নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় অর্ধেকই বাস্তবায়ন হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেটে নতুন করে এডিপির জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় এই বিশাল বরাদ্দের অর্থ আগামী অর্থবছরে ব্যয় করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বাজেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এই বরাদ্দ মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এডিপি ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা বা বাজেটের ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রাপ্ত তথ্যের হিসাবে দেখা যায়, আগামী অর্থবছরের জন্য এডিপি বেড়েছে ২ হাজার কোটি টাকা।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের মধ্যে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয় নির্বাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এডিপির আকার চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় ২ হাজার কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) তুলনায় ২০ হাজার কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি।
এদিকে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৯ হাজার ৮২ কোটি টাকা বা ২৬ দশমিক ২১ শতাংশ। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৩৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। খাতভিত্তিক দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ১৭৫ কোটি বা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ১৬ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসেবা খাতে ১৩ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা এবং পানিসম্পদ খাতে ৮ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এডিপি নিতে হলেও তার যথার্থতা এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে নিতে হবে। তা না হলে জনগণের করের অর্থ এবং ঋণের অর্থ ব্যয় করা উচিত নয়। বরাদ্দকৃত অর্থ কেন ব্যয় হয় না, তার কারণ খুঁজে বের করে পরবর্তীকালে প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে হবে। আবার সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ করা জরুরি। তা করতে না পারলে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে এবং জনগণ বিলম্বে সেবা পায়।
সূত্র জানায়, নতুন এডিপিতে মোট প্রকল্প থাকছে ১ হাজার ৩৩৭টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ১৪৯টি, কারিগরি সহায়তার ৮৬টি এবং সমীক্ষা প্রকল্প রয়েছে ২৩টি। মোট প্রকল্পের মধ্যে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি থেকে স্থানান্তর হবে ১ হাজার ২৭৭টি প্রকল্প। বাকিগুলোর মধ্যে নতুন অনুমোদিত প্রকল্প রয়েছে ৬০টি। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরের এডিপিতে নতুন কিন্তু অনুমোদনহীন প্রকল্প যুক্ত হচ্ছে ১ হাজার ৮৯৪টি, বৈদেশিক অর্থায়নের সুবিধায় অনুমোদনহীন নতুন ২৫৭টি প্রকল্প এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) প্রকল্প থাকবে ৮০টি।
চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় অর্ধেকই বাস্তবায়ন হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেটে নতুন করে এডিপির জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় এই বিশাল বরাদ্দের অর্থ আগামী অর্থবছরে ব্যয় করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বাজেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এই বরাদ্দ মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এডিপি ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা বা বাজেটের ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রাপ্ত তথ্যের হিসাবে দেখা যায়, আগামী অর্থবছরের জন্য এডিপি বেড়েছে ২ হাজার কোটি টাকা।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের মধ্যে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয় নির্বাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এডিপির আকার চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় ২ হাজার কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) তুলনায় ২০ হাজার কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি।
এদিকে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৯ হাজার ৮২ কোটি টাকা বা ২৬ দশমিক ২১ শতাংশ। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৩৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। খাতভিত্তিক দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ১৭৫ কোটি বা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ১৬ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসেবা খাতে ১৩ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা এবং পানিসম্পদ খাতে ৮ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এডিপি নিতে হলেও তার যথার্থতা এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে নিতে হবে। তা না হলে জনগণের করের অর্থ এবং ঋণের অর্থ ব্যয় করা উচিত নয়। বরাদ্দকৃত অর্থ কেন ব্যয় হয় না, তার কারণ খুঁজে বের করে পরবর্তীকালে প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে হবে। আবার সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ করা জরুরি। তা করতে না পারলে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে এবং জনগণ বিলম্বে সেবা পায়।
সূত্র জানায়, নতুন এডিপিতে মোট প্রকল্প থাকছে ১ হাজার ৩৩৭টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ১৪৯টি, কারিগরি সহায়তার ৮৬টি এবং সমীক্ষা প্রকল্প রয়েছে ২৩টি। মোট প্রকল্পের মধ্যে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি থেকে স্থানান্তর হবে ১ হাজার ২৭৭টি প্রকল্প। বাকিগুলোর মধ্যে নতুন অনুমোদিত প্রকল্প রয়েছে ৬০টি। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরের এডিপিতে নতুন কিন্তু অনুমোদনহীন প্রকল্প যুক্ত হচ্ছে ১ হাজার ৮৯৪টি, বৈদেশিক অর্থায়নের সুবিধায় অনুমোদনহীন নতুন ২৫৭টি প্রকল্প এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) প্রকল্প থাকবে ৮০টি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
২ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে কমিশন সভাকক্ষে এই বৈঠক...
২ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
১০ ঘণ্টা আগে