অনলাইন ডেস্ক
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে উঠেছে। কিছু খাতে উন্নতিও হয়েছে। এই সময় আমদানি, রপ্তানি, প্রবাসী আয় ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, সরকারি ব্যয় হ্রাস, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের গতি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা আছে বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
অর্থনীতির ত্রৈমাসিক পর্যালোচনায় এমসিসিআই বলেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ কমে গেছে। এ সময় ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
এমসিসিআইয়ের পর্যালোচনায় বলা হয়, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশীয় ঋণের মধ্যে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ, বেসরকারি ঋণপ্রবাহ অবশ্য তেমন একটা কমেনি। কিন্তু এই সময় সরকারি খাতের ঋণ ও ব্যয় অনেকটাই কমেছে।
এমসিসিআই দেখিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির গতি অনেকটাই কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ভাগে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, এ ক্ষেত্রে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। অর্থাৎ সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ঋণ নিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্রড মানির (দেশের সার্বিক মুদ্রা সরবরাহ) প্রবৃদ্ধিও কমে এসেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্রড মানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ; আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ১১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৮৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। তবে প্রান্তিকের শেষ মাস সেপ্টেম্বরে আগস্টের তুলনায় রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আমদানি বেড়েছে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এই সময় মোট আমদানি হয়েছে ১৬ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬১৭ কোটি ডলারের সম্পদ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ দশমিক ৯১ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৫৯১ কোটি ডলার।
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই সময় মোট প্রবাসী আয় এসেছে ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ডলার। প্রান্তিকের শেষ মাস সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮০ দশমিক ২২ শতাংশ।
সামগ্রিকভাবে এমসিসিআই মনে করছে, অর্থনীতিকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার এখন সবচেয়ে জরুরি অগ্রাধিকার।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে উঠেছে। কিছু খাতে উন্নতিও হয়েছে। এই সময় আমদানি, রপ্তানি, প্রবাসী আয় ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, সরকারি ব্যয় হ্রাস, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের গতি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা আছে বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
অর্থনীতির ত্রৈমাসিক পর্যালোচনায় এমসিসিআই বলেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ কমে গেছে। এ সময় ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
এমসিসিআইয়ের পর্যালোচনায় বলা হয়, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশীয় ঋণের মধ্যে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ, বেসরকারি ঋণপ্রবাহ অবশ্য তেমন একটা কমেনি। কিন্তু এই সময় সরকারি খাতের ঋণ ও ব্যয় অনেকটাই কমেছে।
এমসিসিআই দেখিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির গতি অনেকটাই কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ভাগে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, এ ক্ষেত্রে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। অর্থাৎ সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ঋণ নিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্রড মানির (দেশের সার্বিক মুদ্রা সরবরাহ) প্রবৃদ্ধিও কমে এসেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্রড মানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ; আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ১১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৮৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। তবে প্রান্তিকের শেষ মাস সেপ্টেম্বরে আগস্টের তুলনায় রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আমদানি বেড়েছে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এই সময় মোট আমদানি হয়েছে ১৬ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬১৭ কোটি ডলারের সম্পদ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ দশমিক ৯১ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৫৯১ কোটি ডলার।
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই সময় মোট প্রবাসী আয় এসেছে ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ডলার। প্রান্তিকের শেষ মাস সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮০ দশমিক ২২ শতাংশ।
সামগ্রিকভাবে এমসিসিআই মনে করছে, অর্থনীতিকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার এখন সবচেয়ে জরুরি অগ্রাধিকার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
২ মিনিট আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
৫ মিনিট আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে কমিশন সভাকক্ষে এই বৈঠক...
৭ মিনিট আগেজনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
৮ ঘণ্টা আগে