নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তৈরি পোশাক খাতের বড় ছয়টি চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে ১২ দফা ইশতেহার দিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি—বিজিএমইএ নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্মিলিত পরিষদ। আগামী ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচন সামনে রেখে এই ইশতেহার ঘোষণা করে চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালামের নেতৃত্বাধীন প্যানেল।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মিলিত পরিষদের পক্ষ থেকে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন—প্যানেল লিডার মো. আবুল কালাম, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, প্যানেল সমন্বয়ক ও সাবেক সভাপতি ফারুক হাসানসহ অন্যান্য প্যানেল সদস্য।
সম্মিলিত পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্যানেলটি তৈরি হয়েছে অতীতের সাহস, অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয়ে। তারা যে ৬টি বড় চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে পরিকল্পনা সাজিয়েছে, সেগুলো হলো—ইউটিলিটি খরচ বৃদ্ধি, শ্রম ব্যয়ের চাপ, এলডিসি উত্তরণের অভিঘাত, ম্যানমেড ফাইবারে পিছিয়ে থাকা, সমন্বিত কমপ্লায়েন্স নীতির অভাবে বাড়তি খরচ এবং উচ্চ সুদ হারের সমস্যা।
প্যানেলের নেতা মো. আবুল কালাম বলেন, ‘তৈরি পোশাক শিল্পের একটি অধ্যায় আমরা পেরিয়ে এসেছি, এবার লক্ষ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের শিল্পে রূপান্তর।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই পথচলায় দরকার হবে অভিজ্ঞতা, সাহস ও তারুণ্যের সমন্বিত নেতৃত্ব, যারা শ্রমিক, উদ্যোক্তা, নীতিনির্ধারক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমান দক্ষতায় কাজ করতে পারবে। বৈশ্বিক অর্থনীতি, রাজনীতি, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, জ্বালানি নিরাপত্তাসহ নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে আমরা কৌশল নির্ধারণ করেছি।’
নির্বাচন আগামী ৩১ মে, ঢাকায় ও চট্টগ্রামে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ভোটগ্রহণ।
সম্মিলিত পরিষদের ঘোষিত ১২ দফা ইশতেহার:
১. এসএমই সহায়তা সেল গঠন
বিজিএমইএর অধীনে বিশেষ একটি সেল গঠন করা হবে, যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানার কাঠামোগত, অর্থনৈতিক এবং নীতিগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করবে।
২. বিদ্যুৎ-জ্বালানি নিরাপত্তা ও বিকল্প প্রণোদনা
গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার জন্য বিকল্প সুবিধা প্যাকেজের দাবিও জানানো হবে।
৩. ইন্ডাস্ট্রি ৪.০–এর জন্য কর্মীবাহিনী গঠন
শ্রমিক, তত্ত্বাবধায়ক ও ম্যানেজারদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হবে, যাতে তৈরি হয় ভবিষ্যত-প্রস্তুত মানবসম্পদ।
৪. অর্থায়ন সহজীকরণ
গ্রিন ফান্ডিং ডেস্ক চালু করা হবে, যা এসএমই কারখানাকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক টেকসই তহবিল ব্যবহারে সহায়তা করবে। সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার জন্য নীতিগত সংস্কার চাওয়া হবে।
৫. বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায় বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
৬. বিকল্প প্রণোদনা নীতি
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর তৈরি পোশাক খাতের টিকে থাকার জন্য বিকল্প প্রণোদনার নীতি প্রণয়নের দাবি জানানো হবে।
৭. বাণিজ্য সহায়তা ও এনবিআর সংস্কার
কাস্টমস, ভ্যাট ও বন্ড ব্যবস্থায় সংস্কার আনা হবে। বন্দর-সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান এবং গ্রিন চ্যানেল চালুর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৮. রপ্তানি সহায়তায় ওয়ান-স্টপ সাপোর্ট সেল
বিজিএমইএর অধীনে একটি কেন্দ্রীয় সহায়তা প্ল্যাটফর্ম চালু করা হবে, যা এসএমই, নারী নেতৃত্বাধীন ও দ্বিতীয় প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের জন্য সহায়ক হবে।
৯. সামাজিক নীতিপালন উন্নয়ন কর্মসূচি
আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও অংশীদারদের সঙ্গে একটি ইউনিফায়েড কোড অব কনডাক্ট প্রণয়ন করা হবে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলবে।
১০. পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের সবুজ রূপান্তর
কারখানার দক্ষতা, আস্থা ও সোর্সিং সক্ষমতা বাড়াতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সার্কুলারিটি ও ডিকার্বোনাইজেশনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
১১. ‘মেইড ইন বাংলাদেশ–প্রিমিয়াম এডিশন’ ব্র্যান্ডিং
বাংলাদেশকে স্বল্পমূল্যের উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে নয়, বরং সাশ্রয়ী, টেকসই ও আধুনিক সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
১২. অ্যাপারেল ডিপ্লোম্যাসি ও দায়িত্বশীল এক্সিট পলিসি
বাজার সম্প্রসারণ ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে কূটনীতি জোরদার করা হবে। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার সম্মানজনকভাবে বন্ধ হওয়ার সুযোগ, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও উদ্যোক্তাদের পুনরুদ্ধারে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
তৈরি পোশাক খাতের বড় ছয়টি চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে ১২ দফা ইশতেহার দিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি—বিজিএমইএ নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্মিলিত পরিষদ। আগামী ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচন সামনে রেখে এই ইশতেহার ঘোষণা করে চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালামের নেতৃত্বাধীন প্যানেল।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মিলিত পরিষদের পক্ষ থেকে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন—প্যানেল লিডার মো. আবুল কালাম, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, প্যানেল সমন্বয়ক ও সাবেক সভাপতি ফারুক হাসানসহ অন্যান্য প্যানেল সদস্য।
সম্মিলিত পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্যানেলটি তৈরি হয়েছে অতীতের সাহস, অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয়ে। তারা যে ৬টি বড় চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে পরিকল্পনা সাজিয়েছে, সেগুলো হলো—ইউটিলিটি খরচ বৃদ্ধি, শ্রম ব্যয়ের চাপ, এলডিসি উত্তরণের অভিঘাত, ম্যানমেড ফাইবারে পিছিয়ে থাকা, সমন্বিত কমপ্লায়েন্স নীতির অভাবে বাড়তি খরচ এবং উচ্চ সুদ হারের সমস্যা।
প্যানেলের নেতা মো. আবুল কালাম বলেন, ‘তৈরি পোশাক শিল্পের একটি অধ্যায় আমরা পেরিয়ে এসেছি, এবার লক্ষ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের শিল্পে রূপান্তর।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই পথচলায় দরকার হবে অভিজ্ঞতা, সাহস ও তারুণ্যের সমন্বিত নেতৃত্ব, যারা শ্রমিক, উদ্যোক্তা, নীতিনির্ধারক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমান দক্ষতায় কাজ করতে পারবে। বৈশ্বিক অর্থনীতি, রাজনীতি, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, জ্বালানি নিরাপত্তাসহ নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে আমরা কৌশল নির্ধারণ করেছি।’
নির্বাচন আগামী ৩১ মে, ঢাকায় ও চট্টগ্রামে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ভোটগ্রহণ।
সম্মিলিত পরিষদের ঘোষিত ১২ দফা ইশতেহার:
১. এসএমই সহায়তা সেল গঠন
বিজিএমইএর অধীনে বিশেষ একটি সেল গঠন করা হবে, যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানার কাঠামোগত, অর্থনৈতিক এবং নীতিগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করবে।
২. বিদ্যুৎ-জ্বালানি নিরাপত্তা ও বিকল্প প্রণোদনা
গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার জন্য বিকল্প সুবিধা প্যাকেজের দাবিও জানানো হবে।
৩. ইন্ডাস্ট্রি ৪.০–এর জন্য কর্মীবাহিনী গঠন
শ্রমিক, তত্ত্বাবধায়ক ও ম্যানেজারদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হবে, যাতে তৈরি হয় ভবিষ্যত-প্রস্তুত মানবসম্পদ।
৪. অর্থায়ন সহজীকরণ
গ্রিন ফান্ডিং ডেস্ক চালু করা হবে, যা এসএমই কারখানাকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক টেকসই তহবিল ব্যবহারে সহায়তা করবে। সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার জন্য নীতিগত সংস্কার চাওয়া হবে।
৫. বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায় বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
৬. বিকল্প প্রণোদনা নীতি
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর তৈরি পোশাক খাতের টিকে থাকার জন্য বিকল্প প্রণোদনার নীতি প্রণয়নের দাবি জানানো হবে।
৭. বাণিজ্য সহায়তা ও এনবিআর সংস্কার
কাস্টমস, ভ্যাট ও বন্ড ব্যবস্থায় সংস্কার আনা হবে। বন্দর-সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান এবং গ্রিন চ্যানেল চালুর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৮. রপ্তানি সহায়তায় ওয়ান-স্টপ সাপোর্ট সেল
বিজিএমইএর অধীনে একটি কেন্দ্রীয় সহায়তা প্ল্যাটফর্ম চালু করা হবে, যা এসএমই, নারী নেতৃত্বাধীন ও দ্বিতীয় প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের জন্য সহায়ক হবে।
৯. সামাজিক নীতিপালন উন্নয়ন কর্মসূচি
আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও অংশীদারদের সঙ্গে একটি ইউনিফায়েড কোড অব কনডাক্ট প্রণয়ন করা হবে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলবে।
১০. পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের সবুজ রূপান্তর
কারখানার দক্ষতা, আস্থা ও সোর্সিং সক্ষমতা বাড়াতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সার্কুলারিটি ও ডিকার্বোনাইজেশনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
১১. ‘মেইড ইন বাংলাদেশ–প্রিমিয়াম এডিশন’ ব্র্যান্ডিং
বাংলাদেশকে স্বল্পমূল্যের উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে নয়, বরং সাশ্রয়ী, টেকসই ও আধুনিক সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
১২. অ্যাপারেল ডিপ্লোম্যাসি ও দায়িত্বশীল এক্সিট পলিসি
বাজার সম্প্রসারণ ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে কূটনীতি জোরদার করা হবে। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার সম্মানজনকভাবে বন্ধ হওয়ার সুযোগ, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও উদ্যোক্তাদের পুনরুদ্ধারে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়ার অধিকাংশ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। আর শুল্কের কারণে এ খাতে শঙ্কার জন্ম হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল লিবারেশন ডে ঘোষণা করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রভাবের
৯ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এর বড় ধাক্কা লেগেছে ভারতের তৈরি পোশাক খাতে। ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন আতঙ্কে কাটছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের।
১১ ঘণ্টা আগেব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
১৯ ঘণ্টা আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
২০ ঘণ্টা আগে