জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

ডলার সংকট নিয়ে নানা শঙ্কার পর অবশেষ স্বস্তির ছোঁয়া মিলেছে। ব্যাংকগুলো এখন নিজেদের আয়ে আমদানি বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি তাদের কাছে অতিরিক্ত ৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয় না।
এ ছাড়া প্রতিটি মানি চেঞ্জার ২৫ হাজার ডলার হাতে রাখতে পারে। সেই হিসাবে ২৩৫টি চেঞ্জারের হাতে অতিরিক্ত রয়েছে প্রায় ৫৯ লাখ ডলার। ডলারের সন্তোষজনক সরবরাহের কারণে আগের চেয়ে দর কমেছে এই বৈদেশিক মুদ্রার। এতে আমদানিকারক ও বিদেশগামীদের মধ্যে ডলারের হতাশাও কেটে গেছে। সব মিলে ডলার নিয়ে দৌড়ঝাঁপও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। পর্যাপ্ত ডলার থাকায় আমদানি পণ্যের গলাকাটা দামও নিম্নমুখী হবে—এমনটিই আশাবাদ অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ২০ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর নস্ট্রা ও ভস্ট্রা হিসাবে জমাকৃত মোট ডলারের পরিমাণ ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর আগের বছর জুলাই মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি বছরের জুন মাসের শেষ কর্মদিবসে ব্যাংকগুলোর কাছে ৫ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার মজুত ছিল। একইভাবে তার আগের মাস হিসাবে মে মাসে ডলার ছিল ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন। আর গত জানুয়ারি মাসে ব্যাংকের কাছে ডলার ছিল ৪ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন। তার আগের মাস অর্থাৎ গত ডিসেম্বরে ব্যাংকের কাছে ডলার ছিল ৪ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলারের সার্বিক দিক ইতিবাচক। আমাদের রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়েছে। যার প্রভাবে ডলারের সংকট কেটে গেছে। আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পণ্য আমদানির আড়ালে ওভার ইনভয়েসিং ঠেকাতে বাজারমূল্য যাচাই করতে সতর্কতামূলক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে ডলার সাশ্রয় হচ্ছে।
এ ছাড়া ডলারের মূল্য বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ায় ডলার নিয়ে স্বস্তি মিলেছে। এখন রিজার্ভের বাইরে ব্যাংকের হাতেও রিজার্ভ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে। তার বাইরে ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারদের কাছেও ডলার রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ডলারের সংকট থাকবে না। তবে বিদেশে ডলারের চাহিদা ও দরের ওপর আমদানি পণ্যের দাম কমার বিষয়টি নির্ভর করবে। এ ছাড়া ডলার কারসাজি নিয়ে কয়েকটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গতকাল রিজার্ভ ছিল ২৮ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। আর ডলারের ঘোষিত রেট ছিল ১০৯ টাকা। তবে আন্তব্যাংক রেটও ছিল ১০৯ টাকা। সেই রেটে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি ব্যাংকের কাছে নিত্যপণ্যের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য ১০৯ টাকা দরে ডলার বিক্রি করেছে। তবে খোলাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডলারের ক্রয়মূল্য হিসাবে দর সাঁটানো ছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা এবং বিক্রির দর ছিল ১১১ টাকা।
সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের কয়েকজন ট্রেজারি কর্মকর্তা জানান, ডলারের সংকট একেবারে কেটে গেছে, তা নয়। তবে ডলারে স্বস্তি ফিরেছে। ১০৮ টাকা ৫০ পয়সার রেমিট্যান্স কিনে ১০৯ টাকা থেকে ১১১ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত রেটেই ডলার লেনদেন করছেন।
মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব হেলাল উদ্দিন সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলার নিয়ে অরাজকতা আর নেই। বাজারে ডলারের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কিনে ১১১ টাকায় বিক্রি করছি। এখন পর্যন্ত ২৩৫টি বৈধ মানি চেঞ্জার রয়েছে। প্রতি চেঞ্জার সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ডলার হাতে রাখতে পারে। তার অতিরিক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে জামা দিতে হয়।’
সর্বশেষ চলতি মাসে ১৩ ব্যাংকের বিরুদ্ধে বাড়তি দামে ডলার কেনাবেচার তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর তদন্ত দল ইতিমধ্যে মধুমতি, এক্সিম ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সপক্ষে ভাউচারসহ সত্যতা খুঁজে পায়। এ ছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধের পরেই দেশে ডলার সংকট দেখা দেয়। ডলার সাশ্রয়ে কৃচ্ছ্রসাধনসহ আমদানি ও বিদেশভ্রমণে কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করে। কিন্তু খুব একটা ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়েনি। সংকটের সুযোগ নিয়ে অনেক ব্যাংক এবং মানি চেঞ্জার ডলার কারসাজি করে বাড়তি দাম হাতিয়ে নেয়। ব্যাংক ও মানি চেঞ্জার প্রতি ডলার ১২০ টাকা পর্যন্ত কেনাবেচা করে। এই কারসাজি রোধে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পুলিশ। তারা অপরাধের প্রমাণ পেয়ে কয়েকটি ব্যাংককে জরিমানা এবং কয়েকটি মানি চেঞ্জারের সনদ বাতিল ও সিলগালা করে।

ডলার সংকট নিয়ে নানা শঙ্কার পর অবশেষ স্বস্তির ছোঁয়া মিলেছে। ব্যাংকগুলো এখন নিজেদের আয়ে আমদানি বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি তাদের কাছে অতিরিক্ত ৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয় না।
এ ছাড়া প্রতিটি মানি চেঞ্জার ২৫ হাজার ডলার হাতে রাখতে পারে। সেই হিসাবে ২৩৫টি চেঞ্জারের হাতে অতিরিক্ত রয়েছে প্রায় ৫৯ লাখ ডলার। ডলারের সন্তোষজনক সরবরাহের কারণে আগের চেয়ে দর কমেছে এই বৈদেশিক মুদ্রার। এতে আমদানিকারক ও বিদেশগামীদের মধ্যে ডলারের হতাশাও কেটে গেছে। সব মিলে ডলার নিয়ে দৌড়ঝাঁপও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। পর্যাপ্ত ডলার থাকায় আমদানি পণ্যের গলাকাটা দামও নিম্নমুখী হবে—এমনটিই আশাবাদ অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ২০ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর নস্ট্রা ও ভস্ট্রা হিসাবে জমাকৃত মোট ডলারের পরিমাণ ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর আগের বছর জুলাই মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি বছরের জুন মাসের শেষ কর্মদিবসে ব্যাংকগুলোর কাছে ৫ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার মজুত ছিল। একইভাবে তার আগের মাস হিসাবে মে মাসে ডলার ছিল ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন। আর গত জানুয়ারি মাসে ব্যাংকের কাছে ডলার ছিল ৪ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন। তার আগের মাস অর্থাৎ গত ডিসেম্বরে ব্যাংকের কাছে ডলার ছিল ৪ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলারের সার্বিক দিক ইতিবাচক। আমাদের রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়েছে। যার প্রভাবে ডলারের সংকট কেটে গেছে। আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পণ্য আমদানির আড়ালে ওভার ইনভয়েসিং ঠেকাতে বাজারমূল্য যাচাই করতে সতর্কতামূলক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে ডলার সাশ্রয় হচ্ছে।
এ ছাড়া ডলারের মূল্য বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ায় ডলার নিয়ে স্বস্তি মিলেছে। এখন রিজার্ভের বাইরে ব্যাংকের হাতেও রিজার্ভ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে। তার বাইরে ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারদের কাছেও ডলার রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ডলারের সংকট থাকবে না। তবে বিদেশে ডলারের চাহিদা ও দরের ওপর আমদানি পণ্যের দাম কমার বিষয়টি নির্ভর করবে। এ ছাড়া ডলার কারসাজি নিয়ে কয়েকটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গতকাল রিজার্ভ ছিল ২৮ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। আর ডলারের ঘোষিত রেট ছিল ১০৯ টাকা। তবে আন্তব্যাংক রেটও ছিল ১০৯ টাকা। সেই রেটে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি ব্যাংকের কাছে নিত্যপণ্যের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য ১০৯ টাকা দরে ডলার বিক্রি করেছে। তবে খোলাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডলারের ক্রয়মূল্য হিসাবে দর সাঁটানো ছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা এবং বিক্রির দর ছিল ১১১ টাকা।
সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের কয়েকজন ট্রেজারি কর্মকর্তা জানান, ডলারের সংকট একেবারে কেটে গেছে, তা নয়। তবে ডলারে স্বস্তি ফিরেছে। ১০৮ টাকা ৫০ পয়সার রেমিট্যান্স কিনে ১০৯ টাকা থেকে ১১১ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত রেটেই ডলার লেনদেন করছেন।
মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব হেলাল উদ্দিন সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলার নিয়ে অরাজকতা আর নেই। বাজারে ডলারের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কিনে ১১১ টাকায় বিক্রি করছি। এখন পর্যন্ত ২৩৫টি বৈধ মানি চেঞ্জার রয়েছে। প্রতি চেঞ্জার সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ডলার হাতে রাখতে পারে। তার অতিরিক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে জামা দিতে হয়।’
সর্বশেষ চলতি মাসে ১৩ ব্যাংকের বিরুদ্ধে বাড়তি দামে ডলার কেনাবেচার তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর তদন্ত দল ইতিমধ্যে মধুমতি, এক্সিম ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সপক্ষে ভাউচারসহ সত্যতা খুঁজে পায়। এ ছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধের পরেই দেশে ডলার সংকট দেখা দেয়। ডলার সাশ্রয়ে কৃচ্ছ্রসাধনসহ আমদানি ও বিদেশভ্রমণে কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করে। কিন্তু খুব একটা ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়েনি। সংকটের সুযোগ নিয়ে অনেক ব্যাংক এবং মানি চেঞ্জার ডলার কারসাজি করে বাড়তি দাম হাতিয়ে নেয়। ব্যাংক ও মানি চেঞ্জার প্রতি ডলার ১২০ টাকা পর্যন্ত কেনাবেচা করে। এই কারসাজি রোধে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পুলিশ। তারা অপরাধের প্রমাণ পেয়ে কয়েকটি ব্যাংককে জরিমানা এবং কয়েকটি মানি চেঞ্জারের সনদ বাতিল ও সিলগালা করে।

শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে এই ৫টি ব্যাংক মিলে একটি বড় ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চূড়ান্ত রূপ নিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আজ বুধবার বিকেলে ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব বুঝে নেবেন প্রশাসকেরা।
২ মিনিট আগে
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১৫ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে এই ৫টি ব্যাংক মিলে একটি বড় ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চূড়ান্ত রূপ নিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আজ বুধবার বিকেলে ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব বুঝে নেবেন প্রশাসকেরা।
ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর নিয়মিত এমডিরা বাদ পড়ছেন। এখন থেকে এসব ব্যাংক ব্যাংক রেজ্যুলেশন অধ্যাদেশের আওতায় চলবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ ব্যাংক মিলে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে সরকার। আর আমানতকারীদের ১৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার দেওয়া হবে। একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকে ৭৫ লাখ আমানতকারীর বর্তমান জমা আছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে ঋণ রয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বা ৭৬ শতাংশ এখন খেলাপি।
সারা দেশে এসব ব্যাংকের ৭৬০টি শাখা, ৬৯৮টি উপশাখা, ৫১১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯৭৫টি এটিএম বুথ রয়েছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ ঋণ খেলাপি ইউনিয়ন ব্যাংকের। পর্যায়ক্রমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামীর ৯৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামীর ৯৫ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামীর ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ ও এক্সিম ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, প্রশাসকেরা দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হবে। আর এমডির চুক্তি বাতিল হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শওকাতুল আলম এক্সিম ব্যাংকের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন। সোশ্যাল ইসলামীতে নির্বাহী পরিচালক সালাহ উদ্দিন এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে দায়িত্ব পাচ্ছেন আরেক নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। আর গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিচালক মো. মোকসুদুজ্জামান এবং ইউনিয়ন ব্যাংকে পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসেমকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, প্রশাসকদের প্রথম কাজ হবে পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণে সব ধরনের তথ্য সরবরাহ করা। সেনাকল্যাণ ভবনে এসব ব্যাংক একীভূতকরণের জন্য স্থাপিত কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সব তথ্য সমন্বয় করবেন।

শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে এই ৫টি ব্যাংক মিলে একটি বড় ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চূড়ান্ত রূপ নিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আজ বুধবার বিকেলে ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব বুঝে নেবেন প্রশাসকেরা।
ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর নিয়মিত এমডিরা বাদ পড়ছেন। এখন থেকে এসব ব্যাংক ব্যাংক রেজ্যুলেশন অধ্যাদেশের আওতায় চলবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ ব্যাংক মিলে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে সরকার। আর আমানতকারীদের ১৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার দেওয়া হবে। একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকে ৭৫ লাখ আমানতকারীর বর্তমান জমা আছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে ঋণ রয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বা ৭৬ শতাংশ এখন খেলাপি।
সারা দেশে এসব ব্যাংকের ৭৬০টি শাখা, ৬৯৮টি উপশাখা, ৫১১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯৭৫টি এটিএম বুথ রয়েছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ ঋণ খেলাপি ইউনিয়ন ব্যাংকের। পর্যায়ক্রমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামীর ৯৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামীর ৯৫ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামীর ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ ও এক্সিম ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, প্রশাসকেরা দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হবে। আর এমডির চুক্তি বাতিল হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শওকাতুল আলম এক্সিম ব্যাংকের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন। সোশ্যাল ইসলামীতে নির্বাহী পরিচালক সালাহ উদ্দিন এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে দায়িত্ব পাচ্ছেন আরেক নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। আর গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিচালক মো. মোকসুদুজ্জামান এবং ইউনিয়ন ব্যাংকে পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসেমকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, প্রশাসকদের প্রথম কাজ হবে পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণে সব ধরনের তথ্য সরবরাহ করা। সেনাকল্যাণ ভবনে এসব ব্যাংক একীভূতকরণের জন্য স্থাপিত কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সব তথ্য সমন্বয় করবেন।

ডলার সংকট নিয়ে নানা শঙ্কার পর অবশেষ স্বস্তির ছোঁয়া মিলেছে। ব্যাংকগুলো এখন নিজেদের আয়ে আমদানি বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি তাদের কাছে অতিরিক্ত ৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয় না।
২৫ জুলাই ২০২৩
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১৫ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১৬ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

ডলার সংকট নিয়ে নানা শঙ্কার পর অবশেষ স্বস্তির ছোঁয়া মিলেছে। ব্যাংকগুলো এখন নিজেদের আয়ে আমদানি বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি তাদের কাছে অতিরিক্ত ৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয় না।
২৫ জুলাই ২০২৩
শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে এই ৫টি ব্যাংক মিলে একটি বড় ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চূড়ান্ত রূপ নিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আজ বুধবার বিকেলে ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব বুঝে নেবেন প্রশাসকেরা।
২ মিনিট আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১৫ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

ডলার সংকট নিয়ে নানা শঙ্কার পর অবশেষ স্বস্তির ছোঁয়া মিলেছে। ব্যাংকগুলো এখন নিজেদের আয়ে আমদানি বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি তাদের কাছে অতিরিক্ত ৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয় না।
২৫ জুলাই ২০২৩
শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে এই ৫টি ব্যাংক মিলে একটি বড় ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চূড়ান্ত রূপ নিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আজ বুধবার বিকেলে ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব বুঝে নেবেন প্রশাসকেরা।
২ মিনিট আগে
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
১২ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

ডলার সংকট নিয়ে নানা শঙ্কার পর অবশেষ স্বস্তির ছোঁয়া মিলেছে। ব্যাংকগুলো এখন নিজেদের আয়ে আমদানি বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি তাদের কাছে অতিরিক্ত ৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয় না।
২৫ জুলাই ২০২৩
শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে এই ৫টি ব্যাংক মিলে একটি বড় ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চূড়ান্ত রূপ নিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আজ বুধবার বিকেলে ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব বুঝে নেবেন প্রশাসকেরা।
২ মিনিট আগে
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১৫ ঘণ্টা আগে