বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা, সময়ানুবর্তিতা এবং যাত্রীসন্তুষ্টির জন্য ‘সেরা ডমেস্টিক এয়ারলাইন’-এর স্বীকৃতি পেয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটসেবায় নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার পাশাপাশি যাত্রীসেবার মান উন্নত করতে সংস্থাটির অঙ্গীকার এই স্বীকৃতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে এ বছরের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনলাইনে পরিচালিত মতামত জরিপের ভিত্তিতে এবারের আয়োজনে অংশ নেন তিন হাজারের বেশি নিয়মিত আকাশভ্রমণকারী। রেকর্ডসংখ্যক ২৩টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন এয়ারলাইনস, এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ ট্রফি দেওয়া হয়।
বিশ্বখ্যাত দুবাইভিত্তিক এয়ারলাইনস এমিরেটস আবারও বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রীদের সবচেয়ে পছন্দের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। মানসম্পন্ন সেবা, যাত্রীবান্ধব অভিজ্ঞতা এবং পেশাদারত্বের কারণে এমিরেটস এই পুরস্কার অর্জন করে।
এ ছাড়া ‘সেরা কার্গো এয়ারলাইন’ পুরস্কার লাভ করে সৌদিয়া কার্গো, যারা বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটনশিল্পে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘গ্যালাক্সি বাংলাদেশ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান তৌফিক উদ্দীন আহমেদকে জুরি কমিটির বিশেষ বিবেচনায় আজীবন সম্মাননা ট্রফি দেওয়া হয়। তাঁর দীর্ঘদিনের অবদান ও অগ্রণী ভূমিকা ভ্রমণশিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, জুরি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম, শেয়ারট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সাদিয়া হক, স্যাবর বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার ও সিইও মো. সাইফুল হক এবং প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার আসিফ আহমেদ।
বক্তারা বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের ইতিবাচক পরিবর্তন এবং ভ্রমণ ও পর্যটনশিল্পের টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এবারের আয়োজনে বেশ কিছু নতুন ক্যাটাগরি যুক্ত করা হয়। এগুলোর মধ্যে ‘বাংলাদেশে জনপ্রিয় এয়ারলাইন ব্র্যান্ড’ অন্যতম। এই ক্যাটাগরিতে ১২টি এয়ারলাইনসকে সম্মাননা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ‘সেরা এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ’ ক্যাটাগরিতে এমটিবি এয়ার লাউঞ্জ গোল্ড, ইবিএল স্কাই লাউঞ্জ সিলভার এবং সিটি ব্যাংকের এমেক্স লাউঞ্জ ব্রোঞ্জ ট্রফি অর্জন করে। যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে এই ক্যাটাগরিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
১১ সদস্যবিশিষ্ট বিচারক প্যানেল প্রাপ্ত অনলাইন ভোট যাচাই-বাছাই করে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের নির্বাচন করেন। এই বিচারক প্যানেলে ছিলেন এভিয়েশন, পর্যটন, একাডেমিক ও বাণিজ্যিক খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিরা। তাঁদের নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের মাধ্যমেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এভিয়েশন ও পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা ‘বাংলাদেশ মনিটর’ ২০০৭ সালে এই পুরস্কার প্রবর্তন করে। এবারের আয়োজন ছিল ১১তম আসর। লিড স্পনসর হিসেবে ছিল দেশের শীর্ষ অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি শেয়ারট্রিপ। পাশাপাশি ইস্টার্ন ব্যাংক, স্যাবর বাংলাদেশ, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল ও বাইটিকিটস পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে।
বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের মানোন্নয়ন, যাত্রীসেবার উন্নয়ন এবং ভ্রমণশিল্পের বিকাশে ‘এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার একটি ইতিবাচক উদাহরণ। এটি যাত্রীদের মতামতের ভিত্তিতে এয়ারলাইনসগুলোর সেবা উন্নয়নে উৎসাহ জোগাচ্ছে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা, সময়ানুবর্তিতা এবং যাত্রীসন্তুষ্টির জন্য ‘সেরা ডমেস্টিক এয়ারলাইন’-এর স্বীকৃতি পেয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটসেবায় নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার পাশাপাশি যাত্রীসেবার মান উন্নত করতে সংস্থাটির অঙ্গীকার এই স্বীকৃতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে এ বছরের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনলাইনে পরিচালিত মতামত জরিপের ভিত্তিতে এবারের আয়োজনে অংশ নেন তিন হাজারের বেশি নিয়মিত আকাশভ্রমণকারী। রেকর্ডসংখ্যক ২৩টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন এয়ারলাইনস, এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ ট্রফি দেওয়া হয়।
বিশ্বখ্যাত দুবাইভিত্তিক এয়ারলাইনস এমিরেটস আবারও বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রীদের সবচেয়ে পছন্দের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। মানসম্পন্ন সেবা, যাত্রীবান্ধব অভিজ্ঞতা এবং পেশাদারত্বের কারণে এমিরেটস এই পুরস্কার অর্জন করে।
এ ছাড়া ‘সেরা কার্গো এয়ারলাইন’ পুরস্কার লাভ করে সৌদিয়া কার্গো, যারা বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটনশিল্পে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘গ্যালাক্সি বাংলাদেশ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান তৌফিক উদ্দীন আহমেদকে জুরি কমিটির বিশেষ বিবেচনায় আজীবন সম্মাননা ট্রফি দেওয়া হয়। তাঁর দীর্ঘদিনের অবদান ও অগ্রণী ভূমিকা ভ্রমণশিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, জুরি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম, শেয়ারট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সাদিয়া হক, স্যাবর বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার ও সিইও মো. সাইফুল হক এবং প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার আসিফ আহমেদ।
বক্তারা বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের ইতিবাচক পরিবর্তন এবং ভ্রমণ ও পর্যটনশিল্পের টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এবারের আয়োজনে বেশ কিছু নতুন ক্যাটাগরি যুক্ত করা হয়। এগুলোর মধ্যে ‘বাংলাদেশে জনপ্রিয় এয়ারলাইন ব্র্যান্ড’ অন্যতম। এই ক্যাটাগরিতে ১২টি এয়ারলাইনসকে সম্মাননা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ‘সেরা এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ’ ক্যাটাগরিতে এমটিবি এয়ার লাউঞ্জ গোল্ড, ইবিএল স্কাই লাউঞ্জ সিলভার এবং সিটি ব্যাংকের এমেক্স লাউঞ্জ ব্রোঞ্জ ট্রফি অর্জন করে। যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে এই ক্যাটাগরিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
১১ সদস্যবিশিষ্ট বিচারক প্যানেল প্রাপ্ত অনলাইন ভোট যাচাই-বাছাই করে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের নির্বাচন করেন। এই বিচারক প্যানেলে ছিলেন এভিয়েশন, পর্যটন, একাডেমিক ও বাণিজ্যিক খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিরা। তাঁদের নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের মাধ্যমেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এভিয়েশন ও পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা ‘বাংলাদেশ মনিটর’ ২০০৭ সালে এই পুরস্কার প্রবর্তন করে। এবারের আয়োজন ছিল ১১তম আসর। লিড স্পনসর হিসেবে ছিল দেশের শীর্ষ অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি শেয়ারট্রিপ। পাশাপাশি ইস্টার্ন ব্যাংক, স্যাবর বাংলাদেশ, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল ও বাইটিকিটস পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে।
বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের মানোন্নয়ন, যাত্রীসেবার উন্নয়ন এবং ভ্রমণশিল্পের বিকাশে ‘এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার একটি ইতিবাচক উদাহরণ। এটি যাত্রীদের মতামতের ভিত্তিতে এয়ারলাইনসগুলোর সেবা উন্নয়নে উৎসাহ জোগাচ্ছে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা, সময়ানুবর্তিতা এবং যাত্রীসন্তুষ্টির জন্য ‘সেরা ডমেস্টিক এয়ারলাইন’-এর স্বীকৃতি পেয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটসেবায় নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার পাশাপাশি যাত্রীসেবার মান উন্নত করতে সংস্থাটির অঙ্গীকার এই স্বীকৃতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে এ বছরের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনলাইনে পরিচালিত মতামত জরিপের ভিত্তিতে এবারের আয়োজনে অংশ নেন তিন হাজারের বেশি নিয়মিত আকাশভ্রমণকারী। রেকর্ডসংখ্যক ২৩টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন এয়ারলাইনস, এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ ট্রফি দেওয়া হয়।
বিশ্বখ্যাত দুবাইভিত্তিক এয়ারলাইনস এমিরেটস আবারও বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রীদের সবচেয়ে পছন্দের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। মানসম্পন্ন সেবা, যাত্রীবান্ধব অভিজ্ঞতা এবং পেশাদারত্বের কারণে এমিরেটস এই পুরস্কার অর্জন করে।
এ ছাড়া ‘সেরা কার্গো এয়ারলাইন’ পুরস্কার লাভ করে সৌদিয়া কার্গো, যারা বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটনশিল্পে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘গ্যালাক্সি বাংলাদেশ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান তৌফিক উদ্দীন আহমেদকে জুরি কমিটির বিশেষ বিবেচনায় আজীবন সম্মাননা ট্রফি দেওয়া হয়। তাঁর দীর্ঘদিনের অবদান ও অগ্রণী ভূমিকা ভ্রমণশিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, জুরি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম, শেয়ারট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সাদিয়া হক, স্যাবর বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার ও সিইও মো. সাইফুল হক এবং প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার আসিফ আহমেদ।
বক্তারা বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের ইতিবাচক পরিবর্তন এবং ভ্রমণ ও পর্যটনশিল্পের টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এবারের আয়োজনে বেশ কিছু নতুন ক্যাটাগরি যুক্ত করা হয়। এগুলোর মধ্যে ‘বাংলাদেশে জনপ্রিয় এয়ারলাইন ব্র্যান্ড’ অন্যতম। এই ক্যাটাগরিতে ১২টি এয়ারলাইনসকে সম্মাননা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ‘সেরা এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ’ ক্যাটাগরিতে এমটিবি এয়ার লাউঞ্জ গোল্ড, ইবিএল স্কাই লাউঞ্জ সিলভার এবং সিটি ব্যাংকের এমেক্স লাউঞ্জ ব্রোঞ্জ ট্রফি অর্জন করে। যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে এই ক্যাটাগরিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
১১ সদস্যবিশিষ্ট বিচারক প্যানেল প্রাপ্ত অনলাইন ভোট যাচাই-বাছাই করে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের নির্বাচন করেন। এই বিচারক প্যানেলে ছিলেন এভিয়েশন, পর্যটন, একাডেমিক ও বাণিজ্যিক খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিরা। তাঁদের নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের মাধ্যমেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এভিয়েশন ও পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা ‘বাংলাদেশ মনিটর’ ২০০৭ সালে এই পুরস্কার প্রবর্তন করে। এবারের আয়োজন ছিল ১১তম আসর। লিড স্পনসর হিসেবে ছিল দেশের শীর্ষ অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি শেয়ারট্রিপ। পাশাপাশি ইস্টার্ন ব্যাংক, স্যাবর বাংলাদেশ, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল ও বাইটিকিটস পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে।
বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের মানোন্নয়ন, যাত্রীসেবার উন্নয়ন এবং ভ্রমণশিল্পের বিকাশে ‘এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার একটি ইতিবাচক উদাহরণ। এটি যাত্রীদের মতামতের ভিত্তিতে এয়ারলাইনসগুলোর সেবা উন্নয়নে উৎসাহ জোগাচ্ছে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা, সময়ানুবর্তিতা এবং যাত্রীসন্তুষ্টির জন্য ‘সেরা ডমেস্টিক এয়ারলাইন’-এর স্বীকৃতি পেয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটসেবায় নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার পাশাপাশি যাত্রীসেবার মান উন্নত করতে সংস্থাটির অঙ্গীকার এই স্বীকৃতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে এ বছরের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনলাইনে পরিচালিত মতামত জরিপের ভিত্তিতে এবারের আয়োজনে অংশ নেন তিন হাজারের বেশি নিয়মিত আকাশভ্রমণকারী। রেকর্ডসংখ্যক ২৩টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন এয়ারলাইনস, এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ ট্রফি দেওয়া হয়।
বিশ্বখ্যাত দুবাইভিত্তিক এয়ারলাইনস এমিরেটস আবারও বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রীদের সবচেয়ে পছন্দের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। মানসম্পন্ন সেবা, যাত্রীবান্ধব অভিজ্ঞতা এবং পেশাদারত্বের কারণে এমিরেটস এই পুরস্কার অর্জন করে।
এ ছাড়া ‘সেরা কার্গো এয়ারলাইন’ পুরস্কার লাভ করে সৌদিয়া কার্গো, যারা বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটনশিল্পে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘গ্যালাক্সি বাংলাদেশ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান তৌফিক উদ্দীন আহমেদকে জুরি কমিটির বিশেষ বিবেচনায় আজীবন সম্মাননা ট্রফি দেওয়া হয়। তাঁর দীর্ঘদিনের অবদান ও অগ্রণী ভূমিকা ভ্রমণশিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, জুরি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম, শেয়ারট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সাদিয়া হক, স্যাবর বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার ও সিইও মো. সাইফুল হক এবং প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার আসিফ আহমেদ।
বক্তারা বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের ইতিবাচক পরিবর্তন এবং ভ্রমণ ও পর্যটনশিল্পের টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এবারের আয়োজনে বেশ কিছু নতুন ক্যাটাগরি যুক্ত করা হয়। এগুলোর মধ্যে ‘বাংলাদেশে জনপ্রিয় এয়ারলাইন ব্র্যান্ড’ অন্যতম। এই ক্যাটাগরিতে ১২টি এয়ারলাইনসকে সম্মাননা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ‘সেরা এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ’ ক্যাটাগরিতে এমটিবি এয়ার লাউঞ্জ গোল্ড, ইবিএল স্কাই লাউঞ্জ সিলভার এবং সিটি ব্যাংকের এমেক্স লাউঞ্জ ব্রোঞ্জ ট্রফি অর্জন করে। যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে এই ক্যাটাগরিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
১১ সদস্যবিশিষ্ট বিচারক প্যানেল প্রাপ্ত অনলাইন ভোট যাচাই-বাছাই করে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের নির্বাচন করেন। এই বিচারক প্যানেলে ছিলেন এভিয়েশন, পর্যটন, একাডেমিক ও বাণিজ্যিক খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিরা। তাঁদের নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের মাধ্যমেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এভিয়েশন ও পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা ‘বাংলাদেশ মনিটর’ ২০০৭ সালে এই পুরস্কার প্রবর্তন করে। এবারের আয়োজন ছিল ১১তম আসর। লিড স্পনসর হিসেবে ছিল দেশের শীর্ষ অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি শেয়ারট্রিপ। পাশাপাশি ইস্টার্ন ব্যাংক, স্যাবর বাংলাদেশ, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল ও বাইটিকিটস পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে।
বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের মানোন্নয়ন, যাত্রীসেবার উন্নয়ন এবং ভ্রমণশিল্পের বিকাশে ‘এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার একটি ইতিবাচক উদাহরণ। এটি যাত্রীদের মতামতের ভিত্তিতে এয়ারলাইনসগুলোর সেবা উন্নয়নে উৎসাহ জোগাচ্ছে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা অপরিহার্য বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত মিশন প্রতিনিধিদল। তারা আরও বলেছে, রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে করনীতিকে উৎপাদনমুখী করা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের কার্যকারিতা
১৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেল সংকটে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
১৪ ঘণ্টা আগে
আমদানিকারকেরাই ফড়িয়া ও ব্যাপারীদের ‘হাওয়া দেওয়ায়’ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এর সুফল কৃষকেরা পেয়েছেন কমই। লাভের গুড় মূলত খেয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে কলমানিতে এক দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য ব্যাংকগুলো ধার করেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮০ হাজার ২৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কলমানিতে ধার বেড়েছে ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইটে ধার ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা, যা তার আগের বছরের অক্টোবরে ছিল ৭২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পলিসি রেট (নীতি সুদহার) বাড়ার প্রভাব কলমানি মার্কেটে পড়েছে। এখন ঋণের খরচ বেড়েছে। অনেক ব্যাংক নগদ টাকার চাপ সামলাতে চড়া সুদে ঋণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে। ফলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবরে ২ থেকে ১৪ দিনের জন্য শর্ট নোটিশে ধারের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। একইভাবে ১৫ দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য টার্ম কল ঋণ গত অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ৩৯৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, বর্তমানে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংকট রয়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে। তারল্যসংকটের মোকাবিলা করতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে চড়া সুদেও টাকা ধার নিচ্ছে। কারণ বাজারে খুব বেশি তারল্য নেই। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকও রেপোর নিলাম কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো খুব বেশি টাকা ধার করতে পারছে। সব মিলিয়ে কলমানি বাজারে চড়া সুদে যেসব ব্যাংক টাকা ধার নিয়েছে তারা ধার পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কলমানিতে সুদহার বেশি হলেও নিরুপায় হয়ে কলমানিতে লেনদেন করে অস্বস্তিতে পড়েছে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অক্টোবরে কলমানির মধ্যে ওভারনাইটের গড় সুদহার (ডব্লিইএআর) ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, শর্ট নোটিশের গড় সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং টার্ম কলে সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর আন্তব্যাংক রেপোতে সুদের গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে আন্তব্যাংক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা। সে হিসাবে আন্তব্যাংক লেনদেন বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এখন কিছু ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। তবে অন্য ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তারাই ধার নিচ্ছে। এখন যেসব ব্যাংকের ধার প্রয়োজন, তাদের বেশির ভাগেরই পর্যাপ্ত জামানত নেই। তারা কলমানির ধারের টাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ডলারের দর বেড়েছে, এতে টাকার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে কিছু ব্যাংক তারল্যসংকটে পড়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্যসুবিধা নিচ্ছে, স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে কলমানিতে ধার করছে। চাহিদা বাড়লে ধার বাড়ে, আবার চাহিদা কমলে ধার কমে।

এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে কলমানিতে এক দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য ব্যাংকগুলো ধার করেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮০ হাজার ২৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কলমানিতে ধার বেড়েছে ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইটে ধার ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা, যা তার আগের বছরের অক্টোবরে ছিল ৭২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পলিসি রেট (নীতি সুদহার) বাড়ার প্রভাব কলমানি মার্কেটে পড়েছে। এখন ঋণের খরচ বেড়েছে। অনেক ব্যাংক নগদ টাকার চাপ সামলাতে চড়া সুদে ঋণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে। ফলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবরে ২ থেকে ১৪ দিনের জন্য শর্ট নোটিশে ধারের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। একইভাবে ১৫ দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য টার্ম কল ঋণ গত অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ৩৯৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, বর্তমানে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংকট রয়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে। তারল্যসংকটের মোকাবিলা করতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে চড়া সুদেও টাকা ধার নিচ্ছে। কারণ বাজারে খুব বেশি তারল্য নেই। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকও রেপোর নিলাম কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো খুব বেশি টাকা ধার করতে পারছে। সব মিলিয়ে কলমানি বাজারে চড়া সুদে যেসব ব্যাংক টাকা ধার নিয়েছে তারা ধার পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কলমানিতে সুদহার বেশি হলেও নিরুপায় হয়ে কলমানিতে লেনদেন করে অস্বস্তিতে পড়েছে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অক্টোবরে কলমানির মধ্যে ওভারনাইটের গড় সুদহার (ডব্লিইএআর) ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, শর্ট নোটিশের গড় সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং টার্ম কলে সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর আন্তব্যাংক রেপোতে সুদের গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে আন্তব্যাংক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা। সে হিসাবে আন্তব্যাংক লেনদেন বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এখন কিছু ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। তবে অন্য ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তারাই ধার নিচ্ছে। এখন যেসব ব্যাংকের ধার প্রয়োজন, তাদের বেশির ভাগেরই পর্যাপ্ত জামানত নেই। তারা কলমানির ধারের টাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ডলারের দর বেড়েছে, এতে টাকার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে কিছু ব্যাংক তারল্যসংকটে পড়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্যসুবিধা নিচ্ছে, স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে কলমানিতে ধার করছে। চাহিদা বাড়লে ধার বাড়ে, আবার চাহিদা কমলে ধার কমে।

বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা, সময়ানুবর্তিতা এবং যাত্রীসন্তুষ্টির জন্য ‘সেরা ডমেস্টিক এয়ারলাইন’-এর স্বীকৃতি লাভ করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।
০৫ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা অপরিহার্য বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত মিশন প্রতিনিধিদল। তারা আরও বলেছে, রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে করনীতিকে উৎপাদনমুখী করা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের কার্যকারিতা
১৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেল সংকটে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
১৪ ঘণ্টা আগে
আমদানিকারকেরাই ফড়িয়া ও ব্যাপারীদের ‘হাওয়া দেওয়ায়’ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এর সুফল কৃষকেরা পেয়েছেন কমই। লাভের গুড় মূলত খেয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
১৫ ঘণ্টা আগেআইএমএফ-বিএনপি বৈঠক
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা অপরিহার্য বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত মিশন প্রতিনিধিদল। তারা আরও বলেছে, রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে করনীতিকে উৎপাদনমুখী করা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের কার্যকারিতা বাড়ানো এখন সময়ের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
গতকাল রোববার মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিউর নেতৃত্বাধীন আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেয়। বিএনপির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার এবং সংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকটি ছিল ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সংলাপের সুযোগ। এতে আলোচনা হয় আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচির মূল্যায়ন মিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের আর্থিক কাঠামো, রাজস্ব সংগ্রহ, করনীতি এবং সামাজিক ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা দিক নিয়ে। বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) হরমোনাইজেশন, ভ্যাট ও করছাড় হ্রাসে নতুন টেকনিক্যাল সহায়তা, করপোরেট করকাঠামোর সংস্কার, ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্যোগ।
তাই বিএনপিও বৈঠকে আইএমএফ মিশনের প্রস্তাব ও মনোভাবের সঙ্গে সায় জানিয়েছে। বিএনপি প্রতিনিধিদল জোর দিয়ে উল্লেখ করেছে, দেশের টেকসই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাত, করনীতি এবং সামাজিক খাতে সমন্বিত সংস্কার অপরিহার্য। তারা বলছেন, জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ আর্থিক প্রশাসন ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি স্থায়ী করা সম্ভব নয়। এ সময় দলের পক্ষ থেকে করকাঠামো সহজীকরণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের করসুবিধা পুনর্বিবেচনা এবং ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা দূর করার প্রস্তাবও উঠে আসে। দল জানিয়েছে, নির্বাচিত হলে তারা দেশ ও জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট চলমান সংস্কার কর্মসূচিকে আরও বেগবান করবে।
আইএমএফ প্রতিনিধিদল বিএনপির উপস্থাপিত নীতি-দৃষ্টিভঙ্গি ও সংস্কার প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে। তারা জানিয়েছে, স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণমূলক সংলাপ ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উভয় পক্ষই আশা প্রকাশ করেছে, এ সংলাপ বাংলাদেশের রাজস্ব কাঠামো, সামাজিক খাত এবং অর্থনৈতিক নীতিতে নতুন দিকনির্দেশনা তৈরি করবে—যেখানে থাকবে সংস্কার, স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতা।

বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা অপরিহার্য বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত মিশন প্রতিনিধিদল। তারা আরও বলেছে, রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে করনীতিকে উৎপাদনমুখী করা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের কার্যকারিতা বাড়ানো এখন সময়ের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
গতকাল রোববার মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিউর নেতৃত্বাধীন আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেয়। বিএনপির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার এবং সংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকটি ছিল ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সংলাপের সুযোগ। এতে আলোচনা হয় আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচির মূল্যায়ন মিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের আর্থিক কাঠামো, রাজস্ব সংগ্রহ, করনীতি এবং সামাজিক ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা দিক নিয়ে। বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) হরমোনাইজেশন, ভ্যাট ও করছাড় হ্রাসে নতুন টেকনিক্যাল সহায়তা, করপোরেট করকাঠামোর সংস্কার, ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্যোগ।
তাই বিএনপিও বৈঠকে আইএমএফ মিশনের প্রস্তাব ও মনোভাবের সঙ্গে সায় জানিয়েছে। বিএনপি প্রতিনিধিদল জোর দিয়ে উল্লেখ করেছে, দেশের টেকসই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাত, করনীতি এবং সামাজিক খাতে সমন্বিত সংস্কার অপরিহার্য। তারা বলছেন, জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ আর্থিক প্রশাসন ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি স্থায়ী করা সম্ভব নয়। এ সময় দলের পক্ষ থেকে করকাঠামো সহজীকরণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের করসুবিধা পুনর্বিবেচনা এবং ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা দূর করার প্রস্তাবও উঠে আসে। দল জানিয়েছে, নির্বাচিত হলে তারা দেশ ও জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট চলমান সংস্কার কর্মসূচিকে আরও বেগবান করবে।
আইএমএফ প্রতিনিধিদল বিএনপির উপস্থাপিত নীতি-দৃষ্টিভঙ্গি ও সংস্কার প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে। তারা জানিয়েছে, স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণমূলক সংলাপ ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উভয় পক্ষই আশা প্রকাশ করেছে, এ সংলাপ বাংলাদেশের রাজস্ব কাঠামো, সামাজিক খাত এবং অর্থনৈতিক নীতিতে নতুন দিকনির্দেশনা তৈরি করবে—যেখানে থাকবে সংস্কার, স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতা।

বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা, সময়ানুবর্তিতা এবং যাত্রীসন্তুষ্টির জন্য ‘সেরা ডমেস্টিক এয়ারলাইন’-এর স্বীকৃতি লাভ করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।
০৫ জুলাই ২০২৫
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেল সংকটে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
১৪ ঘণ্টা আগে
আমদানিকারকেরাই ফড়িয়া ও ব্যাপারীদের ‘হাওয়া দেওয়ায়’ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এর সুফল কৃষকেরা পেয়েছেন কমই। লাভের গুড় মূলত খেয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
১৫ ঘণ্টা আগেকেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেল সংকটে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। এর মধ্য দিয়ে দেশের আর্থিক খাতে নতুন প্রজন্মের আরও একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বোর্ড সভায় ব্যাংকটির নামে এলওআই অনুমোদনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং উপস্থিত ছিলেন অন্য সদস্যরা।
সূত্র জানিয়েছে, গত বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নামে প্রস্তাবিত ব্যাংকের অনুকূলে এলওআই ও লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডে অনুমোদনের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়, যা বোর্ড সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এখন যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজিএসসি) থেকে ব্যাংকের নাম অনুমোদন নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠালে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হবে।
নতুন ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে নাজমা মোবারেক ছাড়াও সদস্য হিসেবে থাকছেন অর্থসচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহা. রাশিদুল আমিন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নতুন গঠিত ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ হতে পারে সর্বোচ্চ ৬ মাস থেকে ১ বছর। এই সময়কালে বর্তমান পাঁচটি ব্যাংকের প্রশাসকেরা তাঁদের অ্যাসেট ও দায়দেনা যাচাই-বাছাই করবেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারের অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেবে এবং ব্যাংকটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ২০ হাজার কোটি সরকারের পক্ষ থেকে এবং ১৫ হাজার কোটি টাকা আমানতকারীদের শেয়ার হিসেবে থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেল সংকটে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। এর মধ্য দিয়ে দেশের আর্থিক খাতে নতুন প্রজন্মের আরও একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বোর্ড সভায় ব্যাংকটির নামে এলওআই অনুমোদনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং উপস্থিত ছিলেন অন্য সদস্যরা।
সূত্র জানিয়েছে, গত বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নামে প্রস্তাবিত ব্যাংকের অনুকূলে এলওআই ও লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডে অনুমোদনের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়, যা বোর্ড সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এখন যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজিএসসি) থেকে ব্যাংকের নাম অনুমোদন নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠালে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হবে।
নতুন ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে নাজমা মোবারেক ছাড়াও সদস্য হিসেবে থাকছেন অর্থসচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহা. রাশিদুল আমিন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নতুন গঠিত ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ হতে পারে সর্বোচ্চ ৬ মাস থেকে ১ বছর। এই সময়কালে বর্তমান পাঁচটি ব্যাংকের প্রশাসকেরা তাঁদের অ্যাসেট ও দায়দেনা যাচাই-বাছাই করবেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারের অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেবে এবং ব্যাংকটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ২০ হাজার কোটি সরকারের পক্ষ থেকে এবং ১৫ হাজার কোটি টাকা আমানতকারীদের শেয়ার হিসেবে থাকবে।

বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা, সময়ানুবর্তিতা এবং যাত্রীসন্তুষ্টির জন্য ‘সেরা ডমেস্টিক এয়ারলাইন’-এর স্বীকৃতি লাভ করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।
০৫ জুলাই ২০২৫
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা অপরিহার্য বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত মিশন প্রতিনিধিদল। তারা আরও বলেছে, রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে করনীতিকে উৎপাদনমুখী করা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের কার্যকারিতা
১৪ ঘণ্টা আগে
আমদানিকারকেরাই ফড়িয়া ও ব্যাপারীদের ‘হাওয়া দেওয়ায়’ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এর সুফল কৃষকেরা পেয়েছেন কমই। লাভের গুড় মূলত খেয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
১৫ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

আমদানিকারকেরাই ফড়িয়া ও ব্যাপারীদের ‘হাওয়া দেওয়ায়’ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এর সুফল কৃষকেরা পেয়েছেন কমই। লাভের গুড় মূলত খেয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে গত ৯ দিনে ভোক্তাদের পকেট থেকে বাড়তি ৩০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে সংকট সৃষ্টিকারীরা।
এই অবস্থায় বাণিজ্য উপদেষ্টা গতকাল রোববার বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে দাম কমে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না এলে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গতকাল রাজধানীর পুরান ঢাকার শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে পেঁয়াজের বাজারের এ পরিস্থিতি জানা গেল। বর্তমানে ফরিদপুর ও পাবনার কয়েকটি হাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ হচ্ছে। প্রথমে হাটে আসা কৃষক কিংবা সংরক্ষণকারীর কাছ থেকে ব্যাপারী বা ফড়িয়ারা পেঁয়াজ কিনে নিজেদের গুদামে সংরক্ষণ করেন। তারপর চাহিদা ও দাম বুঝে পাইকারি বাজারের আড়তে পাঠান। এ সময় আড়তমালিককে বিক্রির দাম বেঁধে দেন ব্যাপারীরা। তবে আড়তদারেরাও অনেক সময় বাজারের চাহিদা অনুসারে দাম কমবেশি করে বিক্রি করেন।
বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নতুন পেঁয়াজ রোপণের মৌসুম চলে আসায় কৃষকদের হাতে এখন তেমন পেঁয়াজ নেই। ৯৫ শতাংশ কৃষকই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এখনো সাড়ে তিন লাখ টনের মতো পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। দেশে প্রতিদিন পেঁয়াজের চাহিদা ৭ হাজার ৫০০ টন (৭৫ লাখ কেজি)। সে হিসাবে মজুত পেঁয়াজ দিয়ে কমপক্ষে দেড় মাস চলা সম্ভব। এর মধ্যে আসছে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা পেঁয়াজও। অথচ তারপরও দাম বেড়েছে।
এই অবস্থায় দাম বাড়ানোর জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে ফড়িয়াদের দিকে। আর ফড়িয়াদের দাবি, দাম বাড়ার আগুনে হাওয়া দিয়েছেন আমদানিকারকেরা। কারণ, আমদানি বন্ধ থাকায় তাঁদের ব্যবসাও বন্ধ রয়েছে।
পেঁয়াজের বাজারের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষকেরা বিচ্ছিন্ন থাকলেও ফড়িয়ারা বেশ সংগঠিত। তাঁরা নিয়মিত আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
পাইকারি ও খুচরা বাজারে নভেম্বরের শুরু থেকে পরবর্তী ৪-৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা পর্যন্ত ওঠে। বাড়তি এই দামের কারণে নভেম্বরের শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত ৯ দিনে চাহিদা হিসাব করলে ভোক্তার পকেট থেকে কমবেশি ৩৩ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে। এর প্রায় পুরোটাই পেয়েছে ফড়িয়ারা।
ফড়িয়াদের তৎপরতার পেছনে শ্যামবাজার পেঁয়াজ সমিতির ভূমিকা রয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। জানা গেছে, ব্যবসায়ী হাজি মো. মাজেদ শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের নিয়ে একটি সমিতি করেছেন। এতে ৫০-৬০ জন আমদানিকারক যুক্ত। সমিতির সঙ্গে ফড়িয়াদের নিয়মিত যোগাযোগও রয়েছে বলে জানান মাজেদ।
মো. মাজেদ বলেন, ‘আমদানি না হলে আমাদের ব্যবসাও মন্দা থাকে। দেশে বর্তমানে প্রতিদিন যে চাহিদা, তার ২৫ শতাংশ পেঁয়াজ রয়েছে। তাই আরও আগে থেকে আমদানি করার দরকার ছিল।’
সরকার আমদানির অনুমোদন না দেওয়ায় মাজেদ অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘যেটুকু পেঁয়াজ আছে, তার দাম আরও বেড়ে যেত, যদি না আমি তাদের আমদানির কথা শোনাতাম। যাদের কাছে পেঁয়াজ রয়েছে, তারা আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।’
তবে গতকাল রাজধানীর শ্যামবাজার ঘুরে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি দেখা যায়নি। প্রতিটি আড়তে ধারণক্ষমতার প্রায় কাছাকাছি পেঁয়াজ ছিল। কিন্তু ক্রেতারা অনেক দরদাম করলেও দাম কমাচ্ছেন না আড়তমালিকেরা।
গতকাল শ্যামবাজারে প্রতি কেজি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৭-৯৮ টাকা, মাঝারি ও ছোট আকারের পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৯৩-৯৫ টাকা এবং ৯০ টাকা।
মেসার্স অপু ট্রেডার্স নামের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে সেখানে। ক্রেতার সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। জানা গেল, আড়তটির ধারণক্ষমতা মোট ৮০০-৯০০ বস্তা (প্রতিটিতে ৭৫ কেজি)। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ছিল ৭০০ বস্তা।
মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ রয়েছে ২৭৭ বস্তা। আড়তমালিক মো. রঞ্জু শেখ জানান, তাঁদের ধারণক্ষমতা ৩০০ বস্তার কিছু বেশি।
মেসার্স মাতৃভান্ডারের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাপারীরা শুধু শ্যামবাজারেই পেঁয়াজ পাঠায় না, তারা সারা দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করে। যে বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করতে পারবে, সেখানেই পাঠায়।
কৃত্রিম সংকটে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, এ কথা ট্যারিফ কমিশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও বলছে। এ জন্য বাজারে মনিটরিং টিমও কাজ করছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল শ্যামবাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দেখা গেছে।
দাম না কমলে আমদানি
চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না এলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা ১০ দিন ধরে দেখছি, পেঁয়াজের মূল্যের একটা ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। তবে পেঁয়াজের কোনো অভাব নেই। আমরা জানি, অনেকে আমদানির জন্য আবেদন করেছেন। বর্তমানে ২ হাজার ৮০০ আমদানির আবেদন আছে। তবে দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে আমদানির অনুমতি দেব না।’

আমদানিকারকেরাই ফড়িয়া ও ব্যাপারীদের ‘হাওয়া দেওয়ায়’ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এর সুফল কৃষকেরা পেয়েছেন কমই। লাভের গুড় মূলত খেয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে গত ৯ দিনে ভোক্তাদের পকেট থেকে বাড়তি ৩০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে সংকট সৃষ্টিকারীরা।
এই অবস্থায় বাণিজ্য উপদেষ্টা গতকাল রোববার বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে দাম কমে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না এলে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গতকাল রাজধানীর পুরান ঢাকার শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে পেঁয়াজের বাজারের এ পরিস্থিতি জানা গেল। বর্তমানে ফরিদপুর ও পাবনার কয়েকটি হাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ হচ্ছে। প্রথমে হাটে আসা কৃষক কিংবা সংরক্ষণকারীর কাছ থেকে ব্যাপারী বা ফড়িয়ারা পেঁয়াজ কিনে নিজেদের গুদামে সংরক্ষণ করেন। তারপর চাহিদা ও দাম বুঝে পাইকারি বাজারের আড়তে পাঠান। এ সময় আড়তমালিককে বিক্রির দাম বেঁধে দেন ব্যাপারীরা। তবে আড়তদারেরাও অনেক সময় বাজারের চাহিদা অনুসারে দাম কমবেশি করে বিক্রি করেন।
বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নতুন পেঁয়াজ রোপণের মৌসুম চলে আসায় কৃষকদের হাতে এখন তেমন পেঁয়াজ নেই। ৯৫ শতাংশ কৃষকই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এখনো সাড়ে তিন লাখ টনের মতো পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। দেশে প্রতিদিন পেঁয়াজের চাহিদা ৭ হাজার ৫০০ টন (৭৫ লাখ কেজি)। সে হিসাবে মজুত পেঁয়াজ দিয়ে কমপক্ষে দেড় মাস চলা সম্ভব। এর মধ্যে আসছে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা পেঁয়াজও। অথচ তারপরও দাম বেড়েছে।
এই অবস্থায় দাম বাড়ানোর জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে ফড়িয়াদের দিকে। আর ফড়িয়াদের দাবি, দাম বাড়ার আগুনে হাওয়া দিয়েছেন আমদানিকারকেরা। কারণ, আমদানি বন্ধ থাকায় তাঁদের ব্যবসাও বন্ধ রয়েছে।
পেঁয়াজের বাজারের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষকেরা বিচ্ছিন্ন থাকলেও ফড়িয়ারা বেশ সংগঠিত। তাঁরা নিয়মিত আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
পাইকারি ও খুচরা বাজারে নভেম্বরের শুরু থেকে পরবর্তী ৪-৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা পর্যন্ত ওঠে। বাড়তি এই দামের কারণে নভেম্বরের শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত ৯ দিনে চাহিদা হিসাব করলে ভোক্তার পকেট থেকে কমবেশি ৩৩ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে। এর প্রায় পুরোটাই পেয়েছে ফড়িয়ারা।
ফড়িয়াদের তৎপরতার পেছনে শ্যামবাজার পেঁয়াজ সমিতির ভূমিকা রয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। জানা গেছে, ব্যবসায়ী হাজি মো. মাজেদ শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের নিয়ে একটি সমিতি করেছেন। এতে ৫০-৬০ জন আমদানিকারক যুক্ত। সমিতির সঙ্গে ফড়িয়াদের নিয়মিত যোগাযোগও রয়েছে বলে জানান মাজেদ।
মো. মাজেদ বলেন, ‘আমদানি না হলে আমাদের ব্যবসাও মন্দা থাকে। দেশে বর্তমানে প্রতিদিন যে চাহিদা, তার ২৫ শতাংশ পেঁয়াজ রয়েছে। তাই আরও আগে থেকে আমদানি করার দরকার ছিল।’
সরকার আমদানির অনুমোদন না দেওয়ায় মাজেদ অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘যেটুকু পেঁয়াজ আছে, তার দাম আরও বেড়ে যেত, যদি না আমি তাদের আমদানির কথা শোনাতাম। যাদের কাছে পেঁয়াজ রয়েছে, তারা আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।’
তবে গতকাল রাজধানীর শ্যামবাজার ঘুরে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি দেখা যায়নি। প্রতিটি আড়তে ধারণক্ষমতার প্রায় কাছাকাছি পেঁয়াজ ছিল। কিন্তু ক্রেতারা অনেক দরদাম করলেও দাম কমাচ্ছেন না আড়তমালিকেরা।
গতকাল শ্যামবাজারে প্রতি কেজি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৭-৯৮ টাকা, মাঝারি ও ছোট আকারের পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৯৩-৯৫ টাকা এবং ৯০ টাকা।
মেসার্স অপু ট্রেডার্স নামের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে সেখানে। ক্রেতার সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। জানা গেল, আড়তটির ধারণক্ষমতা মোট ৮০০-৯০০ বস্তা (প্রতিটিতে ৭৫ কেজি)। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ছিল ৭০০ বস্তা।
মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ রয়েছে ২৭৭ বস্তা। আড়তমালিক মো. রঞ্জু শেখ জানান, তাঁদের ধারণক্ষমতা ৩০০ বস্তার কিছু বেশি।
মেসার্স মাতৃভান্ডারের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাপারীরা শুধু শ্যামবাজারেই পেঁয়াজ পাঠায় না, তারা সারা দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করে। যে বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করতে পারবে, সেখানেই পাঠায়।
কৃত্রিম সংকটে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, এ কথা ট্যারিফ কমিশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও বলছে। এ জন্য বাজারে মনিটরিং টিমও কাজ করছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল শ্যামবাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দেখা গেছে।
দাম না কমলে আমদানি
চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না এলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা ১০ দিন ধরে দেখছি, পেঁয়াজের মূল্যের একটা ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। তবে পেঁয়াজের কোনো অভাব নেই। আমরা জানি, অনেকে আমদানির জন্য আবেদন করেছেন। বর্তমানে ২ হাজার ৮০০ আমদানির আবেদন আছে। তবে দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে আমদানির অনুমতি দেব না।’

বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা, সময়ানুবর্তিতা এবং যাত্রীসন্তুষ্টির জন্য ‘সেরা ডমেস্টিক এয়ারলাইন’-এর স্বীকৃতি লাভ করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।
০৫ জুলাই ২০২৫
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা অপরিহার্য বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত মিশন প্রতিনিধিদল। তারা আরও বলেছে, রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে করনীতিকে উৎপাদনমুখী করা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের কার্যকারিতা
১৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেল সংকটে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
১৪ ঘণ্টা আগে