কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ডাকা সাম্প্রতিক সময়ের শাটডাউনের প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ প্রভাব পড়েছে, যা আরও বাড়তে পারে। ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফআইসিসিআই বা ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার এ কথা বলেছেন।
গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ব্যবসায়ী নেতারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিডা ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এফআইসিসিআই বা ফিকির সভাপতি জাভেদ আখতার মনে করেন, সাম্প্রতিক অচলাবস্থার অর্থনৈতিক প্রভাব প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের হতে পারে, যা আরও বাড়ছে। তবে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বিজিএমইএর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, এই সংগঠনের সদস্য কারখানাগুলোতে ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পর্যালোচনা করেনি তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ। তবে এই খাতের অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা বিপুল লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন শাটডাউনের কারণে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশেরও চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, এফএমসিজির (ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস) সরবরাহব্যবস্থা ও পরিচালন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে, এই ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি ডলারের বেশি। আর্থিক প্রভাবের বাইরে দেশ যে ভাবমূর্তি-সংকটের মুখে পড়েছে, তা পরিমাপ করা যায় না।
লিখিত বক্তব্যে ফিকির সভাপতি বলেন, ‘আমরা ২০১৩ সালের রানা প্লাজা বিপর্যয় এবং ২০১৬ সালের সন্ত্রাসী হামলার পরবর্তী বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ১০ বছর সময় পার করেছি। কিন্তু চলমান সামাজিক অস্থিরতা দেশের উন্নয়নযাত্রাকে অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে আমরা সেই আগের জায়গায় ফিরে এসেছি।’
এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা। এর মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা সহজ করার জন্য সহায়তা বাড়ানো, বন্দরে ক্ষতিপূরণ মাশুল মওকুফ করা, রাজস্ব কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধ করা এবং বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
অর্থনীতির বিভিন্ন খাত ও উপখাতের প্রায় ৫০ জন ব্যবসায়ী মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। শাটডাউন ও ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কারণে দেশের রপ্তানিমুখী শিল্প, ব্যাংকিং সেবা, বিমা, লজিস্টিকস, অবকাঠামো, টেলিযোগাযোগ, ই-কমার্স, রাইড সার্ভিস, সফটওয়্যার ডেভেলপাররাসহ সোশ্যাল কমার্সের ওপর নির্ভরশীল অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের মধ্যে তাদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ব্যবসায়ী নেতাদের মন্তব্য ও দাবিগুলো শোনার পর সালমান এফ রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা সমাধান চান সার্বিকভাবে এমন পাঁচটি সমস্যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব সমস্যা চট্টগ্রাম বন্দর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ব্যাংকিং, তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) ও জ্বালানি সরবরাহসংক্রান্ত।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অংশীজনদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের উল্লেখ করা এসব সমস্যা সমাধানে আমরা পৃথক পৃথক সভা করব।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ডাকা সাম্প্রতিক সময়ের শাটডাউনের প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ প্রভাব পড়েছে, যা আরও বাড়তে পারে। ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফআইসিসিআই বা ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার এ কথা বলেছেন।
গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ব্যবসায়ী নেতারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিডা ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এফআইসিসিআই বা ফিকির সভাপতি জাভেদ আখতার মনে করেন, সাম্প্রতিক অচলাবস্থার অর্থনৈতিক প্রভাব প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের হতে পারে, যা আরও বাড়ছে। তবে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বিজিএমইএর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, এই সংগঠনের সদস্য কারখানাগুলোতে ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পর্যালোচনা করেনি তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ। তবে এই খাতের অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা বিপুল লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন শাটডাউনের কারণে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশেরও চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, এফএমসিজির (ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস) সরবরাহব্যবস্থা ও পরিচালন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে, এই ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি ডলারের বেশি। আর্থিক প্রভাবের বাইরে দেশ যে ভাবমূর্তি-সংকটের মুখে পড়েছে, তা পরিমাপ করা যায় না।
লিখিত বক্তব্যে ফিকির সভাপতি বলেন, ‘আমরা ২০১৩ সালের রানা প্লাজা বিপর্যয় এবং ২০১৬ সালের সন্ত্রাসী হামলার পরবর্তী বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ১০ বছর সময় পার করেছি। কিন্তু চলমান সামাজিক অস্থিরতা দেশের উন্নয়নযাত্রাকে অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে আমরা সেই আগের জায়গায় ফিরে এসেছি।’
এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা। এর মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা সহজ করার জন্য সহায়তা বাড়ানো, বন্দরে ক্ষতিপূরণ মাশুল মওকুফ করা, রাজস্ব কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধ করা এবং বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
অর্থনীতির বিভিন্ন খাত ও উপখাতের প্রায় ৫০ জন ব্যবসায়ী মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। শাটডাউন ও ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কারণে দেশের রপ্তানিমুখী শিল্প, ব্যাংকিং সেবা, বিমা, লজিস্টিকস, অবকাঠামো, টেলিযোগাযোগ, ই-কমার্স, রাইড সার্ভিস, সফটওয়্যার ডেভেলপাররাসহ সোশ্যাল কমার্সের ওপর নির্ভরশীল অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের মধ্যে তাদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ব্যবসায়ী নেতাদের মন্তব্য ও দাবিগুলো শোনার পর সালমান এফ রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা সমাধান চান সার্বিকভাবে এমন পাঁচটি সমস্যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব সমস্যা চট্টগ্রাম বন্দর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ব্যাংকিং, তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) ও জ্বালানি সরবরাহসংক্রান্ত।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অংশীজনদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের উল্লেখ করা এসব সমস্যা সমাধানে আমরা পৃথক পৃথক সভা করব।’
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
৭ ঘণ্টা আগেটেকসই কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার গ্রামীণ দারিদ্র্য কমবে, টেকসই কৃষি...
৯ ঘণ্টা আগেব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে। একই সঙ্গে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই অ্যাপের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের একটি নতুন রেকর্ড।
৯ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে ড্রাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা অন্যান্য দেশের চেয়ে ভিন্ন। এখানকার রাস্তা, আবহাওয়া আর ট্রাফিকের ধরন গাড়ির ইঞ্জিনের ওপর বেশ লোড বাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি বাজারে নিয়ে এসেছে Mobil Super™ All-In-One Protection 0 W-16।
১২ ঘণ্টা আগে