জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
ঋণখেলাপিদের ধরতে কঠোর হচ্ছেন গভর্নর। এ জন্য ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) তথ্য ধরেই আগানোর চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রয়ে গেছে একটি বিপত্তি। তা হলো, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সিআইবিতে সরাসরি তথ্য আপলোডের ক্ষমতা। সিআইবির ড্যাশবোর্ডে সরাসরি তথ্য আপলোড করার সুযোগ থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চাইলেই কোনো গ্রাহকের খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন করতে পারে। এ কারণে সিআইবিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সরাসরি তথ্য দেওয়ার ক্ষমতা খর্ব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সিআইবির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, খেলাপিদের ধরতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে গভর্নরের। তবে সিআইবিতে অনেক ব্যাংক খেলাপি ঋণকে নিয়মিত দেখানোর কৌশল করেছে। এ জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে সিআইবির ড্যাশবোর্ডে সরাসরি তথ্য আপলোডের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হবে। এ নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে। এরপর খেলাপি আদায়ের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। আগামী ডিসেম্বরে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে সিআইবির তথ্য হালনাগাদের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে ফিরতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দ্বারা সরাসরি সিআইবির ড্যাশবোর্ডে তথ্য হালনাগাদ নিয়ে গভর্নর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নির্দেশনাও দিয়েছেন। করণীয় নির্ধারণে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন ডেপুটি গভর্নর নুরুর নাহার। তবে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট কমিটি করা হয়নি।’
আগে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সিআইবির ড্যাশবোর্ডে তথ্য দিতে পারতেন। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেই ক্ষমতা খর্ব করেন স্বয়ং গভর্নর। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিআইবিতে ঋণের তথ্য হালনাগাদের নিয়মে পরিবর্তন আনার নির্দেশ দেন তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকের ঋণের তথ্য সরাসরি সিআইবির ড্যাশবোর্ডে আপলোড করার ক্ষমতা পায়। সেই সুযোগে সরকারের মদদপুষ্ট অনেকেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে চাপ দিয়ে সিআইবি রিপোর্টে পরিবর্তন করে খেলাপি ঋণকে নিয়মিত দেখিয়েছেন। এমনকি প্রকৃত ঋণখেলাপি হয়েও সিআইবির রিপোর্ট পরিবর্তন করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, দেশের অন্তত ২০০ জন আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ব্যবসায় সুযোগ বাড়তি দিতে খেলাপি ঋণ নিয়মিত দেখানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে খেলাপি ঋণ নিয়মিত দেখানোর লক্ষ্যে সিআইবিতে তথ্য হালনাগাদের ব্যবস্থা করেন সাবেক গভর্নর। পাশাপাশি এ বিষয়ে পরিদর্শন ও তদন্ত বন্ধ করে রাখেন। যার ফলে খেলাপি ঋণের অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যদিও এর ছয় মাস আগে অর্থাৎ গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা।
ঋণখেলাপিদের ধরতে কঠোর হচ্ছেন গভর্নর। এ জন্য ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) তথ্য ধরেই আগানোর চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রয়ে গেছে একটি বিপত্তি। তা হলো, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সিআইবিতে সরাসরি তথ্য আপলোডের ক্ষমতা। সিআইবির ড্যাশবোর্ডে সরাসরি তথ্য আপলোড করার সুযোগ থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চাইলেই কোনো গ্রাহকের খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন করতে পারে। এ কারণে সিআইবিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সরাসরি তথ্য দেওয়ার ক্ষমতা খর্ব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সিআইবির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, খেলাপিদের ধরতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে গভর্নরের। তবে সিআইবিতে অনেক ব্যাংক খেলাপি ঋণকে নিয়মিত দেখানোর কৌশল করেছে। এ জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে সিআইবির ড্যাশবোর্ডে সরাসরি তথ্য আপলোডের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হবে। এ নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে। এরপর খেলাপি আদায়ের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। আগামী ডিসেম্বরে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে সিআইবির তথ্য হালনাগাদের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে ফিরতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দ্বারা সরাসরি সিআইবির ড্যাশবোর্ডে তথ্য হালনাগাদ নিয়ে গভর্নর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নির্দেশনাও দিয়েছেন। করণীয় নির্ধারণে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন ডেপুটি গভর্নর নুরুর নাহার। তবে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট কমিটি করা হয়নি।’
আগে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সিআইবির ড্যাশবোর্ডে তথ্য দিতে পারতেন। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেই ক্ষমতা খর্ব করেন স্বয়ং গভর্নর। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিআইবিতে ঋণের তথ্য হালনাগাদের নিয়মে পরিবর্তন আনার নির্দেশ দেন তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকের ঋণের তথ্য সরাসরি সিআইবির ড্যাশবোর্ডে আপলোড করার ক্ষমতা পায়। সেই সুযোগে সরকারের মদদপুষ্ট অনেকেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে চাপ দিয়ে সিআইবি রিপোর্টে পরিবর্তন করে খেলাপি ঋণকে নিয়মিত দেখিয়েছেন। এমনকি প্রকৃত ঋণখেলাপি হয়েও সিআইবির রিপোর্ট পরিবর্তন করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, দেশের অন্তত ২০০ জন আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ব্যবসায় সুযোগ বাড়তি দিতে খেলাপি ঋণ নিয়মিত দেখানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে খেলাপি ঋণ নিয়মিত দেখানোর লক্ষ্যে সিআইবিতে তথ্য হালনাগাদের ব্যবস্থা করেন সাবেক গভর্নর। পাশাপাশি এ বিষয়ে পরিদর্শন ও তদন্ত বন্ধ করে রাখেন। যার ফলে খেলাপি ঋণের অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যদিও এর ছয় মাস আগে অর্থাৎ গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ২০ ও ২১ জুন তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
৪ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১০ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৪ ঘণ্টা আগে