Ajker Patrika

পোশাক কারখানা খুলছে আজ

রেজাউর রহিম, ঢাকা 
পোশাক কারখানা খুলছে আজ

প্রায় দুই সপ্তাহ পর আজ খুলছে দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা। রপ্তানির এই ভরা মৌসুমে কারখানা খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে খুশি শিল্পমালিকেরা। তাঁরা জানান, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আপাতত ঢাকার আশপাশের শ্রমিকদের নিয়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক কারখানা খোলা রাখা হবে। আর যেসব শ্রমিক ঢাকার বাইরে রয়েছেন, তাঁদের ৫ আগস্টের পর কাজে যোগদানের অনুরোধ করা হয়েছে।

দেশে এর আগে বিভিন্ন সময়ে চলা লকডাউনে পোশাক কারখানা খোলা থাকলেও ঈদের পর থেকে শুরু হওয়া চলমান লকডাউনে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, টানা বন্ধের কারণে এ খাতের অনেক ক্রয়াদেশ স্থগিত হয়েছে। পাশাপাশি অর্ডার বাতিল হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু রপ্তানি আদেশের পণ্য আকাশপথে পাঠানোর বাড়তি খরচের ঝুঁকিও সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় দুবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে দেখা করে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। তাঁদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।

বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টানা বন্ধ থাকায় ক্রেতাদের অর্ডার দেওয়া পণ্য সরবরাহ করা নিয়ে আমরা এমনিতেই জটিলতার মধ্যে আছি। সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করতে পারলে অর্ডার বাতিল হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। আপাতত ঢাকায় উপস্থিত শ্রমিকদের নিয়েই ১ আগস্ট পোশাক কারখানা চালু করা হবে। এ সময় হয়তো কারখানাগুলোতে শতভাগ কাজ হবে না। তবে রপ্তানির জন্য জরুরি কাজগুলো সম্পন্ন করা যাবে।’

পোশাক খাতের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘রপ্তানির ভরা মৌসুম চলায় আমরা ছুটির আগে থেকেই কারখানা খোলা রাখার জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ক্রেতাদের অর্ডারের পণ্য যথাসময়ে সরবরাহ সম্ভব না হলে এ খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা ছুটির আগেই শ্রমিকদের বলেছিলাম ১ আগস্ট থেকে কারখানা খুলতে পারে। এ ছাড়া শনিবারের মধ্যে অনেক শ্রমিক ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ফিরেছেন বলে জানতে পেরেছি।’

এদিকে, শুক্রবার সরকার ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণা দেওয়ার পর শনিবার ঢাকায় ফিরতে শুরু করেন এ খাতে নিয়োজিত শ্রমিকেরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাড়তি দুর্ভোগ এবং কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ফিরেছেন তাঁরা। গতকাল শনিবার ঢাকার প্রবেশপথ আমিনবাজার ও গাবতলীতে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকায় ফেরা মানুষের মধ্যে বেশির ভাগই পোশাক কারখানায় কর্মরত। করোনা প্রতিরোধে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করেই চাকরি বাঁচাতে কর্মস্থলে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁরা ভেঙে ভেঙে হেঁটে এবং ভ্যান, রিকশা, অটোবাইক ও ভাড়ায়চালিত মোটরবাইকে ঢাকায় আসতে তিন থেকে চার গুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়েছে তাঁদের। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

এনবিআর কর্মকর্তার কাণ্ড: কৃত্রিম অঙ্গের ঘোষণা দিয়ে ৪৫০ টন গয়না আমদানি

ঢাবিতে পাঁচ প্যানেলে ভোটের যুদ্ধ

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এনসিপির মাহিন সরকারকে বহিষ্কার

তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হবে: সেনাপ্রধান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত