বিটিএমএর সংবাদ সম্মেলন
অনলাইন ডেস্ক
দেশীয় টেক্সটাইল খাত চরম সংকটে। গ্যাস-সংকট, মূল্যবৃদ্ধির চাপ ছিলই, তার ওপর ভারতীয় সুতার আগ্রাসন পরিস্থিতিকে আরও বিপর্যস্ত করেছে। স্থলবন্দর দিয়ে ডাম্পিং মূল্যে সুতা-কাপড় আসায় বাজার খুলে গেছে বিদেশিদের জন্য, স্থানীয় উৎপাদকেরা টিকে থাকার লড়াইয়ে হার মানছে, রপ্তানিও পড়েছে হুমকির মুখে। সবই বিগত সরকারের ভুল নীতির ফল, যে শিল্প একসময় সম্ভাবনার ছিল, আজ তা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
এই সংকট থেকে উত্তরণে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) তিনটি দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, প্রথমত, স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, গ্যাসের দাম বাড়ানো যাবে না এবং নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয়ত, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রক্রিয়ায় এমন নীতিগত পরিবর্তন করা যাবে না, যা দেশীয় শিল্পকে দুর্বল করে দেয়।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই খাতটির অবস্থান এবং সংকট উত্তরণ-সম্পর্কিত এসব দাবি তুলে ধরেন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং রপ্তানি আয়ের অন্যতম চালিকাশক্তি হলো টেক্সটাইল খাত। অথচ নানাবিধ সংকটে এই খাত আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের সংকট, ব্যাংক সুদের হার ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি, নগদ প্রণোদনার অস্বাভাবিক হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়নের ফলে উদ্যোক্তাদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের সংকট চরমে পৌঁছেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ খাতে বিনিয়োগ ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। এটি বেসরকারি খাতে একক বৃহত্তম বিনিয়োগ। বাংলাদেশের জিডিপিতে টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতের অবদান প্রায় ১৩ শতাংশ। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশই আসে এই খাত থেকে। বিটিএমএর সদস্য মিলগুলো তৈরি পোশাক খাতে ৭০ শতাংশ কাঁচামাল সরবরাহ করে, ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
বিটিএমএ জানায়, স্থানীয় বাজারের নিট পোশাক খাতের শতভাগ সুতা এবং উইভিং খাতের ৫০ শতাংশ দেশীয় উৎপাদন থেকে আসে। ডেনিম, হোম টেক্সটাইল এবং টেরিটাওয়েল উৎপাদনেও দেশীয় মিলগুলো শীর্ষস্থানীয়। এই শিল্পে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং পরোক্ষভাবে ১ কোটি মানুষের জীবিকা নির্ভর করছে।
শওকত আজিজ আরও বলেন, তিন বছরের বেশি সময় ধরে গ্যাস-সংকট উৎপাদন ব্যাহত করছে। বর্তমানে মিলগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ৪০-৫০ শতাংশে নেমে আসায় উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ হয়েছে, ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলা উৎপাদনকারী হওয়া সত্ত্বেও দেশটির সরকার তাদের টেক্সটাইল শিল্পকে রোডট্যাপসহ নানা উপায়ে নগদ প্রণোদনা ও নীতিসহায়তা দিয়ে সুরক্ষা দিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের নামে নীতিগত বাধা তৈরি করে দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা দিন দিন কমিয়ে দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ সহসভাপতি সালেউদ জামান খান অভিযোগ করেন, ভারত সরকার প্রতি কিলোগ্রাম সুতাতে ১১ রুপি ভর্তুকি দিচ্ছে, সেই সুতা বাংলাদেশে আসছে, কার্যত রাষ্ট্রীয়ভাবে ডাম্পিংকে সহায়তা করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের কারখানাগুলো। গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি ২০ টাকার নিচে নামানোর দাবি জানান তিনি।
বিটিএমএর সহসভাপতি মো. আবুল কালাম আগামী তিন বছরের জন্য সুদের হার এক অঙ্কের ঘরে স্থির রাখার আহ্বান জানান।
দেশীয় টেক্সটাইল খাত চরম সংকটে। গ্যাস-সংকট, মূল্যবৃদ্ধির চাপ ছিলই, তার ওপর ভারতীয় সুতার আগ্রাসন পরিস্থিতিকে আরও বিপর্যস্ত করেছে। স্থলবন্দর দিয়ে ডাম্পিং মূল্যে সুতা-কাপড় আসায় বাজার খুলে গেছে বিদেশিদের জন্য, স্থানীয় উৎপাদকেরা টিকে থাকার লড়াইয়ে হার মানছে, রপ্তানিও পড়েছে হুমকির মুখে। সবই বিগত সরকারের ভুল নীতির ফল, যে শিল্প একসময় সম্ভাবনার ছিল, আজ তা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
এই সংকট থেকে উত্তরণে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) তিনটি দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, প্রথমত, স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, গ্যাসের দাম বাড়ানো যাবে না এবং নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয়ত, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রক্রিয়ায় এমন নীতিগত পরিবর্তন করা যাবে না, যা দেশীয় শিল্পকে দুর্বল করে দেয়।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই খাতটির অবস্থান এবং সংকট উত্তরণ-সম্পর্কিত এসব দাবি তুলে ধরেন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং রপ্তানি আয়ের অন্যতম চালিকাশক্তি হলো টেক্সটাইল খাত। অথচ নানাবিধ সংকটে এই খাত আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের সংকট, ব্যাংক সুদের হার ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি, নগদ প্রণোদনার অস্বাভাবিক হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়নের ফলে উদ্যোক্তাদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের সংকট চরমে পৌঁছেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ খাতে বিনিয়োগ ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। এটি বেসরকারি খাতে একক বৃহত্তম বিনিয়োগ। বাংলাদেশের জিডিপিতে টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতের অবদান প্রায় ১৩ শতাংশ। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশই আসে এই খাত থেকে। বিটিএমএর সদস্য মিলগুলো তৈরি পোশাক খাতে ৭০ শতাংশ কাঁচামাল সরবরাহ করে, ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
বিটিএমএ জানায়, স্থানীয় বাজারের নিট পোশাক খাতের শতভাগ সুতা এবং উইভিং খাতের ৫০ শতাংশ দেশীয় উৎপাদন থেকে আসে। ডেনিম, হোম টেক্সটাইল এবং টেরিটাওয়েল উৎপাদনেও দেশীয় মিলগুলো শীর্ষস্থানীয়। এই শিল্পে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং পরোক্ষভাবে ১ কোটি মানুষের জীবিকা নির্ভর করছে।
শওকত আজিজ আরও বলেন, তিন বছরের বেশি সময় ধরে গ্যাস-সংকট উৎপাদন ব্যাহত করছে। বর্তমানে মিলগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ৪০-৫০ শতাংশে নেমে আসায় উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ হয়েছে, ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলা উৎপাদনকারী হওয়া সত্ত্বেও দেশটির সরকার তাদের টেক্সটাইল শিল্পকে রোডট্যাপসহ নানা উপায়ে নগদ প্রণোদনা ও নীতিসহায়তা দিয়ে সুরক্ষা দিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের নামে নীতিগত বাধা তৈরি করে দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা দিন দিন কমিয়ে দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ সহসভাপতি সালেউদ জামান খান অভিযোগ করেন, ভারত সরকার প্রতি কিলোগ্রাম সুতাতে ১১ রুপি ভর্তুকি দিচ্ছে, সেই সুতা বাংলাদেশে আসছে, কার্যত রাষ্ট্রীয়ভাবে ডাম্পিংকে সহায়তা করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের কারখানাগুলো। গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি ২০ টাকার নিচে নামানোর দাবি জানান তিনি।
বিটিএমএর সহসভাপতি মো. আবুল কালাম আগামী তিন বছরের জন্য সুদের হার এক অঙ্কের ঘরে স্থির রাখার আহ্বান জানান।
দেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
৫ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
৯ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
১০ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
১৩ ঘণ্টা আগে