নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনগণ যেন অসুবিধায় না পড়েন সে লক্ষ্যে সকল পেট্রল পাম্প খোলা থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন পেট্রল পাম্প অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিশেষ জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল পেট্রলপাম্প মালিকদের জানানো যাচ্ছে যে—সেই মুখ চেনা কুচক্রী মহল আবার আমাদের চলমান কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে নগ্ন দালালিতে নেমেছে এবং মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও তাতে কোনো সুবিধা করতে পারছে না। সারা বাংলাদেশে কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে চলছে। তথাপি আমাদের এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। আর একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই, আমরা কিন্তু কাউকে বিপদে ফেলার জন্য কর্ম বিরতি পালন করছি না, এটা শুধুমাত্র সৎভাবে বেঁচে থাকার কর্মসূচি। আরও একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই, আমাদের এই কর্মসূচিতে শুধুমাত্র ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সকল পেট্রলপাম্প খোলা থাকবে। যাতে জনগণ এবং আমাদের ক্রেতারা কোনো ভাবেই অসুবিধায় না পড়েন।’
এর আগে মিজানুর রহমান রতন বলেছিলেন, ‘আমাদের এই দাবিগুলো অনেক দিনের পুরোনো। আমাদের দাবি নিয়ে সর্বশেষ ২৯ আগস্ট বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। সরকার দাবি বাস্তবায়নের জন্য এক মাস সময় চায়। আমাদের পক্ষে আর সময় দেওয়া সম্ভব না। আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আগামীকাল সারা দেশে পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকবে।’
এদিকে আজ রোববার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ পেট্রলপাম্পেই কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তেল কম দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা-মাওয়া রুটে অবস্থিত শামসু ফিলিং স্টেশনের মালিক হারুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল থেকেই তেল বিক্রি স্বাভাবিক আছে। ঢাকার সকল পেট্রলপাম্পেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’
রমনা পেট্রল পাম্প অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টারের মালিক নাজমুল হক বলেন, ‘সকাল থেকেই গাড়ির লাইন আছে। কার্যক্রম একদম স্বাভাবিক।’
সিলেট কুমারগাঁও সুরমা পেট্রোলিয়ামের মালিক জোবায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ধর্মঘট হচ্ছে না। তেল বেচাকেনা অব্যাহত আছে।’
তবে খুলনায় কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। এ ধর্মঘটের কারণে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এ ধর্মঘট পালন করছে।
জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।
পেট্রল পাম্প মালিক সমিতির নেতা মো. মুরাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। দাবিগুলো অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। দাবি পূরণে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সরকার দাবি পূরণ না করায় রোববার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ‘তিন দফা দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করছে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কয়েকবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রতিবারই সময় নিয়েছেন। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
জনগণ যেন অসুবিধায় না পড়েন সে লক্ষ্যে সকল পেট্রল পাম্প খোলা থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন পেট্রল পাম্প অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিশেষ জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল পেট্রলপাম্প মালিকদের জানানো যাচ্ছে যে—সেই মুখ চেনা কুচক্রী মহল আবার আমাদের চলমান কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে নগ্ন দালালিতে নেমেছে এবং মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও তাতে কোনো সুবিধা করতে পারছে না। সারা বাংলাদেশে কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে চলছে। তথাপি আমাদের এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। আর একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই, আমরা কিন্তু কাউকে বিপদে ফেলার জন্য কর্ম বিরতি পালন করছি না, এটা শুধুমাত্র সৎভাবে বেঁচে থাকার কর্মসূচি। আরও একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই, আমাদের এই কর্মসূচিতে শুধুমাত্র ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সকল পেট্রলপাম্প খোলা থাকবে। যাতে জনগণ এবং আমাদের ক্রেতারা কোনো ভাবেই অসুবিধায় না পড়েন।’
এর আগে মিজানুর রহমান রতন বলেছিলেন, ‘আমাদের এই দাবিগুলো অনেক দিনের পুরোনো। আমাদের দাবি নিয়ে সর্বশেষ ২৯ আগস্ট বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। সরকার দাবি বাস্তবায়নের জন্য এক মাস সময় চায়। আমাদের পক্ষে আর সময় দেওয়া সম্ভব না। আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আগামীকাল সারা দেশে পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকবে।’
এদিকে আজ রোববার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ পেট্রলপাম্পেই কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তেল কম দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা-মাওয়া রুটে অবস্থিত শামসু ফিলিং স্টেশনের মালিক হারুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল থেকেই তেল বিক্রি স্বাভাবিক আছে। ঢাকার সকল পেট্রলপাম্পেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’
রমনা পেট্রল পাম্প অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টারের মালিক নাজমুল হক বলেন, ‘সকাল থেকেই গাড়ির লাইন আছে। কার্যক্রম একদম স্বাভাবিক।’
সিলেট কুমারগাঁও সুরমা পেট্রোলিয়ামের মালিক জোবায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ধর্মঘট হচ্ছে না। তেল বেচাকেনা অব্যাহত আছে।’
তবে খুলনায় কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। এ ধর্মঘটের কারণে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এ ধর্মঘট পালন করছে।
জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।
পেট্রল পাম্প মালিক সমিতির নেতা মো. মুরাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। দাবিগুলো অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। দাবি পূরণে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সরকার দাবি পূরণ না করায় রোববার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ‘তিন দফা দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করছে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কয়েকবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রতিবারই সময় নিয়েছেন। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ২০ ও ২১ জুন তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১৩ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৭ ঘণ্টা আগে