Ajker Patrika

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যজট নিরসনে এনবিআরের বিশেষ আদেশ জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ১৬: ৫৪
চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে এভাবেই পড়ে আছে ঢাকার কমলাপুর আইসিডিগামী কনটেইনারগুলো। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে এভাবেই পড়ে আছে ঢাকার কমলাপুর আইসিডিগামী কনটেইনারগুলো। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যজট নিরসন ও খালাসপ্রক্রিয়া সহজ করতে বিশেষ আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল বুধবার ‘চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত নিলাম, বিলিবন্দেজ ও ধ্বংস কার্যক্রম-সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।

এনবিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দ্রুত পণ্য খালাস, শ্রম, অর্থ ও কর্মঘণ্টা সাশ্রয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় রোধ, নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরসন, ভৌত অবকাঠামো, জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কনটেইনারের জট কমানোসহ বন্দরের সামগ্রিক সক্ষমতা বাড়ানো এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ বলেন, নিলামপ্রক্রিয়া সহজ করতে জারি করা এই আদেশ বাস্তবায়িত হলে বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা কনটেইনারের জট কমবে। বন্দরের কার্যক্রম নির্বিঘ্ন, সহজ, সময় সাশ্রয়ী, আমদানি-রপ্তানিকারকদের খরচ কমাসহ সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এতে বন্দরের সুবিধাভোগীরা সুফল ভোগ করবে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।

২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত খালাস না করা কনটেইনারের জট বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত করছে। দীর্ঘদিনের পুরোনো কেমিক্যাল ও বিপজ্জনক পণ্য বিস্ফোরণ ঝুঁকিসহ বন্দরের সামগ্রিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করেছে। এই ঝুঁকি নিরসনে বিদ্যমান প্রমিত (স্ট্যান্ডার্ড) নিলামপ্রক্রিয়ায় সময়ক্ষেপণ এড়ানো সম্ভব হয় না। শর্তযুক্ত বা নিয়ন্ত্রিত পণ্য খালাসে জটিলতা, অনিষ্পন্ন মামলা, নিলামের দরদাতার পক্ষ থেকে পণ্য খালাস না করা, লজিস্টিকসের অভাবসহ নানান কারণে কর্তৃপক্ষ স্বল্পতম সময়ে নিলামপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছে না।

এই পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিলাম ও নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্যের (যানবাহন ছাড়া) বিক্রি, ব্যবস্থাপনা ও ধ্বংস কার্যক্রম প্রক্রিয়া সহজ করতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্যগুলোর সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ ছাড়া প্রথম নিলামে (বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া) প্রাপ্ত সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রয় করা যাবে।

আমদানি নীতি বা রপ্তানি নীতি অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে, নিয়ন্ত্রিত বা নিষিদ্ধ অথবা পণ্যের গুণগতমান নষ্ট হওয়ার কারণে বা অন্য কোনো কারণে নিলামের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয় অথবা সম্ভব হয়নি, তা ধ্বংস বা নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ্যে নিলাম ছাড়াই বিশেষায়িত সংস্থা বা প্রযুক্তিগত সক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিনা মূল্যে হস্তান্তর করা যাবে।

দুটি নিলামের মাধ্যমেও কোনো পণ্য বিক্রি করা সম্ভব না হলে অথবা দরপত্র পাওয়া না গেলে তৃতীয় নিলাম না করে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে পণ্য গ্রহণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছে সর্বোচ্চ প্রস্তাব মূল্যে বিক্রয় করা যাবে।

এ ছাড়া পরীক্ষণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবহার উপযোগিতা রয়েছে বলে প্রত্যয়ন করা মেয়াদোত্তীর্ণ বিপজ্জনক পণ্য বা কেমিক্যাল-জাতীয় পণ্যগুলো প্রকৃত ব্যবহারকারী বা বিশেষায়িত সংস্থা বা প্রযুক্তিগত সক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে সর্বোচ্চ অফার মূল্যে বিক্রির বিধান রাখা হয়েছে এনবিআরের আদেশে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত