এএফপি, প্যারিস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন, তখন ধারণা করা হয়েছিল, তিনি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারেন। তবে তা হলো না। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত বুধবার বিকেলে হোয়াইট হাউস থেকে নতুন শুল্ক ঘোষণা করলেন তিনি। এই তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও এই শুল্কের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে। ফলে মিত্ররা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারাও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি পণ্যে ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের শিকার জাপান। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়োসি মুতো ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। ইয়োসি মুতো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই একতরফা শুল্ক পদক্ষেপ খুবই দুঃখজনক এবং এটি জাপানের ওপর প্রয়োগ না করার জন্য আমি জোরালো আহ্বান জানাই (ওয়াশিংটনকে)।’
জাপানের মুখ্য কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োসিমাসা হায়াসি সাংবাদিকদের বলেন, এ শুল্ক আরোপ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিমালা ও দুই পক্ষের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তির লঙ্ঘন হয়ে থাকতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই শুল্ক হবে ‘পারস্পরিক’ ও ‘ন্যায্য’। তবে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এই শুল্ক আরোপের মাধ্যমে ট্রাম্প বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সমান আঘাত হানতে পারেন।
নতুন করে আরোপ করা শুল্ক প্রসঙ্গে ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথান রেনল্ডস বলেন, ‘(পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে) কোনো কিছুই ভাবনার বাইরে নেই। আমাদের কাছে অনেক কিছুই রয়েছে এবং তা কাজে লাগাতে ইতস্তত করব না।’
সুইজারল্যান্ডের ওপর ৩১ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট কারিন কেলার–সাটার বলেছেন, সামনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সরকার শিগগিরই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, ‘দেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্বার্থ অগ্রাধিকারমূলক বিষয়। আন্তর্জাতিক আইন ও অবাধ বাণিজ্যের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোও মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন বলেছেন, ট্রাম্পের নতুন পদক্ষেপ বৈশ্বিক সমৃদ্ধিকে হুমকিতে ফেলেছে। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববাণিজ্য আমাদের অধিকতর ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে এসেছে। চলতি প্রজন্মে বিশ্ব আরও সম্পদশালী হয়েছে, চরম দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, শিশুমৃত্যুর হার কমেছে এবং আমরা সবাই আরও দীর্ঘজীবী হয়েছি।’
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, চীন তাদের রপ্তানি পণ্যে ব্যাপক হারে নতুন মার্কিন শুল্কারোপের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে। নিজেদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে দেশটি। গতকাল চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এসব শুল্ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতিবিরোধী। এটা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থের গুরুতর ক্ষতি করবে।
তবে সুইডেন বলছে, এই শুল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে আলোচনার পথ তৈরি হয়েছে। এখনই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষ নয় দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন, তখন ধারণা করা হয়েছিল, তিনি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারেন। তবে তা হলো না। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত বুধবার বিকেলে হোয়াইট হাউস থেকে নতুন শুল্ক ঘোষণা করলেন তিনি। এই তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও এই শুল্কের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে। ফলে মিত্ররা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারাও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি পণ্যে ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের শিকার জাপান। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়োসি মুতো ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। ইয়োসি মুতো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই একতরফা শুল্ক পদক্ষেপ খুবই দুঃখজনক এবং এটি জাপানের ওপর প্রয়োগ না করার জন্য আমি জোরালো আহ্বান জানাই (ওয়াশিংটনকে)।’
জাপানের মুখ্য কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োসিমাসা হায়াসি সাংবাদিকদের বলেন, এ শুল্ক আরোপ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিমালা ও দুই পক্ষের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তির লঙ্ঘন হয়ে থাকতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই শুল্ক হবে ‘পারস্পরিক’ ও ‘ন্যায্য’। তবে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এই শুল্ক আরোপের মাধ্যমে ট্রাম্প বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সমান আঘাত হানতে পারেন।
নতুন করে আরোপ করা শুল্ক প্রসঙ্গে ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথান রেনল্ডস বলেন, ‘(পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে) কোনো কিছুই ভাবনার বাইরে নেই। আমাদের কাছে অনেক কিছুই রয়েছে এবং তা কাজে লাগাতে ইতস্তত করব না।’
সুইজারল্যান্ডের ওপর ৩১ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট কারিন কেলার–সাটার বলেছেন, সামনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সরকার শিগগিরই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, ‘দেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্বার্থ অগ্রাধিকারমূলক বিষয়। আন্তর্জাতিক আইন ও অবাধ বাণিজ্যের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোও মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন বলেছেন, ট্রাম্পের নতুন পদক্ষেপ বৈশ্বিক সমৃদ্ধিকে হুমকিতে ফেলেছে। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববাণিজ্য আমাদের অধিকতর ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে এসেছে। চলতি প্রজন্মে বিশ্ব আরও সম্পদশালী হয়েছে, চরম দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, শিশুমৃত্যুর হার কমেছে এবং আমরা সবাই আরও দীর্ঘজীবী হয়েছি।’
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, চীন তাদের রপ্তানি পণ্যে ব্যাপক হারে নতুন মার্কিন শুল্কারোপের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে। নিজেদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে দেশটি। গতকাল চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এসব শুল্ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতিবিরোধী। এটা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থের গুরুতর ক্ষতি করবে।
তবে সুইডেন বলছে, এই শুল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে আলোচনার পথ তৈরি হয়েছে। এখনই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষ নয় দেশটি।
তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
২০ ঘণ্টা আগেকর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
১ দিন আগেআগামী এক বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিজেড) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র বা গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু হচ্ছে।
১ দিন আগেরাজধানীর অলিগলিতে প্রতিদিনের চেনা দৃশ্য—রোদে ঝলসে গেলেও থামে না শ্রমিকের কাজ। কেউ ড্রেন খুঁড়ছেন, কেউ টানছেন ইট-বালু। কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি প্রকল্পে সড়ক আর ভবন গড়ে উঠলেও সেই সব নির্মাণের ভিত গাঁথা শ্রমিকদের মজুরি থাকে বড্ড কম। কাজের ভার আর দক্ষতার ভিত্তিতে নয়—তাঁদের ঘামের দাম ঠিক হয় মালিকের...
১ দিন আগে