আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
দেরিতে হলেও এবার শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় নজর দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্তর্বর্তী সরকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এ সংস্থায় দুর্নীতির সুযোগ কমিয়ে রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে অসৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সংস্থার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী স্তর। নির্দেশনা অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে ঘুষ, অনৈতিক কাজ বা দুর্নীতির অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু হচ্ছে এবং প্রমাণ পেলে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ইতিমধ্যেই কয়েকজন কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এখনো অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছেন শতাধিক কর্মকর্তা। একই কাজে দুদকের তদন্তেও সরাসরি সহযোগিতা করছে এনবিআর।
পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতেও চলছে সব দপ্তরে রদবদল। ইতিমধ্যে প্রায় ১৮০০ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়েছে। এভাবে ধাপে ধাপে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কাজে এগিয়ে যাচ্ছে এনবিআর।
সম্প্রতি একটি কোম্পানির ২৯৯ কোটি টাকার আয়কর মাত্র ৩৩ কোটি টাকায় কমিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুই কর্মকর্তা শাস্তি পেয়েছেন। এনবিআরের গোয়েন্দা তদন্তে জানা গেছে, এই অনিয়মের বিনিময়ে কর্মকর্তারা ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। এনবিআরের শাস্তি হিসেবে যুগ্ম কর কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলমকে (১৫ সেপ্টেম্বর) বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে এবং অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মোহাম্মদ মাসুদুর রহমানকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে কর অঞ্চল-৫-এর সহকারী কর কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌসও ৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের দুই কর্মকর্তা ঘুষগ্রহণের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
উদ্দেশ্য পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বচ্ছ এনবিআর গঠনে জোর, যার মাধ্যমে সংস্থার ওপর সব শ্রেণির করদাতার আস্থা আরও সুদৃঢ় হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘দুর্নীতি রোধের একমাত্র উপায় হলো কঠোর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া।’ তিনি জানান, যদি রোগ আছে তা চিহ্নিত করেও ওষুধ না নেওয়া হয়, তাহলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে যাবে। তা প্রতিরোধেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এনবিআরের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, একই স্থানে দীর্ঘ সময় কোনো কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করলে স্থানীয় প্রভাব ও স্বার্থগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ে, যা দুর্নীতি বা অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের মধ্যেও গোষ্ঠীভিত্তিক প্রভাব গড়ে উঠতে পারে, যা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধা দেয়। এ ধরনের প্রবণতা দূর করে সংস্থার কাজে স্বচ্ছতা বাড়িয়ে অধিকতর গতি আনতেই ব্যাপক আকারে বদলির উদ্যোগ, যার মূল লক্ষ্য প্রশাসনিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা।
দুদকের তদন্তেও এনবিআর সহযোগিতা করছে। কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে করদাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে এনিবআরের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। এসব ক্ষেত্রে সাহায্য করছে এনবিআর। দুদকের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নথি চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তা সরবরাহ করা হচ্ছে।
তবে এসব সাময়িক শাস্তি দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয় জানিয়ে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘একজন ঘুষখোরকে চাকরিতে রাখার কোনো যুক্তি নেই। ঠিক তেমনি চোরকে থাপ্পড় মেরে চুরি থামানো যায় না। তাই অবশ্যই কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে। কঠোরতা ছাড়া অনৈতিকতা দমন সম্ভব নয়। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, আর শুধু দেখানোর জন্য নয়—কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
দেরিতে হলেও এবার শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় নজর দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্তর্বর্তী সরকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এ সংস্থায় দুর্নীতির সুযোগ কমিয়ে রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে অসৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সংস্থার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী স্তর। নির্দেশনা অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে ঘুষ, অনৈতিক কাজ বা দুর্নীতির অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু হচ্ছে এবং প্রমাণ পেলে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ইতিমধ্যেই কয়েকজন কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এখনো অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছেন শতাধিক কর্মকর্তা। একই কাজে দুদকের তদন্তেও সরাসরি সহযোগিতা করছে এনবিআর।
পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতেও চলছে সব দপ্তরে রদবদল। ইতিমধ্যে প্রায় ১৮০০ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়েছে। এভাবে ধাপে ধাপে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কাজে এগিয়ে যাচ্ছে এনবিআর।
সম্প্রতি একটি কোম্পানির ২৯৯ কোটি টাকার আয়কর মাত্র ৩৩ কোটি টাকায় কমিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুই কর্মকর্তা শাস্তি পেয়েছেন। এনবিআরের গোয়েন্দা তদন্তে জানা গেছে, এই অনিয়মের বিনিময়ে কর্মকর্তারা ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। এনবিআরের শাস্তি হিসেবে যুগ্ম কর কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলমকে (১৫ সেপ্টেম্বর) বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে এবং অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মোহাম্মদ মাসুদুর রহমানকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে কর অঞ্চল-৫-এর সহকারী কর কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌসও ৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের দুই কর্মকর্তা ঘুষগ্রহণের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
উদ্দেশ্য পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বচ্ছ এনবিআর গঠনে জোর, যার মাধ্যমে সংস্থার ওপর সব শ্রেণির করদাতার আস্থা আরও সুদৃঢ় হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘দুর্নীতি রোধের একমাত্র উপায় হলো কঠোর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া।’ তিনি জানান, যদি রোগ আছে তা চিহ্নিত করেও ওষুধ না নেওয়া হয়, তাহলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে যাবে। তা প্রতিরোধেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এনবিআরের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, একই স্থানে দীর্ঘ সময় কোনো কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করলে স্থানীয় প্রভাব ও স্বার্থগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ে, যা দুর্নীতি বা অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের মধ্যেও গোষ্ঠীভিত্তিক প্রভাব গড়ে উঠতে পারে, যা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধা দেয়। এ ধরনের প্রবণতা দূর করে সংস্থার কাজে স্বচ্ছতা বাড়িয়ে অধিকতর গতি আনতেই ব্যাপক আকারে বদলির উদ্যোগ, যার মূল লক্ষ্য প্রশাসনিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা।
দুদকের তদন্তেও এনবিআর সহযোগিতা করছে। কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে করদাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে এনিবআরের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। এসব ক্ষেত্রে সাহায্য করছে এনবিআর। দুদকের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নথি চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তা সরবরাহ করা হচ্ছে।
তবে এসব সাময়িক শাস্তি দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয় জানিয়ে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘একজন ঘুষখোরকে চাকরিতে রাখার কোনো যুক্তি নেই। ঠিক তেমনি চোরকে থাপ্পড় মেরে চুরি থামানো যায় না। তাই অবশ্যই কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে। কঠোরতা ছাড়া অনৈতিকতা দমন সম্ভব নয়। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, আর শুধু দেখানোর জন্য নয়—কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) মধ্যে গ্রাহকসেবা-সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল রোববার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৫ মিনিট আগেফার্নিচার শিল্পের সেরা ব্র্যান্ড হিসেবে সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশের ২০২৫-২৬ সেশনের সুপারব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে দেশের সুপরিচিত ফার্নিচার ব্র্যান্ড হাতিল। ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লো মেরিডিয়েন হোটেলে সুপারব্র্যান্ড বাংলাদেশের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হাতিলের পরিচালক (বিপণন) মশিউর রহমান পুরস্কার গ্রহ
১৭ মিনিট আগেঅর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাইরের দেশে বেশি ট্যাক্স দিতে হলেও সরকারের পক্ষ থেকে ভালো সেবা পাওয়া যায়। আমাদের দেশে ট্যাক্স দেয়, কিন্তু সেবা পায় না। তাহলে লোকজন তো একটু গোস্সা করবেই।’
২ ঘণ্টা আগেভারতের ২৮৩ বিলিয়ন ডলারের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে তাদের বহু দশকের পুরোনো কৌশল বদলাতে হবে। কারণ, গতকাল রোববার থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন এইচ-১বি ভিসার জন্য ১ লাখ ডলার ফি আরোপ করেছেন। বিশ্লেষক, আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অভিজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র...
২ ঘণ্টা আগে