দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের সার্বভৌম ঋণমান ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি আগের ঋণমান দীর্ঘ মেয়াদে ‘বিবি মাইনাস’ ও স্বল্প মেয়াদে ‘বি’ বহাল রেখেছে। গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বল্প মেয়াদে বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধে বাংলাদেশ সরকারের যে দায় রয়েছে, তা আগামী বছর আরো বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও চাপের মুখে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমাণ স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক হয়ে যেতে পারে বলে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল সর্বশেষ আউটলুকে জানিয়েছে।
ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থাটি মনে করছে, ২০২৪-২০২৬ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৬ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশে বলে জানায় এসঅ্যান্ডপি।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল জানায়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ ডলােরর সংকটে জ্বালানি আমদানি করতে হিমশিম খাচ্ছে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত দেশটির ডলারের রিজার্ভ এক-তৃতীয়াংশ কমেছে, যা এখন ২৯ দশমিক ৮৫ বিলিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে।
দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে প্রকৃত অর্থেই ভালো সম্পর্ক, প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল পরিমাণ অর্থ, বৈশ্বিক পরিসরে প্রতিযোগিতামূলক তৈরি পোশাক খাতের মতো কাঠামোগত সুবিধার পরেও বাংলাদেশের অর্থনীতির বাহ্যিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থিক দায় মেটানোর সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নেতিবাচক ‘রেটিং আউটলুক’ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতিকেই প্রতিফলিত করে। এতে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। কারণ, এটি ঋণদাতাদের আস্থা দুর্বল করে দেয়।
জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভর না হয়ে গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান, বিদ্যুৎ আমদানির বিকল্প খোঁজা এবং সৌরভিত্তিক কৃষি ও অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিব্যবস্থাসহ সরকারকে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মত দেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
এর আগে গত ৩০ মে ডলারের সংকট ও তারল্য ঝুঁকিতে বাংলাদেশের ঋণমান কমায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান মুডিস। কারণ হিসেবে তাঁরা উল্লেখ করে, বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উঁচু মাত্রার দুর্বলতা ও তারল্যের ঝুঁকি বিদ্যমান। আর চলমান সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাও প্রকাশ পেয়েছে।
সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে বিএ৩ থেকে বি১-এ নামিয়ে দেয় মুডিস। তবে বাংলাদেশের জন্য পূর্বাভাস স্থিতিশীল রাখা হয়। পাশাপাশি মুডিস বলে, ঋণমান কমলেও স্বল্পমেয়াদি ইস্যুয়ার রেটিংয়ের ক্ষেত্রে ‘নট প্রাইম’ মান অব্যাহত রাখা হবে।
মুডিস জানায়, পরিস্থিতি খানিকটা সহজ হলেও বাংলাদেশে ডলারের সংকট চলমান এবং বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। দেশের বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতির ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে আমদানির ক্ষেত্রে নানা ধরনের বাধা তৈরি হয়েছে, যার ফল হিসেবে জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে।
দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের সার্বভৌম ঋণমান ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি আগের ঋণমান দীর্ঘ মেয়াদে ‘বিবি মাইনাস’ ও স্বল্প মেয়াদে ‘বি’ বহাল রেখেছে। গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বল্প মেয়াদে বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধে বাংলাদেশ সরকারের যে দায় রয়েছে, তা আগামী বছর আরো বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও চাপের মুখে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমাণ স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক হয়ে যেতে পারে বলে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল সর্বশেষ আউটলুকে জানিয়েছে।
ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থাটি মনে করছে, ২০২৪-২০২৬ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৬ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশে বলে জানায় এসঅ্যান্ডপি।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল জানায়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ ডলােরর সংকটে জ্বালানি আমদানি করতে হিমশিম খাচ্ছে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত দেশটির ডলারের রিজার্ভ এক-তৃতীয়াংশ কমেছে, যা এখন ২৯ দশমিক ৮৫ বিলিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে।
দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে প্রকৃত অর্থেই ভালো সম্পর্ক, প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল পরিমাণ অর্থ, বৈশ্বিক পরিসরে প্রতিযোগিতামূলক তৈরি পোশাক খাতের মতো কাঠামোগত সুবিধার পরেও বাংলাদেশের অর্থনীতির বাহ্যিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থিক দায় মেটানোর সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নেতিবাচক ‘রেটিং আউটলুক’ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতিকেই প্রতিফলিত করে। এতে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। কারণ, এটি ঋণদাতাদের আস্থা দুর্বল করে দেয়।
জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভর না হয়ে গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান, বিদ্যুৎ আমদানির বিকল্প খোঁজা এবং সৌরভিত্তিক কৃষি ও অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিব্যবস্থাসহ সরকারকে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মত দেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
এর আগে গত ৩০ মে ডলারের সংকট ও তারল্য ঝুঁকিতে বাংলাদেশের ঋণমান কমায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান মুডিস। কারণ হিসেবে তাঁরা উল্লেখ করে, বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উঁচু মাত্রার দুর্বলতা ও তারল্যের ঝুঁকি বিদ্যমান। আর চলমান সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাও প্রকাশ পেয়েছে।
সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে বিএ৩ থেকে বি১-এ নামিয়ে দেয় মুডিস। তবে বাংলাদেশের জন্য পূর্বাভাস স্থিতিশীল রাখা হয়। পাশাপাশি মুডিস বলে, ঋণমান কমলেও স্বল্পমেয়াদি ইস্যুয়ার রেটিংয়ের ক্ষেত্রে ‘নট প্রাইম’ মান অব্যাহত রাখা হবে।
মুডিস জানায়, পরিস্থিতি খানিকটা সহজ হলেও বাংলাদেশে ডলারের সংকট চলমান এবং বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। দেশের বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতির ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে আমদানির ক্ষেত্রে নানা ধরনের বাধা তৈরি হয়েছে, যার ফল হিসেবে জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে।
কর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
২ ঘণ্টা আগেআগামী এক বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিজেড) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র বা গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর অলিগলিতে প্রতিদিনের চেনা দৃশ্য—রোদে ঝলসে গেলেও থামে না শ্রমিকের কাজ। কেউ ড্রেন খুঁড়ছেন, কেউ টানছেন ইট-বালু। কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি প্রকল্পে সড়ক আর ভবন গড়ে উঠলেও সেই সব নির্মাণের ভিত গাঁথা শ্রমিকদের মজুরি থাকে বড্ড কম। কাজের ভার আর দক্ষতার ভিত্তিতে নয়—তাঁদের ঘামের দাম ঠিক হয় মালিকের...
২ ঘণ্টা আগেদেশে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়লেও বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের প্রকল্প ঋণের প্রতিশ্রুতি আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। বিপরীতে পুরোনো ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে