আয়নাল হোসেন, ঢাকা
চলমান কঠোর লকডাউনে সব শ্রেণির মানুষ আজ দিশেহারা। দিনমজুর, রিকশাচালক থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় রোজগার নেই বললেই চলে। এর মধ্যে মরার ওপর খরার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে বাজারে চালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি এক টাকা বেড়েছে। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে দুই টাকা পর্যন্ত।
খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ও ডিমের দামও বেড়েছে। বৃষ্টি ও লকডাউনের কারণে আজ শুক্রবার বাজারে লোকজনের আনাগোনা ছিল খুবই কম।
রাজধানীর পুরান ঢাকার বাবুবাজারের মেসার্স নিউ মুক্তা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী দ্বীন মোহাম্মদ স্বপন জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি এক টাকা বেড়েছে। আর গত ঈদের পর থেকে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি চার টাকা পর্যন্ত। দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, চলমান লকডাউনের কারণে পরিবহন ভাড়া অনেকটা বেড়েছে। আগে উত্তরবঙ্গ থেকে এক ট্রাক চাল ঢাকায় আনতে ভাড়া লাগত ১৫–১৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ২২–২৩ হাজার টাকা পড়ছে।
চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে পুরান ঢাকার ঝুমরাইল লেনের মেসার্স মা–বাবার দোয়া রাইস এজেন্সির মালিক মনির হোসেন জমাদার বলেন, এক সপ্তাহ লকডাউনের খবরে অনেকেই বাড়তি চাল কিনেছেন। যাদের সপ্তাহে প্রয়োজন ছিল ৫ কেজি। তাঁরা কিনেছেন ৫০ কেজি। এ কারণে দাম বেড়েছে। তবে গত দুই দিন ধরে বাজারে বিক্রি কমে গেছে।
গত সপ্তাহে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাবুবাজার ও বাদামতলীতে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিল ৫৪–৫৫ টাকা। আজ শুক্রবার তা বিক্রি হয়েছে ৫৫–৫৬ টাকায়। তবে ব্যান্ডেড মিনিকেট চাল প্রতিকেজি ৬০–৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে প্রতিকেজি নাজিরশাইলের দাম ছিল ৫৮ টাকা। যা আজ বিক্রি হয়েছে ৫৯ টাকায়। প্রতিকেজি বিআর–২৮ (লতা নামে পরিচিত) চালের দাম ছিল ৪৪–৪৫ টাকা। আজ তা বিক্রি হয়েছে ৪৫–৪৬ টাকায়।
এদিকে দেশের উত্তরবঙ্গের মোকাম মালিকরা জানিয়েছেন, মোকামে চালের দাম এক সপ্তাহে বাড়েনি। তবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগে প্রতি ৫০ কেজির বস্তা মিনিকেট চালের দাম ছিল দুই হাজার ৫০০ দুই হাজার ৬০০ টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৮৫০ টাকায়। ধান সংকট এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে চালের দাম বাড়ছে। দেশের কয়েকটি কোম্পানি উত্তরবঙ্গ থেকে বিপুল পরিমাণ চাল সংগ্রহ করছেন। মূল্য বাড়ার পেছনে এটি অন্যতম কারণ।
শ্রমিকদের কাছে রান্না করা ভাত বিক্রি করেন ফুলবানু। তিনি মৌলভীবাজার থেকে চাল কিনছিলেন। সব চালের দামই বেশি। আগে তিনি প্রতিকেজি বিআর–২৮ চাল কিনেছিলেন ৪৯ টাকায়। আজ শুক্রবার তিনি তা ৫১ টাকায় কিনেছেন। লকডাউনের কারণে তাঁর ভাত সরবরাহও অনেকটা কমেছে। আগে ৫০–৬০ জনের কাছে ভাত বিক্রি করতেন। বর্তমানে লোক কমে ২০ জন হয়েছে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার মেসার্স সারওয়ার স্টোরের মালিক সারোয়ার আলম জানান, গত তিন–চার দিনের ব্যবধানে চালের দাম কেজিপ্রতি দুই টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা নেই। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিনি দোকানে কোনো বিক্রি করতে পারেননি বলে জানান।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি গুদামে চাল মজুত রয়েছে ১১ লাখ ৪৯ হাজার টন। গত ৩০ জুন পর্যন্ত সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করেছে ৫ লাখ ৭০ হাজার ২৮৭ টন।
বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে খাদ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এক জুম মিটিং–এ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ধান–চাল মজুতকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলায় বাজার মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম জোরদার করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন।
মূল্য বৃদ্ধির তালিকায় যোগ হয়েছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজ খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকায়। যা আজ শুক্রবার ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিমের দাম ছিল ৩৩–৩৪ টাকা। যা আজ শুক্রবার ৩৪–৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারভেদে দামের পার্থক্য দেখা গেছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে মেসার্স মানিকগঞ্জ স্টোরে প্রতি হালি ডিম ৩২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে নিউমার্কেটে তা ৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চলমান কঠোর লকডাউনে সব শ্রেণির মানুষ আজ দিশেহারা। দিনমজুর, রিকশাচালক থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় রোজগার নেই বললেই চলে। এর মধ্যে মরার ওপর খরার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে বাজারে চালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি এক টাকা বেড়েছে। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে দুই টাকা পর্যন্ত।
খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ও ডিমের দামও বেড়েছে। বৃষ্টি ও লকডাউনের কারণে আজ শুক্রবার বাজারে লোকজনের আনাগোনা ছিল খুবই কম।
রাজধানীর পুরান ঢাকার বাবুবাজারের মেসার্স নিউ মুক্তা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী দ্বীন মোহাম্মদ স্বপন জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি এক টাকা বেড়েছে। আর গত ঈদের পর থেকে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি চার টাকা পর্যন্ত। দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, চলমান লকডাউনের কারণে পরিবহন ভাড়া অনেকটা বেড়েছে। আগে উত্তরবঙ্গ থেকে এক ট্রাক চাল ঢাকায় আনতে ভাড়া লাগত ১৫–১৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ২২–২৩ হাজার টাকা পড়ছে।
চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে পুরান ঢাকার ঝুমরাইল লেনের মেসার্স মা–বাবার দোয়া রাইস এজেন্সির মালিক মনির হোসেন জমাদার বলেন, এক সপ্তাহ লকডাউনের খবরে অনেকেই বাড়তি চাল কিনেছেন। যাদের সপ্তাহে প্রয়োজন ছিল ৫ কেজি। তাঁরা কিনেছেন ৫০ কেজি। এ কারণে দাম বেড়েছে। তবে গত দুই দিন ধরে বাজারে বিক্রি কমে গেছে।
গত সপ্তাহে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাবুবাজার ও বাদামতলীতে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিল ৫৪–৫৫ টাকা। আজ শুক্রবার তা বিক্রি হয়েছে ৫৫–৫৬ টাকায়। তবে ব্যান্ডেড মিনিকেট চাল প্রতিকেজি ৬০–৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে প্রতিকেজি নাজিরশাইলের দাম ছিল ৫৮ টাকা। যা আজ বিক্রি হয়েছে ৫৯ টাকায়। প্রতিকেজি বিআর–২৮ (লতা নামে পরিচিত) চালের দাম ছিল ৪৪–৪৫ টাকা। আজ তা বিক্রি হয়েছে ৪৫–৪৬ টাকায়।
এদিকে দেশের উত্তরবঙ্গের মোকাম মালিকরা জানিয়েছেন, মোকামে চালের দাম এক সপ্তাহে বাড়েনি। তবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগে প্রতি ৫০ কেজির বস্তা মিনিকেট চালের দাম ছিল দুই হাজার ৫০০ দুই হাজার ৬০০ টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৮৫০ টাকায়। ধান সংকট এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে চালের দাম বাড়ছে। দেশের কয়েকটি কোম্পানি উত্তরবঙ্গ থেকে বিপুল পরিমাণ চাল সংগ্রহ করছেন। মূল্য বাড়ার পেছনে এটি অন্যতম কারণ।
শ্রমিকদের কাছে রান্না করা ভাত বিক্রি করেন ফুলবানু। তিনি মৌলভীবাজার থেকে চাল কিনছিলেন। সব চালের দামই বেশি। আগে তিনি প্রতিকেজি বিআর–২৮ চাল কিনেছিলেন ৪৯ টাকায়। আজ শুক্রবার তিনি তা ৫১ টাকায় কিনেছেন। লকডাউনের কারণে তাঁর ভাত সরবরাহও অনেকটা কমেছে। আগে ৫০–৬০ জনের কাছে ভাত বিক্রি করতেন। বর্তমানে লোক কমে ২০ জন হয়েছে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার মেসার্স সারওয়ার স্টোরের মালিক সারোয়ার আলম জানান, গত তিন–চার দিনের ব্যবধানে চালের দাম কেজিপ্রতি দুই টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা নেই। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিনি দোকানে কোনো বিক্রি করতে পারেননি বলে জানান।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি গুদামে চাল মজুত রয়েছে ১১ লাখ ৪৯ হাজার টন। গত ৩০ জুন পর্যন্ত সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করেছে ৫ লাখ ৭০ হাজার ২৮৭ টন।
বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে খাদ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এক জুম মিটিং–এ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ধান–চাল মজুতকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলায় বাজার মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম জোরদার করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন।
মূল্য বৃদ্ধির তালিকায় যোগ হয়েছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজ খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকায়। যা আজ শুক্রবার ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিমের দাম ছিল ৩৩–৩৪ টাকা। যা আজ শুক্রবার ৩৪–৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারভেদে দামের পার্থক্য দেখা গেছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে মেসার্স মানিকগঞ্জ স্টোরে প্রতি হালি ডিম ৩২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে নিউমার্কেটে তা ৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশের বৃহৎতম এই মৌসুমি বাজারটি এখন হাঁকডাকে মুখর, নানা জাতের আমে ভরে উঠেছে প্রতিটি আড়ত। ঈদুল আজহার ছুটি, অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরায় সাময়িক ধাক্কা খেলেও গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক লেনদেন চালু হওয়
১ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই সময় পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক। আগামী ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকছে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব
২ ঘণ্টা আগে