জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
ডলার-সংকট কাটাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতেই বারবার হোঁচট খাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলার রেট সময়ে সময়ে বেঁধে দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতিতে সীমা বেঁধে দিয়ে ডলারের রেট নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে; যার মডেল বাস্তবায়ন ও কারিগরি সহায়তা দিতে আইএমএফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম বৈঠকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দ এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ডলারের রেট বাজারভিত্তিক করার জন্য আইএমএফ তাগাদা দিলেও বাস্তবায়ন সম্ভব না। এ জন্য বাজারভিত্তিকের কাছাকাছি পদ্ধতিকে সহায়তা দিতে সম্মতি দিচ্ছে। তবে বিকল্প আরও উন্নত পদ্ধতি খোঁজার তাগাদাও অব্যাহত রেখেছে আইএমএফ। ফেব্রুয়ারিতে সংস্থাটির কারিগরি দল বাংলাদেশে আসবে। আর ঋণের তৃতীয় কিস্তির ছাড়ের জন্য একটি মিশন মার্চে দেশে আসবে। তাদের সঙ্গে সংস্কার ও ঋণের শর্ত নিয়ে বিশদ আলোচনা হতে পারে।
সূত্র জানায়, ডলারের বাজার অস্থিরতার নেপথ্যে কারণ নিয়ে চুলচেরা পর্যালোচনা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান প্রায় ২৭ শতাংশ কমেছে। একাধারে ডলারের বিপরীতে টাকার মান অবমূল্যায়নের সুযোগ নিয়ে বিশেষ গোষ্ঠী ও কিছু এক্সচেঞ্জ হাউস কম দামের কেনা ডলার মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করে অস্বাভাবিক মুনাফা করছে। আবার প্রবাসীদের একটা অংশও বিলম্বে দেশে ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২২ নভেম্বর থেকে তৃতীয় দফায় ডলারের দাম এক টাকা কমিয়েছে। তবে সব সময় ডলারের দর কমানো সম্ভব নয়। এটাকে আইওয়াশ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, জ্বালানিসহ নিত্যপণের খরচ মেটাতে ডলার বিক্রি করা হয়। এটা দেশের বৃহৎ স্বার্থেই করা হচ্ছে। যখন ব্যাংকগুলোর পর্যাপ্ত ডলার থাকবে, তখন ডলার বিক্রি করা হবে না। প্রয়োজনে কেনাও যেতে পারে। যেমন করোনার পর ডলার ক্রয় করা হয়েছিল।
অর্থনীতির ভাষায় ক্রলিং পেগ হলো নিজের দেশের মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি; যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিনিময় হারসহ একটি মুদ্রাকে একটি সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। অস্থিরতার সময় দেশীয় মুদ্রার মূল্য এবং হারের সীমাও ঘন ঘন সমন্বয় করা হয়। এখানে মুদ্রার রেটের একটি সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, দেশীয় মুদ্রার সঙ্গে ডলারের রেট নির্ধারণে বিশেষ দল কাজ করছে। মূলত ক্রলিং পেগ পদ্ধতির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে ডলারের বাজারে স্বস্তি ফিরতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, ডলারের দরে লাগাম টানতে গত বুধবার ২৫ পয়সা এবং ২৯ নভেম্বর ডলারের দর ২৫ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডলার-সংকট কাটাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতেই বারবার হোঁচট খাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলার রেট সময়ে সময়ে বেঁধে দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতিতে সীমা বেঁধে দিয়ে ডলারের রেট নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে; যার মডেল বাস্তবায়ন ও কারিগরি সহায়তা দিতে আইএমএফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম বৈঠকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দ এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ডলারের রেট বাজারভিত্তিক করার জন্য আইএমএফ তাগাদা দিলেও বাস্তবায়ন সম্ভব না। এ জন্য বাজারভিত্তিকের কাছাকাছি পদ্ধতিকে সহায়তা দিতে সম্মতি দিচ্ছে। তবে বিকল্প আরও উন্নত পদ্ধতি খোঁজার তাগাদাও অব্যাহত রেখেছে আইএমএফ। ফেব্রুয়ারিতে সংস্থাটির কারিগরি দল বাংলাদেশে আসবে। আর ঋণের তৃতীয় কিস্তির ছাড়ের জন্য একটি মিশন মার্চে দেশে আসবে। তাদের সঙ্গে সংস্কার ও ঋণের শর্ত নিয়ে বিশদ আলোচনা হতে পারে।
সূত্র জানায়, ডলারের বাজার অস্থিরতার নেপথ্যে কারণ নিয়ে চুলচেরা পর্যালোচনা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান প্রায় ২৭ শতাংশ কমেছে। একাধারে ডলারের বিপরীতে টাকার মান অবমূল্যায়নের সুযোগ নিয়ে বিশেষ গোষ্ঠী ও কিছু এক্সচেঞ্জ হাউস কম দামের কেনা ডলার মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করে অস্বাভাবিক মুনাফা করছে। আবার প্রবাসীদের একটা অংশও বিলম্বে দেশে ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২২ নভেম্বর থেকে তৃতীয় দফায় ডলারের দাম এক টাকা কমিয়েছে। তবে সব সময় ডলারের দর কমানো সম্ভব নয়। এটাকে আইওয়াশ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, জ্বালানিসহ নিত্যপণের খরচ মেটাতে ডলার বিক্রি করা হয়। এটা দেশের বৃহৎ স্বার্থেই করা হচ্ছে। যখন ব্যাংকগুলোর পর্যাপ্ত ডলার থাকবে, তখন ডলার বিক্রি করা হবে না। প্রয়োজনে কেনাও যেতে পারে। যেমন করোনার পর ডলার ক্রয় করা হয়েছিল।
অর্থনীতির ভাষায় ক্রলিং পেগ হলো নিজের দেশের মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি; যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিনিময় হারসহ একটি মুদ্রাকে একটি সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। অস্থিরতার সময় দেশীয় মুদ্রার মূল্য এবং হারের সীমাও ঘন ঘন সমন্বয় করা হয়। এখানে মুদ্রার রেটের একটি সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, দেশীয় মুদ্রার সঙ্গে ডলারের রেট নির্ধারণে বিশেষ দল কাজ করছে। মূলত ক্রলিং পেগ পদ্ধতির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে ডলারের বাজারে স্বস্তি ফিরতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, ডলারের দরে লাগাম টানতে গত বুধবার ২৫ পয়সা এবং ২৯ নভেম্বর ডলারের দর ২৫ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক ৫ হাজার কোটি টাকার নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। রেকর্ড পরিমাণ এই ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি আমানত সংগ্রহে ব্যাংকটির টেকসইতার প্রতিফলন।
১৩ মিনিট আগেকর্মসংস্থান ব্যাংকের বরিশাল, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর আঞ্চলিক ও শাখা ব্যবস্থাপক এবং মাঠকর্মীদের অংশগ্রহণে ‘ব্যবসায়িক উন্নয়ন সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার পটুয়াখালীতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২৫ মিনিট আগেজ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য, অতিরিক্ত মাশুল ও নীতিগত সহায়তার অভাবে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইনস নভোএয়ার সাময়িকভাবে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির প্রক্রিয়ায় থাকলেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। একের পর এক দেশি এয়ারলাইনস বন্ধ হয়ে
১ ঘণ্টা আগেদেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে
১৯ ঘণ্টা আগে