নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের উন্নয়নে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সেখানে ভোক্তার চাহিদা গুরুত্ব পাওয়ার কথা। কিন্তু একটি গোষ্ঠী বিশেষ সুবিধা নিতে তৎপরতা চালায়। তারা প্রকৃত সুবিধাভোগীর দিক নিয়ে যেভাবে ভাবা দরকার, সেভাবে ভাবে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তারা অসহায়ত্ব বোধ করেন। কখনো কখনো তাঁরা দায়িত্ব অস্বীকার করেন। সে ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সম্মেলনকক্ষে ‘আরবানাইজেশন অ্যান্ড বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট: সিলেক্টেড ফাইন্ডিংস ফোরাম বিআইডিএস-পিআরআই রিসার্চ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, দেশের জন্য পলিটিক্যাল ইকোনমি খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির বাইরে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুব একটা হওয়ার সুযোগ নেই। সে জন্য অর্থনীতির ওপর রাজনীতির বিশাল প্রভাব রয়েছে। টেকসই পরিকল্পনার জন্য সদিচ্ছার দরকার। যার যে দায়িত্ব, তার বাইরে কিছু করা উচিত না। যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের সুবিধাবঞ্চিত হন। এই প্রকৃত সুবিধাভোগীর স্বার্থ বিশ্লেষণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
হোসেন জিল্লুর রহমান বিকেন্দ্রীকরণের উদাহরণ দিয়ে বলেন, যদি ঢাকা বিকেন্দ্রীকরণ করলে ৬০ শতাংশ সুবিধা বাড়ে এবং চট্টগ্রাম বিকেন্দ্রীকরণ করলে ২০ শতাংশ সুবিধা বাড়ে, সে ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের নানা দিক বিশ্লেষণ করে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে। এটার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব থাকতে হবে। যদিও আর্কিটেক্টরা অনেক সময় তা প্রকাশ করেন না। সে জন্য টেকসই হচ্ছে না পরিকল্পনা। এমনকি ঢাকার জলবায়ুর দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে না। নদী দখল হচ্ছে। খাল ভরাট ও দখল হচ্ছে। এসব ঠিকাদার করতে পারবেন না। পলিটিক্যাল অ্যাপ্রোচ ছাড়া এসব সংকট দূর করা যাবে না।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। মফস্বলের উন্নয়ন দরকার। মফস্বলের সঙ্গে কেন্দ্রের বিকেন্দ্রীকরণের সম্পর্ক জড়িত। মফস্বলে সুবিধা বাড়াতে হবে। মফস্বলের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ি যদি শহরে হয়, তাহলে তিনি মফস্বলের উন্নয়ন চাইবেন না। শহরে সুবিধা পেলে একসময় শহরে ভিড়বেন। আর চেয়ারম্যান তো পলিটিক্যালি ক্ষমতা রাখেন। সে জন্য পলিটিক্যাল সিদ্ধান্ত বিকেন্দ্রীকরণে গুরুত্বপূর্ণ।
হোসেন জিল্লুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তার সঠিক পরিকল্পনা দেন না প্ল্যানাররা। জমির নির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। সেটার সঙ্গে ওপেন স্পেশ কতটুতু লাগবে, তা জানাতে হবে। একইভাবে টেকসই স্থাপনার সবকিছু প্ল্যানে থাকা জরুরি।
তিনি বলেন, নগর উন্নয়নে নাগরিক তথা ভোক্তা ও সুবিধাভোগীর চাহিদা বিবেচনায় টেকসই প্রকল্পের মডেল নিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স থাকতে হবে। যাদের শহর-নগর নিয়ে ভাবতে হবে। টেকসই বিবেচনা করতে হবে। রোড সাইড ইকোনমি প্ল্যানে থাকতে হবে। তবে তা যেন মূল প্ল্যান বাস্তবায়নে বাধা না হয়। কেন্দ্রের সঙ্গে আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা থাকতে হবে। শুধু একদিকে ভাবলে হবে না। সবকিছুর সমন্বয় করলে মফস্বল, শহর রক্ষা পাবে।
অনুষ্ঠানে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ আহসান বলেন, ঢাকা রক্ষায় আদর্শিকভাবে এখনো প্ল্যান হয়নি। ঠিকমতো প্ল্যান করতে না পারায় অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এটা সহসাই হবে না। এ জন্য প্রচুর বিনিয়োগ লাগবে। বিনিয়োগের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। তখন নাগরিক সুবিধা বাড়বে।
তিনি বলেন, টেকসই প্রকল্পের জন্য পাহাড় কাটা, খাল দখল, নদী ভরাট ও দখল ঠেকাতে হবে। সেখানে যেন জেলা প্রশাসক না বলেন, তাঁর ক্ষমতা নেই। শুধু ঢাকার মতো সিটি দুই ভাগ করলেই হবে না। মূলত পলিটিক্যাল ডিসিশন নিতে হবে, প্ল্যান কেমন হবে এবং কীভাবে বাস্তবায়ন হবে।
অনুষ্ঠানে পিআরআই পরিচালক ড. জি এম খুরশীদ আলম বলেন, পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে কোনো ঘাটতি রাখা উচিত না। যত বাধা থাকুক, নাগরিকদের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বলেন, গ্রাম ও শহরের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করতে হবে। কোনো বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাক টু ব্যাক কাজ করতে হবে।

দেশের উন্নয়নে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সেখানে ভোক্তার চাহিদা গুরুত্ব পাওয়ার কথা। কিন্তু একটি গোষ্ঠী বিশেষ সুবিধা নিতে তৎপরতা চালায়। তারা প্রকৃত সুবিধাভোগীর দিক নিয়ে যেভাবে ভাবা দরকার, সেভাবে ভাবে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তারা অসহায়ত্ব বোধ করেন। কখনো কখনো তাঁরা দায়িত্ব অস্বীকার করেন। সে ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সম্মেলনকক্ষে ‘আরবানাইজেশন অ্যান্ড বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট: সিলেক্টেড ফাইন্ডিংস ফোরাম বিআইডিএস-পিআরআই রিসার্চ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, দেশের জন্য পলিটিক্যাল ইকোনমি খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির বাইরে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুব একটা হওয়ার সুযোগ নেই। সে জন্য অর্থনীতির ওপর রাজনীতির বিশাল প্রভাব রয়েছে। টেকসই পরিকল্পনার জন্য সদিচ্ছার দরকার। যার যে দায়িত্ব, তার বাইরে কিছু করা উচিত না। যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের সুবিধাবঞ্চিত হন। এই প্রকৃত সুবিধাভোগীর স্বার্থ বিশ্লেষণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
হোসেন জিল্লুর রহমান বিকেন্দ্রীকরণের উদাহরণ দিয়ে বলেন, যদি ঢাকা বিকেন্দ্রীকরণ করলে ৬০ শতাংশ সুবিধা বাড়ে এবং চট্টগ্রাম বিকেন্দ্রীকরণ করলে ২০ শতাংশ সুবিধা বাড়ে, সে ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের নানা দিক বিশ্লেষণ করে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে। এটার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব থাকতে হবে। যদিও আর্কিটেক্টরা অনেক সময় তা প্রকাশ করেন না। সে জন্য টেকসই হচ্ছে না পরিকল্পনা। এমনকি ঢাকার জলবায়ুর দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে না। নদী দখল হচ্ছে। খাল ভরাট ও দখল হচ্ছে। এসব ঠিকাদার করতে পারবেন না। পলিটিক্যাল অ্যাপ্রোচ ছাড়া এসব সংকট দূর করা যাবে না।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। মফস্বলের উন্নয়ন দরকার। মফস্বলের সঙ্গে কেন্দ্রের বিকেন্দ্রীকরণের সম্পর্ক জড়িত। মফস্বলে সুবিধা বাড়াতে হবে। মফস্বলের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ি যদি শহরে হয়, তাহলে তিনি মফস্বলের উন্নয়ন চাইবেন না। শহরে সুবিধা পেলে একসময় শহরে ভিড়বেন। আর চেয়ারম্যান তো পলিটিক্যালি ক্ষমতা রাখেন। সে জন্য পলিটিক্যাল সিদ্ধান্ত বিকেন্দ্রীকরণে গুরুত্বপূর্ণ।
হোসেন জিল্লুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তার সঠিক পরিকল্পনা দেন না প্ল্যানাররা। জমির নির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। সেটার সঙ্গে ওপেন স্পেশ কতটুতু লাগবে, তা জানাতে হবে। একইভাবে টেকসই স্থাপনার সবকিছু প্ল্যানে থাকা জরুরি।
তিনি বলেন, নগর উন্নয়নে নাগরিক তথা ভোক্তা ও সুবিধাভোগীর চাহিদা বিবেচনায় টেকসই প্রকল্পের মডেল নিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স থাকতে হবে। যাদের শহর-নগর নিয়ে ভাবতে হবে। টেকসই বিবেচনা করতে হবে। রোড সাইড ইকোনমি প্ল্যানে থাকতে হবে। তবে তা যেন মূল প্ল্যান বাস্তবায়নে বাধা না হয়। কেন্দ্রের সঙ্গে আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা থাকতে হবে। শুধু একদিকে ভাবলে হবে না। সবকিছুর সমন্বয় করলে মফস্বল, শহর রক্ষা পাবে।
অনুষ্ঠানে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ আহসান বলেন, ঢাকা রক্ষায় আদর্শিকভাবে এখনো প্ল্যান হয়নি। ঠিকমতো প্ল্যান করতে না পারায় অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এটা সহসাই হবে না। এ জন্য প্রচুর বিনিয়োগ লাগবে। বিনিয়োগের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। তখন নাগরিক সুবিধা বাড়বে।
তিনি বলেন, টেকসই প্রকল্পের জন্য পাহাড় কাটা, খাল দখল, নদী ভরাট ও দখল ঠেকাতে হবে। সেখানে যেন জেলা প্রশাসক না বলেন, তাঁর ক্ষমতা নেই। শুধু ঢাকার মতো সিটি দুই ভাগ করলেই হবে না। মূলত পলিটিক্যাল ডিসিশন নিতে হবে, প্ল্যান কেমন হবে এবং কীভাবে বাস্তবায়ন হবে।
অনুষ্ঠানে পিআরআই পরিচালক ড. জি এম খুরশীদ আলম বলেন, পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে কোনো ঘাটতি রাখা উচিত না। যত বাধা থাকুক, নাগরিকদের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বলেন, গ্রাম ও শহরের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করতে হবে। কোনো বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাক টু ব্যাক কাজ করতে হবে।

সোমবার রাজধানীর মগবাজারে বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং তদন্তের অংশ হিসেবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) প্রায় ৩ হাজার ৮৪ কোটি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এর অধীনে গত ৩১ অক্টোবর এই বাজেয়াপ্তের নির্দেশ জারি করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৬১ হাজার টন গম একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরিবারের প্রয়োজনে প্রতিদিনই টাকা পাঠাচ্ছেন। এই অর্থ দেশে আসে রেমিট্যান্স হিসেবে, যা দেশের টাকার মান ধরে রাখে, আমদানি খরচ মেটায় এবং বৈদেশিক রিজার্ভ শক্তিশালী করে। অক্টোবর মাসে দেশে এসেছে ২৫৬ কোটি ডলার—সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কম, কিন্তু গত বছরের একই
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাসের এনামুল হক খান। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রণজিৎ ঘোষ।
আজ সোমবার বাজুসের নতুন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করে বাজুস নির্বাচন বোর্ড। এর পর রাজধানীর মগবাজারে বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন।
এনামুল হক এর আগে গত ২০১৯ সালে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০২৩ সালে (১১ এপ্রিল) তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সভাপতি ও একজন সিনিয়র সহসভাপতি ছাড়াও তিনজন সহসভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৯ জন পরিচালকসহ ৩৫ জনের এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। এঁদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গঠনতন্ত্র থেকে বাদ দেওয়ায় এখন থেকে এই পদে আর কেউ থাকবেন না। ফলে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সিনিয়র সহসভাপতিই পালন করবেন। বাজুস প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সাধারণ সম্পাদক পদ বিলুপ্ত করা হলো।
সহসভাপতি পদে আপন ডায়মন্ড হাউজের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড এন্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্সের অমিত ঘোষ।
পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন—মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগরওয়ালা, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবুল দত্ত, গণেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মণ্ডল, মিনাজুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তাফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহাম্মদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং পলাশ কুমার সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৈধ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কোনো প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠনের বিধিমালা-২০২৫ এর ২৪ (১) ধারা মোতাবেক বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচনযোগ্য পদের সমান হওয়ায় ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজুসের নতুন নির্বাচিত সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, “আমাদের সোনা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। সোনা আমদানির ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এত কঠিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোনা আমদানি করতে গেলে যেই দাম দাঁড়ায়, সেই দাম দিয়ে কেউ সোনা কিনতে আগ্রহী না। ”
তিনি বলেন, “মানুষকে বোঝাতে হবে ব্যবসায়ীরা কিন্তু চোরাকারবারি না। যারা চোরাকারবার করে তারা কোনো দিন সোনা ব্যবসায় আসবে না। আর যারা সোনা ব্যবসা করে তারা কোনো দিন চোরাকারবারে জড়াবে না। যত দিন সোনা আমদানি সহজ না হয়, তত দিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলের মাধ্যমে সোনা যে সহজে আসত, সেটা চালু করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব। ”

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাসের এনামুল হক খান। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রণজিৎ ঘোষ।
আজ সোমবার বাজুসের নতুন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করে বাজুস নির্বাচন বোর্ড। এর পর রাজধানীর মগবাজারে বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন।
এনামুল হক এর আগে গত ২০১৯ সালে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০২৩ সালে (১১ এপ্রিল) তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সভাপতি ও একজন সিনিয়র সহসভাপতি ছাড়াও তিনজন সহসভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৯ জন পরিচালকসহ ৩৫ জনের এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। এঁদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গঠনতন্ত্র থেকে বাদ দেওয়ায় এখন থেকে এই পদে আর কেউ থাকবেন না। ফলে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সিনিয়র সহসভাপতিই পালন করবেন। বাজুস প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সাধারণ সম্পাদক পদ বিলুপ্ত করা হলো।
সহসভাপতি পদে আপন ডায়মন্ড হাউজের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড এন্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্সের অমিত ঘোষ।
পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন—মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগরওয়ালা, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবুল দত্ত, গণেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মণ্ডল, মিনাজুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তাফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহাম্মদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং পলাশ কুমার সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৈধ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কোনো প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠনের বিধিমালা-২০২৫ এর ২৪ (১) ধারা মোতাবেক বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচনযোগ্য পদের সমান হওয়ায় ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজুসের নতুন নির্বাচিত সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, “আমাদের সোনা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। সোনা আমদানির ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এত কঠিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোনা আমদানি করতে গেলে যেই দাম দাঁড়ায়, সেই দাম দিয়ে কেউ সোনা কিনতে আগ্রহী না। ”
তিনি বলেন, “মানুষকে বোঝাতে হবে ব্যবসায়ীরা কিন্তু চোরাকারবারি না। যারা চোরাকারবার করে তারা কোনো দিন সোনা ব্যবসায় আসবে না। আর যারা সোনা ব্যবসা করে তারা কোনো দিন চোরাকারবারে জড়াবে না। যত দিন সোনা আমদানি সহজ না হয়, তত দিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলের মাধ্যমে সোনা যে সহজে আসত, সেটা চালু করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব। ”

যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করে। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং তদন্তের অংশ হিসেবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) প্রায় ৩ হাজার ৮৪ কোটি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এর অধীনে গত ৩১ অক্টোবর এই বাজেয়াপ্তের নির্দেশ জারি করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৬১ হাজার টন গম একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরিবারের প্রয়োজনে প্রতিদিনই টাকা পাঠাচ্ছেন। এই অর্থ দেশে আসে রেমিট্যান্স হিসেবে, যা দেশের টাকার মান ধরে রাখে, আমদানি খরচ মেটায় এবং বৈদেশিক রিজার্ভ শক্তিশালী করে। অক্টোবর মাসে দেশে এসেছে ২৫৬ কোটি ডলার—সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কম, কিন্তু গত বছরের একই
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং তদন্তের অংশ হিসেবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) প্রায় ৩ হাজার ৮৪ কোটি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এর অধীনে গত ৩১ অক্টোবর এই বাজেয়াপ্তের নির্দেশ জারি করা হয়।
বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে মুম্বাইয়ের পালি হিলের বিলাসবহুল পারিবারিক আবাসন, দিল্লির রিলায়েন্স সেন্টার এবং দেশের অন্তত আটটি শহরের রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি। দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদ, মুম্বাই, পুণে, থানে, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জুড়ে এই সম্পত্তিগুলো বিস্তৃত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অফিস, আবাসিক ইউনিট এবং জমির প্লট।
কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির অভিযোগ, রিলায়েন্স হোম ফাইন্যান্স লিমিটেড (আরএইচএফএল) এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইন্যান্স লিমিটেড (আরসিএফএল)-এর সংগৃহীত জনগণের টাকা বেআইনিভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা এবং পাচার করার অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক আরএইচএফএল-এ ২ হাজর ৯৬৫ কোটি এবং আরসিএফএল-এ ২ হাজার ৪৫ কোটি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই বিনিয়োগগুলো খেলাপি সম্পত্তিতে পরিণত হয়।
তদন্তে আরও উঠে আসে, সেবি (এসইবিআই)-এর বিধিনিষেধ এড়ানোর জন্য এই তহবিলগুলো ঘুরপথে ব্যবহার করা হয়েছিল। সংঘাতের স্বার্থ সংক্রান্ত নিয়মের কারণে রিলায়েন্স নিপ্পন মিউচুয়াল ফান্ডের পক্ষে সরাসরি অনিল আম্বানির আর্থিক সংস্থাগুলোতে বিনিয়োগ করা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু অভিযোগ, সাধারণ মানুষের মিউচুয়াল ফান্ড থেকে সংগৃহীত অর্থ ইয়েস ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুরপথে আরএইচএফএল এবং আরসিএফএল-এ নেওয়া হয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত অনিল আম্বানির কোম্পানিগুলোর কাছে যায়।
ইডি আরও দাবি করেছে, অর্থপাচারের তদন্তে তারা দেখতে পেয়েছে, এই ঋণ দেওয়া ও লেনদেনের ক্ষেত্রে অনিয়ম ছিল। কোনো রকম যাচাই ছাড়াই ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল, বহু ক্ষেত্রে আবেদন জমা দেওয়ার আগেই অথবা একই দিনে মঞ্জুরি ও বিতরণ করা হয়। কিছু ঋণের নথিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নথি ফাঁকা বা তারিখবিহীন ছিল বলেও অভিযোগ।
এ ছাড়া, রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড (আরকম)-এর সঙ্গে যুক্ত ঋণ জালিয়াতি মামলাতেও তদন্ত জোরদার করেছে ইডি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় ১৩ হাজার ৬০০ কোটি রুপির বেশি অর্থ ‘লোন এভারগ্রিনিং’ (মূল পরিশোধের বাধ্যবাধকতা মওকুফ) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত এই সম্পত্তিগুলোর সন্ধান ও বাজেয়াপ্তের কাজ তারা চালিয়ে যাবে। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো জনসাধারণের স্বার্থ এবং বিনিয়োগকারীদের অর্থ সুরক্ষিত করা।

অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং তদন্তের অংশ হিসেবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) প্রায় ৩ হাজার ৮৪ কোটি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এর অধীনে গত ৩১ অক্টোবর এই বাজেয়াপ্তের নির্দেশ জারি করা হয়।
বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে মুম্বাইয়ের পালি হিলের বিলাসবহুল পারিবারিক আবাসন, দিল্লির রিলায়েন্স সেন্টার এবং দেশের অন্তত আটটি শহরের রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি। দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদ, মুম্বাই, পুণে, থানে, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জুড়ে এই সম্পত্তিগুলো বিস্তৃত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অফিস, আবাসিক ইউনিট এবং জমির প্লট।
কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির অভিযোগ, রিলায়েন্স হোম ফাইন্যান্স লিমিটেড (আরএইচএফএল) এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইন্যান্স লিমিটেড (আরসিএফএল)-এর সংগৃহীত জনগণের টাকা বেআইনিভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা এবং পাচার করার অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক আরএইচএফএল-এ ২ হাজর ৯৬৫ কোটি এবং আরসিএফএল-এ ২ হাজার ৪৫ কোটি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই বিনিয়োগগুলো খেলাপি সম্পত্তিতে পরিণত হয়।
তদন্তে আরও উঠে আসে, সেবি (এসইবিআই)-এর বিধিনিষেধ এড়ানোর জন্য এই তহবিলগুলো ঘুরপথে ব্যবহার করা হয়েছিল। সংঘাতের স্বার্থ সংক্রান্ত নিয়মের কারণে রিলায়েন্স নিপ্পন মিউচুয়াল ফান্ডের পক্ষে সরাসরি অনিল আম্বানির আর্থিক সংস্থাগুলোতে বিনিয়োগ করা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু অভিযোগ, সাধারণ মানুষের মিউচুয়াল ফান্ড থেকে সংগৃহীত অর্থ ইয়েস ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুরপথে আরএইচএফএল এবং আরসিএফএল-এ নেওয়া হয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত অনিল আম্বানির কোম্পানিগুলোর কাছে যায়।
ইডি আরও দাবি করেছে, অর্থপাচারের তদন্তে তারা দেখতে পেয়েছে, এই ঋণ দেওয়া ও লেনদেনের ক্ষেত্রে অনিয়ম ছিল। কোনো রকম যাচাই ছাড়াই ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল, বহু ক্ষেত্রে আবেদন জমা দেওয়ার আগেই অথবা একই দিনে মঞ্জুরি ও বিতরণ করা হয়। কিছু ঋণের নথিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নথি ফাঁকা বা তারিখবিহীন ছিল বলেও অভিযোগ।
এ ছাড়া, রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড (আরকম)-এর সঙ্গে যুক্ত ঋণ জালিয়াতি মামলাতেও তদন্ত জোরদার করেছে ইডি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় ১৩ হাজার ৬০০ কোটি রুপির বেশি অর্থ ‘লোন এভারগ্রিনিং’ (মূল পরিশোধের বাধ্যবাধকতা মওকুফ) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত এই সম্পত্তিগুলোর সন্ধান ও বাজেয়াপ্তের কাজ তারা চালিয়ে যাবে। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো জনসাধারণের স্বার্থ এবং বিনিয়োগকারীদের অর্থ সুরক্ষিত করা।

যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করে। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সোমবার রাজধানীর মগবাজারে বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৬১ হাজার টন গম একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরিবারের প্রয়োজনে প্রতিদিনই টাকা পাঠাচ্ছেন। এই অর্থ দেশে আসে রেমিট্যান্স হিসেবে, যা দেশের টাকার মান ধরে রাখে, আমদানি খরচ মেটায় এবং বৈদেশিক রিজার্ভ শক্তিশালী করে। অক্টোবর মাসে দেশে এসেছে ২৫৬ কোটি ডলার—সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কম, কিন্তু গত বছরের একই
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৬১ হাজার টন গম একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আলোকে নগদ ক্রয় চুক্তির আওতায় ৬০ হাজার ৮০২ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি স্পার এরিস (MV SPAR ARIES) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সরকার—টু—সরকার (জি টু জি) ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করছে। এই চুক্তির আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে, যার প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম গত ২৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে দেশে পৌঁছেছে।
জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৬১ হাজার টন গম একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আলোকে নগদ ক্রয় চুক্তির আওতায় ৬০ হাজার ৮০২ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি স্পার এরিস (MV SPAR ARIES) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সরকার—টু—সরকার (জি টু জি) ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করছে। এই চুক্তির আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে, যার প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম গত ২৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে দেশে পৌঁছেছে।
জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করে। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সোমবার রাজধানীর মগবাজারে বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং তদন্তের অংশ হিসেবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) প্রায় ৩ হাজার ৮৪ কোটি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এর অধীনে গত ৩১ অক্টোবর এই বাজেয়াপ্তের নির্দেশ জারি করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরিবারের প্রয়োজনে প্রতিদিনই টাকা পাঠাচ্ছেন। এই অর্থ দেশে আসে রেমিট্যান্স হিসেবে, যা দেশের টাকার মান ধরে রাখে, আমদানি খরচ মেটায় এবং বৈদেশিক রিজার্ভ শক্তিশালী করে। অক্টোবর মাসে দেশে এসেছে ২৫৬ কোটি ডলার—সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কম, কিন্তু গত বছরের একই
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরিবারের প্রয়োজনে প্রতিদিনই টাকা পাঠাচ্ছেন। এই অর্থ দেশে আসে রেমিট্যান্স হিসেবে, যা দেশের টাকার মান ধরে রাখে, আমদানি খরচ মেটায় এবং বৈদেশিক রিজার্ভ শক্তিশালী করে। অক্টোবর মাসে দেশে এসেছে ২৫৬ কোটি ডলার—সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কম, কিন্তু গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। তবে বিশেষভাবে লক্ষণীয়, টানা দুই মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি গড় ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। এই প্রবাসী আয় শুধু পরিবারের সহায়তা নয়, দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতারও এক অদৃশ্য চালিকাশক্তি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১ হাজার ১৪ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময় ছিল ৮০৯ কোটি ডলার। মাত্র চার মাসেই রেমিট্যান্স বেড়েছে ২০০ কোটি ডলার বেশি। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারের বেশি ছাড়িয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যতক্ষণ হুন্ডি ও পাচার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ততক্ষণ রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়বে। এভাবে প্রতি মাসেই ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসতে পারে।’
তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ২০২৪ সালের একই মাসে যা ছিল ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ১৬ কোটি ডলার বা ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে পাঠানো রেমিট্যান্স ছিল ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, অর্থাৎ অক্টোবরের তুলনায় সামান্য কম।
মাসভিত্তিক প্রবাহের হিসাব অনুযায়ী, জুলাইয়ে এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বর ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ এবং অক্টোবর ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, দেশে ডলার মার্কেট এখন স্বাভাবিক এবং খোলাবাজারে হুন্ডির প্রভাব কমায় প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলেই রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। বর্তমান ব্যাংকিং রেট প্রায় খোলাবাজারের ডলারের কাছাকাছি, যা প্রবাসীদের জন্য সুবিধাজনক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে ৫৩টির মাধ্যমে প্রবাসী আয়ের ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪৭ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার, কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ২৪ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার, বেসরকারি ৪২ ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮৩ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার এবং ৯টি বিদেশি ব্যাংক থেকে এসেছে ৬৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
তবে কিছু ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক এবং বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবাহের ধারাবাহিকতা স্পষ্ট। গত অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ হয়েছে মার্চ মাসে, ৩২৯ কোটি ডলার। পুরো বছর প্রবাসী আয়ের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩২ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এর আগের বছরগুলোতেও ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেখা গেছে; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ হাজার ৩৯১ কোটি, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ১৬১ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।
ব্যাংকাররা বলছেন, ‘দেশের ডলার মার্কেট স্থিতিশীল হওয়ায় প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন। হুন্ডির প্রভাব কমায় এই প্রবাহ আরও নিয়মিত হচ্ছে।’
অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিক প্রবাহ দেশকে টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে স্থিতিশীলতা, আমদানি ব্যয় মেটানো এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালী ব্যবহার নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি এটি দেশের অর্থনীতির জন্য এক নির্ভরযোগ্য চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরিবারের প্রয়োজনে প্রতিদিনই টাকা পাঠাচ্ছেন। এই অর্থ দেশে আসে রেমিট্যান্স হিসেবে, যা দেশের টাকার মান ধরে রাখে, আমদানি খরচ মেটায় এবং বৈদেশিক রিজার্ভ শক্তিশালী করে। অক্টোবর মাসে দেশে এসেছে ২৫৬ কোটি ডলার—সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কম, কিন্তু গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। তবে বিশেষভাবে লক্ষণীয়, টানা দুই মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি গড় ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। এই প্রবাসী আয় শুধু পরিবারের সহায়তা নয়, দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতারও এক অদৃশ্য চালিকাশক্তি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১ হাজার ১৪ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময় ছিল ৮০৯ কোটি ডলার। মাত্র চার মাসেই রেমিট্যান্স বেড়েছে ২০০ কোটি ডলার বেশি। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারের বেশি ছাড়িয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যতক্ষণ হুন্ডি ও পাচার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ততক্ষণ রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়বে। এভাবে প্রতি মাসেই ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসতে পারে।’
তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ২০২৪ সালের একই মাসে যা ছিল ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ১৬ কোটি ডলার বা ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে পাঠানো রেমিট্যান্স ছিল ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, অর্থাৎ অক্টোবরের তুলনায় সামান্য কম।
মাসভিত্তিক প্রবাহের হিসাব অনুযায়ী, জুলাইয়ে এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বর ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ এবং অক্টোবর ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, দেশে ডলার মার্কেট এখন স্বাভাবিক এবং খোলাবাজারে হুন্ডির প্রভাব কমায় প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলেই রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। বর্তমান ব্যাংকিং রেট প্রায় খোলাবাজারের ডলারের কাছাকাছি, যা প্রবাসীদের জন্য সুবিধাজনক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে ৫৩টির মাধ্যমে প্রবাসী আয়ের ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪৭ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার, কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ২৪ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার, বেসরকারি ৪২ ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮৩ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার এবং ৯টি বিদেশি ব্যাংক থেকে এসেছে ৬৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
তবে কিছু ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক এবং বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবাহের ধারাবাহিকতা স্পষ্ট। গত অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ হয়েছে মার্চ মাসে, ৩২৯ কোটি ডলার। পুরো বছর প্রবাসী আয়ের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩২ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এর আগের বছরগুলোতেও ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেখা গেছে; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ হাজার ৩৯১ কোটি, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ১৬১ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।
ব্যাংকাররা বলছেন, ‘দেশের ডলার মার্কেট স্থিতিশীল হওয়ায় প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন। হুন্ডির প্রভাব কমায় এই প্রবাহ আরও নিয়মিত হচ্ছে।’
অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিক প্রবাহ দেশকে টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে স্থিতিশীলতা, আমদানি ব্যয় মেটানো এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালী ব্যবহার নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি এটি দেশের অর্থনীতির জন্য এক নির্ভরযোগ্য চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।

যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করে। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সোমবার রাজধানীর মগবাজারে বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং তদন্তের অংশ হিসেবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) প্রায় ৩ হাজার ৮৪ কোটি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এর অধীনে গত ৩১ অক্টোবর এই বাজেয়াপ্তের নির্দেশ জারি করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৬১ হাজার টন গম একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে