তাঁরা বিকল্প ব্র্যান্ড বিবেচনা করতে শুরু করেন। একই সঙ্গে টেসলার পুরোনো মডেল তালিকা ও জেনারেল মোটরস, হুন্দাই, বিএমডব্লিউর মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের নতুন ইভি–মডেল বাজারে আসায় প্রতিযোগিতা আরও বেড়েছে। এ ছাড়া ২০২০ সালের পর টেসলার একমাত্র নতুন মডেল ‘সাইবারট্রাক’ বাজারে গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলের আয় সম্পর্কে জানতে চাইলে টেসলার সিএফও বৈভব তানেজা উল্লেখ করেন, টেসলার বিভিন্ন শোরুমে ভাঙচুর ও কর্মীদের প্রতি শত্রুতামূলক আচরণ এবং উৎপাদন বন্ধ রেখে কারখানা পুনর্গঠনের কারণে বিক্রি কমে গেছে। তবে মাস্ক দাবি করেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বাদ দিলে চাহিদায় কোনো হ্রাস হয়নি।
তবে এসঅ্যান্ডপির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে টেসলার বিক্রি ৮ শতাংশ ও ইউরোপে প্রথম ছয় মাসে ৩৩ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া ইউরোপে মাস্কের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
বিশ্লেষক গ্যারেট নেলসন বলেন, চীনা ইভি ও কিছু বাজারে বিদ্যমান গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ার সময় মাস্কের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ছিল ‘খুবই খারাপ’ সিদ্ধান্ত। এখন তাঁর প্রধান উদ্বেগ, কীভাবে হারানো বাজার ও ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার করবেন।
গত চার বছর ধরে টেসলা নতুন গ্রাহক আনার ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল—প্রতি একজন গ্রাহক হারানোর বিপরীতে তারা প্রায় পাঁচজন নতুন গ্রাহক পেত। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর থেকে এই হার দ্রুত কমতে শুরু করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি একজন গ্রাহক হারানোর বিপরীতে তারা গড়ে দুজনেরও কম নতুন গ্রাহক পাচ্ছে, যা কোম্পানির ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে রিভিয়ান, পোলস্টার, পোর্শে ও ক্যাডিলাক এখন টেসলার তুলনায় বেশি গ্রাহক পাচ্ছে।
তবে কিছু বিনিয়োগকারী দীর্ঘ মেয়াদে টেসলার আয়ের বিষয়ে আশাবাদী। তাঁদের মতে, অন্য কোম্পানিগুলোকে রোবোট্যাক্সি সেবা (চালকবিহীন ট্যাক্সি সেবা) ও স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং প্রযুক্তির লাইসেন্স দিয়ে টেসলা বিশাল মুনাফা করতে পারে। গত জুনে টেসলা সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলক রোবোট্যাক্সি চালু করেছে। যদি এই প্রযুক্তি সফল হয়, বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস—টেসলার হয়তো আর গাড়ি বিক্রির ওপর নির্ভর করতে হবে না।

‘দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ-প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল’ নির্ধারণ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ৩টায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৪৪ মিনিট আগে
একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা ছাপানো, পরিবহন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় গেলে এই বিশাল খরচ কমবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত হবে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও সময়োপযোগী।
৬ ঘণ্টা আগে
একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক একীভূতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবির পাশাপাশি আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ-প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল’ নির্ধারণ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ৩টায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন। সভায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দও অংশ নেন।
দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানীরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগের সম্ভাবনা ও কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের ভবিষ্যৎ পরমাণু কৌশল ও নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান, বর্তমান সদস্য (ভৌত বিজ্ঞান) ড. দেবাশীষ পাল।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন মতবিনিময় সভায় দেশে জনকল্যাণে পরমাণু প্রযুক্তির প্রসার এবং একটি টেকসই পরমাণু কৌশল ও নীতিনির্ধারণে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ ও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের কৌশল নির্ধারণে দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

‘দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ-প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল’ নির্ধারণ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ৩টায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন। সভায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দও অংশ নেন।
দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানীরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগের সম্ভাবনা ও কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের ভবিষ্যৎ পরমাণু কৌশল ও নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান, বর্তমান সদস্য (ভৌত বিজ্ঞান) ড. দেবাশীষ পাল।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন মতবিনিময় সভায় দেশে জনকল্যাণে পরমাণু প্রযুক্তির প্রসার এবং একটি টেকসই পরমাণু কৌশল ও নীতিনির্ধারণে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ ও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের কৌশল নির্ধারণে দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

এসঅ্যান্ডপির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুনে টেসলার জনপ্রিয়তা বা ব্র্যান্ড আনুগত্য ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সে সময় নতুন গাড়ি কিনতে গিয়ে টেসলামালিকদের ৭৩ শতাংশ আবারও টেসলাই কিনেছিল। কিন্তু জুলাইয়ে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের ওপর হামলার পর মাস্ক প্রকাশ্যে রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানালে এই
০৪ আগস্ট ২০২৫
একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা ছাপানো, পরিবহন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় গেলে এই বিশাল খরচ কমবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত হবে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও সময়োপযোগী।
৬ ঘণ্টা আগে
একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক একীভূতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবির পাশাপাশি আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এফসিডিওর কারিগরি সহায়তা ও মতামত নিয়ে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনে রেজল্যুশনপ্রক্রিয়ায় আমানতকারী, শেয়ারহোল্ডারসহ পাওনাদারদের অধিকার স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা আছে।
অধ্যাদেশের ধারা ১৬(২)(ট), ২৮(৫), ৩৭(২)(গ) ও ৩৮(২) অনুসারে, রেজল্যুশনের আওতাধীন ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার, দায়ী ব্যক্তি, অ্যাডিশনাল টিয়ার-১ ও টিয়ার-২ মূলধনধারকদের ওপর লোকসান আরোপের ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
ধারা ৪০ অনুযায়ী, রেজল্যুশনের বদলে অবসায়ন হলে শেয়ারহোল্ডাররা যে ক্ষতির মুখে পড়তেন, তারচেয়ে বেশি ক্ষতি হলে সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, পাঁচ ব্যাংক বিশাল লোকসানে রয়েছে এবং তাদের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ঋণাত্মক। এসব বিবেচনায় চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংকিং সেক্টর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর সমস্ত লোকসানের দায়ভার শেয়ারহোল্ডারদের বহন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এফসিডিওর কারিগরি সহায়তা ও মতামত নিয়ে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনে রেজল্যুশনপ্রক্রিয়ায় আমানতকারী, শেয়ারহোল্ডারসহ পাওনাদারদের অধিকার স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা আছে।
অধ্যাদেশের ধারা ১৬(২)(ট), ২৮(৫), ৩৭(২)(গ) ও ৩৮(২) অনুসারে, রেজল্যুশনের আওতাধীন ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার, দায়ী ব্যক্তি, অ্যাডিশনাল টিয়ার-১ ও টিয়ার-২ মূলধনধারকদের ওপর লোকসান আরোপের ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
ধারা ৪০ অনুযায়ী, রেজল্যুশনের বদলে অবসায়ন হলে শেয়ারহোল্ডাররা যে ক্ষতির মুখে পড়তেন, তারচেয়ে বেশি ক্ষতি হলে সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, পাঁচ ব্যাংক বিশাল লোকসানে রয়েছে এবং তাদের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ঋণাত্মক। এসব বিবেচনায় চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংকিং সেক্টর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর সমস্ত লোকসানের দায়ভার শেয়ারহোল্ডারদের বহন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

এসঅ্যান্ডপির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুনে টেসলার জনপ্রিয়তা বা ব্র্যান্ড আনুগত্য ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সে সময় নতুন গাড়ি কিনতে গিয়ে টেসলামালিকদের ৭৩ শতাংশ আবারও টেসলাই কিনেছিল। কিন্তু জুলাইয়ে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের ওপর হামলার পর মাস্ক প্রকাশ্যে রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানালে এই
০৪ আগস্ট ২০২৫
‘দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ-প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল’ নির্ধারণ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ৩টায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৪৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা ছাপানো, পরিবহন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় গেলে এই বিশাল খরচ কমবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত হবে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও সময়োপযোগী।
৬ ঘণ্টা আগে
একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক একীভূতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবির পাশাপাশি আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেবাকৃবি সংবাদদাতা

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা ছাপানো, পরিবহন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় গেলে এই বিশাল খরচ কমবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত হবে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও সময়োপযোগী।
আজ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক সেমিনারে ভিডিওবার্তায় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, ‘অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখনো দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পুরোপুরি পৌঁছায়নি। আমরা চাই, নগদ টাকা না তুলে সেই অর্থ মোবাইল বা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যম রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের মানুষ ব্যবহার করবেন। তখনই সত্যিকারের ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’
গভর্নর আরও বলেন, ‘আমরা নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যেখানে ডিজিটাল ও স্মার্ট লেনদেনের মাধ্যমে অর্থনীতি হবে গতিশীল ও স্বচ্ছ। মানুষকে ছোট ছোট কাজে ব্যাংকে যেতে হবে না, ফলে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তা। ‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—স্লোগান নিয়ে সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সহযোগিতায় ছিল ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক জি এম মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক ময়মনসিংহ কার্যালয়ের পরিচালক জয়দেব চন্দ্র বণিক এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার আবেদুর রহমান সিকদার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জুয়েল মজুমদার সেমিনারে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ বিষয়ে উপস্থাপনা দেন। তিনি ক্যাশ টাকার ব্যবহারজনিত অসুবিধা, ডিজিটাল লেনদেনের প্রয়োজনীয়তা ও নিরাপত্তা জোরদার করতে নেওয়া উদ্যোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুজিবর রহমান বলেন, কাগজের মুদ্রা শুধু নোংরাই নয়, তা রোগজীবাণুরও বাহক। ক্যাশলেস লেনদেন বাড়লে তা স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির জন্যই মঙ্গলজনক হবে। বাকৃবি ক্যাম্পাসকে ধীরে ধীরে ক্যাশলেস ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রাফেজা আক্তার কান্তা বলেন, ‘আমরা সারা দেশে বাংলা কিউআর কোড চালু করার চেষ্টা করছি, যাতে প্রান্তিক জনগণও সহজে ডিজিটাল লেনদেন করতে পারেন। আমরা বিশ্বাস করি, “কাস্টমার ইজ দ্য কি”। তাই সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতেই এই উদ্যোগ।’
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে শিক্ষার্থী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে মুক্ত প্রশ্নোত্তরপর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা ছাপানো, পরিবহন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় গেলে এই বিশাল খরচ কমবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত হবে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও সময়োপযোগী।
আজ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক সেমিনারে ভিডিওবার্তায় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, ‘অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখনো দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পুরোপুরি পৌঁছায়নি। আমরা চাই, নগদ টাকা না তুলে সেই অর্থ মোবাইল বা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যম রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের মানুষ ব্যবহার করবেন। তখনই সত্যিকারের ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’
গভর্নর আরও বলেন, ‘আমরা নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যেখানে ডিজিটাল ও স্মার্ট লেনদেনের মাধ্যমে অর্থনীতি হবে গতিশীল ও স্বচ্ছ। মানুষকে ছোট ছোট কাজে ব্যাংকে যেতে হবে না, ফলে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তা। ‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—স্লোগান নিয়ে সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সহযোগিতায় ছিল ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক জি এম মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক ময়মনসিংহ কার্যালয়ের পরিচালক জয়দেব চন্দ্র বণিক এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার আবেদুর রহমান সিকদার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জুয়েল মজুমদার সেমিনারে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ বিষয়ে উপস্থাপনা দেন। তিনি ক্যাশ টাকার ব্যবহারজনিত অসুবিধা, ডিজিটাল লেনদেনের প্রয়োজনীয়তা ও নিরাপত্তা জোরদার করতে নেওয়া উদ্যোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুজিবর রহমান বলেন, কাগজের মুদ্রা শুধু নোংরাই নয়, তা রোগজীবাণুরও বাহক। ক্যাশলেস লেনদেন বাড়লে তা স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির জন্যই মঙ্গলজনক হবে। বাকৃবি ক্যাম্পাসকে ধীরে ধীরে ক্যাশলেস ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রাফেজা আক্তার কান্তা বলেন, ‘আমরা সারা দেশে বাংলা কিউআর কোড চালু করার চেষ্টা করছি, যাতে প্রান্তিক জনগণও সহজে ডিজিটাল লেনদেন করতে পারেন। আমরা বিশ্বাস করি, “কাস্টমার ইজ দ্য কি”। তাই সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতেই এই উদ্যোগ।’
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে শিক্ষার্থী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে মুক্ত প্রশ্নোত্তরপর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

এসঅ্যান্ডপির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুনে টেসলার জনপ্রিয়তা বা ব্র্যান্ড আনুগত্য ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সে সময় নতুন গাড়ি কিনতে গিয়ে টেসলামালিকদের ৭৩ শতাংশ আবারও টেসলাই কিনেছিল। কিন্তু জুলাইয়ে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের ওপর হামলার পর মাস্ক প্রকাশ্যে রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানালে এই
০৪ আগস্ট ২০২৫
‘দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ-প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল’ নির্ধারণ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ৩টায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৪৪ মিনিট আগে
একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে
১ ঘণ্টা আগে
একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক একীভূতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবির পাশাপাশি আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক একীভূতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এ ছাড়া আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা। তা না হলে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরোনো ভবনের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা।
এর আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ইকুইটির মূল্য এখন শূন্যের নিচে। ফলে শেয়ারগুলোর ভ্যালু জিরো হিসেবে বিবেচিত হবে। কাউকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।
সরকারের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘মার্জারের সার্কুলার হওয়ার পরে তা প্রত্যাহারের দাবি করেছিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অথর্ব। আমাদের কথা কানে নেননি। আজকে পাঁচটি ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা যে অবস্থান করছে, তাঁরা কোথায় যাবেন? কাদের স্বার্থে আপনি (গভর্নর) কাজ করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
মিজানুর রশিদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার সারা দেশের বিনিয়োগকারীদের এখানে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান করব। যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের ঘোষণা প্রত্যাহার না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তা না হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পদত্যাগ করতে হবে। আপনারা সবাই মঙ্গলবার দুপুর ২টায় উপস্থিত থাকবেন।’
মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, মার্জারের পুরো প্রক্রিয়াটা বিনিয়োগকারীদের ধ্বংস করতে নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের উদাহরণ বাংলাদেশে চলে না। এই ব্যাংকগুলোকে ভালো ভালো তকমা দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর এগুলোর দুর্বলতা সামনে এসেছে। তত দিনে উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা তাঁদের শেয়ার বিক্রি করে বেরিয়ে গেছে। যাঁদের হাতে শেয়ার ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগই সাধারণ ও স্বল্প মূলধনী বিনিয়োগকারী। তাঁরা যদি, তাঁদের বিনিয়োগের কোনো অংশ ফেরত না পান, তাহলে সারা জীবনের জন্য পুঁজিবাজার ত্যাগ করবেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতসহ সব খাতে স্থবিরতা নিয়ে এসেছে। বর্তমান সরকার ও গভর্নরের কোনো ধরনের ম্যানডেট নেই। তারা এই ধরনের মনগড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
সাজ্জাদুর আরও বলেন, ‘যে অর্থ উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি সব ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। পুরো আর্থিক খাতের সব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যাঁরা আছেন, অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করছি। পদত্যাগের আগে কোনো ব্যাংক মার্জার করার সুযোগ দেওয়া হবে না।’
সংগঠনটির মুখপাত্র মো. মহসিন কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘একীভূত হওয়া ব্যাংকে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার দিতে হবে। সরকারের চুরির দায় কেন সাধারণ মানুষ নেবে। সরকারের কি কোনো দায় নেই? টাকা পাচারের সময় সরকার কোথায় ছিল? এখন জনগণের বিনিয়োগের সুরক্ষা কে দেবে? বেনামে থাকা সম্পত্তির মালিক বিনিয়োগকারীদের করতে হবে। এস আলমের সম্পত্তি ব্যাংকের শেয়ারের সম্পদমূল্যে (এনএভি) যোগ করতে হবে। যখন ব্যাংক লুট হয়েছে, ওই সময় ব্যাংক কর্মকর্তারা কী করেছেন? তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এর আগে সকালে ওই পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। ফলে পুঁজিবাজারে এখন থেকে ব্যাংকগুলোর শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।
শেয়ার লেনদেন স্থগিত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
লেনদেন স্থগিত করার কারণ হিসেবে ডিএসই থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংক রেজ্যুলেশন অধ্যাদেশ ২০২৫-এর ধারা ১৫ অনুসারে ৫ নভেম্বর থেকে ব্যাংকগুলোকে অকার্যকর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক একীভূতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এ ছাড়া আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা। তা না হলে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরোনো ভবনের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা।
এর আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ইকুইটির মূল্য এখন শূন্যের নিচে। ফলে শেয়ারগুলোর ভ্যালু জিরো হিসেবে বিবেচিত হবে। কাউকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।
সরকারের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘মার্জারের সার্কুলার হওয়ার পরে তা প্রত্যাহারের দাবি করেছিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অথর্ব। আমাদের কথা কানে নেননি। আজকে পাঁচটি ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা যে অবস্থান করছে, তাঁরা কোথায় যাবেন? কাদের স্বার্থে আপনি (গভর্নর) কাজ করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
মিজানুর রশিদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার সারা দেশের বিনিয়োগকারীদের এখানে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান করব। যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের ঘোষণা প্রত্যাহার না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তা না হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পদত্যাগ করতে হবে। আপনারা সবাই মঙ্গলবার দুপুর ২টায় উপস্থিত থাকবেন।’
মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, মার্জারের পুরো প্রক্রিয়াটা বিনিয়োগকারীদের ধ্বংস করতে নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের উদাহরণ বাংলাদেশে চলে না। এই ব্যাংকগুলোকে ভালো ভালো তকমা দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর এগুলোর দুর্বলতা সামনে এসেছে। তত দিনে উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা তাঁদের শেয়ার বিক্রি করে বেরিয়ে গেছে। যাঁদের হাতে শেয়ার ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগই সাধারণ ও স্বল্প মূলধনী বিনিয়োগকারী। তাঁরা যদি, তাঁদের বিনিয়োগের কোনো অংশ ফেরত না পান, তাহলে সারা জীবনের জন্য পুঁজিবাজার ত্যাগ করবেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতসহ সব খাতে স্থবিরতা নিয়ে এসেছে। বর্তমান সরকার ও গভর্নরের কোনো ধরনের ম্যানডেট নেই। তারা এই ধরনের মনগড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
সাজ্জাদুর আরও বলেন, ‘যে অর্থ উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি সব ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। পুরো আর্থিক খাতের সব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যাঁরা আছেন, অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করছি। পদত্যাগের আগে কোনো ব্যাংক মার্জার করার সুযোগ দেওয়া হবে না।’
সংগঠনটির মুখপাত্র মো. মহসিন কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘একীভূত হওয়া ব্যাংকে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার দিতে হবে। সরকারের চুরির দায় কেন সাধারণ মানুষ নেবে। সরকারের কি কোনো দায় নেই? টাকা পাচারের সময় সরকার কোথায় ছিল? এখন জনগণের বিনিয়োগের সুরক্ষা কে দেবে? বেনামে থাকা সম্পত্তির মালিক বিনিয়োগকারীদের করতে হবে। এস আলমের সম্পত্তি ব্যাংকের শেয়ারের সম্পদমূল্যে (এনএভি) যোগ করতে হবে। যখন ব্যাংক লুট হয়েছে, ওই সময় ব্যাংক কর্মকর্তারা কী করেছেন? তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এর আগে সকালে ওই পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। ফলে পুঁজিবাজারে এখন থেকে ব্যাংকগুলোর শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।
শেয়ার লেনদেন স্থগিত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
লেনদেন স্থগিত করার কারণ হিসেবে ডিএসই থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংক রেজ্যুলেশন অধ্যাদেশ ২০২৫-এর ধারা ১৫ অনুসারে ৫ নভেম্বর থেকে ব্যাংকগুলোকে অকার্যকর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এসঅ্যান্ডপির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুনে টেসলার জনপ্রিয়তা বা ব্র্যান্ড আনুগত্য ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সে সময় নতুন গাড়ি কিনতে গিয়ে টেসলামালিকদের ৭৩ শতাংশ আবারও টেসলাই কিনেছিল। কিন্তু জুলাইয়ে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের ওপর হামলার পর মাস্ক প্রকাশ্যে রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানালে এই
০৪ আগস্ট ২০২৫
‘দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ-প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল’ নির্ধারণ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ৩টায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৪৪ মিনিট আগে
একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা ছাপানো, পরিবহন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় গেলে এই বিশাল খরচ কমবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত হবে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও সময়োপযোগী।
৬ ঘণ্টা আগে