অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটেন থেকে আমদানি করা কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। দেশ দুটির মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা চলছে। গতকাল সোমবার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই চুক্তি ঘোষণা করেন। এতে ব্রিটিশ গাড়ির কোটা ও শুল্ক হার বহাল রাখা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের অ্যারোস্পেস খাতে শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম ইস্যু এখনো অমীমাংসিত। ওষুধ শিল্পসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতের কথা এই চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
ট্রাম্প বলেন, ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্ক ‘দারুণ।’ এ সময় তিনি হাত নেড়ে সদ্য স্বাক্ষরিত চুক্তির একটি কাগজ তুলে ধরেন, পরে আবার সেটি ফেলে দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এটি স্বাক্ষর করেছি, কাজ শেষ।’ পরে ভুল করে একে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বলে উল্লেখ করেন, পরে সংশোধন করে বলেন এটি ব্রিটেনের সঙ্গে।
স্টারমার বলেন, ‘এটি আমাদের দুই দেশের জন্যই দারুণ এক দিন, এক ধরনের শক্তির বার্তা।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ব্রিটেনকে কোটা সুবিধা দেবে। এতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে না। তবে এই ছাড় পেতে হলে ব্রিটেনকে নিরাপদ সরবরাহ ব্যবস্থা ও উৎপাদন সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ-সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। এই কোটা নির্ধারণ করবেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক।
চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশের ওপর স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে তার মধ্যে ব্রিটেন ছিল না। তবে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তি কার্যকর না হলে এই শুল্ক ব্রিটেনের ওপরও পড়ত।
চুক্তি অনুযায়ী, ব্রিটিশ গাড়ি নির্মাতারা বছরে ১ লাখ গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে ১০ শতাংশ শুল্কে রপ্তানি করতে পারবেন। অন্য দেশগুলোর জন্য এই হার ২৫ শতাংশ। হোয়াইট হাউস জানায়, এই পরিকল্পনা ফেডারেল রেজিস্ট্রারে প্রকাশের সাত দিনের মাথায় কার্যকর হবে। নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের অ্যারোস্পেস শিল্প, বিমান ও যন্ত্রাংশে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে।
চুক্তি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে গরুর মাংস ও ইথানল আমদানির শুল্ক কমাতে ব্রিটেন সম্মত হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ গাড়ি, অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলে শুল্ক কমিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এমন চুক্তিতে ব্রিটেনই প্রথম। তবে চুক্তির বাস্তবায়ন কিছুটা দেরিতে হচ্ছে। এখনো কিছু বিষয়ে আলোচনা চলছে।
ব্রিটেন এই চুক্তিকে বিমান ও গাড়ি খাতের জন্য ‘বড় বিজয়’ বলে উল্লেখ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন চুক্তি করতে পেরেছে, এমন দেশ ব্রিটেনই একমাত্র।
যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সাধারণত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হতে মাসের পর মাস সময় লাগে। কিন্তু আমরা কয়েক সপ্তাহেই প্রথম দফার চুক্তি বাস্তবায়ন করছি। এখানেই থেমে থাকব না।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন পরস্পরের বাজারে ১৩ হাজার মেট্রিক টন গরুর মাংস প্রবেশের সুযোগ দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা খাদ্যপণ্যকে যুক্তরাজ্যের কঠোর নিরাপত্তা মান বজায় রাখতে হবে।
ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে যুক্তরাজ্যের জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘সেকশন-২৩২’ আওতায় নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ হলে, তাতেও যুক্তরাজ্যের স্বার্থ সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুক্তিটি ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যকে শুল্ক হুমকি থেকে রক্ষা করবে কি না—সাংবাদিকেরা এমন প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাজ্য খুব ভালোভাবেই সুরক্ষিত। জানেন কেন? কারণ আমি তাদের পছন্দ করি। সেটাই তাদের সবচেয়ে বড় সুরক্ষা।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটেন থেকে আমদানি করা কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। দেশ দুটির মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা চলছে। গতকাল সোমবার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই চুক্তি ঘোষণা করেন। এতে ব্রিটিশ গাড়ির কোটা ও শুল্ক হার বহাল রাখা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের অ্যারোস্পেস খাতে শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম ইস্যু এখনো অমীমাংসিত। ওষুধ শিল্পসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতের কথা এই চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
ট্রাম্প বলেন, ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্ক ‘দারুণ।’ এ সময় তিনি হাত নেড়ে সদ্য স্বাক্ষরিত চুক্তির একটি কাগজ তুলে ধরেন, পরে আবার সেটি ফেলে দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এটি স্বাক্ষর করেছি, কাজ শেষ।’ পরে ভুল করে একে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বলে উল্লেখ করেন, পরে সংশোধন করে বলেন এটি ব্রিটেনের সঙ্গে।
স্টারমার বলেন, ‘এটি আমাদের দুই দেশের জন্যই দারুণ এক দিন, এক ধরনের শক্তির বার্তা।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ব্রিটেনকে কোটা সুবিধা দেবে। এতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে না। তবে এই ছাড় পেতে হলে ব্রিটেনকে নিরাপদ সরবরাহ ব্যবস্থা ও উৎপাদন সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ-সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। এই কোটা নির্ধারণ করবেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক।
চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশের ওপর স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে তার মধ্যে ব্রিটেন ছিল না। তবে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তি কার্যকর না হলে এই শুল্ক ব্রিটেনের ওপরও পড়ত।
চুক্তি অনুযায়ী, ব্রিটিশ গাড়ি নির্মাতারা বছরে ১ লাখ গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে ১০ শতাংশ শুল্কে রপ্তানি করতে পারবেন। অন্য দেশগুলোর জন্য এই হার ২৫ শতাংশ। হোয়াইট হাউস জানায়, এই পরিকল্পনা ফেডারেল রেজিস্ট্রারে প্রকাশের সাত দিনের মাথায় কার্যকর হবে। নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের অ্যারোস্পেস শিল্প, বিমান ও যন্ত্রাংশে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে।
চুক্তি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে গরুর মাংস ও ইথানল আমদানির শুল্ক কমাতে ব্রিটেন সম্মত হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ গাড়ি, অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলে শুল্ক কমিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এমন চুক্তিতে ব্রিটেনই প্রথম। তবে চুক্তির বাস্তবায়ন কিছুটা দেরিতে হচ্ছে। এখনো কিছু বিষয়ে আলোচনা চলছে।
ব্রিটেন এই চুক্তিকে বিমান ও গাড়ি খাতের জন্য ‘বড় বিজয়’ বলে উল্লেখ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন চুক্তি করতে পেরেছে, এমন দেশ ব্রিটেনই একমাত্র।
যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সাধারণত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হতে মাসের পর মাস সময় লাগে। কিন্তু আমরা কয়েক সপ্তাহেই প্রথম দফার চুক্তি বাস্তবায়ন করছি। এখানেই থেমে থাকব না।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন পরস্পরের বাজারে ১৩ হাজার মেট্রিক টন গরুর মাংস প্রবেশের সুযোগ দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা খাদ্যপণ্যকে যুক্তরাজ্যের কঠোর নিরাপত্তা মান বজায় রাখতে হবে।
ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে যুক্তরাজ্যের জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘সেকশন-২৩২’ আওতায় নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ হলে, তাতেও যুক্তরাজ্যের স্বার্থ সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুক্তিটি ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যকে শুল্ক হুমকি থেকে রক্ষা করবে কি না—সাংবাদিকেরা এমন প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাজ্য খুব ভালোভাবেই সুরক্ষিত। জানেন কেন? কারণ আমি তাদের পছন্দ করি। সেটাই তাদের সবচেয়ে বড় সুরক্ষা।’
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়ার অধিকাংশ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। আর শুল্কের কারণে এ খাতে শঙ্কার জন্ম হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল লিবারেশন ডে ঘোষণা করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রভাবের
৯ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এর বড় ধাক্কা লেগেছে ভারতের তৈরি পোশাক খাতে। ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন আতঙ্কে কাটছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের।
১১ ঘণ্টা আগেব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
১৯ ঘণ্টা আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
১৯ ঘণ্টা আগে