বিশ্বজুড়ে শ্রমিকেরা ন্যায্য মজুরি ও অধিকারের জন্য লড়াই করছেন যুগ যুগ ধরে। তবে গত দুই দশকে মজুরি বৈষম্যের দীর্ঘ ইতিহাসে কিছুটা আশার আলো দেখা গেছে। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ দেশে মজুরি বৈষম্য কমছে। এই ইতিবাচক প্রবণতার আড়ালে এখনো চাপা পড়ে আছে অসাম্য আর শ্রমিক জীবনের অনিশ্চয়তা।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘বৈশ্বিক মজুরি রিপোর্ট ২০২৪-২৫: বৈশ্বিক মজুরি বৈষম্য কি কমছে?’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সালের শুরু থেকে মজুরি বৈষম্য অনেক দেশে গড়ে বছরে শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৭ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে। এখানে উচ্চ ও নিম্ন মজুরি প্রাপকদের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে।
আইএলও জানিয়েছে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে গত দুই দশকে মজুরি বৈষম্য বার্ষিক গড়ে ৩ দশমিক ২ থেকে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হারে কমেছে, যা বৈশ্বিক হারের চেয়ে অনেক বেশি।
অন্যদিকে, ধনী দেশগুলোতে এই হ্রাসের হার তুলনামূলক ধীর গতির। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বৈষম্য বার্ষিক শূন্য দশমিক ৩ থেকে ১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং উচ্চ আয়ের দেশে শূন্য দশমিক ৩ থেকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ হারে কমেছে।
প্রতিবেদনটি আরও জানায়, সামগ্রিকভাবে মজুরি বৈষম্য হ্রাস পেলেও উচ্চ-মজুরি প্রাপকেরাই এখানে এগিয়ে। স্বল্প আয়ের মানুষেরা আগের অবস্থাতেই রয়ে গেছে।
বাস্তবে মজুরি বাড়লেও আঞ্চলিক পার্থক্য রয়ে গেছে
প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী মজুরি বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে দ্রুততর হয়েছে। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক বাস্তব মজুরি ১ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২৪ সালে প্রাক্কলন বৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ শতাংশ ধরা হয়েছে, যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০২২ সালে মুদ্রাস্ফীতির চাপে মজুরি বৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ থেকে এ বৃদ্ধি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে আঞ্চলিকভাবে মজুরি বৃদ্ধির হার এখনো অসম। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতে মজুরি বৃদ্ধির হার উন্নত অর্থনীতির তুলনায় বেশি।
উন্নত জি২০ দেশগুলোতে ২০২২ ও ২০২৩ সালে বাস্তব মজুরি দুই বছর ধরে হ্রাস পেয়েছে। ২০২২ সালে ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। তবে উদীয়মান জি২০ অর্থনীতির দেশগুলোতে এই সময়ে বাস্তব মজুরি বৃদ্ধির হার ইতিবাচক ছিল। ২০২২ সালে ১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ৬ দশমিক শূন্য শতাংশ।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া এবং পূর্ব ইউরোপে বাস্তব মজুরি অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইএলওর মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হুয়াংবো বলেন, ‘বাস্তব মজুরি বৃদ্ধির প্রত্যাবর্তন অবশ্যই ইতিবাচক। তবে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে উচ্চ জীবনযাপনের ব্যয়ের কারণে লাখ লাখ শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের জীবনযাত্রা এখনো নিম্নমানের। বিভিন্ন দেশের মধ্যে মজুরির ব্যবধান এখনো অগ্রহণযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে।’
স্থায়ী মজুরি বৈষম্য
সাম্প্রতিক অগ্রগতির সত্ত্বেও উচ্চমাত্রার মজুরি বৈষম্য গুরুতর সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে নিম্নআয়ের ১০ শতাংশ শ্রমিক মোট বৈশ্বিক মজুরির মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পান। অন্যদিকে সবচেয়ে উচ্চ আয়ের ১০ শতাংশ শ্রমিক পান প্রায় ৩৮ শতাংশ।
নিম্নআয়ের দেশগুলোতে মজুরি বৈষম্য সবচেয়ে প্রকট। এসব দেশে প্রায় ২২ শতাংশ শ্রমিক নিম্ন মজুরি পান। নারী এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকেরা সাধারণত সবচেয়ে কম মজুরি পাওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
এসব তথ্য লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। যাতে মজুরি ও কর্মসংস্থানে বিদ্যমান ব্যবধান দূর করে সব শ্রমিকের জন্য ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা যায়।
মজুরি বৈষম্য পৃথিবীর সব দেশ ও অঞ্চলেই রয়েছে। বিশ্বব্যাপী এক-তৃতীয়াংশ কর্মীই বেতনভুক্ত কর্মী নন। অধিকাংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বেশির ভাগ মানুষই আত্ম-কর্মসংস্থানে যুক্ত। তাঁরা অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে জীবিকা অর্জন করেন।
এ কারণে আইএলও প্রতিবেদনে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের ক্ষেত্রে আত্ম-কর্মসংস্থানও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এতে দেখা গেছে, এসব অঞ্চলে আত্ম-কর্মসংস্থানে যুক্ত ব্যক্তিদের মজুরি বেতনভুক্ত কর্মীদের মজুরির চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইএলও অর্থনীতিবিদ এবং প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান লেখক জিউলিয়া দে লাজারি বলেছেন, ‘অসমতা কমানোর জন্য জাতীয় কৌশলে শক্তিশালী মজুরি নীতি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর জোর দিতে হবে। এর পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শোভন কাজ এবং অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির আনুষ্ঠানিকীকরণের জন্য নীতিমালা প্রণয়নও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
বৈষম্য কমাতে মজুরি নীতিকে শক্তিশালী করা
প্রতিবেদনটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য লক্ষ্যভিত্তিক নীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মজুরি বৈষম্য হ্রাসের জন্য শক্তিশালী মজুরি নীতি এবং সমতাভিত্তিক প্রবৃদ্ধির জন্য কাঠামোগত সহায়তা প্রয়োজন।
এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে দেশগুলো মজুরি বৈষম্য হ্রাস, শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে।
আইএলওর সুপারিশ
প্রতিবেদনটি মজুরি বৈষম্য কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ দিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে:
সামাজিক সংলাপের মাধ্যমে মজুরি নির্ধারণ: মজুরি নির্ধারণ এবং সামঞ্জস্যকরণকে যৌথ দর–কষাকষি বা ন্যূনতম মজুরি ব্যবস্থা দিয়ে বাস্তবায়ন করা উচিত। যেখানে সরকার, শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন।
তথ্যভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণ: মজুরি নির্ধারণে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের প্রয়োজন এবং অর্থনৈতিক বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে।
সমতা ও সমান সুযোগকে উৎসাহিত করা: মজুরি নীতিতে লিঙ্গ সমতা, সাম্য এবং বৈষম্যহীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
সঠিক তথ্য ব্যবহার: সিদ্ধান্ত গ্রহণে নির্ভরযোগ্য তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যবহার করতে হবে।
নিম্ন মজুরির মূল কারণ চিহ্নিত করা: প্রতিটি দেশের নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট অনুযায়ী জাতীয় নীতিমালা গঠন করতে হবে। নিম্ন মজুরির মূল কারণ, যেমন অনানুষ্ঠানিকতা, কম উৎপাদনশীলতা এবং সেবা খাতের কাজ মূল্যায়নের মতো বিষয়গুলো মোকাবিলা করতে হবে।
বিশ্বজুড়ে শ্রমিকেরা ন্যায্য মজুরি ও অধিকারের জন্য লড়াই করছেন যুগ যুগ ধরে। তবে গত দুই দশকে মজুরি বৈষম্যের দীর্ঘ ইতিহাসে কিছুটা আশার আলো দেখা গেছে। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ দেশে মজুরি বৈষম্য কমছে। এই ইতিবাচক প্রবণতার আড়ালে এখনো চাপা পড়ে আছে অসাম্য আর শ্রমিক জীবনের অনিশ্চয়তা।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘বৈশ্বিক মজুরি রিপোর্ট ২০২৪-২৫: বৈশ্বিক মজুরি বৈষম্য কি কমছে?’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সালের শুরু থেকে মজুরি বৈষম্য অনেক দেশে গড়ে বছরে শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৭ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে। এখানে উচ্চ ও নিম্ন মজুরি প্রাপকদের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে।
আইএলও জানিয়েছে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে গত দুই দশকে মজুরি বৈষম্য বার্ষিক গড়ে ৩ দশমিক ২ থেকে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হারে কমেছে, যা বৈশ্বিক হারের চেয়ে অনেক বেশি।
অন্যদিকে, ধনী দেশগুলোতে এই হ্রাসের হার তুলনামূলক ধীর গতির। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বৈষম্য বার্ষিক শূন্য দশমিক ৩ থেকে ১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং উচ্চ আয়ের দেশে শূন্য দশমিক ৩ থেকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ হারে কমেছে।
প্রতিবেদনটি আরও জানায়, সামগ্রিকভাবে মজুরি বৈষম্য হ্রাস পেলেও উচ্চ-মজুরি প্রাপকেরাই এখানে এগিয়ে। স্বল্প আয়ের মানুষেরা আগের অবস্থাতেই রয়ে গেছে।
বাস্তবে মজুরি বাড়লেও আঞ্চলিক পার্থক্য রয়ে গেছে
প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী মজুরি বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে দ্রুততর হয়েছে। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক বাস্তব মজুরি ১ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২৪ সালে প্রাক্কলন বৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ শতাংশ ধরা হয়েছে, যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০২২ সালে মুদ্রাস্ফীতির চাপে মজুরি বৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ থেকে এ বৃদ্ধি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে আঞ্চলিকভাবে মজুরি বৃদ্ধির হার এখনো অসম। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতে মজুরি বৃদ্ধির হার উন্নত অর্থনীতির তুলনায় বেশি।
উন্নত জি২০ দেশগুলোতে ২০২২ ও ২০২৩ সালে বাস্তব মজুরি দুই বছর ধরে হ্রাস পেয়েছে। ২০২২ সালে ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। তবে উদীয়মান জি২০ অর্থনীতির দেশগুলোতে এই সময়ে বাস্তব মজুরি বৃদ্ধির হার ইতিবাচক ছিল। ২০২২ সালে ১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ৬ দশমিক শূন্য শতাংশ।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া এবং পূর্ব ইউরোপে বাস্তব মজুরি অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইএলওর মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হুয়াংবো বলেন, ‘বাস্তব মজুরি বৃদ্ধির প্রত্যাবর্তন অবশ্যই ইতিবাচক। তবে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে উচ্চ জীবনযাপনের ব্যয়ের কারণে লাখ লাখ শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের জীবনযাত্রা এখনো নিম্নমানের। বিভিন্ন দেশের মধ্যে মজুরির ব্যবধান এখনো অগ্রহণযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে।’
স্থায়ী মজুরি বৈষম্য
সাম্প্রতিক অগ্রগতির সত্ত্বেও উচ্চমাত্রার মজুরি বৈষম্য গুরুতর সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে নিম্নআয়ের ১০ শতাংশ শ্রমিক মোট বৈশ্বিক মজুরির মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পান। অন্যদিকে সবচেয়ে উচ্চ আয়ের ১০ শতাংশ শ্রমিক পান প্রায় ৩৮ শতাংশ।
নিম্নআয়ের দেশগুলোতে মজুরি বৈষম্য সবচেয়ে প্রকট। এসব দেশে প্রায় ২২ শতাংশ শ্রমিক নিম্ন মজুরি পান। নারী এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকেরা সাধারণত সবচেয়ে কম মজুরি পাওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
এসব তথ্য লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। যাতে মজুরি ও কর্মসংস্থানে বিদ্যমান ব্যবধান দূর করে সব শ্রমিকের জন্য ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা যায়।
মজুরি বৈষম্য পৃথিবীর সব দেশ ও অঞ্চলেই রয়েছে। বিশ্বব্যাপী এক-তৃতীয়াংশ কর্মীই বেতনভুক্ত কর্মী নন। অধিকাংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বেশির ভাগ মানুষই আত্ম-কর্মসংস্থানে যুক্ত। তাঁরা অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে জীবিকা অর্জন করেন।
এ কারণে আইএলও প্রতিবেদনে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের ক্ষেত্রে আত্ম-কর্মসংস্থানও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এতে দেখা গেছে, এসব অঞ্চলে আত্ম-কর্মসংস্থানে যুক্ত ব্যক্তিদের মজুরি বেতনভুক্ত কর্মীদের মজুরির চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইএলও অর্থনীতিবিদ এবং প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান লেখক জিউলিয়া দে লাজারি বলেছেন, ‘অসমতা কমানোর জন্য জাতীয় কৌশলে শক্তিশালী মজুরি নীতি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর জোর দিতে হবে। এর পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শোভন কাজ এবং অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির আনুষ্ঠানিকীকরণের জন্য নীতিমালা প্রণয়নও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
বৈষম্য কমাতে মজুরি নীতিকে শক্তিশালী করা
প্রতিবেদনটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য লক্ষ্যভিত্তিক নীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মজুরি বৈষম্য হ্রাসের জন্য শক্তিশালী মজুরি নীতি এবং সমতাভিত্তিক প্রবৃদ্ধির জন্য কাঠামোগত সহায়তা প্রয়োজন।
এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে দেশগুলো মজুরি বৈষম্য হ্রাস, শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে।
আইএলওর সুপারিশ
প্রতিবেদনটি মজুরি বৈষম্য কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ দিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে:
সামাজিক সংলাপের মাধ্যমে মজুরি নির্ধারণ: মজুরি নির্ধারণ এবং সামঞ্জস্যকরণকে যৌথ দর–কষাকষি বা ন্যূনতম মজুরি ব্যবস্থা দিয়ে বাস্তবায়ন করা উচিত। যেখানে সরকার, শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন।
তথ্যভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণ: মজুরি নির্ধারণে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের প্রয়োজন এবং অর্থনৈতিক বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে।
সমতা ও সমান সুযোগকে উৎসাহিত করা: মজুরি নীতিতে লিঙ্গ সমতা, সাম্য এবং বৈষম্যহীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
সঠিক তথ্য ব্যবহার: সিদ্ধান্ত গ্রহণে নির্ভরযোগ্য তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যবহার করতে হবে।
নিম্ন মজুরির মূল কারণ চিহ্নিত করা: প্রতিটি দেশের নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট অনুযায়ী জাতীয় নীতিমালা গঠন করতে হবে। নিম্ন মজুরির মূল কারণ, যেমন অনানুষ্ঠানিকতা, কম উৎপাদনশীলতা এবং সেবা খাতের কাজ মূল্যায়নের মতো বিষয়গুলো মোকাবিলা করতে হবে।
দেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
৫ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
৯ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
৯ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
১৩ ঘণ্টা আগে