নতুন অর্থ বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমেছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। এবারের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পকে বিশেষভাবে মাথায় রাখা হয়েছে। এই খাতের গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এই বাজেটে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবিত বরাদ্দ ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। এর আগের অর্থ বছরে অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ বিদ্যুৎ বিভাগে বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। এবার এই বিভাগে বরাদ্দ কমেছে ৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে পারে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগে ১০০ এর ওপরে উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৯ হাজার ১৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪০ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে পরিকল্পনার ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ১৬ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ আনা হবে।’
বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন নির্মাণের ওপরও এই বাজেটে জোর দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ২৪ হাজার সার্কিট কিলোমিটার নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সরকার। বর্তমানে ১৫ হাজার সার্কিট কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।’
এদিকে জ্বালানি বিভাগে এই অর্থবছরে ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে এই খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৯৯৪ কোটি টাকা। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তমান কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। এর মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়।’
এ সময় অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে মহেশখালীতে ৫০ কোটি ঘনফুটের একটা ও পায়রাতে ৫০ কোটি ঘনফুটের একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে। সব মিলিয়ে দেশে তখন আমদানি করা গ্যাসের দৈনিক পরিমাণ দাঁড়াবে ২০০ কোটি ঘনফুট।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বাজেট বরাদ্দে ভর্তুকির তথ্য থাকে না। সরকার আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের সমালোচনা থেকে দায় এড়াতে ভর্তুকির অর্থ ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে। গত দুই বছর টানা বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ছিল প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে। তবে ওই অর্থ পিডিবি এখন পর্যন্ত ফেরত দেয়নি।
নতুন অর্থ বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমেছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। এবারের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পকে বিশেষভাবে মাথায় রাখা হয়েছে। এই খাতের গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এই বাজেটে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবিত বরাদ্দ ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। এর আগের অর্থ বছরে অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ বিদ্যুৎ বিভাগে বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। এবার এই বিভাগে বরাদ্দ কমেছে ৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে পারে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগে ১০০ এর ওপরে উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৯ হাজার ১৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪০ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে পরিকল্পনার ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ১৬ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ আনা হবে।’
বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন নির্মাণের ওপরও এই বাজেটে জোর দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ২৪ হাজার সার্কিট কিলোমিটার নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সরকার। বর্তমানে ১৫ হাজার সার্কিট কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।’
এদিকে জ্বালানি বিভাগে এই অর্থবছরে ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে এই খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৯৯৪ কোটি টাকা। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তমান কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। এর মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়।’
এ সময় অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে মহেশখালীতে ৫০ কোটি ঘনফুটের একটা ও পায়রাতে ৫০ কোটি ঘনফুটের একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে। সব মিলিয়ে দেশে তখন আমদানি করা গ্যাসের দৈনিক পরিমাণ দাঁড়াবে ২০০ কোটি ঘনফুট।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বাজেট বরাদ্দে ভর্তুকির তথ্য থাকে না। সরকার আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের সমালোচনা থেকে দায় এড়াতে ভর্তুকির অর্থ ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে। গত দুই বছর টানা বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ছিল প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে। তবে ওই অর্থ পিডিবি এখন পর্যন্ত ফেরত দেয়নি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
৫ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে কমিশন সভাকক্ষে এই বৈঠক...
৫ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
১৩ ঘণ্টা আগে