ফারুক মেহেদী, ঢাকা
ডলার-সংকটে আমদানি কমে আসায় শুল্ক খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আয়কর খাত থেকে রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যার প্রতিফলন ঘটবে আগামী অর্থবছরের বাজেটে।
আসছে ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। এখন পুরোদমে চলছে বাজেট তৈরির কাজ। এই বাজেটে শুধু আয়কর থেকেই অন্তত ৩৬ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আহরণের পরিকল্পনা করছে এনবিআর। এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। নতুন অর্থবছরের বিশাল রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কী হারে, কোন কোন খাতে কর আরোপ করা হবে, কোন খাতের কর অবকাশ তুলে দেওয়া হবে, কর ফাঁকি থেকে কত আদায় করা হবে—এ রকম বেশ কিছু বিষয় নিয়ে হিসাব-নিকাশ করছে কর বিভাগ।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে কাটছাঁট করে তা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটিতে নামিয়ে আনা হয়। আসছে বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণের কথা ভাবা হচ্ছে। এর মধ্যে আয়কর থেকেই ৩৬ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আদায় করতে চায় এনবিআর।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে ধনীদের ওপর নতুন করে ৫ শতাংশ বেশি কর আরোপ করা হতে পারে। অর্থাৎ যেসব ধনী ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে আসছেন, নতুন অর্থবছরে তাঁদের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হতে পারে। ওই স্তরের করহার ছিল করোনা-পূর্ব পরিস্থিতিতে। কর বিভাগ এ হার আবারও বহাল করতে চায়। এটি করতে পারলে কর বিভাগ বাড়তি অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি আদায় করতে পারবে।
এ ছাড়া উৎসে করসহ ১১টি খাতকে চিহ্নিত করে সেখান থেকে আরও ২৬ হাজার কোটি টাকা বাড়তি কর আদায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই ১১টি খাতের মধ্যে শুধু উৎসে কর থেকেই ২২ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা আদায়ের কথা ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়া রাজস্ব ছাড় কমিয়ে ১ হাজার কোটি টাকা, কর ফাঁকি কমিয়ে ৫০০ কোটি টাকা, গ্রোথ সেন্টার পর্যায়ে নতুন করদাতার কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা, এনবিআরের অভ্যন্তরে প্রযুক্তি সংযোজন করে আড়াই শ কোটি টাকা, এনবিআরের বাইরের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে আড়াই শ কোটি টাকা, আয়কর রিটার্ন যাচাই করে ২০০ কোটি টাকা, অনলাইনে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের রিটার্ন জমা থেকে ২০০ কোটি টাকা, মাঠপর্যায়ে নজরদারি বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা, কর অফিসে করদাতার ফাইলপত্রে নজরদারি বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকা এবং করদাতার সেবার পরিধি বাড়িয়ে আরও ৩০০ কোটি টাকা বেশি আদায়ের পথনকশা তৈরি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এনবিআরের আয়কর নীতির সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধনীদের ওপর ৫ শতাংশ বেশি কর আরোপ করা হলে এটা রাজস্বের জন্য ভালোই হবে। তবে ঢালাওভাবে কর অবকাশ তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আরেকটু চিন্তাভাবনা করতে হবে। কারণ, এর ফলে উৎপাদন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আর উৎসে কর থেকে বেশি রাজস্ব আদায় করার ক্ষেত্রে ফাঁকি কমানোর জন্য নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগটিও ভালো।’
বাংলাদেশকে দেওয়া ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত হিসেবে প্রতি অর্থবছরে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কথা বলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আসছে অর্থবছরে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে এনবিআরকে।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইএমএফ এবার রাজস্ব খাত সংস্কার নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা কর অবকাশসহ করছাড় কমানোর কথা বলবে। রাজস্ব খাতে কী কী সংস্কার করা হবে, সেগুলো দেখতে চাইবে।
ডলার-সংকটে আমদানি কমে আসায় শুল্ক খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আয়কর খাত থেকে রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যার প্রতিফলন ঘটবে আগামী অর্থবছরের বাজেটে।
আসছে ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। এখন পুরোদমে চলছে বাজেট তৈরির কাজ। এই বাজেটে শুধু আয়কর থেকেই অন্তত ৩৬ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আহরণের পরিকল্পনা করছে এনবিআর। এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। নতুন অর্থবছরের বিশাল রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কী হারে, কোন কোন খাতে কর আরোপ করা হবে, কোন খাতের কর অবকাশ তুলে দেওয়া হবে, কর ফাঁকি থেকে কত আদায় করা হবে—এ রকম বেশ কিছু বিষয় নিয়ে হিসাব-নিকাশ করছে কর বিভাগ।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে কাটছাঁট করে তা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটিতে নামিয়ে আনা হয়। আসছে বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণের কথা ভাবা হচ্ছে। এর মধ্যে আয়কর থেকেই ৩৬ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আদায় করতে চায় এনবিআর।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে ধনীদের ওপর নতুন করে ৫ শতাংশ বেশি কর আরোপ করা হতে পারে। অর্থাৎ যেসব ধনী ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে আসছেন, নতুন অর্থবছরে তাঁদের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হতে পারে। ওই স্তরের করহার ছিল করোনা-পূর্ব পরিস্থিতিতে। কর বিভাগ এ হার আবারও বহাল করতে চায়। এটি করতে পারলে কর বিভাগ বাড়তি অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি আদায় করতে পারবে।
এ ছাড়া উৎসে করসহ ১১টি খাতকে চিহ্নিত করে সেখান থেকে আরও ২৬ হাজার কোটি টাকা বাড়তি কর আদায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই ১১টি খাতের মধ্যে শুধু উৎসে কর থেকেই ২২ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা আদায়ের কথা ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়া রাজস্ব ছাড় কমিয়ে ১ হাজার কোটি টাকা, কর ফাঁকি কমিয়ে ৫০০ কোটি টাকা, গ্রোথ সেন্টার পর্যায়ে নতুন করদাতার কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা, এনবিআরের অভ্যন্তরে প্রযুক্তি সংযোজন করে আড়াই শ কোটি টাকা, এনবিআরের বাইরের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে আড়াই শ কোটি টাকা, আয়কর রিটার্ন যাচাই করে ২০০ কোটি টাকা, অনলাইনে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের রিটার্ন জমা থেকে ২০০ কোটি টাকা, মাঠপর্যায়ে নজরদারি বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা, কর অফিসে করদাতার ফাইলপত্রে নজরদারি বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকা এবং করদাতার সেবার পরিধি বাড়িয়ে আরও ৩০০ কোটি টাকা বেশি আদায়ের পথনকশা তৈরি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এনবিআরের আয়কর নীতির সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধনীদের ওপর ৫ শতাংশ বেশি কর আরোপ করা হলে এটা রাজস্বের জন্য ভালোই হবে। তবে ঢালাওভাবে কর অবকাশ তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আরেকটু চিন্তাভাবনা করতে হবে। কারণ, এর ফলে উৎপাদন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আর উৎসে কর থেকে বেশি রাজস্ব আদায় করার ক্ষেত্রে ফাঁকি কমানোর জন্য নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগটিও ভালো।’
বাংলাদেশকে দেওয়া ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত হিসেবে প্রতি অর্থবছরে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কথা বলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আসছে অর্থবছরে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে এনবিআরকে।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইএমএফ এবার রাজস্ব খাত সংস্কার নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা কর অবকাশসহ করছাড় কমানোর কথা বলবে। রাজস্ব খাতে কী কী সংস্কার করা হবে, সেগুলো দেখতে চাইবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
৯ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
৯ ঘণ্টা আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে কমিশন সভাকক্ষে এই বৈঠক...
৯ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
১৭ ঘণ্টা আগে