নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান সংস্কার সংকটের মধ্যে তৃতীয় দফায় আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের মধ্যে একজন কমিশনারও রয়েছেন। এ নিয়ে গত তিন দিনে এনবিআরের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামল সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় দুদক।
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন ঢাকার (পূর্ব) কমিশনার (কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট) কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বেনাপোল স্থলবন্দরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, উপ-কর কমিশনার মো. মামুন মিয়া, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট) সেহেলা সিদ্দিকা ও কর অঞ্চল-২-এর কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ। তাঁদের বিরুদ্ধে দুদকে তথ্যানুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গত মাসে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে যে আন্দোলন হয়, সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ কর্মকর্তা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। এর মধ্যে সেহেলা সিদ্দিকা ছিলেন ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র।
দুদক জানায়, কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কর ও শুল্ক ফাঁকির সুযোগ করে দেন। অভিযোগ রয়েছে, কিছু কর্মকর্তা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকির মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের হয়রানি করে থাকেন। ফলে প্রতিবছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
এর আগে একই ধরনের অভিযোগে আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাঁরা হলেন অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া, সদস্য লুতফুল আজীম, সিআইসির সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপ-কর কমিশনার মো. শিহাবুল ইসলাম ও যুগ্ম কমিশনার মো. তারেক হাসান। তাঁদের মধ্যে শিহাবুল ইসলাম, তারেক হাসান ও আব্দুল রশীদ মিয়া সংস্কার ঐক্য পরিষদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
এ ছাড়া গত ২৯ জুন এনবিআরের আরও ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতৃস্থানীয় সদস্য। তাঁরা হলেন এনবিআরের সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, অতিরিক্ত কর কমিশনার ও পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মির্জা আশিক রানা, যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান, যুগ্ম কর কমিশনার ও সহসভাপতি মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, অতিরিক্ত কমিশনার ও সভাপতি হাসান তারেক রিকাবদার এবং অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কণ্ডু। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই এনবিআরের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন রাজস্ব সংস্কার বিষয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠনের পর আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এর আগে রাজস্বব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার ও এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে টানা এক সপ্তাহ আন্দোলন করে আসে ঐক্য পরিষদ। এর অংশ হিসেবে তারা ‘মার্চ টু এনবিআর’ ও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করে।
গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করলে আন্দোলন আরও ঘনীভূত হয়। তবে ২৫ মে এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনবিআর বিলুপ্ত করা হবে না; বরং এটিকে সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগ হিসেবে শক্তিশালী করা হবে এবং রাজস্ব নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি আলাদা বিশেষায়িত সংস্থা গঠিত হবে। প্রয়োজনীয় সংশোধনের আগ পর্যন্ত অধ্যাদেশটি কার্যকর হবে না বলেও জানানো হয়।
এ ঘোষণার পরপরই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তাদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান সংস্কার সংকটের মধ্যে তৃতীয় দফায় আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের মধ্যে একজন কমিশনারও রয়েছেন। এ নিয়ে গত তিন দিনে এনবিআরের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামল সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় দুদক।
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন ঢাকার (পূর্ব) কমিশনার (কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট) কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বেনাপোল স্থলবন্দরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, উপ-কর কমিশনার মো. মামুন মিয়া, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট) সেহেলা সিদ্দিকা ও কর অঞ্চল-২-এর কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ। তাঁদের বিরুদ্ধে দুদকে তথ্যানুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গত মাসে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে যে আন্দোলন হয়, সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ কর্মকর্তা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। এর মধ্যে সেহেলা সিদ্দিকা ছিলেন ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র।
দুদক জানায়, কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কর ও শুল্ক ফাঁকির সুযোগ করে দেন। অভিযোগ রয়েছে, কিছু কর্মকর্তা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকির মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের হয়রানি করে থাকেন। ফলে প্রতিবছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
এর আগে একই ধরনের অভিযোগে আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাঁরা হলেন অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া, সদস্য লুতফুল আজীম, সিআইসির সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপ-কর কমিশনার মো. শিহাবুল ইসলাম ও যুগ্ম কমিশনার মো. তারেক হাসান। তাঁদের মধ্যে শিহাবুল ইসলাম, তারেক হাসান ও আব্দুল রশীদ মিয়া সংস্কার ঐক্য পরিষদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
এ ছাড়া গত ২৯ জুন এনবিআরের আরও ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতৃস্থানীয় সদস্য। তাঁরা হলেন এনবিআরের সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, অতিরিক্ত কর কমিশনার ও পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মির্জা আশিক রানা, যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান, যুগ্ম কর কমিশনার ও সহসভাপতি মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, অতিরিক্ত কমিশনার ও সভাপতি হাসান তারেক রিকাবদার এবং অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কণ্ডু। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই এনবিআরের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন রাজস্ব সংস্কার বিষয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠনের পর আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এর আগে রাজস্বব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার ও এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে টানা এক সপ্তাহ আন্দোলন করে আসে ঐক্য পরিষদ। এর অংশ হিসেবে তারা ‘মার্চ টু এনবিআর’ ও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করে।
গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করলে আন্দোলন আরও ঘনীভূত হয়। তবে ২৫ মে এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনবিআর বিলুপ্ত করা হবে না; বরং এটিকে সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগ হিসেবে শক্তিশালী করা হবে এবং রাজস্ব নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি আলাদা বিশেষায়িত সংস্থা গঠিত হবে। প্রয়োজনীয় সংশোধনের আগ পর্যন্ত অধ্যাদেশটি কার্যকর হবে না বলেও জানানো হয়।
এ ঘোষণার পরপরই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তাদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।
বিগত বছরগুলোতে বোরো ও আমন মৌসুমে সরকারি ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি খাদ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু এবার চিত্র ভিন্ন। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই লক্ষ্য ছাড়িয়ে গেছে সংগ্রহ। ইতিহাসে প্রথমবার সর্বোচ্চ পরিমাণ ধান ও চাল সংগ্রহ করেছে সরকার।
২ ঘণ্টা আগেআগস্টের প্রথম ২০ দিনে রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) প্রবাহ ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
৩ ঘণ্টা আগেদেশে প্রিফ্যাব্রিকেটেড স্টিল শিল্পের বাজার এখন ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। শিল্পায়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন ও রপ্তানির সম্ভাবনাময় খাতটি দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে। এই বাস্তবতায় নভেম্বরে রাজধানীতে আয়োজন করা হবে দুই দিনের ‘মেটাল এক্সপো বাংলাদেশ ২০২৫’।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) পদ্ধতি অনুসারে, বাংলাদেশের নিট রিজার্ভ বর্তমানে ২৫ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৩ ঘণ্টা আগে