মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

জীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
সবচেয়ে বেশি টাকা আটকে রেখেছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, প্রতিষ্ঠানটির হাতে আছে প্রায় ২ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। কোম্পানিটির স্বত্বাধিকারীদের তালিকায় রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট এস আলম গ্রুপ এবং সালমান এফ রহমান। তাদের পরেই আছে সানফ্লাওয়ার লাইফ, বায়রা লাইফ, পদ্মা ইসলামী, গোল্ডেন লাইফ, হোমল্যান্ড ও প্রগ্রেসিভ ইনস্যুরেন্স। এই সাত প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা রয়েছে প্রায় ১২ লাখ গ্রাহকের।
সানফ্লাওয়ার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। বিকল্পধারার সাবেক নেতা মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানের মালিকানাধীন কোম্পানিটি গ্রাহকের ১৭৬ কোটি টাকার দাবির মধ্যে ৯৯.২৮ শতাংশই পরিশোধ করেনি। একইভাবে সাবেক যুবলীগ নেতা আবুল বাসারের বায়রা লাইফ, যাদের কাছে গ্রাহকের আটকা ৭৭ কোটি টাকার বেশি। প্রতিষ্ঠানটির দাবি পরিশোধ হার মাত্র ০.৭৩ শতাংশ। দাবি পূরণে ‘ডিসেম্বরের মধ্যে’ আশ্বাস দিলেও কোম্পানির জমি বিক্রির কথায় সংকটের গভীরতা স্পষ্ট।
এস আলম গ্রুপের পদ্মা ইসলামী লাইফ ২৪০ কোটি টাকা দাবির বিপরীতে পরিশোধ করেছে মাত্র ১.৬৮ শতাংশ। গোল্ডেন লাইফ, হোমল্যান্ড ও প্রগ্রেসিভ লাইফেরও পরিশোধের হার ২ শতাংশের নিচে। এ ছাড়া সানলাইফ, ডায়মন্ড, প্রাইম ইসলামী, আকিজ তাকাফুল, যমুনা লাইফ ও ন্যাশনাল লাইফসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানও ২৫ থেকে ৭০ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন রেখেছে।
আইডিআরএর হিসাব বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ৩৬টি জীবনবিমা কোম্পানিতে মোট অনিষ্পন্ন দাবির পরিমাণ ৬ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার কোটির বেশি এখনো ঝুলে আছে। অথচ আইনের ভাষ্য বলছে, পলিসির মেয়াদ শেষে সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক।
আইডিআরএর চেয়ারম্যান আসলাম আলম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে ব্যবসা করা ১৫টি জীবনবিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা নিয়ম মানছে না, দাবি সময়মতো দিচ্ছে না, ফলে পুরো খাতে চরম আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।’
ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ভারপ্রাপ্ত সিইও শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন, গত এক দশকে কোম্পানির ৩২০০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। তিনি জানান, কোম্পানির গুলশান ও ফেনীর সম্পদ বিক্রি করে টাকা পরিশোধের পরিকল্পনা রয়েছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, ‘দাবির টাকা সময়মতো না দিলে মানুষ বিমার প্রতি আগ্রহ হারায়। এই আস্থাহীনতা জাতীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
একসময় জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান ছিল প্রায় ১ শতাংশ। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ০.৪৫ শতাংশে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসিনা শেখ মনে করেন, ‘আইডিআরএ চাইলে অনিয়মকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করতে পারে। কঠোর নজরদারিই একমাত্র উপায়।’
তবে সব কোম্পানির চিত্র এমন নয়। আলফা ইসলামী, এলআইসি, মার্কেন্টাইল ও সান্তা লাইফ ইনস্যুরেন্স শতভাগ দাবি পরিশোধ করেছে। রূপালী, ট্রাস্ট ও সোনালী লাইফ দাবি করেছে ৯৯ শতাংশ পরিশোধের। গার্ডিয়ান, মেটলাইফ, স্বদেশ, মেঘনা, প্রগতি, সন্ধানী, বেস্ট লাইফসহ আরও অন্তত ১২টি কোম্পানি ৮০ থেকে ৯৮ শতাংশ দাবি পূরণ করেছে।
তবু সার্বিকভাবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। যেখানে গ্রাহকের জীবনের সঞ্চয়, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা এবং আস্থার প্রশ্ন জড়িত—সেই খাতেই চলছে গড়িমসি, লুটপাট আর দায় এড়ানোর সংস্কৃতি। আইডিআরএর সতর্কবার্তা আর অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ, উভয়ই বলছে—এভাবে চলতে থাকলে বিমা খাত শুধু ধুঁকবেই না, একসময় পতনের দিকেই গড়াবে।

জীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
সবচেয়ে বেশি টাকা আটকে রেখেছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, প্রতিষ্ঠানটির হাতে আছে প্রায় ২ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। কোম্পানিটির স্বত্বাধিকারীদের তালিকায় রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট এস আলম গ্রুপ এবং সালমান এফ রহমান। তাদের পরেই আছে সানফ্লাওয়ার লাইফ, বায়রা লাইফ, পদ্মা ইসলামী, গোল্ডেন লাইফ, হোমল্যান্ড ও প্রগ্রেসিভ ইনস্যুরেন্স। এই সাত প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা রয়েছে প্রায় ১২ লাখ গ্রাহকের।
সানফ্লাওয়ার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। বিকল্পধারার সাবেক নেতা মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানের মালিকানাধীন কোম্পানিটি গ্রাহকের ১৭৬ কোটি টাকার দাবির মধ্যে ৯৯.২৮ শতাংশই পরিশোধ করেনি। একইভাবে সাবেক যুবলীগ নেতা আবুল বাসারের বায়রা লাইফ, যাদের কাছে গ্রাহকের আটকা ৭৭ কোটি টাকার বেশি। প্রতিষ্ঠানটির দাবি পরিশোধ হার মাত্র ০.৭৩ শতাংশ। দাবি পূরণে ‘ডিসেম্বরের মধ্যে’ আশ্বাস দিলেও কোম্পানির জমি বিক্রির কথায় সংকটের গভীরতা স্পষ্ট।
এস আলম গ্রুপের পদ্মা ইসলামী লাইফ ২৪০ কোটি টাকা দাবির বিপরীতে পরিশোধ করেছে মাত্র ১.৬৮ শতাংশ। গোল্ডেন লাইফ, হোমল্যান্ড ও প্রগ্রেসিভ লাইফেরও পরিশোধের হার ২ শতাংশের নিচে। এ ছাড়া সানলাইফ, ডায়মন্ড, প্রাইম ইসলামী, আকিজ তাকাফুল, যমুনা লাইফ ও ন্যাশনাল লাইফসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানও ২৫ থেকে ৭০ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন রেখেছে।
আইডিআরএর হিসাব বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ৩৬টি জীবনবিমা কোম্পানিতে মোট অনিষ্পন্ন দাবির পরিমাণ ৬ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার কোটির বেশি এখনো ঝুলে আছে। অথচ আইনের ভাষ্য বলছে, পলিসির মেয়াদ শেষে সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক।
আইডিআরএর চেয়ারম্যান আসলাম আলম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে ব্যবসা করা ১৫টি জীবনবিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা নিয়ম মানছে না, দাবি সময়মতো দিচ্ছে না, ফলে পুরো খাতে চরম আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।’
ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ভারপ্রাপ্ত সিইও শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন, গত এক দশকে কোম্পানির ৩২০০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। তিনি জানান, কোম্পানির গুলশান ও ফেনীর সম্পদ বিক্রি করে টাকা পরিশোধের পরিকল্পনা রয়েছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, ‘দাবির টাকা সময়মতো না দিলে মানুষ বিমার প্রতি আগ্রহ হারায়। এই আস্থাহীনতা জাতীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
একসময় জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান ছিল প্রায় ১ শতাংশ। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ০.৪৫ শতাংশে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসিনা শেখ মনে করেন, ‘আইডিআরএ চাইলে অনিয়মকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করতে পারে। কঠোর নজরদারিই একমাত্র উপায়।’
তবে সব কোম্পানির চিত্র এমন নয়। আলফা ইসলামী, এলআইসি, মার্কেন্টাইল ও সান্তা লাইফ ইনস্যুরেন্স শতভাগ দাবি পরিশোধ করেছে। রূপালী, ট্রাস্ট ও সোনালী লাইফ দাবি করেছে ৯৯ শতাংশ পরিশোধের। গার্ডিয়ান, মেটলাইফ, স্বদেশ, মেঘনা, প্রগতি, সন্ধানী, বেস্ট লাইফসহ আরও অন্তত ১২টি কোম্পানি ৮০ থেকে ৯৮ শতাংশ দাবি পূরণ করেছে।
তবু সার্বিকভাবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। যেখানে গ্রাহকের জীবনের সঞ্চয়, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা এবং আস্থার প্রশ্ন জড়িত—সেই খাতেই চলছে গড়িমসি, লুটপাট আর দায় এড়ানোর সংস্কৃতি। আইডিআরএর সতর্কবার্তা আর অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ, উভয়ই বলছে—এভাবে চলতে থাকলে বিমা খাত শুধু ধুঁকবেই না, একসময় পতনের দিকেই গড়াবে।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

জীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
সবচেয়ে বেশি টাকা আটকে রেখেছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, প্রতিষ্ঠানটির হাতে আছে প্রায় ২ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। কোম্পানিটির স্বত্বাধিকারীদের তালিকায় রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট এস আলম গ্রুপ এবং সালমান এফ রহমান। তাদের পরেই আছে সানফ্লাওয়ার লাইফ, বায়রা লাইফ, পদ্মা ইসলামী, গোল্ডেন লাইফ, হোমল্যান্ড ও প্রগ্রেসিভ ইনস্যুরেন্স। এই সাত প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা রয়েছে প্রায় ১২ লাখ গ্রাহকের।
সানফ্লাওয়ার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। বিকল্পধারার সাবেক নেতা মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানের মালিকানাধীন কোম্পানিটি গ্রাহকের ১৭৬ কোটি টাকার দাবির মধ্যে ৯৯.২৮ শতাংশই পরিশোধ করেনি। একইভাবে সাবেক যুবলীগ নেতা আবুল বাসারের বায়রা লাইফ, যাদের কাছে গ্রাহকের আটকা ৭৭ কোটি টাকার বেশি। প্রতিষ্ঠানটির দাবি পরিশোধ হার মাত্র ০.৭৩ শতাংশ। দাবি পূরণে ‘ডিসেম্বরের মধ্যে’ আশ্বাস দিলেও কোম্পানির জমি বিক্রির কথায় সংকটের গভীরতা স্পষ্ট।
এস আলম গ্রুপের পদ্মা ইসলামী লাইফ ২৪০ কোটি টাকা দাবির বিপরীতে পরিশোধ করেছে মাত্র ১.৬৮ শতাংশ। গোল্ডেন লাইফ, হোমল্যান্ড ও প্রগ্রেসিভ লাইফেরও পরিশোধের হার ২ শতাংশের নিচে। এ ছাড়া সানলাইফ, ডায়মন্ড, প্রাইম ইসলামী, আকিজ তাকাফুল, যমুনা লাইফ ও ন্যাশনাল লাইফসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানও ২৫ থেকে ৭০ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন রেখেছে।
আইডিআরএর হিসাব বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ৩৬টি জীবনবিমা কোম্পানিতে মোট অনিষ্পন্ন দাবির পরিমাণ ৬ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার কোটির বেশি এখনো ঝুলে আছে। অথচ আইনের ভাষ্য বলছে, পলিসির মেয়াদ শেষে সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক।
আইডিআরএর চেয়ারম্যান আসলাম আলম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে ব্যবসা করা ১৫টি জীবনবিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা নিয়ম মানছে না, দাবি সময়মতো দিচ্ছে না, ফলে পুরো খাতে চরম আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।’
ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ভারপ্রাপ্ত সিইও শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন, গত এক দশকে কোম্পানির ৩২০০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। তিনি জানান, কোম্পানির গুলশান ও ফেনীর সম্পদ বিক্রি করে টাকা পরিশোধের পরিকল্পনা রয়েছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, ‘দাবির টাকা সময়মতো না দিলে মানুষ বিমার প্রতি আগ্রহ হারায়। এই আস্থাহীনতা জাতীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
একসময় জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান ছিল প্রায় ১ শতাংশ। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ০.৪৫ শতাংশে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসিনা শেখ মনে করেন, ‘আইডিআরএ চাইলে অনিয়মকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করতে পারে। কঠোর নজরদারিই একমাত্র উপায়।’
তবে সব কোম্পানির চিত্র এমন নয়। আলফা ইসলামী, এলআইসি, মার্কেন্টাইল ও সান্তা লাইফ ইনস্যুরেন্স শতভাগ দাবি পরিশোধ করেছে। রূপালী, ট্রাস্ট ও সোনালী লাইফ দাবি করেছে ৯৯ শতাংশ পরিশোধের। গার্ডিয়ান, মেটলাইফ, স্বদেশ, মেঘনা, প্রগতি, সন্ধানী, বেস্ট লাইফসহ আরও অন্তত ১২টি কোম্পানি ৮০ থেকে ৯৮ শতাংশ দাবি পূরণ করেছে।
তবু সার্বিকভাবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। যেখানে গ্রাহকের জীবনের সঞ্চয়, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা এবং আস্থার প্রশ্ন জড়িত—সেই খাতেই চলছে গড়িমসি, লুটপাট আর দায় এড়ানোর সংস্কৃতি। আইডিআরএর সতর্কবার্তা আর অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ, উভয়ই বলছে—এভাবে চলতে থাকলে বিমা খাত শুধু ধুঁকবেই না, একসময় পতনের দিকেই গড়াবে।

জীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
সবচেয়ে বেশি টাকা আটকে রেখেছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, প্রতিষ্ঠানটির হাতে আছে প্রায় ২ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। কোম্পানিটির স্বত্বাধিকারীদের তালিকায় রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট এস আলম গ্রুপ এবং সালমান এফ রহমান। তাদের পরেই আছে সানফ্লাওয়ার লাইফ, বায়রা লাইফ, পদ্মা ইসলামী, গোল্ডেন লাইফ, হোমল্যান্ড ও প্রগ্রেসিভ ইনস্যুরেন্স। এই সাত প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা রয়েছে প্রায় ১২ লাখ গ্রাহকের।
সানফ্লাওয়ার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। বিকল্পধারার সাবেক নেতা মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানের মালিকানাধীন কোম্পানিটি গ্রাহকের ১৭৬ কোটি টাকার দাবির মধ্যে ৯৯.২৮ শতাংশই পরিশোধ করেনি। একইভাবে সাবেক যুবলীগ নেতা আবুল বাসারের বায়রা লাইফ, যাদের কাছে গ্রাহকের আটকা ৭৭ কোটি টাকার বেশি। প্রতিষ্ঠানটির দাবি পরিশোধ হার মাত্র ০.৭৩ শতাংশ। দাবি পূরণে ‘ডিসেম্বরের মধ্যে’ আশ্বাস দিলেও কোম্পানির জমি বিক্রির কথায় সংকটের গভীরতা স্পষ্ট।
এস আলম গ্রুপের পদ্মা ইসলামী লাইফ ২৪০ কোটি টাকা দাবির বিপরীতে পরিশোধ করেছে মাত্র ১.৬৮ শতাংশ। গোল্ডেন লাইফ, হোমল্যান্ড ও প্রগ্রেসিভ লাইফেরও পরিশোধের হার ২ শতাংশের নিচে। এ ছাড়া সানলাইফ, ডায়মন্ড, প্রাইম ইসলামী, আকিজ তাকাফুল, যমুনা লাইফ ও ন্যাশনাল লাইফসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানও ২৫ থেকে ৭০ শতাংশ দাবি অনিষ্পন্ন রেখেছে।
আইডিআরএর হিসাব বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ৩৬টি জীবনবিমা কোম্পানিতে মোট অনিষ্পন্ন দাবির পরিমাণ ৬ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার কোটির বেশি এখনো ঝুলে আছে। অথচ আইনের ভাষ্য বলছে, পলিসির মেয়াদ শেষে সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক।
আইডিআরএর চেয়ারম্যান আসলাম আলম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে ব্যবসা করা ১৫টি জীবনবিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা নিয়ম মানছে না, দাবি সময়মতো দিচ্ছে না, ফলে পুরো খাতে চরম আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।’
ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ভারপ্রাপ্ত সিইও শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন, গত এক দশকে কোম্পানির ৩২০০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। তিনি জানান, কোম্পানির গুলশান ও ফেনীর সম্পদ বিক্রি করে টাকা পরিশোধের পরিকল্পনা রয়েছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, ‘দাবির টাকা সময়মতো না দিলে মানুষ বিমার প্রতি আগ্রহ হারায়। এই আস্থাহীনতা জাতীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
একসময় জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান ছিল প্রায় ১ শতাংশ। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ০.৪৫ শতাংশে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসিনা শেখ মনে করেন, ‘আইডিআরএ চাইলে অনিয়মকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করতে পারে। কঠোর নজরদারিই একমাত্র উপায়।’
তবে সব কোম্পানির চিত্র এমন নয়। আলফা ইসলামী, এলআইসি, মার্কেন্টাইল ও সান্তা লাইফ ইনস্যুরেন্স শতভাগ দাবি পরিশোধ করেছে। রূপালী, ট্রাস্ট ও সোনালী লাইফ দাবি করেছে ৯৯ শতাংশ পরিশোধের। গার্ডিয়ান, মেটলাইফ, স্বদেশ, মেঘনা, প্রগতি, সন্ধানী, বেস্ট লাইফসহ আরও অন্তত ১২টি কোম্পানি ৮০ থেকে ৯৮ শতাংশ দাবি পূরণ করেছে।
তবু সার্বিকভাবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। যেখানে গ্রাহকের জীবনের সঞ্চয়, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা এবং আস্থার প্রশ্ন জড়িত—সেই খাতেই চলছে গড়িমসি, লুটপাট আর দায় এড়ানোর সংস্কৃতি। আইডিআরএর সতর্কবার্তা আর অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ, উভয়ই বলছে—এভাবে চলতে থাকলে বিমা খাত শুধু ধুঁকবেই না, একসময় পতনের দিকেই গড়াবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
১৮ মিনিট আগে
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
২১ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
২৩ মিনিট আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের পর্যবেক্ষণে, ব্যাংক লাইসেন্স বিতরণ থেকে শুরু করে খেলাপি ঋণকে ‘নীতি-সুবিধা’র আড়ালে বৈধ করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ছায়া স্পষ্ট, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি ও গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে আইএমএফ মিশনের সদস্যরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বাস্তব পরিস্থিতি।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন তোলে। তাদের মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক অনুমোদন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া এবং নিয়মের ফাঁকে খেলাপি ঋণ বৈধ করার প্রবণতাকেই আইএমএফ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখছে।
আইএমএফ প্রতিনিধিরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপরিহার্য। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা এখন প্রায় নামমাত্র হয়ে পড়েছে। ফলে আর্থিক শৃঙ্খলা ও নীতিগত স্বচ্ছতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।
তাঁরা সতর্ক করেছেন, ব্যাংক খাতের এ কাঠামোগত দুর্বলতা ভবিষ্যতে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা, মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিনিধিদল ইঙ্গিত দিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারকে তারা চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের অন্যতম পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করছে।
বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে যেখানে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, সেটি এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় পৌনে ৭ লাখ কোটিতে। অথচ এত দিন সরকারি পরিসংখ্যানে এটি দেখানো হতো মাত্র ২ লাখ কোটি টাকার মতো। সুদের হার ৯ শতাংশে বেঁধে রাখার নীতিকে তাঁরা ‘অবৈধ অর্থ পাচারে প্রণোদনা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রতিনিধিদল জানায়, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু গোষ্ঠী নাম-বেনামে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ ডলার ক্রয়ে ব্যবহার করে বিদেশে পাচার করেছে। ফলে ২০২১ সালের মহামারিকালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নেমে এসেছে ২০ বিলিয়নের ঘরে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, কিছু দুর্বল ব্যাংক কোনো কার্যকর তদারকি ছাড়াই প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। এ অবস্থায় আইএমএফ ব্যাংক খাতের ঝুঁকি মোকাবিলায় কঠোর জামানত ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ তদারকি কাঠামো প্রবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, আইএমএফ মিশনের নিয়মিত পরিদর্শন চলছে। তারা মূলত ঋণ কর্মসূচির শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি যাচাই করছে। কিছু ইস্যুতে তাদের উদ্বেগ থাকলেও সার্বিকভাবে তারা অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের পর্যবেক্ষণে, ব্যাংক লাইসেন্স বিতরণ থেকে শুরু করে খেলাপি ঋণকে ‘নীতি-সুবিধা’র আড়ালে বৈধ করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ছায়া স্পষ্ট, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি ও গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে আইএমএফ মিশনের সদস্যরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বাস্তব পরিস্থিতি।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন তোলে। তাদের মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক অনুমোদন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া এবং নিয়মের ফাঁকে খেলাপি ঋণ বৈধ করার প্রবণতাকেই আইএমএফ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখছে।
আইএমএফ প্রতিনিধিরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপরিহার্য। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা এখন প্রায় নামমাত্র হয়ে পড়েছে। ফলে আর্থিক শৃঙ্খলা ও নীতিগত স্বচ্ছতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।
তাঁরা সতর্ক করেছেন, ব্যাংক খাতের এ কাঠামোগত দুর্বলতা ভবিষ্যতে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা, মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিনিধিদল ইঙ্গিত দিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারকে তারা চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের অন্যতম পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করছে।
বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে যেখানে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, সেটি এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় পৌনে ৭ লাখ কোটিতে। অথচ এত দিন সরকারি পরিসংখ্যানে এটি দেখানো হতো মাত্র ২ লাখ কোটি টাকার মতো। সুদের হার ৯ শতাংশে বেঁধে রাখার নীতিকে তাঁরা ‘অবৈধ অর্থ পাচারে প্রণোদনা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রতিনিধিদল জানায়, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু গোষ্ঠী নাম-বেনামে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ ডলার ক্রয়ে ব্যবহার করে বিদেশে পাচার করেছে। ফলে ২০২১ সালের মহামারিকালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নেমে এসেছে ২০ বিলিয়নের ঘরে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, কিছু দুর্বল ব্যাংক কোনো কার্যকর তদারকি ছাড়াই প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। এ অবস্থায় আইএমএফ ব্যাংক খাতের ঝুঁকি মোকাবিলায় কঠোর জামানত ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ তদারকি কাঠামো প্রবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, আইএমএফ মিশনের নিয়মিত পরিদর্শন চলছে। তারা মূলত ঋণ কর্মসূচির শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি যাচাই করছে। কিছু ইস্যুতে তাদের উদ্বেগ থাকলেও সার্বিকভাবে তারা অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।

জীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
২২ জুলাই ২০২৫
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
২১ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
২৩ মিনিট আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বিক্রেতা ও ব্যাপারীরা দোলাচলে আছেন। সরকারের আমদানির ঘোষণা এবং নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। ফলে কেউ মজুত পেঁয়াজ দ্রুত বিক্রি করতে চাইছেন, আবার কেউ আশা করছেন দাম বাড়বে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের আগোরায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১১৫ টাকায়, পাশের কাঁচাবাজারে দাম ছিল ১১৫-১২০ টাকার মধ্যে। আগের দিন এসব বাজারে দাম ছিল ১২০-১২৫ টাকা।
তবে কোনো কোনো বাজারে ১১০ টাকায়ও পেঁয়াজ মিলছে। মুগদা বাজারের বিক্রেতা কাউসার বলেন, ‘গত রোববার পাইকারিতে ৯৫ টাকায় কিনেছি। পরিবহন খরচ, কুলি খরচ, নষ্টের ঝুঁকি ও সামান্য মুনাফা যোগ করে ১১০ টাকায় বিক্রি করছি।’
শ্যামবাজারে সকালে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১০৫, মাঝারি মানের ১০২ এবং ছোট পেঁয়াজ ৯৮-১০০ টাকায়। তবে দুপুরের পর দাম কমে যথাক্রমে ১০০-৯৮ এবং ৯৬-৯৭ টাকায় নেমেছে। আগের দিন এই বাজারে দাম ছিল ৯৭-৯৮, ৯৫-৯৬ এবং ৯২-৯৩ টাকা।
রাজধানীর প্রায় সব বাজারে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাতাসহ এসব পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, খেতের পেঁয়াজ ঘন হয়ে গেলে কৃষকেরা কিছু তুলে ফেলেন, যাতে বাকি গাছগুলো দ্রুত বড় হয় এবং কৃষক কিছু আয়ও পান। ভালো দাম পেয়ে কৃষকেরা এখন বেশি করে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আনছেন।

কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বিক্রেতা ও ব্যাপারীরা দোলাচলে আছেন। সরকারের আমদানির ঘোষণা এবং নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। ফলে কেউ মজুত পেঁয়াজ দ্রুত বিক্রি করতে চাইছেন, আবার কেউ আশা করছেন দাম বাড়বে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের আগোরায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১১৫ টাকায়, পাশের কাঁচাবাজারে দাম ছিল ১১৫-১২০ টাকার মধ্যে। আগের দিন এসব বাজারে দাম ছিল ১২০-১২৫ টাকা।
তবে কোনো কোনো বাজারে ১১০ টাকায়ও পেঁয়াজ মিলছে। মুগদা বাজারের বিক্রেতা কাউসার বলেন, ‘গত রোববার পাইকারিতে ৯৫ টাকায় কিনেছি। পরিবহন খরচ, কুলি খরচ, নষ্টের ঝুঁকি ও সামান্য মুনাফা যোগ করে ১১০ টাকায় বিক্রি করছি।’
শ্যামবাজারে সকালে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১০৫, মাঝারি মানের ১০২ এবং ছোট পেঁয়াজ ৯৮-১০০ টাকায়। তবে দুপুরের পর দাম কমে যথাক্রমে ১০০-৯৮ এবং ৯৬-৯৭ টাকায় নেমেছে। আগের দিন এই বাজারে দাম ছিল ৯৭-৯৮, ৯৫-৯৬ এবং ৯২-৯৩ টাকা।
রাজধানীর প্রায় সব বাজারে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাতাসহ এসব পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, খেতের পেঁয়াজ ঘন হয়ে গেলে কৃষকেরা কিছু তুলে ফেলেন, যাতে বাকি গাছগুলো দ্রুত বড় হয় এবং কৃষক কিছু আয়ও পান। ভালো দাম পেয়ে কৃষকেরা এখন বেশি করে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আনছেন।

জীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
২২ জুলাই ২০২৫
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
১৮ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
২৩ মিনিট আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৬ ঘণ্টা আগে৯১৪ টনের ক্রয়াদেশ ইসির
কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯ টন কাগজ, অবশিষ্ট ৭৩৬ টন ধাপে ধাপে উৎপাদন করে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্ গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের জন্য রঙিন (সবুজ, গোলাপি, এজুরলেইড) ও বাদামি সালফেট কাগজের মোট ৯১৪ টন ব্যালট ছাপার কাগজের অর্ডার এসেছে। ব্যালট ছাপার জন্য এসব বিশেষ কাগজের মান, ঘনত্ব ও টেক্সচার নিয়ে মিলের প্রযুক্তিবিদেরা ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট মান নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও), বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও এখন পর্যন্ত প্রায় ২,৮৯৪ টন কাগজের অর্ডার পেয়েছে কেপিএম, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা ৯২৩ টন কাগজ সরবরাহ করেছি।’
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মিলটির বার্ষিক কাগজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,৫০০ টন, যার সম্ভাব্য বাজারদর ৪০-৪৫ কোটি টাকা। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ১,০৯৩ টন কাগজ এবং উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
কাপ্তাইয়ের এই কর্ণফুলী পেপার মিলস দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ১৯৫৩ সালে স্থাপিত এ মিলটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি পরীক্ষার উত্তরপত্র ছাপানোসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রয়োজনে কাগজ সরবরাহ করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যন্ত্রপাতি সংস্কার, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতা উন্নয়নের ফলে মিলটির উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক স্থিতিশীল হয়েছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯ টন কাগজ, অবশিষ্ট ৭৩৬ টন ধাপে ধাপে উৎপাদন করে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্ গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের জন্য রঙিন (সবুজ, গোলাপি, এজুরলেইড) ও বাদামি সালফেট কাগজের মোট ৯১৪ টন ব্যালট ছাপার কাগজের অর্ডার এসেছে। ব্যালট ছাপার জন্য এসব বিশেষ কাগজের মান, ঘনত্ব ও টেক্সচার নিয়ে মিলের প্রযুক্তিবিদেরা ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট মান নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও), বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও এখন পর্যন্ত প্রায় ২,৮৯৪ টন কাগজের অর্ডার পেয়েছে কেপিএম, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা ৯২৩ টন কাগজ সরবরাহ করেছি।’
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মিলটির বার্ষিক কাগজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,৫০০ টন, যার সম্ভাব্য বাজারদর ৪০-৪৫ কোটি টাকা। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ১,০৯৩ টন কাগজ এবং উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
কাপ্তাইয়ের এই কর্ণফুলী পেপার মিলস দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ১৯৫৩ সালে স্থাপিত এ মিলটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি পরীক্ষার উত্তরপত্র ছাপানোসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রয়োজনে কাগজ সরবরাহ করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যন্ত্রপাতি সংস্কার, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতা উন্নয়নের ফলে মিলটির উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক স্থিতিশীল হয়েছে।

জীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
২২ জুলাই ২০২৫
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
১৮ মিনিট আগে
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
২১ মিনিট আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সব ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সব ক্যাডেট কলেজে যেকোনো আবেদনকারী নগদের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি দিতে পারবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তা ছাড়া নগদের এই ভর্তি ফির চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকেরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ -এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন
করে ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Apply Now/Sign Up’-এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ই-মেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে দুই হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি, যাতে সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে অভিভাবকেরা সহজে, দ্রুত ও সবচেয়ে কম খরচে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ও টিউশন ফি দিচ্ছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সলিউশন হিসেবে কাজ করছে।

দেশের সব ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সব ক্যাডেট কলেজে যেকোনো আবেদনকারী নগদের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি দিতে পারবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তা ছাড়া নগদের এই ভর্তি ফির চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকেরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ -এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন
করে ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Apply Now/Sign Up’-এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ই-মেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে দুই হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি, যাতে সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে অভিভাবকেরা সহজে, দ্রুত ও সবচেয়ে কম খরচে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ও টিউশন ফি দিচ্ছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সলিউশন হিসেবে কাজ করছে।

জীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
২২ জুলাই ২০২৫
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
১৮ মিনিট আগে
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
২১ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
২৩ মিনিট আগে